Tag Archives: Axar Patel

অক্ষর প্যাটেল: জীবন, কেরিয়ার, রেকর্ড এক ঝলকে

পুরো নাম: অক্ষর রাজেশভাই প্যাটেল

জন্ম: ২০ জানুয়ারি ১৯৯৪

উচ্চতা: ৫ ফুট ১২ ইঞ্চি (১.৮২ মিটার)

জাতীয়তা: ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ: বাম-হাতি ব্যাটার, স্লো বাম-হাতি অর্থোডক্স বোলার

পরিবার

পিতা: রাজেশ প্যাটেল

মাতা: প্রীতিবেন প্যাটেল

অক্ষর প্যাটেল জন্মগ্রহণ করেছেন গুজরাতে। তাঁর এক জন ভাই রয়েছে, যাঁর নাম স্যানশিপ প্যাটেল। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন অক্ষর কোনও দিনই দেখেননি। বরং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন তিনি। ১৫ বছর বয়সে তাঁর বন্ধু ধীরেন কানসারা প্রথম অক্ষরের ক্রিকেট প্রতিভা লক্ষ্য করেন এবং একটি আন্তঃ-স্কুল টুর্নামেন্টে  খেলার পরামর্শ দেন তাঁকে। প্রথমে তাঁর নামের বানান ছিল ‘Akshar’, কিন্তু স্কুলের অধ্যক্ষের ভুলের কারণে স্কুল ছাড়ার শংসাপত্রে তাঁর নামের বানান পরিবর্তন হয়ে দাঁড়ায় ‘Axar’ এবং তার পর থেকে নামের এই বানানটিই ব্যবহার করেন তিনি।

কেরিয়ারের সূচনা:

অক্ষর প্যাটেল এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার। ২০১২ সালে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় তাঁর। ২০১৪ এসিসি এমার্জিং টিমস কাপ ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলেন অক্ষর। এই খেলায় তাঁর অসাধারণ পারফরমেন্সের কারণে ২০১৪ সালে ‘বিসিসিআই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৯-২০ দলীপ ট্রফির জন্য ইন্ডিয়া রেড দলের স্কোয়াডে নাম দেওয়া হয়েছিল তাঁর। ২০১৯-২০ দেওধর ট্রফির জন্য ভারত সি-এর স্কোয়াডেও নাম দেওয়া হয়েছিল অক্ষর প্যাটেলের। 

আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আগে ২০১৪ সালে আইপিএলে খেলার সুযোগ পান অক্ষর। প্রিমিয়ার লিগে তাঁর দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পর ভারতীয় ওডিআই দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার সুযোগ পান প্যাটেল। এই ম্যাচের সিরিজের প্রত্যেকটি ম্যাচ খেলেন তিনি। ৫টি ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়ে নিজের বোলিং দক্ষতার পরিচয় দেন অক্ষর। 

নির্বাচকরা ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলে প্যাটেলকে জায়গা করে দিয়েছিলেন। তবে টুর্নামেন্ট চলাকালীন একটি ম্যাচও পাননি তিনি। ২০১৬ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তিনটি উইকেট নেওয়ার পর আইসিসি ওডিআই র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৩-তম স্থানে চলে যান অক্ষর। সব শেষে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ান-ডে খেলেছিলেন প্যাটেল। তাঁর ফর্ম ভালো থাকা সত্ত্বেও অভিজ্ঞতার অভাবে ২০১৭ সালের আইসিসি চাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাননি তিনি। 

২০১৫ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় তাঁর। এই ম্যাচে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি। 

ক্লাব ক্রিকেট:

গুজরাতের বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে তাঁর প্রথম আইপিএল ম্যাচ খেলেন। পরের বছরের মরসুমে তিনি কিংস এলেভেন পঞ্জাবে চলে যান। ওই বছর আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন অক্ষর প্যাটেল। ২০১৬ সালের আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন অক্ষর। এই ম্যাচে তিনি দীনেশ কার্তিক, ব্রাভো এবং জাদেজাকে পর-পর আউট করেছিলেন। 

২০১৯ আইপিএল নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস অক্ষর প্যাটেলকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয়। এর পর থেকে দিল্লির হয়েই খেলতেন তিনি। ২০২২ সালে মেগা নিলামেও দিল্লি তাঁকে ছাড়েনি। প্রায় ৯ কোটি টাকা দিয়ে অক্ষরকে ফের দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।

Ind vs Sl: শ্রীলঙ্কান বোলারদের দাপট, ভারতীয় তারকাদের ছুটল কালঘাম, টাই হল প্রথম ওডিআই

কলম্বো:  ভারতীয় বোলাররা জ্বলওয়া দেখিয়েছিলেন আর ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কার্যত ধুলো চাটিয়ে ছাড়লেন শ্রীলঙ্কান বোলাররা৷ জয়ের জন্যে প্রয়োজনীয় ২৩১ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ভারতের তারকাদের কালঘাম ছুটল৷  এবং শেষে ম্যাচ হল টাই৷ ৪৪ তম টাই ম্যাচ হল আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটে৷

গম্ভীরের কোচিংয়ের প্রথম একদিনের ম্যাচে টানটান উত্তেজনায় পৌঁছে ৪৭.৫ ওভারে ২৩০ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারতীয়দল৷ ফ্লপ শো গম্ভীরের আনা কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের৷

এদিন ২৩১ তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেননি দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল৷ ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭৫ রান৷ গিল ১৩ রান করে আউট হলেও রোহিত অর্ধ শতরান পূর্ণ করতে কোনও ভুল করেননি৷ ভারত অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৫৮ রান৷ তাও মাত্র ৪৭ বলে৷ এদিনের রোহিতের ইনিংস সাজানো ৭ টি চার ও ৩ টি ছক্কা দিয়ে৷

এরপর ২৪ রান দলের স্কোরে যোগ করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন বিরাট কোহলি৷ ফ্লপ ওয়াশিংটন সুন্দর৷ দীর্ঘদিন বাদে দলে ফেরা শ্রেয়স আইয়ারের যোগদান ২৩ বলে ২৩ রান৷ রয়েছে ৪ টি চার৷

১৩২ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসা দলকে ফের শক্ত হাতে ধরেন কেএল রাহুল এবং অক্ষর প্যাটেল৷ কিন্তু এই দুজনও স্কোরকে বড় স্কোরে কনভার্ট করতে পারেননি৷ ৩১ করেন রাহুল ৩৩ রান অক্ষরের৷

শ্রীলঙ্কার হয়ে এদিন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা ৩ টি উইকেট নেন৷ এছাড়াও উইকেট পান , ব্যাটের পর বল হাতেও পারফরম্যান্স ভাল দুনিথ ওয়েল্লালাগের৷ তিনিও ২টি উইকেট পান৷

এদিকে শেষ বেলায় হাসারঙ্গা কুলদীপ যাদব এবং অধিনায়ক আসালঙ্কা অর্শদীপ সিংকে আউট করে ভারতের ম্যাচ জয়ের আশায় সিমেন্ট ঢেলে দেন৷ শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ৪৭ ওভারে নাটকে মোড়া ম্যাচে টাইতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় গৌতম গম্ভীরের টিম ইন্ডিয়াকে৷

এদিকে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কায় একদিনের ম্যাচের সিরিজে ধামাকা কোনও শুরু করতে পারল না শ্রীলঙ্কা৷ শনিবার কলম্বোতে আয়োজিত প্রথম একদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা করল ৮ উইকেটে ২৩০ রান৷ অর্থাৎ ভারতকে জয়ের জন্য করতে হবে ২৩১ রান৷ এদিন দুই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান ছাড়া ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি কেউই৷

ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা ৫৬ রান করেন অন্যদিকে স্পিনার দুনিথ ওয়েল্লালাগে দলের হয়ে সর্বাধিক ৬৭ রান করেন৷ এদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা৷ নিশঙ্কা রান পেলেও মাত্র ১ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অন্য ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দো৷ এরপর কেউই সেভাবে ব্যাট হাতে দাগ কাটতে পারেননি৷ ১০১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা৷

কিন্তু দলের স্কোরকে দায়িত্ব নিয়ে ২০০ পার করানোর দায়িত্ব নেন তরুণ বোলার ওয়েল্লালাগে৷ তিনি ৬৫ বলে ৬৭ রান করেন৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ৭ টি চার ও ২ টি ছয় দিয়ে৷

 

এদিকে অক্ষর প্যাটেল ও অর্শদীপ সিং ২ টি করে উইকেট নেন৷  এছাড়াও মহম্মদ সিরাজ, শিভম দুবে, কুলদীপ যাদব, ওয়াশিংটন সুন্দর একটি করে উইকেট পান৷

 

Ind vs Aus T20: সিরিজ জিতে খুশির তুফানে ভাসল টিম ইন্ডিয়া, ফের অজিদের হার, ভারত জিতল ২০ রানে

Ind vs Aus T20:  ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টি টোয়েন্টিতেই সিরিজ পকেটে পুড়ে নিল ভারতীয় দল৷ প্রথমে ২-০ এগিয়ে গেলেও তৃতীয় টি টোয়েন্টি জিতে সিরিজে ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া৷ রায়পুরে চতুর্থ টি টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া চেষ্টা করেছিল বেশ ভালই , কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা সব জলে গেল৷ ভারত ২০ রানে জিতল ম্যাচ তার পাশাপাশি ৩-১ জিতে গেল সিরিজ৷

এদিনের খেলায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন অক্ষর প্যাটেল৷

 

এদিন অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে ভারতকে  প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়৷ প্রথম থেকেই অজি বোলারদের সামনে আজকে খুব বেশি একটা খাপ খুলতে পারেননি৷ ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান ওঠে৷ যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ২৮ বলে ৩৭ ও ৩২ রান করেন৷ কিন্তু ঋতুরাজ আউট হওয়ার পরপরই শ্রেয়স আইয়ার ৮, সূর্যকুমার যাদব ১ করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান৷

আরও পড়ুন – Lakshmi Narayan Yog 2023: লক্ষ্মী-নারায়ণ যোগে তুফান, রাশিতে হবে মালামাল অর্থের যোগ, তোলপাড়ে জীবন মাখন

ফের খেলার রাশ ধরেন রিঙ্কু সিং ও জিতেশ কুমার৷ রিঙ্কু ফের এদিন ধামাকা ক্রিকেট খেলেন৷ ২৯ বলে ৪৬ রান করেন তিনি৷ তাঁর এদিনের ইনিংস সাজানো ছিল ৪ টি চার ও ২ টি ছয় দিয়ে৷ জিতেশ শর্মাও ১৯ বলে ৩৫ রান করেন৷ তাঁর ইনিংসে ছিল ১ টি চার ও ৩ টি ছয়৷ অজিদের হয়ে বেন  দোয়ারসুইস ৩ টি উইকেট নেন৷ ৯ উইকেটে ১৭৪ রান করে ভারত৷

এদিকে রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া একেবারে শুরুটা দারুণ ছিল৷  তারা বিনা উইকেটে মাত্র ৩ ওভারেই ৪০ রান করে ফেলে৷ কিন্তু এরপর ভারতীয় বোলাররা নিয়মিত ব্যবধানে নিজেদের কেরামতি দেখাতে শুরু করে৷ ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানই তুলতে পারে৷ দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড তিনি ৩৬ রান করেন৷ এরপরই ছিল ওপেনার ট্র্যাভিস হেডের রান৷

ভারতের হয়ে অক্ষর প্যাটেল ৩ উইকেট নেন, ২ উইকেট নেন দীপক চাহার , তবে এদিন ১ টি মাত্র উইকেট পেলেও বল হাতে কার্যকারী বোলিং করেন রবি বিষ্ণোই, তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ১ টি উইকেট নেন৷

 

IND vs AUS : কোহলি, জাদেজা ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে লড়ছেন অক্ষর! ৫ উইকেট লায়নের ঝুলিতে

দিল্লি: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দিল্লিতে দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনে পরপর চার উইকেট হারানোর পর দেখার ছিল চা বিরতির আগে পর্যন্ত ভারত কিভাবে লড়াই করে। সেটা পুরোটাই নির্ভর করছিল বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাদেজার ওপর। ধৈর্য দেখিয়ে এগোচ্ছিলেন বিরাট। নিজের ঘরের মাঠে বেশ কিছু দেখার মত শট মারলেন। কিন্তু ঠিক ৫০ করার আগেই আউট হয়ে গেলেন
খুনেম্যানের বলে।

৪৪ করেই থামতে হল বিরাটকে। উইকেটরক্ষক ভরত সুইপ করতে গিয়ে আউট হলেন। পঞ্চম উইকেট নিলেন লায়ন। কিন্তু চা বিরতির আগে এরপর কিছুটা রুখে দাঁড়ালেন অশ্বিন এবং অক্ষর প্যাটেল। বিশেষ করে অক্ষর শুধু ডিফেন্স করলেন না, প্রয়োজনে পাল্টা মারলেন। ৯ নম্বরে এখন তিনি ব্যাট হাতে ভারতের ভরসা বুঝিয়ে দিচ্ছেন অক্ষর। অন্যদিকে আছেন অভিজ্ঞ অশ্বিন।

ভারতের টার্গেট থাকবে আজ দ্বিতীয় দিনের শেষে অলআউট না হওয়া। সম্ভব হলে লিড নিতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার রানের আরো কাছাকাছি নিজেদের নিয়ে যাওয়া। তবেই দিল্লি টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তার জন্য এই দুই ব্যাটসম্যানকে আরও ধৈর্য এবং লড়াই করতে হবে। ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় নিশ্চিত ভালো চেষ্টা করবে অস্ট্রেলিয়ার টোটালের যতটা কাছাকাছি যেতে সম্ভব।

জাদেজার জায়গায় অক্ষর নাকি হুডা ? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আজ কাকে খেলাবে ভারত ?

#দুবাই: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষাতে জয় পেলেও আজ দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবেন রিজওয়ানরা, সেটা বিলক্ষণ জেনে ভারত। তাই সেটা যাতে না হয় এবং স্কোরলাইন যাতে ভারতের পক্ষে ২-০ হয়, সেটাই চেষ্টা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ভারতের মুশকিল বাড়িয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। হাঁটুর চোট তাকে এশিয়া কাপ থেকে তো বটেই, এমনকি সম্ভবত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে দিয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই রবীন্দ্র জাদেজার না থাকা ভারতীয় দলের কাছে বড় ধাক্কা। কারণ প্রথম সাক্ষাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাকে চার নম্বরে তুলে এনে সফল হয়েছিল ভারত। নির্ভরতা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার জাদেজার জায়গা নেবেন কে? এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ভারতীয় শিবিরে। দুটো নাম ঘোরাফেরা করছে। প্রথমটা অক্ষর প্যাটেল, দ্বিতীয়টা দীপক হুদা।

ভারতীয় দল মনে করছে যেহেতু তারা উইকেট রক্ষক হিসেবে দীনেশ কার্তিককে খেলাচ্ছেন, তাই সুযোগ পাচ্ছেন না ঋষভ পন্থ। তাই এতদিন দলে একমাত্র বাহাতি ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন জাদেজা। কিন্তু তিনি ছিটকে যাওয়ার পর সেই জায়গায় সম্ভবত অক্ষর প্যাটেলকেই আজ খেলাতে পারে ভারত।

প্রথমত তিনিও বাঁহাতি স্পিনার। জাদেজার মত ব্যাটিংটা বাঁহাতি করেন। তাছাড়া পাকিস্তান দলের শাদাব খান এবং নামাজ দুজন স্পিন বোলার থাকায় দীপকের থেকে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে অক্ষর। কারণ দুই স্পিনারের বল তার ভেতর দিকে আসবে। ফলে শট খেলতে সুবিধা হবে।

প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ওয়াসিম জাফর মনে করেন দীপক হুদা যথেষ্ট যোগ্য ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি কাজ চালানোর মতো অফস্পিনার। কিন্তু বাঁহাতি জাদেজার পরিবর্ত হিসেবে বাঁহাতি ক্রিকেটারকেই খেলাবে ভারত। তাই আজ খেলার সম্ভাবনা বেশি অক্ষরের।

অক্ষর শেষ কয়েক মাসে তার বড় শট খেলার ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। তিনিও নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে ভাবতে পছন্দ করেন। তাই আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার খেলার সম্ভাবনাই বেশি। শেষ মুহূর্তে যদি ভারত দীপক হুদার কথা বিবেচনা করে সেটা আলাদা।

KL Rahul T20 series : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইডেনে টি টোয়েন্টি সিরিজে নেই রাহুল এবং অক্ষর

#আমেদাবাদ: পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে ছিলেন না তিনি। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে অবশ্য ফিরে এসে দুরন্ত ৪৯ করেছিলেন কে এল রাহুল। কিন্তু আবার চোট সমস্যায় কাবু হলেন তিনি। ছিটকে গেলেন টি টোয়েন্টি সিরিজ থেকে। ফলে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে দেখা যাবে না কে এল রাহুলকে।

আরও পড়ুন – IPL auction 2022, Hangargekar : ভারতের অনূর্ধ্ব উনিশের এই অলরাউন্ডারের জন্য ঝাঁপাবে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি,দেখুন

বিসিসিআই এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় বা পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। তখন বেশি ব্যথা অনুভব না করলেও, পরে ব্যথা বাড়ে। এই মুহূর্তে ডাক্তার তাকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। টি টোয়েন্টি সিরিজে প্রাথমিকভাবে নাম থাকলেও বাদ পড়লেন অক্ষর প্যাটেল। বাঁহাতি স্পিনার সুস্থ হয়ে ওঠার মুখে। কিন্তু জানা গিয়েছে ম্যাচ ফিট হতে তার সময় লাগবে।

আরও পড়ুন – IPL Mega auction RCB: বিরাটের কথায় আইপিএল নিলামে এই পাঁচ ক্রিকেটারকে টার্গেট করেছে আরসিবি

তাই এখন জোর করে টি টোয়েন্টি সিরিজ খেললে আঘাত বেড়ে যেতে পারে। রাহুল এবং অক্ষর দুজনেই চলে যাবেন বেঙ্গালুরুর এনসিএ একাডেমিতে। সেখানে শুশ্রূষা এবং রিহাব পদ্ধতি চলবে নিয়ম মেনে। তাছাড়া পরের মাসের শেষের দিকে আইপিএল শুরু। নিজেদের ফিটনেস নিয়ে তাই সতর্ক ভারতীয় ক্রিকেটাররা। রাহুল এবং অক্ষররের বদলি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে দীপক হুদা এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে।

দীপক একদিনের সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। ঋতুরাজ সুযোগ পাননি। নির্বাচকরা মহারাষ্ট্রের ঋতুরাজকে দেখে নিতে চান। মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে তরুণ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আগামী দিনের সুপারস্টার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। সুনীল গাভাসকার একাধিকবার বলেছেন ঋতুরাজকে সুযোগ দেওয়া হোক।

এবার দেখার ইডেনে কতটা সুযোগ পান ঋতুরাজ। তবে রাহুল এবং অক্ষর না থাকলেও ভারতের শক্তিশালী দল রয়েছে টি টোয়েন্টি সিরিজে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, হর্ষল প্যাটেল, আবেশ খানদেরও খেলানোর কথা মাথায় রয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের।

‘অক্ষর শেডে’র চশমা! আনন্দ মাহিন্দ্রাকে যা বললেন খোদ স্পিনার!

#মুম্বই: দিন কয়েক ধরেই ‘অক্ষর শেডের’ চশমা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। আর এই চর্চার কেন্দ্রে রয়েছেন দেশের বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। আজকাল অক্ষর শেডের চশমা পরেই বাড়িতে খেলা দেখছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই চশমা না কি লাকি চার্ম। বিষয়টি নিয়ে এবার আনন্দ মাহিন্দ্রাকে সাধুবাদ জানালেন স্পিনায় অক্ষর পটেল (Axar Patel) স্বয়ং। নেপথ্যের গল্পটা কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক!

বল হাতে মোতেরার মাটিতে তখন মস্তানি দেখাচ্ছেন অক্ষর। ব্রিটিশরা কার্যত ধরাশায়ী। সিরিজ জিতে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দোরগোড়ায় ভারত। এমন সময়ে অক্ষরের চশমা নিয়ে মাতামাতি করতে দেখা যায় আনন্দ মাহিন্দ্রাকে। Twitter-এ শিল্পপতি জানান, স্পিনার অক্ষর পটেলের পারফরম্যান্সে রীতিমতো মুগ্ধ তিনি। বোলিং’য়ের সময়ে একটি সানগ্লাস ব্যবহার করেন এই গুজরাতি স্পিনার। আনন্দ মাহিন্দ্রা জানতে চান, কোন ব্র্যান্ডের সানগ্লাস ব্যবহার করেন অক্ষর? নিশ্চয়ই এই চশমার কোনও কেরামতি রয়েছে! এর পর থেকে শুরু হয় চশমার খোঁজ। নেটিজেনরাও নানা মজার মন্তব্য করতে শুরু করেন।

শেষমেশ ‘অক্ষর শেডের’ চশমাটি হাতে পান মাহিন্দ্রা। Twitter-এ নতুন চশমার ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সেই চশমা পরে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় T20 ম্যাচও দেখেন। অভিষেক টেস্ট সিরিজে অক্ষরের দুরন্ত বোলিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ট্যুইটে মাহিন্দ্রা লেখেন, প্রতিশ্রুতি রাখলাম। এবার অক্ষর শেডের চশমা চোখেই সেলফি তুললাম। বর্তমানে এটিই আমার গুড লাক চার্ম।

মুহর্তেই ভাইরাল হতে শুরু করে মাহিন্দ্রার ট্যুইট। ক্রিকেটপ্রেমীরাও সাধুবাদ জানিয়েছেন মাহিন্দ্রাকে। কথা রাখার জন্য সকলেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে নজর কেড়েছে অক্ষরের ট্যুইট। আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইট রিট্যুইট করে অক্ষর পটেল লেখেন, চশমাটিতে আপনাকে বেশ মানিয়েছে স্যার। এভাবে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু এই অক্ষর শেডের চশমা কোথা থেকে পাওয়া গেল? এবার এ নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়। শেষমেশ সব জল্পনার অবসান ঘটান দেশের বিজনেস টাইকুন। তিনি জানান, স্পোর্টিং টুল রেলিশ (Relish)-এর কাছ থেকে এই চশমা পেয়েছেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস এই চশমা জীবনে সাফল্য ও সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে। আপাতত এই চশমাতেই মজে দেশ।

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড বধের এই সিরিজের অন্যতম পাওনা অক্ষর পটেল। বল হাতে ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের কাছে ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই বোলার। ৩টি টেস্টে ২৭টি উইকেট নেন। একই সঙ্গে কেরিয়ারের প্রথম তিন টেস্টেই চার বার ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। আর সেই কৃতিত্বেই যেন এক আলাদা মাত্রা যোগ করল আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইট।

IND vs ENG: অক্ষর-অশ্বিনের ঘূর্ণীতে ২০৫ রানে শেষ ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস

#আহমেদাবাদ: ইংল্যান্ডের দুর্দশা অব্যাহত৷ চতুর্থ তথা সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম দিনেই বিপর্যস্ত ব্রিটিশ বাহিনী৷ বৃহস্পতিবার মোতেরায় জো রুটদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল ২০৫ রানে৷ সৌজন্যে অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) ও আর অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)৷ অক্ষর একাই তুলে নিলেন চার উইকেট৷ অশ্বিন পেলেন তিনটি৷ মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraj)৷ ঝুলিতে এল দুটি৷ একটি পেলেন ওয়াশিংটন সুন্দর৷

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রুট৷ কিন্তু মাত্র ১৫ রানেই ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিরে যান৷ জ্যাক ক্রলে ও ডোম সিবলেকে শুরুতেই তুলে নন প্যাটেল৷ এরপর মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান ক্যাপ্টেন রুট৷ সিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি৷ জনি বেয়ারস্টো যদিও কিছুক্ষণ ক্রিজে কাটান৷ কিন্তু ৬৭ বল খেলে ২৮ রানে ফিরতে হয় তাঁকেও৷ সিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান বেয়ারস্টো৷

৭৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ইংল্যান্ডের হাল ধরেন ব্রিটিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস৷ হাফ সেঞ্চুরি আসে তাঁর ব্যাট থেকে৷ ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া স্টোকসে তুলে নিয়ে ভারতের মুখে ফের হাসি ফোটান ওয়াশিংটন সুন্দর৷ ৫৫ রানে স্টোকস এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান৷ এরপর ওলি পপ দলকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেন৷ ২৯ রান করে অশ্বিনের বলে ক্যাচ দিয়ে দেন শুভমান গিলকে৷

সাতে ব্যাট করতে আসা ড্যান লরেন্স ক্রিজে নেমে স্টোকস হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন বটে৷ কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরি থেক চার রান আগেই প্যাটেলের বলে তাঁকে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা লাগাতে হয়৷ বলাই বাহুল্য এরপর তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ড৷ টেলএন্ডাররা কেউই অশ্বিন-অক্ষরদের সামনে মুখ তুলে দাঁড়াতে পারেননি৷ ইংল্যান্ড লেজ মুড়িয়ে যায় ২০৫ রানেই৷

India vs England: ‘ভোকাল ফর লোকাল!’ অক্ষরের স্বপ্নের স্পেলে বুঁদ ট্যুইটার

#আহমেদাবাদ: প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে (Narendra Modi stadium) তাঁর ‘ভোকাল ফর লোকাল’ (Vocal for Local) মন্ত্রই যপলেন অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel)! এমনটাই বলছে ট্যুইটারাত্তিরা! কারণ গুজরাতের আনন্দের বাসিন্দা অক্ষর এদিন একাই কাঁদিয়ে দিলেন জো রুটের (Joe Root) ইংল্যান্ডকে৷

একটা-দু’টো নয় টিম ইন্ডিয়ার ২৭ বছরের স্পিনার এদিন ব্রিটিশদের হাফ ডজন উইকেট তুলে নিলেন ৩৮ রান খরচ করে৷ অক্ষরের ছয় আর অশ্বিনের (R Ashwin) তিনে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ১১২ রানে৷ যেহেতু অক্ষরের ঘরের মাঠে খেলা হচ্ছে আর তিনি এত ভাল পারফর্ম করলেন সেহেতু নেটিজেনরা ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর কথা বললেন৷ অক্ষরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও৷ দেখে নিন কে কী লিখল ট্যুইটে:

অক্ষরের স্বপ্নের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল চেন্নাইতে৷ ওখানে তুলে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট৷ এখন আবার ঘরের মাঠে ৬ উইকেট৷ দুরন্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি, একথা বলাই যায়৷ অক্ষরের জন্যই ইংল্যান্ডের ইনিংস দু’টি সেশনের আগেই শেষ হয়ে গেল৷ রুটরা মাত্র ৪৮.৪ ওভার ব্যাট করলেন৷ অক্ষরের শিকার হলেন জ্যাক ক্রলে, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, ফোকস, জোফ্রা আর্চার ও স্টুয়ার্ট ব্রডের উইকেট৷ ফের একবার ব্রিটিশদের স্পিনে বুকে চিনচিনে ব্যথা ওঠে তা প্রমাণিত হয়ে গেল৷

Ind vs Eng: চিপকে সিংহদের পুঁতে দিল টিম ইন্ডিয়া, জয় ৩১৭রানে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জয়

ভারত – ৩২৯, ২৮৬

ইংল্যান্ড- ১৩৪, ১৬৪

#চেন্নাই:  

প্রথম টেস্টে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল ভারতীয় দল৷ দ্বিতীয় টেস্ট পকেটে পুরে ফেলল মাত্র সাড়ে তিনদিন৷ ব্রিটিশ সিংহদের নখ , দাঁত বার করার কোনও সুযোগই দিল না কোহলি অ্যান্ড কোং৷ ব্যাট ও বল হাতে কামাল পারফরম্যান্স রবিচন্দ্রন অশ্বিন৷ শতরান, দুটি ইনিংস মিলিয়ে 8 উইকেট ৷ সোনার পারফরম্যান্স ভারতের স্পিনিং অলরাউন্ডারের৷ পাশাপাশি কোহলি ব্রিগেড এই টেস্টে পুরো দল হিসেবে একেবারে সঠিক পারফরম্যান্স করাতেই এই ফলাফল৷ দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন অকসর প্যাটেল৷ দীর্ঘদিন বাদে এই সিরিজে দলে সুযোগ পেয়েই নিজেকে উজাড় করে দিলেন তরুণ এই বোলার৷ ইংল্যান্ড অলআউট ১৬৪ রানে৷

ফলে আহমেদাবাদে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডে নাইট টেস্ট খেলার আগে সিরিজ দাঁড়াল ১-১৷

মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর নেমেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট৷ তাঁর মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াইয়ের চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন অকসর প্যাটেল৷ দারুণ ক্যাচ অজিঙ্ক রাহানের৷ ইংল্যান্ড অধিনায়ক প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় জয় আর ও কাছে মনে করছে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক৷

তৃতীয় দিনে যেখানে শেষ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল , চতুর্থ দিন সকালে চিপকে সেখান থেকেই শুরু করল বিরাট এন্ড কোং৷ ৩ উইকেটে ৫৩ রান থেকে শুরু করে মঙ্গলবার সকালে লাঞ্চের আগেই ইংল্যান্ডের স্কোর ১১৬ খুইয়ে বসে রয়েছে সাতটি উইকেট৷

এই অবস্থায় ফের বল হাতে কামাল দউই ভারতীয় স্পিনারের৷ রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অকসর প্যাটেলের৷ দুজনেই মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি অবধি তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন৷ আর একটি উইকেট এবং ম্যাচের প্রথম উইকেটে পেয়েছেন কুলদীপ যাদব৷ তাঁর শিকার বেন ফোকস৷ একা কুম্ভ রক্ষা করে ধাঁচে উইকেটের একদিক আগলে রেখেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট৷ তিনি ৩৩ করেছেন৷ আগের দিনের লরেন্সকে প্যাকআপ করেন অশ্বিন৷ ক্যাচ নেন ঋষভ পন্থ৷ তিনি করেছিলেন ২৬৷ এরপর শুধুই আয়ারাম -গয়ারামের চক্কর৷ কোনও ব্যাটসম্যানই ২ অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি৷

নিঃশ্বাস যেন আটকে গেছে টিম ইংল্যান্ডের৷ জয়ের বিশাল ৪৮২ রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ৫৩ রান৷ ক্রিজে রয়েছেন জো রুট এবং ডন লরেন্স৷

ইংল্যান্ডের ১৭ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওপেনার সিবলে৷ অকসর প্যাটেল প্রথম উইকেট তুলে নেন৷ এরপর বল হাতে আঘাত হানেন অশ্বিন৷ দুরন্ত একশো রানের পর ফের বল হাতে নেমে বিপক্ষকে কেঁদে ছাড়াচ্ছেন তিনি৷ নাইট ওয়াচম্যানের আইডিয়াও ফ্লপ ইংল্যান্ডের ৷ নেমেই ফিরে যান লিচ৷

১০৬ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যখন আউট হলেন ততক্ষণে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান ২৮৬৷ জিততে গেলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে বিশাল ৪৮২ রান৷  ভারতের লিড ৪৮১ রানের৷ অশ্বিনের অসামাণ্য ইনিংস ,বিরাটের দায়িত্বশীল ৬২৷ প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানের লিড৷ আর দ্বিতীয় ইনিংসে  রান সব মিলিয়ে একেবারে চিপকে চাপে ইংল্যান্ড৷ জয়ের জন্য রুটবাহিনীর প্রয়োজন  রান৷ বিরাটের সঙ্গে অশ্বিন যে খেলা শুরু করেছিলেন সেখান থেকে শিল্পের স্তরে খেলে দলকে একেবারে রানের চুড়োয় পৌঁছে দিলেন৷ কে বলবে যে সোমবারের শুরুটা হয়েছিল যখন তখন প্রথম এক ঘণ্টায় ৫ উইকেটে দলের স্কোর ছিল ৮৬৷  প্রথিতযশারা ফিরেছেন ৷ বিরাট লড়াই করতে শুরু করেন অশ্বিনের সঙ্গে৷ অশ্বিনের শতরান এদিন এসেছে মাত্র ১৩৯ বলে৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ১৪ টি চার ও একটি ছয় দিয়ে৷

অধিনায়ক বিরাট কোহলি অর্ধ শতরান করার কয়েক ওভারের মধ্যেই ফের এল অর্ধশতরান৷ বল হাতে একাই ব্রিটিশ সিংহের অর্ধেক দুর্গ ধ্বসিয়ে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে  অর্ধশতরান৷ কোহলির সঙ্গে জুটিতে লুটি করে একেবারে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিলেন অশ্বিন৷

এদিন মাত্র ৬৪ বলে অর্ধশতরান করেন অশ্বিন৷ তাঁর ইনিংস সাজানো সাতটি চার দিয়ে৷

তৃতীয় দিনের শুরুতে ভারতের পরপর কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়ে প্রাথমিক একটা চাপ তৈরি করেছিল ইংলিশ বোলাররা৷ কিন্তু সেটাকে চাপের প্রেশার কুকারে পরিণত করতে ব্যর্থ তারা৷ উল্টে অধিনায়ক বিরাট কোহলি যেভাবে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে চাপের পাহাড়ের নিচে দাবিয়ে দিলেন তা নিঃসন্দেহে কুর্নিশযোগ্য৷

এদিন বিরাট ১০৭ বলে অর্ধশতরান করেন, তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৭ টি চার৷ বিরাট ৬২ রান করে আউট হয়ে যান৷ মইন আলি ও জ্যাক লিচ ৪ টি করেই উইকেট নিয়েছেন তিনি৷

দ্বিতীয় দিনের শেষে ক্রিজে ছিলেন রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা৷ কিন্তু রোহিত ২৭ ও পূজারা ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হন৷ কোহলি এরপর নিজের সঙ্গে খেলার জন্য দুরন্ত ফর্মে থাকা ঋষভ পন্থকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে আনলেও সেই বাজি স্থায়ী হয়নি৷ উল্টে তিনিও ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন৷

অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে বিরাটের জুটিটা যখন জমবে জমবে মনে হচ্ছিল তখন মইন আলির শিকার জিঙ্কসও৷ তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিজের পরিচিত চেন্নাই পিচে একেবারে চিপকে গেলেন৷ অধিনায়ক বিরাটের সঙ্গে সহযোগিতায় তিনি এগিয়ে নিয়ে গেলেন দলের স্কোর হুইল৷

দ্বিতীয় ইনিংস ভারতীয়দের উইকেটগুলি নেন লিচ ও মইন আলি৷

এদিকে এর আগে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৫৪ রান৷ প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে এই মুহূর্তে লিড  ২৪৯৷ ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে আটকে রাখার পর ভারতীয় ওপেনারদের একজন অবশ্য প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন৷ তিনি শুভমান গিল৷ তিনি প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফ্লপ৷ দিনের শেষে ব্যাটিং ক্রিজে রয়েছেন রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা৷ রোহিতের রান ২৫ ও পূজারা -র রান ৭৷

ফলো অন করানোর সম্ভবনা হতে পারে এই বিপত্তিটা কোনওরকমে ঠেলে সরিয়ে দিলেও ইংল্যান্ড বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারল না৷  চা বিরতিতে ৮ উইকেটে ১০৬-র ১৩৪ তে শেষ ব্রিটিশ সিংহদের জারিজুরি৷ চেন্নাইতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট গেল অশ্বিনের ঝোলায়৷ এদিকে ইশান্ত , অকসর প্যাটেল ২ টি করে এবং মহম্মদ সিরাজ একটি উইকেট নেন৷ অশ্বিন মাত্র ৪৫ রান দিয়ে ৫ টি উইকেট নেন৷

নবম উইকেটে ঋষভ পন্থের দুরন্ত ক্যাচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই৷

চেন্নাইয়ের প্রথম টেস্টে হারের পর ভারতীয় দল কী ‘খেলা হবে’ মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েছে৷ বিতর্ক অবশ্য বাইশ গজে না আনাই ভালো ৷ কারণ ভারতীয় দল প্রথম টেস্টের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে জবরদস্ত পারফরম্যান্স৷

Ind vs Eng: ‘একা কুম্ভ’-র লড়াই শেষ, লাঞ্চ খেয়ে নেমেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন রুট

 

#চেন্নাই:  মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর নেমেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট৷ তাঁর মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াইয়ের চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন অকসর প্যাটেল৷ দারুণ ক্যাচ অজিঙ্ক রাহানের৷ ইংল্যান্ড অধিনায়ক প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় জয় আর ও কাছে মনে করছে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক৷

তৃতীয় দিনে যেখানে শেষ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল , চতুর্থ দিন সকালে চিপকে সেখান থেকেই শুরু করল বিরাট এন্ড কোং৷ ৩ উইকেটে ৫৩ রান থেকে শুরু করে মঙ্গলবার সকালে লাঞ্চের আগেই ইংল্যান্ডের স্কোর ১১৬ খুইয়ে বসে রয়েছে সাতটি উইকেট৷

এই অবস্থায় ফের বল হাতে কামাল দউই ভারতীয় স্পিনারের৷ রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অকসর প্যাটেলের৷ দুজনেই মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি অবধি তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন৷ আর একটি উইকেট এবং ম্যাচের প্রথম উইকেটে পেয়েছেন কুলদীপ যাদব৷ তাঁর শিকার বেন ফোকস৷ একা কুম্ভ রক্ষা করে ধাঁচে উইকেটের একদিক আগলে রেখেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট৷ তিনি ৩৩ করেছেন৷ আগের দিনের লরেন্সকে প্যাকআপ করেন অশ্বিন৷ ক্যাচ নেন ঋষভ পন্থ৷ তিনি করেছিলেন ২৬৷ এরপর শুধুই আয়ারাম -গয়ারামের চক্কর৷ কোনও ব্যাটসম্যানই ২ অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি৷

নিঃশ্বাস যেন আটকে গেছে টিম ইংল্যান্ডের৷ জয়ের বিশাল ৪৮২ রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ৫৩ রান৷ ক্রিজে রয়েছেন জো রুট এবং ডন লরেন্স৷

ইংল্যান্ডের ১৭ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওপেনার সিবলে৷ অকসর প্যাটেল প্রথম উইকেট তুলে নেন৷ এরপর বল হাতে আঘাত হানেন অশ্বিন৷ দুরন্ত একশো রানের পর ফের বল হাতে নেমে বিপক্ষকে কেঁদে ছাড়াচ্ছেন তিনি৷ নাইট ওয়াচম্যানের আইডিয়াও ফ্লপ ইংল্যান্ডের ৷ নেমেই ফিরে যান লিচ৷

১০৬ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যখন আউট হলেন ততক্ষণে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান ২৮৬৷ জিততে গেলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে বিশাল ৪৮২ রান৷  ভারতের লিড ৪৮১ রানের৷ অশ্বিনের অসামাণ্য ইনিংস ,বিরাটের দায়িত্বশীল ৬২৷ প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানের লিড৷ আর দ্বিতীয় ইনিংসে  রান সব মিলিয়ে একেবারে চিপকে চাপে ইংল্যান্ড৷ জয়ের জন্য রুটবাহিনীর প্রয়োজন  রান৷ বিরাটের সঙ্গে অশ্বিন যে খেলা শুরু করেছিলেন সেখান থেকে শিল্পের স্তরে খেলে দলকে একেবারে রানের চুড়োয় পৌঁছে দিলেন৷ কে বলবে যে সোমবারের শুরুটা হয়েছিল যখন তখন প্রথম এক ঘণ্টায় ৫ উইকেটে দলের স্কোর ছিল ৮৬৷  প্রথিতযশারা ফিরেছেন ৷ বিরাট লড়াই করতে শুরু করেন অশ্বিনের সঙ্গে৷ অশ্বিনের শতরান এদিন এসেছে মাত্র ১৩৯ বলে৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ১৪ টি চার ও একটি ছয় দিয়ে৷

অধিনায়ক বিরাট কোহলি অর্ধ শতরান করার কয়েক ওভারের মধ্যেই ফের এল অর্ধশতরান৷ বল হাতে একাই ব্রিটিশ সিংহের অর্ধেক দুর্গ ধ্বসিয়ে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে  অর্ধশতরান৷ কোহলির সঙ্গে জুটিতে লুটি করে একেবারে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিলেন অশ্বিন৷

এদিন মাত্র ৬৪ বলে অর্ধশতরান করেন অশ্বিন৷ তাঁর ইনিংস সাজানো সাতটি চার দিয়ে৷

তৃতীয় দিনের শুরুতে ভারতের পরপর কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়ে প্রাথমিক একটা চাপ তৈরি করেছিল ইংলিশ বোলাররা৷ কিন্তু সেটাকে চাপের প্রেশার কুকারে পরিণত করতে ব্যর্থ তারা৷ উল্টে অধিনায়ক বিরাট কোহলি যেভাবে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে চাপের পাহাড়ের নিচে দাবিয়ে দিলেন তা নিঃসন্দেহে কুর্নিশযোগ্য৷

এদিন বিরাট ১০৭ বলে অর্ধশতরান করেন, তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৭ টি চার৷ বিরাট ৬২ রান করে আউট হয়ে যান৷ মইন আলি ও জ্যাক লিচ ৪ টি করেই উইকেট নিয়েছেন তিনি৷

দ্বিতীয় দিনের শেষে ক্রিজে ছিলেন রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা৷ কিন্তু রোহিত ২৭ ও পূজারা ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হন৷ কোহলি এরপর নিজের সঙ্গে খেলার জন্য দুরন্ত ফর্মে থাকা ঋষভ পন্থকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে আনলেও সেই বাজি স্থায়ী হয়নি৷ উল্টে তিনিও ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন৷

অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে বিরাটের জুটিটা যখন জমবে জমবে মনে হচ্ছিল তখন মইন আলির শিকার জিঙ্কসও৷ তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিজের পরিচিত চেন্নাই পিচে একেবারে চিপকে গেলেন৷ অধিনায়ক বিরাটের সঙ্গে সহযোগিতায় তিনি এগিয়ে নিয়ে গেলেন দলের স্কোর হুইল৷

দ্বিতীয় ইনিংস ভারতীয়দের উইকেটগুলি নেন লিচ ও মইন আলি৷

এদিকে এর আগে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৫৪ রান৷ প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে এই মুহূর্তে লিড  ২৪৯৷ ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে আটকে রাখার পর ভারতীয় ওপেনারদের একজন অবশ্য প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন৷ তিনি শুভমান গিল৷ তিনি প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফ্লপ৷ দিনের শেষে ব্যাটিং ক্রিজে রয়েছেন রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা৷ রোহিতের রান ২৫ ও পূজারা -র রান ৭৷

ফলো অন করানোর সম্ভবনা হতে পারে এই বিপত্তিটা কোনওরকমে ঠেলে সরিয়ে দিলেও ইংল্যান্ড বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারল না৷  চা বিরতিতে ৮ উইকেটে ১০৬-র ১৩৪ তে শেষ ব্রিটিশ সিংহদের জারিজুরি৷ চেন্নাইতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট গেল অশ্বিনের ঝোলায়৷ এদিকে ইশান্ত , অকসর প্যাটেল ২ টি করে এবং মহম্মদ সিরাজ একটি উইকেট নেন৷ অশ্বিন মাত্র ৪৫ রান দিয়ে ৫ টি উইকেট নেন৷

নবম উইকেটে ঋষভ পন্থের দুরন্ত ক্যাচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই৷

চেন্নাইয়ের প্রথম টেস্টে হারের পর ভারতীয় দল কী ‘খেলা হবে’ মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েছে৷ বিতর্ক অবশ্য বাইশ গজে না আনাই ভালো ৷ কারণ ভারতীয় দল প্রথম টেস্টের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে জবরদস্ত পারফরম্যান্স৷