Tag Archives: Anand Mahindra

ভারতের আকাশে এবার উড়বে এয়ার ট্যাক্সি? বড় ইঙ্গিত আনন্দ মহিন্দ্রার

কলকাতা: ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারতে চালু হয়ে যাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, “ই-প্লেন কোম্পানি। আগামী বছরেই আসছে উড়ন্ত বৈদ্যুতিক ট্যাক্সি। তৈরি হচ্ছে আইআইটি মাদ্রাজে”।

এর জন্য আইআইটি মাদ্রাজকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। তিনি যোগ করেছেন, “আইআইটি মাদ্রাজ বিশ্বের অন্যতম রোমাঞ্চকর এবং সক্রিয় ইনকিউবেটর হয়ে উঠেছে।

ভারত জুড়ে উচ্চাভিলাষী ইনকিউবেটরের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার জন্য ওঁদের ধন্যবাদ। আমাদের আর এমন দেশ হিসেবে দেখা যায় না যেখানে প্রকৃত উদ্ভাবকের অভাব রয়েছে”। সঙ্গে এও লিখেছেন, “দুঃসাহসী আকাঙ্খা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ, যার কোনও সীমা নেই”।

আরও পড়ুন- অফিসে এসি আছে, বাড়িতে নেই! শরীরের যে ৫টি ভয়ঙ্কর ক্ষতি হচ্ছে, সাবধান!

এপ্রিলের শুরুতে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, শহরে যানজটের সমস্যা দূর করতে চেন্নাই ভিত্তিক একটি স্টার্টআপ ই-প্লেন কোম্পানি উড়ন্ত বৈদ্যুতিক ট্যাক্সির প্রোটোটাইপ তৈরি করছে।

আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই দেখা যাবে। আইআইটি মাদ্রাজে বাণিজ্যিক ড্রোনও তৈরি করছে তারা। যেগুলো ২ থেকে ৬ কিলোগ্রাম পর্যন্ত পেলোড বহন করতে সক্ষম। এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এ কথা জানিয়েছেন।

ইপ্লেন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সত্য চক্রবর্তী পিটিআইকে জানিয়েছেন, তাঁরা তিন থেকে চার আসনের eVTOL বিমান তৈরি করছেন। যা উড়ন্ত ট্যাক্সি বা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

তাঁর কথায়, “আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আমরা প্রোটোটাইপ তৈরি করে ফেলব বলে আশা করছি। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) থেকে শংসাপত্র পেতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে”।

আরও পড়ুন- ২০, ২১, ২২…! এসি কত তাপমাত্রায় চালালে শরীর সুস্থ থাকে? জানিয়ে দিল সরকার

স্টার্টআপ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, চার চাকা গাড়িতে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে ৬০ মিনিট সময় লাগে, ইপ্লেনে সেই দূরত্ব যেতে সময় লাগবে মাত্র ১৪ মিনিট। কোম্পানির প্রধান লক্ষ্য হল eVTOL ব্যবহার করে শহরাঞ্চলে যানজট দূর করা।

জানা গিয়েছে, দিল্লি এবং মুম্বইয়ের মতো শহরে এয়ার ট্যাক্সি চালানো হবে। পাইলটসহ পাঁচজনকে নিয়ে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারবে। মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে ২ থেকে ৩ ঘন্টার দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে অনায়াসে। সংস্থাটি চার্টার, লজিস্টিক, মেডিকেল ইমার্জেন্সি ইত্যাদির জন্যও এয়ার ট্যাক্সি ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Viral Video|| একেই বলে শৃঙ্খলা! ট্র্যাফিক নিয়ম পালনের বিরল দৃশ্য! তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

#নয়াদিল্লি: লোক সংখ্যা মাত্র ১১ লাখ। চারিদিকে আকাশের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু উঁচু পর্বত। আর এই পর্বতশৃঙ্গের মাঝেই রয়েছে সাজানো-গোছানো রাজ্য মিজোরাম। সম্প্রতি মিজোরামের পাথুরে রাস্তায় ট্র্যাফিক নিয়মের বিরল দৃশ্যে তোলপাড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। ইতিমধ্যেই ওই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরই মধ্যে ওই ছবিটি পৌঁছে গিয়েছে প্রায় চল্লিশ লক্ষ মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ-এ। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া বলে কথা। এখানে ভাইরাল হওয়া মুখের কথা নয়। তবে বর্তমান পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে প্রায়শই কিছু না কিছু বিরল দৃশ্য কিংবা ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। তাই বলে ট্র্যাফিক নিয়মের সাধারণ একটি ছবি? তবে ইতিমধ্যেই ওই ছবিটি শুধুমাত্র সাধারণ মানুষই নন, তা নিজেদের পছন্দের তালিকায় রেখেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতিরাও। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী সেই বিরল দৃশ্য।

সম্প্রতি সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ আহলাওয়াত (Sandeep Ahlawat) তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ-এ ওই ছবিটি পোস্ট করেছেন। ছবিটি ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্য মিজোরামের। ছবিতে দেখা গিয়েছে মিজোরামের সাধারণ পথচলতি মানুষ পথে বেরিয়ে কীভাবে ট্র্যাফিক নিয়ম পালন করছেন। মিজোরামের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ওই ছবিটি তুলেছেন সন্দীপ। ছবিতে দেখা গিয়েছে, ট্র্যাফিক নিয়ম পালনের জন্য রাস্তার মধ্যে দিয়ে লম্বা সাদা দাগ দেওয়া রয়েছে। কিন্তু প্রবল ব্যস্ততার মাঝেও একজন নাগরিকও ট্র্যাফিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল না দেখিয়ে সুন্দর ও সারিবদ্ধ ভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অন্য দিকে ওই রাস্তার বিপরীত দিক ফাঁকা অবস্থায় রয়েছে। তৎক্ষণাৎ শৃঙ্খলাবোধ ও মিজোরামবাসীর ট্র্যাফিক নিয়ম পালনের ওই ছবিটি নিজের মোবাইল ক্যামেরায় লেন্সবন্দি করেন সন্দীপ। এই ছবিটিই তিনি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ-এ।

জানা গিয়েছে, ওই ছবিটি নিজেদের পছন্দের তালিকায় রেখেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি আনন্দ (Anand Mahindra) মাহিন্দ্রা। শুধুই কী পছন্দ, ইতিমধ্যেই ওই ছবিটি রিট্যুইট করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি ছবিটি রিট্যুইট করে আনন্দ মাহিন্দ্রা তাঁর ট্যুইটার পেজ-এ লিখেছেন এই ছবিটি সঠিক নিয়ম পালনের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ এবং গোটা দেশবাসীর কাছে এই ছবিটি অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি তিনি গোটা দেশবাসীকে রাস্তায় বেরিয়ে সঠিক ভাবে ট্র্যাফিক নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই ওই ছবিটি পৌঁছে গিয়েছে প্রায় চল্লিশ লক্ষ নেটিজেনের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ-এ। ছবিটিতে লাইক পড়েছে চোখে পড়ার মতো। শুধুই কী লাইক, কয়েক লক্ষ মন্তব্যও জমা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে কোনও কোনও ব্যক্তি আবার এই ছবিতে রাজনৈতিক উস্কানিও দিয়েছেন। যদিও কোনও কিছুতে বিচলিত নন ওই ছবিটির মালিক সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ। ছবিতে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রুখতে সন্দীপ মিজোরামের পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির উদাহরণ টেনেছেন। এ বিষয়ে তাঁর সাফ জবাব, শুধুমাত্র রাজনীতি নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা ও শৃঙ্খলাবোধ। যার জ্বলন্ত উদাহরণ ট্র্যাফিক নিয়মপালনের এই ছবি।

 

Viral Video: পর্যটক বোঝাই আস্ত গাড়ি মুখ দিয়ে টানছে রয়্যাল বেঙ্গল, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

#বেঙ্গালুরু: যাত্রী ভর্তি একটি গাড়ি৷ আর অবলীলায় সেটিকে মুখ দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)৷ কর্ণাটকের বানারঘাটা জাতীয় উদ্যানে তোলা এমনই একটি ভিডিও শেয়ার করলেন শিল্পপতি আনন্দ মহীন্দ্রা (Anand Mahindra)৷ আর এই ভিডিও থেকেই আরও একবার প্রমাণিত হল, পূর্ণবয়স্ক একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ঠিক কতখানি শক্তিশালী হতে পারে৷

ট্যুইটারে শেয়ার করা ওই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গলের মধ্যে রাস্তায় একটি মহীন্দ্রা জাইলো মডেলের এসইউভি গাড়ির পিছনের দিকের অংশ ক্রমাগত কামড়ে ধরার চেষ্টা করছে একটি বাঘ৷ এক সময়ে ভালভাবে গাড়ির পিছনের বাম্পারে কামড় বসাতে সক্ষম হয় বাঘটি৷ এর পরই পর্যটক ভর্তি গাড়িটিকে টেনে কিছুটা পিছিয়ে নিয়ে যায় সে৷

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ফের বাঘের দেখা, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

পাশের একটি গাড়ি থেকে গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন কয়েকজন৷ চোখের সামনে বাঘের এমন অকল্পনীয় শক্তি দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তাঁরাও৷ অস্ফুটেই কয়েকজন বলে ওঠেন, ‘আরে গাড়িটিকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তো!’

আরও পড়ুন: মিলল পায়ের ছাপ, কুলতলির পর এবার গোসাবায় ঢুকল বাঘ?

আনন্দ মহীন্দ্রার ট্যুইট করা ওই ভিডিও-তেই ইয়াস শাহ নামে এক ব্যক্তি কমেন্ট করে জানান, ওই মহীন্দ্রা এসইউভি গাড়ির মধ্যে তিনি নিজেও ছিলেন৷ ঘটনাটি গত বছর নভেম্বর মাসে বানারঘাটা জাতীয় উদ্যানের বলেও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি৷

ট্যুইটারে ভিডিও শেয়ার করে আনন্দ মহীন্দ্রা লিখেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে এটা থেপ্পাকাড়ুর কাছে উটি- মাইসোর রাস্তার উপরের ঘটনা৷ এটি একটি জাইলো গাড়ি, তাই গাড়িটিকে বাঘ কামড়াচ্ছে দেখে আমি অবাক নই৷ মহীন্দ্রার গাড়ি যে খুবই সুস্বাদু তা নিয়ে বাঘটি আমার সঙ্গে সহমত বলেই মনে হচ্ছে৷’

Viral Video: কালারিপায়াত্তুর ভিডিও শেয়ার করে বিপাকে আনন্দ মাহিন্দ্রা, ভুল শুধরে দিল ১০-এর শিশু!

#নয়াদিল্লি: কালারিপায়াত্তু (Kalaripayattu) হল ভারতীয় মার্শাল আর্ট যেটা দক্ষিণি রাজ্য কেরালা থেকে এসেছে। এটি একটি পুরনো যুদ্ধ বিষয়ক খেলা যা কেরালা ছাড়াও তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকেও খেলা হয়। এমনকী এটি উত্তরপূর্ব শ্রীলঙ্কা এবং মালয়শিয়ার মালায়ি সম্প্রদায়ের লোকেরাও অনুশীলন করেন। সম্প্রতি ভারতীয় শিল্পপতি মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে এক শিশুকে অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে কালারিপায়াত্তুর অনুশীলন করতে দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট হতেই সেটি নজর কেড়েছে নেটিজেনের (Viral Video)।

ভিডিওটি শেয়ার করে আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখেছেন, ‘এই বাচ্চা মেয়েটির পথ আটকাবেন না! এবং কালারিপায়াত্তুকে খেলার জগতে আরও বেশি জায়গা দেওয়া উচিত। বিশ্বের নজর আকর্ষণ করতে পারে ও পারবে এটি।’ এই ভিডিও নেটপাড়ার বাসিন্দারা দারুণ পছন্দ করেছেন এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন সেখানে। এরই মধ্যে ঘটে গিয়েছে বিপত্তি। যার ভিডিও আনন্দ মাহিন্দ্রা ১০ বছরের মেয়ে বলে পোস্ট করেছিলেন, সেই নীলাকানন্দন নায়ার পাল্টা ট্যুইট করে।

আননন্দ মাহিন্দ্রার এই কাজকে সম্মান জানিয়ে, নীলাকানন্দনের পাল্টা দাবি, ‘আমি মেয়ে নই, আমি ১০ বছরের একটি ছেলে’। নীলাকানন্দন কেরালার একবীরা কালারিপায়াত্তু অ্যাকাডেমির ছাত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফ্যানপেজ রয়েছে। এবং সেখানে সে নিজেই নিয়মিত তার অনুশীলের ভিডিও পোস্ট করে থাকে।

আরও পড়ুন: রোবটের গতিকেও হার মানাবেন এই ‘ধোসাম্যান’, আনন্দ মাহিন্দ্রার ভিডিও ভাইরাল! দেখুন

আনন্দ মাহিন্দ্রার ভুল শুধরে দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছে ছোট্ট ছেলেটি। একইসঙ্গে জানিয়েছে, তার চুল বড় করার কারণ। কালারিপায়াত্তুর উপর একটি শর্ট ফিল্ম করার জন্যই চুল বড় করেছে নীলাকানন্দন। ভিডিওটি মুহূর্তে প্রায় ২ লক্ষ ভিউজ পেয়েছে।

Viral Video: রোবটের গতিকেও হার মানাবেন এই ‘ধোসাম্যান’, আনন্দ মাহিন্দ্রার ভিডিও ভাইরাল! দেখুন

#নয়াদিল্লি: বিদ্যুতের গতিতে তৈরি হচ্ছে মশালা ধোসা। খুন্তি দিয়ে পটাপট কেটে সেটি কায়দায় বসিয়ে দিচ্ছেন প্লেটে। আর সেটি একপ্রকার উড়ে গিয়ে পড়ছে ক্রেতার হাতে। এমনই অদ্ভূত ভিডিও শেয়ার করেছেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই নজর কেড়েছে নেটিজেনের। এককথায় মুহূর্তে ভাইরাল (Viral Video) হয়েছেন ‘ধোসাম্যান’।

ট্যুইটারে রাস্তার ধারের দোকানে এক ধোসা বিক্রেতার ভিডিও শেয়ার করেছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। ক্যাপশনে তাঁর কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে আনন্দ লিখেছেন, ‘এই ভদ্রলোক রোবটকেও হার মানিয়েছেন… আমি ওঁকে দেখে ক্লান্ত, এবং খিদেও পেয়েছে ভীষণ’। ২৮ সেকেন্ডের এই ভিডিও ক্লিপে গরম কড়াইয়ের উপর একের পর এক ধোসা তৈরি করে ঝড়ের গতিতে সেগুলি পরিবেশন করার ক্ষমতা দেখিয়েছেন এই বিক্রেতা। যা মুগ্ধ করেছে আনন্দ মাহিন্দ্রাকেও।

মাঝে মাঝেই দেশকে অনুপ্রেরণা দেয় এমন নানা প্রান্তের মানুষের কথা ট্যুইটারে শেয়ার করেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। এবার তেমনই এক ‘ধোসাম্যানের’ অসামান্য দক্ষতার ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। আর সেই ভিডিও স্বাভাবিক ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে ২.৪ মিলিয়ন ভিউজ পেয়েছে ভিডিওটি। অনেকেই বলছেন, এভাবে এমন সুস্বাদু ধোসা বানানো দেখে যেন খিদে পেয়ে যাচ্ছে।

মাইসোরের বিখ্যাত মুত্তু ধোসা কর্নারের মালিক এই ব্যক্তি। অসাধারণ গতির জন্যই এলাকায় দারুণ নামডাক রয়েছে এই বিক্রেতার। খদ্দেররা শুধু ধোসা খেতেই না, ধোসা তৈরি দেখতেও পৌঁছে যান এই দোকানে। আপনিও একবার চেখে দেখবেন নাকি?

‘অক্ষর শেডে’র চশমা! আনন্দ মাহিন্দ্রাকে যা বললেন খোদ স্পিনার!

#মুম্বই: দিন কয়েক ধরেই ‘অক্ষর শেডের’ চশমা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। আর এই চর্চার কেন্দ্রে রয়েছেন দেশের বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। আজকাল অক্ষর শেডের চশমা পরেই বাড়িতে খেলা দেখছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই চশমা না কি লাকি চার্ম। বিষয়টি নিয়ে এবার আনন্দ মাহিন্দ্রাকে সাধুবাদ জানালেন স্পিনায় অক্ষর পটেল (Axar Patel) স্বয়ং। নেপথ্যের গল্পটা কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক!

বল হাতে মোতেরার মাটিতে তখন মস্তানি দেখাচ্ছেন অক্ষর। ব্রিটিশরা কার্যত ধরাশায়ী। সিরিজ জিতে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দোরগোড়ায় ভারত। এমন সময়ে অক্ষরের চশমা নিয়ে মাতামাতি করতে দেখা যায় আনন্দ মাহিন্দ্রাকে। Twitter-এ শিল্পপতি জানান, স্পিনার অক্ষর পটেলের পারফরম্যান্সে রীতিমতো মুগ্ধ তিনি। বোলিং’য়ের সময়ে একটি সানগ্লাস ব্যবহার করেন এই গুজরাতি স্পিনার। আনন্দ মাহিন্দ্রা জানতে চান, কোন ব্র্যান্ডের সানগ্লাস ব্যবহার করেন অক্ষর? নিশ্চয়ই এই চশমার কোনও কেরামতি রয়েছে! এর পর থেকে শুরু হয় চশমার খোঁজ। নেটিজেনরাও নানা মজার মন্তব্য করতে শুরু করেন।

শেষমেশ ‘অক্ষর শেডের’ চশমাটি হাতে পান মাহিন্দ্রা। Twitter-এ নতুন চশমার ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সেই চশমা পরে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় T20 ম্যাচও দেখেন। অভিষেক টেস্ট সিরিজে অক্ষরের দুরন্ত বোলিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ট্যুইটে মাহিন্দ্রা লেখেন, প্রতিশ্রুতি রাখলাম। এবার অক্ষর শেডের চশমা চোখেই সেলফি তুললাম। বর্তমানে এটিই আমার গুড লাক চার্ম।

মুহর্তেই ভাইরাল হতে শুরু করে মাহিন্দ্রার ট্যুইট। ক্রিকেটপ্রেমীরাও সাধুবাদ জানিয়েছেন মাহিন্দ্রাকে। কথা রাখার জন্য সকলেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে নজর কেড়েছে অক্ষরের ট্যুইট। আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইট রিট্যুইট করে অক্ষর পটেল লেখেন, চশমাটিতে আপনাকে বেশ মানিয়েছে স্যার। এভাবে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু এই অক্ষর শেডের চশমা কোথা থেকে পাওয়া গেল? এবার এ নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়। শেষমেশ সব জল্পনার অবসান ঘটান দেশের বিজনেস টাইকুন। তিনি জানান, স্পোর্টিং টুল রেলিশ (Relish)-এর কাছ থেকে এই চশমা পেয়েছেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস এই চশমা জীবনে সাফল্য ও সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে। আপাতত এই চশমাতেই মজে দেশ।

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড বধের এই সিরিজের অন্যতম পাওনা অক্ষর পটেল। বল হাতে ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের কাছে ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই বোলার। ৩টি টেস্টে ২৭টি উইকেট নেন। একই সঙ্গে কেরিয়ারের প্রথম তিন টেস্টেই চার বার ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। আর সেই কৃতিত্বেই যেন এক আলাদা মাত্রা যোগ করল আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইট।

চড়ুইয়ের বাসা বাঁচাতে জমির একাংশে ধান কাটলেন না তামিলনাড়ুর কৃষক! প্রশংসায় পঞ্চমুখ আনন্দ মাহিন্দ্রা

#নয়াদিল্লি: মাঠে ধান কাটছিলেন তামিলনাড়ুর এক কৃষক। এমন সময় নজরে আসে চডুই পাখির এক বাসা। সচরাচর ধান গাছের ভিড়ে এই সব ছোটখাটো পাখির বাসা ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন এই কৃষক। পাখির বাচ্চাদের বাঁচাতে ওই নির্দিষ্ট অংশের ধান কাটাই বন্ধ করে দিলেন তিনি। ইতিমধ্যে ব্যাপক মাত্রায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। সাধারণ এক চাষির এরকম মানসিকতায় মুগ্ধ দেশের বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। Twitter-এ ভিডিওটি শেয়ার করার পর মাহিন্দ্রা জানান, বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্বকে এইরকম ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তামিলনাড়ুর এই চাষি একজন এনভারয়নমেন্টাল হিরো।

একজন কৃষকের এভাবে পাখির বাসা বাঁচানোর পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। নেটিজেনদের একাংশের কথায়, কৃষকরাই আমাদের দেশের আসল হিরো। শুধু একজন নয়, প্রত্যেক চাষির এই কাজ করা উচিৎ। এই ধরনের কোনও জিনিস দেখলে এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ নয় বা অবহেলায় ধ্বংস করে দেওয়া উচিৎ নয়। এভাবেই প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

মাহিন্দ্রার ট্যুইটিকে রি-ট্যুইট করে তাঁদের দাবি, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে এই ধরনের পদক্ষেপে কর্পোরেট হাউজগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে।

Times of India-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর তানজাভুরের কুম্ভকোনম এলাকার একটি গ্রামে বসবাস করেন ওই চাষি। নাম জে রঙ্গনাথন (J Ranganathan)। চল্লিশ বছর বয়সী এই মানুষটিই এখন গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। আসলে এই ভিডিও ফসল কাটার সময়ের। জমিতে ধান কাটার মেশিন নামিয়েছিলেন তিনি। ধান কেটে এক এক করে ঘরে তুলছিলেন। আর সেই সময়ে পাখির বাসাটি নজরে আসে তাঁর। তড়িঘড়ি ফসল কাটার মেশিনকে থামিয়ে দেন তিনি। আর বাসাটির কাছে গিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।

রঙ্গনাথন জানিয়েছেন, ধানের খেতে চুড়ুইয়ের বাসা দেখার পর ধান কাটার মেশিন থামিয়ে দেন। কাছে গিয়ে দেখেন, বাসার মধ্যে চড়ুই পাখির চারটি ডিম রয়েছে। চড়ুই ও তার বাচ্চাগুলিকে বাঁচাতে গিয়ে সেই অংশে আর ফসল কাটেননি তিনি। ওইটুকু জায়গায় ধান রেখে দেন। যাতে বাসাটি অক্ষত থাকে ও চড়ুইর ডিমগুলি সুরক্ষিত থাকে। এখানেই শেষ নয়। ডিমগুলি যাতে নষ্ট না হয়, সেই জন্য ৩-৪ টি ছোট ছোট লাঠি দিয়ে ধানের গাছগুলিকে একত্রে বেঁধে দেন। তাঁর বিশ্বাস, ডিম ফোটানোর জন্য যথাসময়ে বাসায় ফিরবে মা চড়ুই। তাই পাখির বাসা ও ডিমগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা একান্ত জরুরি।

সাধারণ এক চাষির প্রকৃতির প্রতি এই রকম দায়িত্ববোধ দেখে আপ্লুত সবাই। সমাজের নানা স্তরের মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সবার একটাই বক্তব্য- রঙ্গনাথনের এই ছোট্ট পদক্ষেপ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, রঙ্গনাথন প্রত্যেকের কাছে অনুপ্রেরণা!

Keywords: Anand Mahindra, Farmer, Field, Bird Nest, Nest, Tamil Nadu, J Ranganathan

Original Story Link: https://www.news18.com/news/buzz/anand-mahindra-lauds-farmer-for-leaving-part-of-field-unharvested-to-save-birds-nest-3469175.html

Written By: Sovan Chanda