আপনি কি আলফানসোয় মজে, নেটিজেনদের মতে দিশি আম শতগুণে ভালো খেতে

#কলকাতা: আমাদের দেশে শীত আসতে সময় নিলেও গরম পড়তে বেশি সময় নেয় না। গরমকাল নিয়ে মানুষের নানা অভিযোগ। প্যাচপ্যাচে ঘাম, মাথা ধরা, হাঁসফাঁস অবস্থা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু গরমকালের একটা জিনিস নিয়ে কারও আপত্তি নেই। এই সময়ে বাজার ছেয়ে যায় ফলের রাজা আমে। আর আম ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আম মিষ্টি ও রসালো ফল। তাই গরমকালের জন্য একদম আদর্শ। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন আকারের এবং বিভিন্ন স্বাদের আম পাওয়া যায়। আর সেই নিয়েই Twitter-এ জমে উঠেছে লড়াই। আর এই মিষ্টি লড়াইয়ের বিষয় হল কোন প্রদেশের কোন জাতের আম সেরা। ম্যাংগো ওয়ার হ্যাশট্যাগ দিয়ে সবাই নিজের নিজের অঞ্চলের আমকে এক নম্বরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

আমাদের দেশের আমের প্রকারভেদ দেখলে সত্যি অবাক হতে হয়। মহারাষ্ট্র যেমন বিখ্যাত তার আলফানসো আমের জন্য। উত্তরপ্রদেশের দশেরি আর পশ্চিম বঙ্গের হিমসাগরও কম জনপ্রিয় নয়। খ্যাতি আছে অন্ধ্রপ্রদেশের হাল্কা রঙের সফেদা আমেরও। এছাড়াও বাজার মাত করে চউসা, ল্যাংড়া, কেশর, তোতাপুরি, নীলম-এর মতো প্রজাতির আম।

কিন্তু নেটিজেনরা বুঝতে পারছেন না এক নম্বরে কাকে রাখা যায়। এই যুদ্ধ প্রথমে শুরু হয়েছিল আলফানসো আম দিয়ে। যশবন্ত দেশমুখ নামে এক নেটিজেন বলেন যে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গুরুত্ব পায় আলফানসো। একমাত্র ব্র্যান্ড সচেতন ব্যক্তিরাই এর স্বাদ পান।

অনেকেই এই কথা সমর্থন করেন। তবে আলফানসো-প্রেমীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁদের প্রিয় আমকে বাঁচাতে। একজন নেটিজেন মন্তব্য করেন যে যারা ওটিটি দেখেন তাঁরা রেডিও শোনার মজা কী ভাবে বুঝবেন?

বেশ কয়েকটা ভোট পায় ল্যাংড়া ও দশেরিও। কলকাতার বাসিন্দারা রীতিমতো কোমর বাঁধেন হিমসাগর আর মালদার আমের জন্য।

মুখ ভার করে আলফানসো-প্রেমীরা বলেন যে এই আম একাই একশো, তাই এই আম কোনও প্রতিযোগিতায় নাম দেবে না।

দক্ষিণ ভারতের বনগণপল্লী লবিও পিছিয়ে নেই। স্বাদে গন্ধে যে এই আম অতুলনীয়, সেই কথা বলেন কেউ কেউ।

ব্যস, আঁতে ঘা লেগে যায় দক্ষিণ গুজরাতের কেশর আমের। একজন নেটিজেন তো বুক ঠুকে বলেন যে কাদের কাদের এই আম চাই, তিনি ঝুড়ি ভর্তি করে পাঠিয়ে দেবেন।

শেষমেশ অনুরাধা শুক্লা বলে এক নেটিজেন মধুরেন সমাপয়েত করে বলেন প্রতিটি আমই খাস, তাই তাকে খাস করেই রাখা হোক!