Tag Archives: Twitter

টক জলের বদলে কোল্ড ড্রিঙ্ক দিয়ে ফুচকা ! এমন উদ্ভট ফিউশনে হতবাক নেটদুনিয়া

ইন্টারনেটে আজকাল উদ্ভট সব খাবারের বিভিন্ন রেসিপি প্রায় প্রতিদিনই পোস্ট হতে থাকে। স্বাদ তার যেমনি হোক , সোশ্যাল মিডিয়া এবং কাস্টোমারদের আকৃষ্ট করার জন্য দোকানদাররা এমনটা প্রায় করেই থাকেন। আমাদের মধ্যে এমন মানুষ খুব কমই আছেন যাদের ফুচকা প্রিয় না। শীত হোক বা গরম, বর্ষা হোক বা বসন্ত , যে কোন মরসুমে ফুচকা জিভে জল আনা দুর্দান্ত একটি খাবার। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার খুশিটাই আলাদা হয়।

কিন্তু আপনি কি কখনও টকঝাল জলের বদলে ‘থামস আপ’ দিয়ে ফুচকা খেয়েছেন ? অবাক হচ্ছেন তাই তো ? আপনার মতো এই ব্যাপারটি শুনে অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। কারণ ফুচকার জলের স্বাদটাই আলাদা। তাই ফুচকা খাওয়ার পরে ওই পাত্রে শেষে একটু ফুচকার জল না খেলে ফুচকা খাওয়াটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তেঁতুল গোলা জলে, তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমানে ঝাল, মিষ্টি, মশলার মিশ্রণ এক নিমেষে আমাদের মেজাজ তরতাজা করে তোলে।

কিন্তু সম্প্রতি একটি ভিডিওতে একজন ফুচকা বিক্রেতাকে ফুচকার জলের বদলে ‘থামস আপ’ ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ‘থামস আপ’ এ কিছু মশলা মিশিয়ে একইভাবে ফুচকা বানিয়ে কাস্টোমারদের পরিবেশন করছেন ওই বিক্রেতা। কিন্তু ইন্টারনেট এই রেসিপিতে তৃপ্ত না। মোহাম্মদ ফিউচারওয়ালা নামে একজন টুইটার ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন, ”ফুচকা প্রেমীরা, এখানে আপনাদের জন্য রয়েছে ‘থাম্পস আপ’ পানি পুরি বা ফুচকা। নিজেদের.থাম্বস ডাউন দিয়ে আপনার ভালবাসার বর্ষণ করুন।”

২৬বা সেকেন্ডের এই হট্ট ক্লিপে কলকাতায় একজন স্ট্রিট স্টলের মালিককে একটি পাত্রে থামস আপ ঢেলে , তাতে মশলা এবং লেবু মিশিয়ে তিনি তার এই বিশেষ খাবারটি কাস্টোমারদের পরিবেশন করছেন। তার এই বিশেষ এবং অদ্ভুত খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে আসা একজন মহিলা এটি খেয়ে হাসিমুখে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেন। ভিডিওটি এখানে দেখুন-

মহারাজ চাট সেন্টারের দিলীপ দা জানান তিনি এখানে বিভিন্ন ধরণের ফুচকা বানাবার জন্য বিখ্যাত। তার মধ্যে পড়ে চকলেট, আম, আনারস, স্ট্রবেরি, নারকেল জল, রাজভোগ সহ সাধারণ পুদিনা দেওয়া জল। ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার হওয়ার পর থেকে দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়ে যায়।

খাদ্যরসিকরা এই উদ্ভট ফুচকার সংমিশ্রনকে ভালো মনে গ্রহণ করেননি। অনেকেই এই ‘থামস আপ’ ফুচকার ভিডিওটি দেখার পর মজার মজার প্রতিক্রিয়া পোস্ট করেছেন। অনেকে আবার বিখ্যাত খাবারগুলিকে নিয়ে এইভাবে ফিউশন করার জন্য নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

এর আগে, আইসক্রিমের সঙ্গে পানিপুরির ফিউশন করে আইসক্রিম পানিপুরির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে একজন রাস্তার ফুচকা বিক্রেতাকে ভ্যানিলা-গন্ধযুক্ত আইসক্রিম দিয়ে ফুচকা পরিবেশন করতে দেখা গেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটাও নেটদুনিয়ায় কারও মন জয় করতে পারেনি।

‘থামস আপ’ পুচকার এই সংমিশ্রণ দেখে নেটিজেনরা মোটেও খুশি না।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ”আমি এর পরে ঘুমাতে পারব না (একাধিক কারণে!)” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “কেন পৃথিবীতে লোকেরা সেরা খাবারগুলিকে নিয়ে পরীক্ষা করছে”। তৃতীয় একজন লিখেছেন , ”এটা দেখে আমার পেটে ব্যথা হচ্ছে।”

অসুস্থ মা দরজার বাইরে খাবারের সঙ্গে পেলেন ছেলের লেখা একটি মিষ্টি চিঠি

ইন্টারনেটে মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো অনেক ভিডিও আমাদের সামনে উঠে আসে। শিশুদের বিভিন্ন ধরণের ভিডিও আমাদের হাসির কারণ হয়ে ওঠে। তাদের হাসিকান্না, গান বাজনা এবং পশুপ্রাণীদের প্রতি ভালোবাসার বহু ভিডিও শিশুদের মনের নির্মলতা, নিঃস্বার্থকতা , স্নেহশীলতা এবং যত্নশীলতাকে ফুটিয়ে তোলে।

মায়ের প্রতি শিশুদের ভালোবাসা চিরদিনের। মা যেমন প্রতি ক্ষেত্রে নিজের সন্তানের সঙ্গে কখনও ছাড়েনা, ঠিক একইভাবে মায়ের দুর্দিনে তার সন্তান সবসময় পাশে থাকে। যে কোন কঠিন মুহূর্তে সন্তানের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা একজন মায়ের কাছে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এতে দুজনের একে ওপরের প্রতি ভালোবাসা এবং সম্পর্ক আরও বেশি গভীর এবং মজবুত হয়ে ওঠে। এইরকমই একটি ঘটনা সম্প্রতি নেট দুনিয়াতে সকলের মন জয় করে নিয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে দেখা গেছে , একটি বাচ্চা ছেলে তার কোভিড আক্রান্ত মাকে খাবার দিতে গিয়ে দরজার বাইরে রেখে এসেছিল একটি ছোট্ট মিষ্টি চিঠি যা সমগ্র নেটদুনিয়াকে আবেগপ্রবণ করে তুলেছে। শিশুটির মা সেই খাবারের ছবি সহ তার ছেলের লেখা চিঠিটি টুইটারে শেয়ার করেছেন।

ইরিন রিড নামে একজন টুইটার ব্যবহারকারী দুটি ছবি সহ এই ঘটনাটি শেয়ার করেছেন এবং ক্যাপশনে লিখেছেন “আমি কোভিড-এ অসুস্থ , দেখুন আমার ছেলে আমার জন্য কী তৈরি করেছে। আমার বেডরুমের দরজার ঠিক বাইরে টেবিলে একটি খাবারের পাত্রের সঙ্গে একটি ছোট্ট মিষ্টি চিঠি রেখে দিয়েছে । “

একটি ছবিতে পালং শাকের পাতায় ভরা একটি বাটি দেখা যাচ্ছে যা গ্রেট করা পনির দিয়ে সাজানো এবং অন্য একটি ছবিতে তার ছেলের কাছ থেকে পাওয়া নোটটি শেয়ার করেছেন । “আমি তোমার জন্য এই খাবারটা তৈরি করেছি! যদি এটি নিখুঁত না হয় তবে আমি দুঃখিত। খাবারটা দেখ। ”
চিঠিটি পড়লে বোঝা যায় যে ওই শিশুটি তাদের মায়ের প্রতি কতটা যত্নশীল। মায়ের কোভিড হয়েছে দেখে সে নিজেই মায়ের জন্য খাবার বানাতে চেষ্টা করেছে এবং একটি ছোট্ট চিঠি লিখে আগে থাকতেই মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে যে যদি তার হাতে বানানো খাবারটি সুস্বাদু না হয় তাহলে যেন মা তাকে ক্ষমা করে দেয়। শিশুটির মনের সরলতা সমস্ত নেটিজেনদের মন উষ্ণ অনুভূতিতে ভরিয়ে দিয়েছে।
পোস্টটি এখানে দেখুন-


দুটি ছবিসহ পোস্টটি শেয়ার হওয়ার পর থেকে ২. ৯ মিলিয়নেরও বেশি ভিউস এবং ৮২. ৩ হাজারের মতো লাইকস অর্জন করেছে। শুধু তাই নয় , সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা শিশুটির প্রশংসায় কমেন্ট বক্স ভরিয়ে দিয়েছেন।

একজন টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন “দারুণ কাজের যুবক! তোমার মা তোমাকে নিয়ে গর্বিত।” হাততালির ইমোজির সঙ্গে অন্য একজন লিখেছেন “বাচ্চারা এতো বেশি মিষ্টি হয় যে আমি ডিল করতে পারি না,” তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন “এটি সবচেয়ে মিষ্টি জিনিস।”

একজন স্ট্রিট ভেন্ডরের জিনিস বিক্রি করার অনন্য কৌশল ইন্টারনেটে ভাইরাল

সারা বিশ্বে বিভিন্ন বড় বড় নামকরা কোম্পানিরা নিজেদের তৈরি করা প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য প্রচুর প্রচার চালায় এবং সেইমত ব্যয়ও করে থাকে। কিন্তু ছোট প্রস্তুতকারক কিংবা রাস্তার ভেন্ডররা আকর্ষণীয় গান , কথা এবং প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের তৈরি জিনিস বিক্রি করার চেষ্টা করে। তাদের দেখলে বোঝা যায় যে টাকায় শেষ কথা নয়। মানুষকে আকৃষ্ট করার যে কৌশল তারা অনুসরণ করে তা সত্যি প্রশংসনীয় এবং দৃষ্টান্তমূলক।

ভারতে এমন অনেক ছোট বিক্রেতা আছে যারা রাস্তায় তাদের জিনিস বিক্রি করে পেটের জোগাড় করে। ভুবন বদ্যাকরের জিঙ্গেল রচনা , তাদের “কাঁচা বাদাম” গানটি আজও সবার মুখে মুখে ঘোরে। গানটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার পর সমগ্র নেটদুনিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। ঠিক একইভাবে রাস্তার এক প্লাস্টিকের পাত্র বিক্রেতার পণ্য বিক্রি করার কৌশল সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। রাস্তার একজন প্লাস্টিকের পাত্র বিক্রেতা তার জিনিসের গুণমান প্রদর্শনের জন্য জিনিসটি বার বার মাটিতে ফেলে দেন এবং প্রমান করতে চেষ্টা করেন যে তার জিনিষগুলি কতটা শক্ত এবং মজবুত। ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস অফিসার দীপাংশু কাবরা ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন।

ভিডিওটির শুরুতেই একজন রাস্তার বিক্রেতাকে প্লাস্টিকের পাত্র বিক্রি করতে দেখা যায়। সে তার পণ্যের মজবুতী প্রমান করার জন্য বার বার তার প্লাস্টিকের পাত্রগুলোকে মাটিতে আছড়ে ফেলছিলেন এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছিলেন। এসব দেখিয়ে তিনি সকলকে বোঝাতে চাইছিলেন যে তার প্লাস্টিকের পাত্র সহজে ভেঙে যাওয়ার জিনিস না। তিনি বার বার প্লাস্টিকের পাত্রকে ” গামলা” বলে উল্লেখ করছিলেন। অফিসার কাবরা এই অদ্ভুত ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন “#মার্কেটিং লেভেল – আল্ট্রা প্রো ম্যাক্স,”
ভিডিওটি এখানে দেখুন-


ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার হওয়ার একদিনের মধ্যেই মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে ৯১০০০ হাজারেরও বেশি ভিউ ,১৩০২ হাজার লাইক এবং ২০০ টিরও বেশি রিটুইট সংগ্রহ করেছে। এখন থেকে বোঝা যায় কিভাবে মানুষ ওই বিক্রেতার অনন্য কৌশলে বিমোহিত হয়েছে। অনেকের কাছে এই কৌশলটি হাস্যকর বলে মনে হলেও অনেকেই তার এই প্রচেষ্টা এবং সৃজনশীলতার প্রশংসা করেছেন।

একজন হাস্যকর মন্তব্য পোস্ট করে লিখেছেন “এটা ফেভিকলের জোড় নয় তো।”
অন্য একজন যোগ করেছেন, ”সেরা লাইভ ডেমো”।
তৃতীয় ব্যক্তি লিখেছেন ”আপনার কাছে যদি একটি ভাল পণ্য থাকে তবে সেটি বিক্রি করার জন্য এটি সর্বোত্তম কৌশল, ওই বিক্রেতা কার্যকরভাবে এর ইউএসপি প্রদর্শন করেছেন।”

ওয়াইন গ্লাসে পাস্তা পরিবেশন ! রেঁস্তোরার আজব কাণ্ডকারখানায় সবাই হতবাক

আজকাল বড় বড় রেস্টুরেন্টগুলোতে কাস্টোমারদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতিতে খাবার সার্ভ করা হয়ে থাকে। খাবারের স্বাদের সঙ্গে খাবার পরিবেশন করার ধরণও একটা রেস্টুরেন্টের সুনামের জন্য খুবই জরুরি। তাই ফাইন ডাইনের মাধ্যমে হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খাবার সার্ভ করার পদ্ধতি গ্রাহকদের সেই দিকে আকর্ষণ করে।

সম্প্রতি টুইটারে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে এই ফাইন ডাইনের ছবি ফুটে উঠেছে। ভিডিওটিতে দেখানো হয় একটি রেস্টুরেন্টে ওয়াইন গ্লাসে পাস্তা সার্ভ করা হচ্ছে। পাস্তা ভর্তি ওয়াইনের গ্লাসটি একটি প্লেটের উপর উল্টো করে রাখা আছে এবং ধীরে ধীরে সেটিকে পুল মি আপ স্টাইলে সরিয়ে নিয়ে পাস্তা প্লেটে সার্ভ করা হয়। উল্টানো গ্লাসের বেসে গ্রেট করা চিজ আনা হয় ।ভিডিওটি এখানে দেখুন-

প্লেটে পাস্তা সেট হয়ে গেলে, ওয়েটার পাস্তার ওপর চিজ ঢেলে দেয়।
কিন্তু ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার পরে বহু ইউসারদের প্রতিক্রিয়া কমেন্ট বক্সে জমা হতে থাকে। বেশিরভাগ লোকে পাস্তা সার্ভ করার এই পদ্ধতিটাকে অযৌক্তিক বলে মনে করেছেন।

এই ভিডিওটি মূলত TikTok-এ শেয়ার করা হয়েছে। পূৰ্ণাই এটি টুইটারে শেয়ার করা হলে ভিডিওটি ৩৪৬ হাজার ভিউস সংগ্রহ করেছে।

অনলাইনে ১২০০০ টাকার টুথব্রাশ অর্ডার করার পর হাতে এল চাট মশলা

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই কোন কিছু কেনার জন্য অনলাইন শপিংয়ের ওপর নির্ভর করি। ছোট থেকে বড় যাবতীয় জিনিস আজকাল খুব কম সময়ের মধ্যে আমাদের দরজার গোড়ায় হাজির হয়ে যায়। একজন মহিলা একজন মহিলা অ্যামাজন থেকে দামী ইলেকট্রিক টুথব্রাশ অর্ডার করে হাতে পেলেন MDH এর চাট মশলার প্যাকেট। অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি @badassflowerbby-নামক টুইটার পেজে শেয়ার করা হয়। অনলাইন শপিংয়ে ভুল জিনিস আসার ব্যাপারটা বিরল না। কারণ মিক্সআপ এর জন্য এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে।

যিনি এই ঘটনাটি টুইটারের শেয়ার করেছেন , তার কাছ থেকে জানা গেছে যে ওই মহিলার মা অ্যামাজন থেকে ইলেকট্রিক টুথব্রাশ অর্ডার করে পে ওন ডেলিভারি অপশন বেছে নিয়েছিলেন। এই টুথব্রাশটি তিনি ডিসকাউন্টে কিনেছিলেন। কিন্তু ডেলিভারি দিতে এলে ওই বক্সটা হাতে নিয়ে তার মায়ের খানিকটা সন্দেহ হয় কারণ বক্সটা যথেষ্ট হালকা ছিল। ইলেকট্রিক টুথব্রাশ এতটা হালকা হওয়ার কথা নয়। এই কথা ভেবেই তিনি টাকা পেমেন্ট করেন নি। যাইহোক প্যাকেটটা খোলার পর তিনি দেখতে পান টুথব্রাশের বদলে সেই জায়গায় রয়েছে চার প্যাকেট MDH চাট মশলা। পোস্টটি এখানে দেখুন-

ওই টুইটার ব্যবহারকারী আরও লিখেছেন , বিক্রেতারা দামি এবং মূল্যবান জিনিসগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে ১-৩ হাজার অবধি কম করে বিক্রি করে যাতে সেই আইটেমটার প্রতি মানুষের চাহিদা বাড়ে এবং বিক্রয়ও বেশি হয়। সবসময় কোন কিছু কেনার আগে বিক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া চেক করা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে ক্রেতাকে ঠকানো কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তিনি তার পোস্টে অ্যামাজনকে ট্যাগ করেছেন। তিনি এটাও জানিয়েছেন যে কিভাবে ওই বিক্রেতা অন্যান্য ক্রেতাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন।

মহিলা এমনকি বিক্রেতা কিভাবে অন্যান্য ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে সম্পর্কে কথা বলেন. তিনি তার পোস্টে কিছু রেভিউস এবং ফিডব্যাকের একটি স্ক্রিনশট এর সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। দেখা যাচ্ছে বিক্রেতা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ধরনের কাজ করছেন এবং অনেক ক্রেতাকে এমন খারাপ ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার কথায় এটা পে ওন ডেলিভারি না হলে তার মায়ের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতো।

এই ঘটনাটি টুইটারে শেয়ার হওয়ার পর বেশ কিছু ইউসার নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একজন ব্যক্তি লিখেছেন, “২০২১ সালে আমার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছিল। আমি একটি ইলেকট্রিক টুথব্রাশ অর্ডার দিয়েছিলাম, এবং তিনি আমাকে একটি সাধারণ ব্রাশ পাঠিয়েছিলেন। আমি মনে করি এই বিক্রেতা তার নাম পরিবর্তন করেছেন।”

কিয়োটোর কাছে একটি জাপানি দ্বীপে কয়েক হাজার কাকের জমায়েত ,দেখুন রহস্যজনক এই ভিডিওটি

আমরা জানি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে পশুপাখিরা আগেই থেকে টের পায়। বিনা কারণে পাখিদের চিৎকার করা বা জমায়েত হওয়া , আচার আচরণ সবকিছুই সেই দিকেই আঙ্গুল তোলে। কিয়োটার কাছে অবস্থিত একটি জাপানি দ্বীপ হোনশুতে হাজার হাজার কাককে আকাশে উড়তে এবং রাস্তায় জমা হতে দেখা গেছে। সাধারণত এই ধরণের ঘটনা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংকেত দেয় বলে আমরা জানি। কিন্তু এর আসল কারণ এখনও পরিষ্কার নয়।

হোনশুর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ইউসাররা এই অদ্ভুত ভিডিওটি ক্যামেরাবন্দি করে বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই আশ্চর্য্যজনক ঘটনার পিছনের কারণ জানতে না পেরে অযথা ভয় পেয়ে যান। যেহেতু কোন স্থানে পশু বা পাখির বিপুল সংখ্যক জড়ো হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের সূচনার ইঙ্গিত দেয়, তাই অনেকেরই ধারণা ছিল হয়ত সেরকম কিছু ঘটতে চলেছে। কিন্তু সেই আশঙ্কা দূর হয়ে গেছে যেহেতু সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। ভিডিওটি এখানে দেখুন-


কিছুদিন আগেই এমনি একটি অদ্ভুত ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের সামনে এসেছিল যেখানে দেখা গেছে একটি খামারে বেশ কিছু সংখ্যক ভেড়া বৃত্তাকার প্রদক্ষিণ করছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে চীনা রাষ্ট্র-চালিত আউটলেট পিপলস ডেইলি দ্বারা পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এই ঘটনাটি সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু এর পিছনের কারণ আজও অজানা।

এমন ধরণের বিভিন্ন রহস্যজনক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হয়ে থাকে ,যদিও এর পিছনের রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।

রং ও তুলির অভাবনীয় সংমিশ্রনে অদৃশ্য হল বক্স ! দেখুন 3D আর্টের ম্যাজিক

আজকাল 3D আর্ট ক্রিয়েশন খুবই ট্রেন্ডি। বাড়ির দেওয়াল , মেঝে, রাস্তাঘাটে 3D আর্ট প্রায় আমাদের বিভ্রান্ত করে তোলে। সাধারণ রং এবং তুলির ছোঁয়ায় দক্ষ 3D শিল্পীরা এমন নিদর্শন তুলে ধরে যা চারপাশের সঙ্গে মিশে নিমেষে অদৃশ্য হয়ে যায়। এমন কখনও হয়েছে কি যে রাস্তায় পরে থাকা কোন জিনিষকে দেখে আপনি আতঙ্কে সড়ে এসেছেন কিংবা বাড়ির দেয়ালে কোন বড় গর্তকে দেখে আপনি পিছনে চলে গেছেন ? যদি হয়ে থাকে তবে জেনে রাখুন সেটা সম্পূর্ণরূপে 3D আর্টের ম্যাজিক। 3D আর্টের শিল্পীরা এইসব কাজে এত বেশি দক্ষ হয় যে তাদের হাতে আঁকা ছবি চারপাশের জিনিসের সঙ্গে অপূর্বভাবে মিশে যায়।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন 3D আর্টের শিল্পী একটি বাড়ির দেয়ালের নিচে ঘাসের ওপরে একটি পাল্লাযুক্ত বক্স রেখেছেন। তারপর শুধুমাত্র তুলি এবং রঙের অপরূপ সংমিশ্রনে তিনি সেই বক্সটিকে নিমেষে অদৃশ্য করে দিলেন। ওই শিল্পীর দক্ষতা এতটাই নিপুন যে বক্সটিকে দেখে আপনি বলতে পারবেন না সেটা বক্স না ঘাসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি দেওয়াল। কারণ তিনি বক্সটিকে দেওয়াল এবং ঘাসের অনুকরণে এমনভাবে রং করেছেন যে কোন মানুষের পক্ষে সেটা বোঝা খুব দুর্গম। ভিডিওটির শেষে তিনি বক্সের দরজাটি খুলে দেখালেন, আশ্চর্য্যের ব্যাপার বক্সের পাল্লা বন্ধ হলে বোঝার উপায় নেই যে ওটা দেওয়াল না একটা সাধারণ বক্স। ভিডিওটি এখানে দেখুন-


টুইটারের @HowThingsWork_পেজে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে এবং ক্যাপশনে লেখা হয়েছে “খুব চতুর আর্টওয়ার্ক, ব্যাকগ্রাউন্ড ম্যাচিং স্পট অন !” ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার পর থেকে ২.৭ মিলিয়ন ভিউস এবং ৩৫.৬ হাজার লাইকস অর্জন করেছে।

তুরস্কে ভূমিকম্পের ১২৮ ঘন্টা পরে উদ্ধার ২ মাস বয়সি শিশু

তুরস্কের ভূমিকম্প বেশ কয়েকটি শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। আপন হারাবার আর্তনাদ সারা দুনিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। ইঁট , পাথর ,কংক্রিট চাপা ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবন্ত প্রাণকে খুঁজে পাওয়ার আশা যখন ধীরে ধীরে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে ,সেই মুহূর্তে ভূমিকম্পের ১২৮ ঘন্টা পর তুরস্কের আন্তাকিয়ায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে ধুলোবালি মাখা একটি ২ মাসের শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়াও একটি দুই বছরের মেয়ে, একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং চার বছরের একটি শিশু ও তার বাবাকে জীবিত উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি নতুন করে সেখানকার মানুষের মনে আশার সঞ্চয় করেছিল। শিশুটির ধুলোময়লা মাখা সেই বিধস্ত মুখটির চেহারা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা হলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ কমেন্ট বক্সে জমা হয়েছিল। ওই পোস্টের ঠিক একদিন পরে আরেকটি ভিডিও শেয়ার করা হয় যেখানে দেখানো শিশুটি স্নান করে খেয়ে দিয়ে এখন খুব খুশি। তার মুখভরা হাসি সমস্ত নেটিজেনদের মন কেড়ে নিয়েছে। ভিডিওটি এখানে দেখুন-

এই সুন্দর শিশুটির ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে মাইক নামে একজন ব্যক্তি ক্যাপশনে লিখেছেন “এই হল আমাদের আজকের হিরো ! এই ছোটটি শিশুটিকে ভূমিকম্পের ১২৮ ঘন্টা পরে উদ্ধার করা হয়েছিল। এখন সে স্নান সেরে পরিষ্কার হয়েছে এবং সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজনের পরে তাকে খুব সন্তুষ্ট দেখাচ্ছে। ” টুইটারে এই ক্লিপটি শেয়ার হওয়ার পর থেকে এখনও অবধি ৩.৮ মিলিয়ন ভিউস এবং ৪৩.৯ হাজার মতো লাইকস অর্জন করেছে।

অপর একজন ইউসার লিখেছেন “আল্লাহ মঙ্গল করুক । কিছু আশা জাগানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় এমন ট্র্যাজেডি সত্যিই ভীষণ ভয়ঙ্কর।”

শত শত কুমিরে ঘেরা সরু জলপথ দিয়ে এগিয়ে চললো নৌকা , দেখুন এই ভয়ঙ্কর ভিডিওটি

আমরা নিজেদের প্রয়োজনে এক স্থান থেকে আর এক স্থানে যেতে আমাদের পরিবহন ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে থাকি। তবে আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা অনুযায়ী আমরা সেগুলো ব্যবহার করে থাকি। আমরা কোথাও যাওয়ার জন্য ট্রেন, বাস, জাহাজ, বিমান কিংবা নৌকার মধ্যে কোন পরিবহন ব্যবাস্থাকে বেছে নেব সেটা ওই জায়গার টপোগ্রাফি, জিওগ্রাফিকাল ম্যাপের এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতার ওপরও খানিকটা নির্ভর করে।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে একটি ছোট নৌকা নাম না জানা একটি নদীর ছোট সরু কাদামাখা পথ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আশ্চর্য্যের ব্যাপার ওই জলে চারদিকে শত শত বড় মাপের কুমির ভিড় জমিয়ে আছে । ভিডিওটি এখানে দেখুন-


কুমির সবচেয়ে ভয়ংকর এবং বিশাল আকারের সরীসৃপ। এরা খুবই চতুর শিকারী , বেশিরভাগ সময় জলের নিচে লুকিয়ে থাকে এবং সুযোগ বুঝে শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণ করে। তবে জলের নিচে লুকিয়ে থাকলে তাদের সনাক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে একটি নৌকা শত শত কুমিরে ঘেরা একটি কাদামাখা জলাভূমির ছোট সরু পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। যতই এগোচ্ছে, চারিদিকে শুধু বৃহৎ আকারের কুমিরের ভিড়। আপনি নিশ্চয় একবার ভাববেন যে যদি নৌকাটি কোন কারণে উল্টে যায় তাহলে ফল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। ভাবলেই গায়ে শিহরণ দিয়ে ওঠে।

নৌকাটির ওই বিপদজনক পথ দিয়ে যাওয়ার পিছনে কি কারণ ছিল তা জানা না গেলেও এটা বলা যেতে যে খুব প্রয়োজন না হলে এমন সাহস না দেখানোয় ভালো। এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সত্যি লোহার মতো মজবুত শরীর এবং হৃদয় থাকা দরকার। যারা ওই নৌকায় ছিলেন তার সাহসের প্রশংসা করতে হয়।

ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার পর থেকে ১৭.৪ মিলিয়ন ভিউস এবং ১৪৮.৯ হাজারেরও বেশি লাইকস পেয়েছে।

১৪ টি কুকুরের দীর্ঘতম লাইন জিতে নিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খেতাব

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পোষ্যদের অনেক নতুন নতুন আমাদের সামনে উঠে আসে। সারাদিনের কাজের পর নিজেকে স্ট্রেস ফ্রি করতে এবং মনকে শান্তি দিতে পোষ্যদের ভিডিও খুব বড় অবদান রাখে। তাছাড়া যদি কেউ ডগ লাভার হয়ে থাকেন তাহলে এই ভিডিওগুলো আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি শ্রেয়। কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন জার্মান ব্যক্তি কুকুরদের একটি কঙ্গা লাইন তৈরি করার জন্য এবং সেই লাইনে একসঙ্গে হাঁটতে শেখানোর জন্য তার ১৪ টি কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ভিডিওটি এখানে দেখুন-


তার এই প্রস্তুতি মূলত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করার জন্যই ছিল। জার্মানির স্টকেনব্রোকের উলফগ্যাং লয়েনবার্গার তার কুকুর – এমা, ফিলো, ফিন, সাইমন, সুসি, মায়া, উলফ, স্পেক, বিবি, কেটি, জেনিফার, এলভিস, চার্লি এবং ক্যাথি -কে কঙ্গা করতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড জিতেছেন। আশ্চর্য্যের ব্যাপার কুকুরগুলো ওই ব্যক্তির প্রতিটি কথা মেনে একে ওপরের পিছনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার হওয়ার পর এখনও অবধি ১১.৫ হাজার ভিউস অর্জন করেছে।

উলফগ্যাং এবং তার মেয়ে আলেক্সা তাদের কুকুরদের নিয়ে অনেক রেকর্ড অর্জন করেছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলেছে “আলেক্সা ২০২২ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি এই শিরোপাটি অর্জন করেছিল। “