দেশ সার্বিয়ার জন্য টোকিও থেকে সোনা নিয়ে ফিরতে চান জোকোভিচ

#টোকিও: সোনা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই তিনি যে টোকিওতে নামবেন সেটা আবার পরিষ্কার করে দিলেন নোভাক জোকোভিচ। ব্যক্তিগত ক্যাবিনেটে সবকটা ট্রফি আছে। নেই খালি অলিম্পিক পদক। কিন্তু অলিম্পিকস মানে দেশের হয়ে লড়াই। সেই লড়াইয়ে সার্বিয়ার হয় সোনা জিততে চান জোকার। জানিয়ে দিলেন দেশের জার্সি গায়ে খেলার সময় আলাদা মোটিভেশন পান।

গ্যালারিতে দর্শক না থাকলেও মোটিভেশন জোগাড় করতে অসুবিধা হবে না। তিনি এখন স্বপ্নের সওদাগর। যাতে হাত দিচ্ছেন, তাতেই সোনা ফলছে। যেন জাদু মন্ত্রে দীক্ষিত। বছরটা এমনিতেই জকোভিচের জন্য পয়া। এ পর্যন্ত বছরে যে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম, সব কটি জিতেছেন জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন জেতা জকোভিচের লক্ষ্য এবার অলিম্পিকে সোনা জয়।

একদিক থেকে বিবেচনা করলে ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে যেকোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের চেয়ে অলিম্পিকে সোনা জেতাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ জকোভিচের কাছে। কারণ, জকোভিচের অর্জনের খাতায় এই একটা জিনিসই নেই। কিছুদিন আগে রাফায়েল নাদাল টোকিও অলিম্পিক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। উইম্বলডনের পর একই সিদ্ধান্ত নেন রজার ফেডেরার।

শোনা যাচ্ছিল, পুরুষ টেনিসে ‘ত্রিমূর্তি’র আরেকজন নোভাক জকোভিচও নাকি অলিম্পিকে খেলা নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। এতে ২৩ জুলাই জাপানের টোকিওতে শুরু হতে যাওয়া অলিম্পিকের টেনিস ইভেন্ট আলো হারানোর পথে ছিল। কিন্তু জকোভিচ সেটা হতে দিচ্ছেন না। অলিম্পিকে তিনি খেলবেন।

জকোভিচের এই বিজয়রথ তাঁকে এনে দিতে পারে ক্যালেন্ডার গোল্ডেন স্ল্যামের শিরোপা। চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং অলিম্পিক্সে সোনার পদক একই বছরে জিতলে পাওয়া যায় এই শিরোপা। ১৯৮৮ সালে স্টেফি গ্রাফ এই অমূল্য কীর্তি গড়েছিলেন। ছেলেদের টেনিস বিশ্বে এখনও অবধি কেউই এই দুর্লভ রেকর্ড গড়তে পারেননি। কিন্তু টোকিওতে যখন সার্বিয়ান তারকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন চ্যাম্পিয়ন না হয়ে ফেরার বান্দা নন তিনি।