Category Archives: অন্যান্য খেলা

Weightlifter: অভাবকে সঙ্গে নিয়েই স্বপ্ন বুনছেন যুবক

পশ্চিম মেদিনীপুর: অভাব কোনওদিন বন্ধ করতে পারেনি স্বপ্ন দেখাকে। যে পরিমাণ ওজন তিনি দু’হাতে তুলতে পারেন তার থেকেও বেশি তিনি স্বপ্ন বুনতে পারেন। সংসারে অভাব। স্ত্রী, বাচ্চা, সংসার নিয়ে সারাদিন বেশ কষ্টই কাটে তাঁর। কাঠ দিয়ে যেমন মনের মত সুন্দর সুন্দর ফার্নিচার গড়ে তুলতে পারেন তেমনই স্বপ্নকেও তিনি এক একটি দিন গড়ে তুলছেন নিজের মত করে।

পেশাগতভাবে তিনি কাঠের কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন বড় ওয়েট লিফটার বা ভারোত্তোলক হওয়া। ওয়েট লিফটিং করে দেশকে পৌঁছে দেওয়া দশের কাছে। কিন্তু বাধা সামর্থ্য। তবে অদম্য তাঁর মনের জোর। সমাজই তাঁর অনুপ্রেরণা। মানুষের ভালোবাসা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাকে।

আর‌ও পড়ুন: হজে যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে এই নিয়ম

পশ্চিম মেদিনীপুরের এমনই এক কৃতি সন্তান কার্তিক ভূঁইয়া। তিনি খেলেছেন জেলা এবং রাজ্যের একাধিক টুর্নামেন্ট। ঝুলিতে রয়েছে পুরস্কারও। কিন্তু সেই পুরস্কার-সম্মান তো আর সংসার চালাবে না! সংসার চালাতে কাঠের কাজের দিন মজুরি করেন। ছোট থেকেই তাঁর নেশা ওয়েট লিফটিং করা। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ধরেছেন সংসারের হাল। ২০০০ সাল থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার তাগিদেই শুরু ওয়েট লিফটিং।সেই মতনিজেকে এক এক করে তুলে ধরেছেন। সকাল থেকে রাত এক করে স্বপ্ন দেখে যাচ্ছেন তিনি।

রঞ্জন চন্দ

Bodybuilder: বডি বিল্ডিংয়ে বাকি ভারতকে মাত মালদহের! বিরাট সাফল্য বাংলার জেলার

মালদহ: ওভার অল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়লে মালদহের রানা হোসেন। বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় এর আগেও একাধিক সাফল্য পেয়েছেন এই যুবক। এবার ঝাড়খণ্ডে আয়োজিত জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ৭০ কেজি বিভাগে রুপো জিতেছেন তিনি। পাশাপাশি ফিজিক্স বিভাগে ওভার অল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রানা হোসেন।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যারা সোনা জিতে থাকে তাদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবার সেই প্রতিযোগিতায় দেশের সব বডি বিল্ডারদের পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হলেন মালদহের রানা। ওভার অল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে তিনি। এই সাফল্য প্রসঙ্গে রানা হোসেন বলেন, আড়াইশো জন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সোনা জয়ীদের নিয়ে অল ওভার চ্যাম্পিয়নশিপ হয়। সেখানে সফল হওয়াতেই এসেছে সোনার মেডেল। তবে আর্থিক সমস্যায় কীভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন রানা।

আর‌ও পড়ুন: রামনবমীর আগে ব্যাপক কেনাকাটা, শিলিগুড়িতে গেরুয়া পণ্যের চাহিদা তুঙ্গে

জেলার ছেলের এমন সাফল্যে খুশি মালদহবাসী শহরের কোঠাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রানা হোসেন। বাবা পেশায় সবজি বিক্রেতা। নিজে মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের কাজ করেন। ছোটবেলা থেকেই বডি বিল্ডিং শেখার ইচ্ছে। প্রথমে ক্যারাটে তারপর বডি বিল্ডিং শুরু করেন। গত চার বছরে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন বডি বিল্ডিংয়ে। সকলেই চাইছেন সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে এসে রানাকে সহযোগিতা করুক। তাহলে বিশ্বের দরবারেও জেলার মুখ উজ্জ্বল করতে পারবেন তিনি।

হরষিত সিংহ

Local Sports: জিমনাস্টিকে পরপর দুই বছর দেশের মধ্যে দ্বিতীয় নদিয়ার মেয়ে

নদিয়া: জিমন্যাস্টিকে তাক লাগানো সাফল্য এই বাংলার মেয়ের। পরপর দু’বছর দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হলেন নদিয়ার দিয়া। অনূর্ধ্ব-১২ জাতীয় জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতায় এই চমকে দেওয়া সাফল্য অর্জন করেছে বাংলার মেয়ে। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের খিলগাঁও-এ জাতীয় সাব-জুনিয়র ২০২৪ আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে এবারেও দ্বিতীয় হয়েছে নদিয়ার দিয়া হালদার।

নদিয়ার শিমুরালি সংস্কৃতি সংঘে জিমন্যাস্টিক্স প্র্যাকটিস করে দিয়া হালদার। তার এই সাফল্য বাংলার মানুষের কাছে গর্বের। এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় অলরাউন্ড বিভাগে দিয়ার সংগ্রহীত পয়েন্ট ছিল ৪৬.৫০। প্রথম স্থানাধিকারীর থেকে মাত্র ০.৩৫ পয়েন্ট কম। এছাড়াও সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে আন-ইভেন বারে তৃতীয় হয়েছে, ব্যালান্সিং বিমে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। এদিকে এই প্রতিযোগিতায় টিম ইভেন্টে প্রথম হয়েছে বাংলা। ফলে একটি স্বর্ণপদকও পেয়েছে দিয়া।

আর‌ও পড়ুন: হলুদ চাষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ান

এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় নদিয়ার এই কৃতি কিশোরী একটি সোনা, দুটি রুপো একটি ব্রোঞ্জ জিতেছে। মোট চারটি পদক পেয়েছে সে। এই সাফল্যের মধ্যেই আছে ক্ষোভের সুর। রাজ্য জিমনাস্টিকস প্রতিযোগিতায় অনেকেই দিয়াকে যোগ্য প্লেয়ারের সম্মান দেয়নি বলে ক্ষোভ তার কোচ ও পরিবারের।

মৈনাক দেবনাথ

International Chess Tournament: তমলুকে আন্তর্জাতিক দাবার আসর

পূর্ব মেদিনীপুর: দাবা খেলা বাড়ায় শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা। তাই তমলুকে বসল আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতার আসর। দাবা খেলার মাধ্যমে ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা প্রকাশ পায়। কারণ ক্ষুরধার মস্তিষ্ক এবং ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় দাবা খেলায়।

আর‌ও পড়ুন: লরির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা, বেঘোরে প্রাণ গেল কৃষকের

একসময় গ্রাম বাংলার বাড়িতে বাড়িতে দাবার আসর বসত। কিন্তু বর্তমানে সেই রেওয়াজ প্রায় দেখাই যায় না। আর তাই বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে দাবা খেলার প্রসার ঘটাতে তমলুকে এই আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কুলবেড়িয়া ভীমদেব আদর্শ বিদ্যাপীঠে এই প্রতিযোগিতার আসর বসেছে। ৫ দিন ধরে চলবে এই প্রতিযোগিতা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অল ইন্ডিয়া রেটিং টুর্নামেন্ট ঘিরে দাবারুদের মধ্যে ভালই সাড়া পড়েছে। রবিবার পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট। অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশন অনুমোদিত এই টুর্নামেন্টটি পরিচালনা করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দাবা সংস্থা। এই ধরনের টুর্নামেন্ট পশ্চিমবঙ্গ তথা জেলায় প্রথম। এই প্রতিযোগিতায় বাংলার পাশাপাশি ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্য থেকে মোট ৩৫০ জন প্রতিযোগী এসে অংশগ্রহণ করেছে। এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তাম্রলিপ্তের পুরপ্রধান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব সমরেশ বেরা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দাবা সংস্থার সভাপতি পিনাকী রঞ্জন ঘোষ।

সৈকত শী

Local Sports: কর্ফ বলে আশার আলো দেখাচ্ছে হাওড়ার দুই সন্তান

হাওড়া: কর্ফ বলে আশার আলো। ক্রিকেট বা ফুটবলের মত জনপ্রিয় খেলা নয়, এই নতুন খেলাতেই এবার বাজিমাতের আশা। সাঁকরাইল ব্লকের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ঘিরে এই আশার জায়গা তৈরি হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: কামারপুকুর নয়, শ্রীরামকৃষ্ণের বাবার পৈত্রিক ভিটে অন্য গ্রামে! পা রাখুন সেই পুণ্যভূমিতে

জাতীয় স্তরের কর্ফ বল প্রতিযোগিতায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে হাওড়ার সুরজিৎ ও সুমিত। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৭ দলে সুযোগ পেয়েছে তারা। গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া পরিবার থেকে তাদের উঠে আসা। আগ্রায় সদ্য সমাপ্ত কর্ফ বল সিনিয়র ও সাব-জুনিয়র ন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে সুরজিৎ ও সুমিত। তারা নলপুর স্পোর্টস অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই শিবির থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সুযোগ পাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা। যার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের আশার আলো দেখছেন গ্রামের মানুষ। এই প্রসঙ্গে অনিমেষ নস্কর জানান, প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েদের মধ্যে রয়েছে বহু প্রতিভা। রঘুদেববাটি, চক শ্রীকৃষ্ণ, কন্যামণি, নলপুর, বেটিয়ারি, মনোহরপুর, উলা, দাদপুর, সারেঙ্গা সহ বিভিন্ন গ্রামের ছেলে ও মেয়েরা খেলাধুলোয় প্রশিক্ষিত হচ্ছে। এরাই বাংলার আগামী দিনের ক্রীড়া জগতের ভবিষ্যৎ।

রাকেশ মাইতি

Local Sports: জুডোয় সোনা জিতল পূর্ব বর্ধমানের সাত্ত্বিক

পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চাশতম ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতল স্কুল পড়ুয়া সাত্ত্বিক দে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের বাসিন্দা সে। ছোটো থেকেই বাবার কাছে ক্যারেট অনুশীলন করে। এর আগেও একাধিক প্রতিযোগিতা থেকে সাফল্য এসেছে। এবার কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছে।

আর‌ও পড়ুন: অন্তরালে শিল্পী! ৮৭ বছরেও লিখে চলেছেন একের পর এক নাটক

মার্চের ১৯ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্টিত হয়। যেখানে ৫৫ কেজি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে কাটোয়ার সাত্ত্বিক। সেখানে মোট ১৯ টি জেলা অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলার প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল। উক্ত প্রতিযোগিতায় মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ১১৮০ জন। যাদের মধ্যে ৫৫ কেজি ইভেন্টে সোনা পায় কাটোয়ার সাত্ত্বিক দে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আট-নয় বছর ধরে ক্যারাটে শিখছে সাত্ত্বিক। আন্তর্জাতিক স্তরে জোড়া স্বর্ণপদক জয়ী সাত্বিক জানিয়েছে সর্বপ্রথম বাবার হাত ধরেই সে এই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু করে। সাত্ত্বিকের বাবা নিজেও একজন ক্যারাটে প্রশিক্ষক এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। ছেলের এই সাফল্যের আনন্দে আত্মহারা সাত্ত্বিকের বাবা তরকচন্দ্র দে জানিয়েছেন, আমি চাইব আমি যেমন আমার ছেলেকে শিখিয়েছি, সেও যেন বড় হয়ে অন্যদের ভাল করে এই প্রশিক্ষণ দিতে পারে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Local Sports: সিভিক ভলেন্টিয়ারের দারুণ কীর্তি! হাত ধরে ১০ পদক এল বাংলায়

মালদহ: সিভিক ভলেন্টিয়ারের দুর্দান্ত কীর্তি। তাইকোন্ড প্রশিক্ষণ দিয়ে রাজ্যকে এনে দিলেন বিরাট সাফল্য। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে জাতীয় তাইকোন্ড প্রতিযোগিতায় পদক জিতল মালদহের ১০ খুদে খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে ছয় জন সোনা, তিনজন রুপো ও একজন ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে।

আরও পড়ুন: ভেটকি-ইলিশকে দামে টেক্কা দিচ্ছে কই! বাড়ির চৌবাচ্চায় চাষ করে মালামাল হয়ে যান

পদক প্রাপকদের মধ্যে কেউ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া আবার কেউ দশম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার অমিত কুমার ঘোষ। ইংরেজবাজার থানায় কর্তব্যরত তিনি। কাজের ফাঁকে নিয়মিত সকালে এলাকার খুদেদের প্রশিক্ষণ দেন। কোচ অমিত কুমার ঘোষ বলেন, ডিউটির ফাঁকে যেটুকু সময় পাই এলাকার খুদেদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিয়ে তাইকোন্ড শেখাই। জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় আমার ক্যাম্প থেকে ১০ জন অংশগ্রহণ করেছিল। প্রত্যেকেই সাফল্য পেয়েছে, পদক জিতেছে। আগামীতে আরও ভাল ফলাফল কামনা করছি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গত ১৬ ও ১৭ মার্চ দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় স্তরের তাইকোন্ড প্রতিযোগিতা। ওপেন ন্যাশনাল তাইকোন্ড চ্যাম্পিয়নশিপে মালদহের মাধবনগর তাইকোন্ড ইনস্টিটিউটের খেলোয়াড়েরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মালদহের খেলোয়াড়েরা অংশগ্রহণ করে মোট ১০ টি পদক জিতেছে। তাদের মধ্যে সোনা জিতেছে সুইটি সাহা, সোনাশ্রী মণ্ডল, অদৈত পাল, ঋদ্ধিমা দাস, সোনাক্ষি মণ্ডল ও ঋত্বিকা মণ্ডল। রুপো পেয়েছেন রনি দাস, চিন্ময়ী পাল ও রীমিতা পাল। ব্রোঞ্জ জিতেছে সৃষ্টি মহন্ত। সিভিক ভলেন্টিয়ার কোচের এই সাফল্য বেশ সাড়া ফেলেছে জেলায়।

হরষিত সিংহ

Local Sports: দেউলা স্টেশনে গলায় মালা পরে হাঁটছে কারা! দেখতে ভিড় স্থানীয়দের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চারিদিকে চলছে ভোটপ্রচার। নেতারা গলায় মালা পড়ে বের হয়ে পড়ছেন প্রচারে। ঠিক এমন সময় দেউলা স্টেশনে গলায় মালা পড়ে হাঁটছে দুই যুবক। তা দেখে উৎসাহী জনগন ভিড় জমিয়েছিলেন সেখানে।

আরও পড়ুন: মানব জীবনের প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীরাই তৈরি করছে নতুন নতুন যন্ত্র

এরপর জানা যায় আসল ঘটনাটি। নেপালে আয়োজিত হওয়া ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে ছাত্র ও শিক্ষক একসঙ্গে জয়ী হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। জাতীয় স্তরে ভাল ফলাফলের জন্য অনেক আশা নিয়ে অসাধ্য সাধন করে জেলা থেকে রাজ্য, রাজ্য থেকে দেশ, অবশেষে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল তাঁরা। গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক ওপেন ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এস.এম ওয়াসিম ইকবাল ও তাঁর ছাত্র তৌফিক ইসলাম সিপাই নেপালে গিয়েছিল।‌ সেখানে আফগানিস্তানকে হারান তাঁরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ঘোলা নোয়াপাড়ার বাসিন্দা এস.এম ওয়াসিম ইকবাল ও কারবালার বাসিন্দা তৌফিক ইসলাম সিপাই দুজনেই ক্যারাটে নিয়ে সর্বদা চর্চা করেন।
এদিকে নেপাল থেকে ফেরার পর লোকাল ট্রেনে দেউলা স্টেশনে নামতেই তাঁদের পুষ্পস্তবক ও মালা দিয়ে বরণ করে স্থানীয়রা। এই জয়ের পর আগামীদিনে অলিম্পিক সহ একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য কঠোর অনুশীলন করতে চান বিজয়ীরা। এখন দেখার ভবিষ্যতে কী হয়‌।

নবাব মল্লিক

Local Sports: রাজ্য ক্রীড়ায় বিরাট চমক, স্বর্ণপদক পঞ্চম শ্রেণির পৃত্যুষ-এর

পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যস্তরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বড় সাফল্য পেল পূর্ব বর্ধমান জেলার এক খুদে পড়ুয়া। বহরমপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল ৩৯ তম রাজ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সেখানেই স্বর্ণপদক পেয়েছে পৃত্যুষ দে সরকার।পূর্বস্থলী-১ ব্লকের জাহাননগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাগনপুর জিএসএফপি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে।

আরও পড়ুন: এবার বসিরহাটেও রাম মন্দির! ঘরের কাছেই ঈশ্বর দর্শন

রাজ্যস্তরের রাজ্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জিমন্যাস্টিক্সের গ- বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছে পৃত্যুষ। গত ৯ ও ১০ মার্চ বহরমপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। সেখানে ২৩ টি জেলার প্রতিযোগীদের হারিয়ে সে এই সাফল্য লাভ করে। এই প্রসঙ্গে পৃত্যুষ-এর জিমন্যাস্টিকের শিক্ষক বলেন, ঠিক পথে চললে ও আর‌ও অনেক দূর যাবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পৃত্যুষ প্রায় বছর তিনেক ধরে জিমন্যাস্টিক্স শিখছে। গত বছরে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। এবার আরও উন্নতি করে প্রথম হল। এই বছর পৃত্যুষ প্রচুর পরিশ্রম করেছে। অঞ্চল থেকে শুরু করে ব্লক, জেলা প্রত্যেক জায়গাতেই প্রথম স্থান অর্জন করে সে। পরবর্তীতে সুযোগ পায় রাজ্য স্তরে খেলার। সেখানে সবাইকে হারিয়ে হল সেরা। এই সাফল্যের জেরে বর্তমানে খুশির হাওয়া বইছে পৃত্যুষ-এর বিদ্যালয় সহ পরিবার জুড়ে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Sports News: ক্যারাটেতে জোড়া সাফল্য সাত্ত্বিকের, উজ্জ্বল করল বাংলার মুখ

পূর্ব বর্ধমান: জাতীয় স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করল পূর্ব বর্ধমান জেলার সাত্ত্বিক দে। হুগলিতে আয়োজিত হয়েছিল জাতীয় স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৪০০ প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করে। সেখানেই জোড়া সাফল্য এই ক্ষুদে পড়ুয়ার।

আরও পড়ুন: ‘চক চকে মানেই খাঁটি নয়’, আজকের প্রজন্মকে বোঝাবে কে? স্বাদ বদলে বিপন্ন ডোকরা শিল্প

হুগলির সরবপল্লি স্পোর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল ক্লাবে ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আসর বসে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান সহ মোট ১২ টি রাজ্যের প্রতিযোগী এই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। এখানেই পূর্ব বর্ধমানের সাত্ত্বিক দে কাতা এবং কুমিতে প্রথম স্থান অর্জন করে।

সাত্ত্বিক কাটোয়ার ভারতী ভবন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ আছে। এর আগেও দেশ তথা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছিল সে। এই বিশেষ সাফল্য প্রসঙ্গে সাত্ত্বিক জানায়, সে ছোট থেকেই খেলাধুলো করতে ভালবাসে। বিশেষ করে ক্যারাটের প্রতি তার বিশেষ পারদর্শিতা আছে। এই বিষয়ে সাত্ত্বিকের বাবা তারকচন্দ্র দে বলেন, সাত্ত্বিক বরাবরই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করে আসছে। এর আগেও পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের নাম উজ্জ্বল করে এসেছে। আমি চাইব এরপরে আরও বড় জায়গায় খেলুক। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বুডোকায় কান ক্যারাটে ডু অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সাত্ত্বিক এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও ট্রেনারের কাছে ক্যারাটে শেখেনি। বা তারকচন্দ্র দে’ই তার ট্রেনার। আগামী দিনে সাত্ত্বিক আরও সাফল্য পাক এটাই চাওয়া তার স্কুল থেকে শুরু করে জেলাবাসী সকলের।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী