মিলান: ফ্রান্স বনাম স্পেন। দু’বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন বনাম একবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। স্পেন তিনটে ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন, অন্যদিকে ফ্রান্স ইউরোপ সেরা হয়েছে দুবার। লাল বনাম নীল জার্সির লড়াই। লে ব্লু বনাম লা রোখা। তারুণ্য বনাম অভিজ্ঞতা। রবিবার উয়েফা নেশনস লিগ ফাইনালে স্পেন বনাম ফ্রান্স ম্যাচে এটাই রিংটোন। একঝাঁক তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর কোনও আন্তর্জাতিক খেতাব জয়ের সুযোগ রয়েছে স্প্যানিশ আর্মাডার সামনে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইউরো কাপে শেষ সাফল্যের মুখ দেখেছিল তারা। সেই দলের একমাত্র সদস্য হিসেবে রবিবার মাঠে নামবেন সের্গিও বুস্কেতস। বাকিদের ঝুলিতে খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। তবে সদ্য ইউরো জয়ী ইতালিকে সেমি-ফাইনালে হারানোর পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কোচ লুইস এনরিকে। পক্ষান্তরে, ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের সাফল্য ধরে রেখেই রবিবার উয়েফা নেশনস লিগ ঘরে তুলতে মরিয়া দিদিয়ের দেশঁর দল।
টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালের আগে খুব একটা ছন্দে ছিল না ফ্রান্স। গত ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ের মুখ দেখেছিল দেশঁ-ব্রিগেড। গত ম্যাচে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দু’গোল হজম করেন গ্রিজম্যান-এমবাপেরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত কামব্যাক তাঁদের ফাইনালে তোলে। ফাইনালে স্পেনের পাসিং ফুটবল রুখতে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে পোগবাদের।
দেশঁর কথায়, ‘গত কয়েক মাস দল আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। তবে এই টুর্নামেন্টে ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম।’ অতীতে দু’দলের সাক্ষাতে ফ্রান্সকে টেক্কা দিয়েছে স্পেন। ৩৫ বারের সাক্ষাতে ১৬ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্প্যানিশ আর্মাডা। পক্ষান্তরে, ১২ বার শেষ হাসি হেসেছে ফ্রান্স। তবে নেশনস লিগের ফাইনালের আগে এই পরিসংখ্যানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্পেন কোচ লুইস এনরিকে।
Arranca nuestro último día en Milán!!
Cuanto más vemos el trofeo más nos gusta… y de la medalla qué decir. Con ver las fotos de @UEFAcom_es tenemos más que suficiente. ¡¡Vaya cosa más bonita!!
¿Hay ganas de final de la #NationsLeague ? Francia?
¡¡#VamosEspaña!! pic.twitter.com/BwCLiWjVjI
— Selección Española de Fútbol (@SeFutbol) October 10, 2021
তাঁর মন্তব্য, ‘ইউরো কাপে সেমি-ফাইনালে ভালে খেলেও টাই-ব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। তবে নেশনস লিগে ছেলেরা দারুণ ছন্দে রয়েছে। ইতালির বিরুদ্ধে জয়টা তারই প্রমাণ। যে কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালের গুরুত্ব আলাদা। তার উপর প্রতিপক্ষ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাই লড়াইটা মোটেই সহজ হবে না।’
ফ্রান্সের ফরওয়ার্ড লাইনে করিম বেঞ্জেমা, কীলিয়ান এম্বাপে, গ্রিজম্যানের মত তারকা আছে। সেখানে তরুণ ফুটবলার ফেরান তোরেস, সারাবিয়া, ওয়ারজাবালদের ওপর ভরসা স্প্যানিশদের। দুই ইউরোপিয়ান ফুটবল পাওয়ার হাউজের লড়াইয়ে কে কাকে টেক্কা দেয়, সেটাই দেখার।
স্পেন বনাম ফ্রান্স
আজ রাত – ১২:১৫