Tag Archives: Spain

Viral News: মাথা কেটে রাখা কাঁচের বোতলে, এই মানুষটিকে চেনেন? যা করেছেন, গোটা বিশ্ব আজও শিউরে ওঠে

মাদ্রিদ: পৃথিবীর একাধিক সিরিয়াল কিলার-এর ভয়ঙ্কর গল্প আপনারা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। অনেকের কথা হয়তো পড়েছেন। কিন্তু আজ আমরা এমন এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারের গল্প বলতে চলেছি যার কথা শুনলে চমকে উঠবেন।
মাদ্রিদ: পৃথিবীর একাধিক সিরিয়াল কিলার-এর ভয়ঙ্কর গল্প আপনারা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। অনেকের কথা হয়তো পড়েছেন। কিন্তু আজ আমরা এমন এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারের গল্প বলতে চলেছি যার কথা শুনলে চমকে উঠবেন।
১৮২ বছর পরেও তার কথা উঠলে মানুষ ভয় পেয়ে যায়। যখনই তার কথা বলা হয় তখনই আতঙ্ক ছড়ায়। টাকা রোজগারের লোভে সে নিষ্ঠুরতরা সব সীমা অতিক্রম করেছিল। তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তার মাথা এখনও সংরক্ষিত করা রয়েছে।
১৮২ বছর পরেও তার কথা উঠলে মানুষ ভয় পেয়ে যায়। যখনই তার কথা বলা হয় তখনই আতঙ্ক ছড়ায়। টাকা রোজগারের লোভে সে নিষ্ঠুরতরা সব সীমা অতিক্রম করেছিল। তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তার মাথা এখনও সংরক্ষিত করা রয়েছে।
পর্তুগালের সিরিয়াল কিলার ডিয়োগো আলভেসের গল্প বলব আজ। ১৮১৯ সালে স্পেনের গ্যালিসিয়া শহরে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল সে। কাজের সন্ধানে অনেক দিন ঘুরে অবশেষে পর্তুগালের লিসবন সিটিতে পৌঁছয়। কিন্তু সেখানেও কাজ জোটেনি তার। এমন অবস্থায় সে অপরাধের পথ ধরে।
পর্তুগালের সিরিয়াল কিলার ডিয়োগো আলভেসের গল্প বলব আজ। ১৮১৯ সালে স্পেনের গ্যালিসিয়া শহরে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল সে। কাজের সন্ধানে অনেক দিন ঘুরে অবশেষে পর্তুগালের লিসবন সিটিতে পৌঁছয়। কিন্তু সেখানেও কাজ জোটেনি তার। এমন অবস্থায় সে অপরাধের পথ ধরে।
শস্য ও সবজি বিক্রি করে বাড়ি যাওয়া কৃষকদের লুটপাট শুরু করে সে। একটি সেতু ঘিরে তার ঘাঁটি তৈরি হয়। সেই জায়গাটাকে সে অপরাধের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয়। সেখান দিয়ে যাতায়াতকারীদের টার্গেট করতে শুরু করে সে।
শস্য ও সবজি বিক্রি করে বাড়ি যাওয়া কৃষকদের লুটপাট শুরু করে সে। একটি সেতু ঘিরে তার ঘাঁটি তৈরি হয়। সেই জায়গাটাকে সে অপরাধের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয়। সেখান দিয়ে যাতায়াতকারীদের টার্গেট করতে শুরু করে সে।
ডিয়োগো পরে এতটাই হিংস্র হয়ে ওঠে যে লুটপাটের পর সে মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা শুরু করে। হত্যার পর ২১৩ ফিট উঁচু সেতু থেকে লাশ জলে ফেলে দিত সে। ১৮৩৬ থেকে ১৮৩৯ সাল পর্যন্ত সে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করেছিল। প্রতিবারই পুলিশ খুনের ঘটনাগুলিকে আত্মহত্যার মামলা বলে বন্ধ করে দিত। পুলিশ মনে করত, আর্থিক অনটনের কারণে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে।

ডিয়োগো পরে এতটাই হিংস্র হয়ে ওঠে যে লুটপাটের পর সে মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা শুরু করে। হত্যার পর ২১৩ ফিট উঁচু সেতু থেকে লাশ জলে ফেলে দিত সে। ১৮৩৬ থেকে ১৮৩৯ সাল পর্যন্ত সে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করেছিল। প্রতিবারই পুলিশ খুনের ঘটনাগুলিকে আত্মহত্যার মামলা বলে বন্ধ করে দিত। পুলিশ মনে করত, আর্থিক অনটনের কারণে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে।
ব্রিজের নিচে পাওয়া কয়েকজনের দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশের হুঁশ উড়ে যায়। তাদের গায়ে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। এর পরই সন্দেহ হয় পুলিশের। কারণ এমন গভীর চিহ্ন অস্ত্র দিয়ে হামলার পরই হতে পারে।
ব্রিজের নিচে পাওয়া কয়েকজনের দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশের হুঁশ উড়ে যায়। তাদের গায়ে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। এর পরই সন্দেহ হয় পুলিশের। কারণ এমন গভীর চিহ্ন অস্ত্র দিয়ে হামলার পরই হতে পারে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করলে কয়েকদিনের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যায়, কৃষকদের হত্যার পরই সেতু থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে। খুনির খোঁজে পুলিশ হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে। পুলিশ খোঁজ শুরু করে। এদিকে ডিয়োগো মাটির নিচে ডেরা করে গা ঢাকা দেয়। কিছুদিন লুটপাট বন্ধ করে সে নিজের দল গঠন করেন। সেই দলের অধিকাংশই ছিল দরিদ্র পরিবারের সন্তান।
পুলিশ তদন্ত শুরু করলে কয়েকদিনের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যায়, কৃষকদের হত্যার পরই সেতু থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে। খুনির খোঁজে পুলিশ হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে। পুলিশ খোঁজ শুরু করে। এদিকে ডিয়োগো মাটির নিচে ডেরা করে গা ঢাকা দেয়। কিছুদিন লুটপাট বন্ধ করে সে নিজের দল গঠন করেন। সেই দলের অধিকাংশই ছিল দরিদ্র পরিবারের সন্তান।
শহরে বসবাস করা ধনী পরিবারগুলোকে টার্গেট করতে শুরু করে ডিয়োগো। প্রথমে রেইকি করত, তার পর লুটপাট করে মানুষ খুন করে পালিয়ে যেত। এরপর পুলিশের ওপর চাপ বেড়ে যায়। এদিকে সে তার দলবল নিয়ে একজন বিখ্যাত ডাক্তারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে। সেই খুনের পরই পুলিশ রাস্তা আটকে তাকে আটক করে। ডিয়োগো নিজের অপরাধ স্বীকার করে। ডিয়োগো জানায়, সে কতজনকে হত্যা করেছে সেটা তার মনেই নেই।
শহরে বসবাস করা ধনী পরিবারগুলোকে টার্গেট করতে শুরু করে ডিয়োগো। প্রথমে রেইকি করত, তার পর লুটপাট করে মানুষ খুন করে পালিয়ে যেত। এরপর পুলিশের ওপর চাপ বেড়ে যায়। এদিকে সে তার দলবল নিয়ে একজন বিখ্যাত ডাক্তারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে। সেই খুনের পরই পুলিশ রাস্তা আটকে তাকে আটক করে। ডিয়োগো নিজের অপরাধ স্বীকার করে। ডিয়োগো জানায়, সে কতজনকে হত্যা করেছে সেটা তার মনেই নেই।
১৮৪১ সালে ডিয়োগোকে তার অপকর্মের জন্য ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে ফ্রেনোলজি অধ্যয়নের প্রচলন ছিল। তখন মানুষের মন অধ্যয়ন করা হত।
১৮৪১ সালে ডিয়োগোকে তার অপকর্মের জন্য ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে ফ্রেনোলজি অধ্যয়নের প্রচলন ছিল। তখন মানুষের মন অধ্যয়ন করা হত।
বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তারা ডিওগোর মন অধ্যয়ন করবেন। অপরাধীরা কীভাবে চিন্তা করেন তা খুঁজে বের করা হবে। সেই কারণে ফাঁসির পর ডিয়োগোর মাথা কেটে লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়। তার মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে অবশ্য বলা যায় না। তবে এত বছর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মাথা একইভাবে রাখা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তারা ডিওগোর মন অধ্যয়ন করবেন। অপরাধীরা কীভাবে চিন্তা করেন তা খুঁজে বের করা হবে। সেই কারণে ফাঁসির পর ডিয়োগোর মাথা কেটে লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়। তার মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে অবশ্য বলা যায় না। তবে এত বছর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মাথা একইভাবে রাখা রয়েছে।

Plane Crash: ৫৮৩ জনের মৃত্যু, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা কিন্তু আকাশে নয়, ঘটে রানওয়েতে! আত্মা কেঁপে যাবে জেনে

২৭ মার্চ, ১৯৭৭, এই তারিখটি স্পেনে ঘটে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার জন্য স্মরণ করা হয়ে থাকে। এই দিনে তেনেরিফ বিমানবন্দরের একই রানওয়েতে দুটি বিমান মুখোমুখি হয় এবং তারপর তাদের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় দুটি বিমানে থাকা ৫৮৩ জন প্রাণ হারান।
২৭ মার্চ, ১৯৭৭, এই তারিখটি স্পেনে ঘটে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার জন্য স্মরণ করা হয়ে থাকে। এই দিনে তেনেরিফ বিমানবন্দরের একই রানওয়েতে দুটি বিমান মুখোমুখি হয় এবং তারপর তাদের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় দুটি বিমানে থাকা ৫৮৩ জন প্রাণ হারান।
আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন কানারি দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ তেনেরিফে। দ্বীপপুঞ্জটি স্পেনের অধীন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এই দ্বীপপুঞ্জের আরেক দ্বীপ গ্রান কানারিয়ার লাস পালামাস থেকে বিমান দুটি ওড়ার কথা ছিল। তবে সেখানে সন্ত্রাসী বোমা হামলার ঘটনায় সব বিমান ঘুরিয়ে লস রোদেওস বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন কানারি দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ তেনেরিফে। দ্বীপপুঞ্জটি স্পেনের অধীন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এই দ্বীপপুঞ্জের আরেক দ্বীপ গ্রান কানারিয়ার লাস পালামাস থেকে বিমান দুটি ওড়ার কথা ছিল। তবে সেখানে সন্ত্রাসী বোমা হামলার ঘটনায় সব বিমান ঘুরিয়ে লস রোদেওস বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
লস রোদেওস তুলনামূলক ছোট বিমানবন্দর। সেখান থেকে স্থানীয় ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হয়। তা ছাড়া রোববার ছুটির দিন হওয়ায় বিমানের আনাগোনাও কম ছিল। কনট্রোল টাওয়ারের দায়িত্বে কেবল দুইজন কাজ করছিলেন।
লস রোদেওস তুলনামূলক ছোট বিমানবন্দর। সেখান থেকে স্থানীয় ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হয়। তা ছাড়া রোববার ছুটির দিন হওয়ায় বিমানের আনাগোনাও কম ছিল। কনট্রোল টাওয়ারের দায়িত্বে কেবল দুইজন কাজ করছিলেন।
এদিকে লস রোদেওস থেকে বিমানগুলোকে গ্রান কানারিয়া বিমানবন্দরের স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। এই বিমানগুলোর দুটি হলো কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৪৮০৫ এবং প্যান অ্যামেরিকান ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজের (প্যান অ্যাম) ফ্লাইট ১৭৩৬।
এদিকে লস রোদেওস থেকে বিমানগুলোকে গ্রান কানারিয়া বিমানবন্দরের স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। এই বিমানগুলোর দুটি হলো কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৪৮০৫ এবং প্যান অ্যামেরিকান ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজের (প্যান অ্যাম) ফ্লাইট ১৭৩৬।
লস রোদেওসে এয়ারস্ট্রিপ ছিল একটি। ওদিকে পাহাড় থেকে ঘন কুয়াশা নেমে আসতে শুরু করে। কনট্রোল টাওয়ারের থেকে কেএলএমের পেছনে প্যান এম যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
লস রোদেওসে এয়ারস্ট্রিপ ছিল একটি। ওদিকে পাহাড় থেকে ঘন কুয়াশা নেমে আসতে শুরু করে। কনট্রোল টাওয়ারের থেকে কেএলএমের পেছনে প্যান এম যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
কেএলএম বিমান উড্ডয়নের জন্য এগিয়ে যেতে শুরু করলে রানওয়েতে থাকা প্যান অ্যাম বিমানে সরাসরি গিয়ে ধাক্কা দেয়। কেএলএম বিমানের ২৩৪ জন যাত্রীর ভেতর ৫৩টি শিশু ছিল। আর প্যান এম বিমানে ৩৮০ যাত্রী ও ১১ ক্রু ছিল। সংঘর্ষে কেএলএমের সব যাত্রী ও ক্রু মারা যান। আর প্যান অ্যাম বিমানের সামনের দিকের কেবল ৬১ আরোহী বেঁচে ছিলেন।

কেএলএম বিমান উড্ডয়নের জন্য এগিয়ে যেতে শুরু করলে রানওয়েতে থাকা প্যান অ্যাম বিমানে সরাসরি গিয়ে ধাক্কা দেয়। কেএলএম বিমানের ২৩৪ জন যাত্রীর ভেতর ৫৩টি শিশু ছিল। আর প্যান এম বিমানে ৩৮০ যাত্রী ও ১১ ক্রু ছিল। সংঘর্ষে কেএলএমের সব যাত্রী ও ক্রু মারা যান। আর প্যান অ্যাম বিমানের সামনের দিকের কেবল ৬১ আরোহী বেঁচে ছিলেন।
পরবর্তীতে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে জানা যায়, কনট্রোল টাওয়ারের নির্দেশনা ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি কেএলএমের পাইলট। ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। মূলত এতেই দুর্ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে জানা যায়, কনট্রোল টাওয়ারের নির্দেশনা ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি কেএলএমের পাইলট। ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। মূলত এতেই দুর্ঘটনা ঘটে।
তা ছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়া এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিমানও একটা ব্যাপার। ঘটনাটি ইতিহাসে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এরপর বিমান চলাচলে বেতার যোগাযোগের ধরনের পরিবর্তন এনে একটি প্রমিত মান দাঁড় করানো হয়।
তা ছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়া এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিমানও একটা ব্যাপার। ঘটনাটি ইতিহাসে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এরপর বিমান চলাচলে বেতার যোগাযোগের ধরনের পরিবর্তন এনে একটি প্রমিত মান দাঁড় করানো হয়।

Viral: মানুষের মাংস খেলেন এই সুন্দরী! জানালেন স্বাদ! তারপরই যা ঘটল…গোটা বিশ্বে তোলপাড় ফেলেছে এই ঘটনা

মাদ্রিদ: আরশোলা, মাকড়শা, সাপ, কুমির, ব্যাঙ। আজকাল মানুষ কোনও প্রাণীকেই হত্যা করে খেতে ছাড়ছে না। কিন্তু কথায় বলে, কাক কাকের মাংস খায় না। একইরকমভাবে মানুষও তো আর মানুষের মাংস খেতে পারে না!
মাদ্রিদ: আরশোলা, মাকড়শা, সাপ, কুমির, ব্যাঙ। আজকাল মানুষ কোনও প্রাণীকেই হত্যা করে খেতে ছাড়ছে না। কিন্তু কথায় বলে, কাক কাকের মাংস খায় না। একইরকমভাবে মানুষও তো আর মানুষের মাংস খেতে পারে না!
তবে সেসব প্রবাদ হয়তো এখন বইয়ের পাতাতেই পাওয়া যায়। বাস্তবে নয়। কারণ এবার মানুষ মানুষের মাংসও খেয়ে দেখল। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। মানুষের মাংস ঠিক কেমন খেতে, তা জানাল এক নরখাদক।
তবে সেসব প্রবাদ হয়তো এখন বইয়ের পাতাতেই পাওয়া যায়। বাস্তবে নয়। কারণ এবার মানুষ মানুষের মাংসও খেয়ে দেখল। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। মানুষের মাংস ঠিক কেমন খেতে, তা জানাল এক নরখাদক।
মানুষের মাংস খেয়ে দেখলেন পলা গোনু নামের একজন। তিনি সম্প্রতি নিজেরৎ শরীরের মাংস খেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জটিল অপারেশনে পলার হাঁটুর একটি অংশ বাদ চলে যায়। জানা যায়, তিনি সেই অংশটি রান্না করে খেয়ে দেখেছেন।
মানুষের মাংস খেয়ে দেখলেন পলা গোনু নামের একজন। তিনি সম্প্রতি নিজেরৎ শরীরের মাংস খেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জটিল অপারেশনে পলার হাঁটুর একটি অংশ বাদ চলে যায়। জানা যায়, তিনি সেই অংশটি রান্না করে খেয়ে দেখেছেন।
স্পেনের এই ২০ বছর বয়সী মহিলা পেশায় ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, মানুষের মাংসের স্বাদ ঠিক কেমন!
স্পেনের এই ২০ বছর বয়সী মহিলা পেশায় ইনফ্লুয়েন্সার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, মানুষের মাংসের স্বাদ ঠিক কেমন!
এর আগে ২০২১ সালে জানা গিয়েছিল, এক জার্মান আরেক ব্যক্তিকে খুন করে তাঁর মাংস খেয়েছেন। তবে মানুষের মাংস খাওয়ার চল বহুদিন ধরেই চলছে। এর আগে আমেরিকার বাসিন্দা উইলিয়াম বুয়েলার সিব্রুক ১৯২০ সালে আফ্রিকান সম্প্রদায় গুয়েরোরের সঙ্গে দেখা করে জানতে পারেন, তারা মানুষের মাংস খায়।
এর আগে ২০২১ সালে জানা গিয়েছিল, এক জার্মান আরেক ব্যক্তিকে খুন করে তাঁর মাংস খেয়েছেন। তবে মানুষের মাংস খাওয়ার চল বহুদিন ধরেই চলছে। এর আগে আমেরিকার বাসিন্দা উইলিয়াম বুয়েলার সিব্রুক ১৯২০ সালে আফ্রিকান সম্প্রদায় গুয়েরোরের সঙ্গে দেখা করে জানতে পারেন, তারা মানুষের মাংস খায়।
সিব্রুক নিজেও কাঁচা মাংস খেয়েছিলেন। ‘জঙ্গল ওয়েজ’ নামক বইয়ে সেসব কথা লিখেছিলেন তিনি। তিনি লিখেছিলেন, মানুষের কাঁচা মাংস দেখতে এবং গন্ধে অনেকটা গরুর মাংসের মতো।
সিব্রুক নিজেও কাঁচা মাংস খেয়েছিলেন। ‘জঙ্গল ওয়েজ’ নামক বইয়ে সেসব কথা লিখেছিলেন তিনি। তিনি লিখেছিলেন, মানুষের কাঁচা মাংস দেখতে এবং গন্ধে অনেকটা গরুর মাংসের মতো।

Spanish Tourist Tortured: ‘সাধারণ ভারতবাসীদের নয়, দোষ শুধু অপরাধীদেরই’, বললেন দুমকায় গণধর্ষিতা স্পেনের তরুণী, নিগৃহীতার বিশ্বভ্রমণের স্বপ্ন অটুট

গত সপ্তাহের একটি ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন একজন স্প্যানিশ মহিলা। ওই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে মহিলাদের নিরাপত্তা। মঙ্গলবার নিগৃহীতা জানান যে, ভারতবাসীর উপর তাঁর কোনও রকম ক্ষোভ নেই। এই দেশে থাকাকালীন এখানকার মানুষের কাছ থেকে তিনি যে ব্যবহার পেয়েছেন, এর জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন ওই মহিলা। তবে এ-ও ব্যাখ্যা করেছেন যে, শুধুমাত্র যাঁরা অপরাধ করেছে, তাদেরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।

বর্তমানে মোটরসাইকেলে স্বামীর সঙ্গে বিহার হয়ে নেপালের দিকে রওনা হয়েছেন ওই তরুণী। তার আগে তিনি বলেন, “ভারতের মানুষ খুবই ভাল। আমি তাঁদের দোষ দিচ্ছি না। বরং আমি অপরাধীদের দোষারোপ করছি। এখানকার মানুষ আমার সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করেছেন। তাঁরা খুবই ভাল।’’ ঝাড়খণ্ডে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য এই অপরাধের পরেও দমে যাননি ওই মহিলা। তিনি জানান, আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বভ্রমণ চালিয়ে যাবেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাঁসডিহা থানা এলাকার কুরুমাহাটে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বছর আঠাশের ওই যুবতী। স্বামীর সঙ্গে তাঁবুতে রাত কাটাবেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি। প্রায় ছ’ বছর ধরে ঘোরাঘুরি করছেন ওই যুবতী। তিনি বলেন, “আমরা ওই জায়গায় রাতটা কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ জায়গাটি ছিল শান্ত এবং সুন্দর। আমি ভেবেছিলাম যে, ওখানে একা রাত কাটালেও কোনও অসুবিধা হবে না।”

আরও পড়ুন : বিহারের গতিতে নতুন ডানা, রক্সৌল-যোগবাণী নতুন এক্সপ্রেস উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

তিনি আরও বলেন, “গত ৬ মাস ধরে আমরা ভারতে রয়েছি। প্রায় ২০০০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছি। কোথাও তো কোনও সমস্যা হয়নি। প্রথম বার জন্য এমনটা হল। যদিও ভারতে আমার স্মৃতি খুবই ভাল।” স্প্যানিশ ওই মহিলা আরও বলেন যে, “আমি কিছু মানুষকে বিশেষ করে মেয়েদের এটা বলতে চাই, এই বিশেষ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার জন্য নিজেদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। আমি জানি, এটা কঠিন। কিন্তু অসাধ্য নয়। ভুলে যাওয়াও চলবে না, কিন্তু অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।”

দুমকার সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ পীতাম্বর সিং খেরাওয়ার বলেন, ওই দম্পতি বিহারের দিকে রওনা হয়েছেন। সেখান থেকেই তাঁরা নেপালে পৌঁছবেন। আর এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য ওই যুবতীর স্বামী ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশকে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আরও ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুমকা এসপি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গোটা বিশ্ব থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে ‘এই’ দেশ! মাটির নিচে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, আতঙ্কে মানুষ

নয়াদিল্লি: একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, স্পেন বিশ্বের এমন একটি দেশ যেখানে গভীর ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিজ্ঞানীরা এর কারণ খুঁজে পেয়েছেন। স্পেন বাকি বিশ্বের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভূখণ্ড হওয়ার মুখে।

পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে টেকটোনিক প্লেটের একটি খুব আলাদা অংশ, যে কারণে স্পেন এবং আশেপাশের ভূখণ্ড আলাদা হয়ে গিয়েছিল। মাটির নিচে নড়াচড়ার কারণে এখানেও ভূমিকম্প হচ্ছে বারবার।

আরও পড়ুন- বিরাট কোহলির প্রথম প্রেমিকা ‘এই’ মহিলা! অনেকেই চেনেন না, অনুষ্কা তো অনেক পরে

সিসমিক ওয়েভ নিয়ে গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন আফ্রিকা ও ইউরেশিয়া মহাদেশের নিচে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ হয়, একটি অংশ স্পেনে এবং পার্শ্ববর্তী অংশ ভূমধ্যসাগরে সম্পূর্ণ উল্টে যায়। এই ঘটনা লক্ষ লক্ষ বছর আগে ঘটেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৯৫৪ সাল থেকে স্পেনের গ্রানাডা শহরের ৬০০ কিলোমিটার নীচে পাঁচটি গভীর ভূমিকম্প হয়েছে। এই গভীরতার ভূমিকম্পগুলি সাধারণত একটি বড় ভূমিকম্পের আফটারশক হিসাবে ঘটে।

স্পেনে ২০১০ সালের ভূমিকম্পের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে কোনও আফটারশক হয়নি। অর্থাৎ সারা বিশ্বের ভূমিকম্পের তুলনায় এখানে এই ভূমিকম্পগুলো ভিন্নভাবে ঘটে চলেছে।

আরও পড়ুন- কাঁদলেন সৌরভ! স্বামীহারা ‘একা’ মহিলার জন্য দাদার চোখে জল! মন খারাপের মুহূর্ত

যখন টেকটোনিক প্লেটগুলো পৃথিবীর পৃষ্ঠের নিচে একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন একটি প্লেট অন্য প্লেটের উপরে উঠতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় সাবডাকশন। অন্যদিকে, নীচের প্লেটটি ম্যান্টলে যায়। এমন ঘটনা ঘটেছে স্পেনের কাছে।

২০১০ গ্রেনাডা ভূমিকম্প দেখিয়েছিল, তরঙ্গগুলি অনেক গভীর থেকে আসছে। দেখা যায়, জল অনেক নীচে থাকা প্লেটের দিকে চলে যাচ্ছে। এ থেকে বিজ্ঞানীরাও এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, স্পেনের ভূভাগ খুব দ্রুত নিচের দিকে নামছে।

কাতার থেকে দেশে ফিরতেই এনরিকে ছাঁটাই, ফুয়েন্তেকে নতুন কোচ করল স্পেন

#দোহা: স্পেন কোচ লুইস এনরিকে আর দায়িত্ব থাকলে না জাতীয় দলের। প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে এই দলটিই উড়িয়ে দিয়েছিলো ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। তখন মনে হয়েছিলো, স্পেন বুঝি এবার বহুদূর যাবে। এমনকি তাদেরকে কেউ কেউ বিশ্বকাপের ফাইনালেও দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হল, সেই ৭-০ গোলে জয়ের পর আর কোনো জয়ই পায়নি তারা।

একটি ম্যাচে জার্মানির সঙ্গে ড্র করেছিল শুধু। বড় ব্যবধানে জয়ের কল্যাণে পেয়ে যায় দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে মরক্কোর সঙ্গে আর পারেনি তারা। টাইব্রেকারে একটি শটও মরক্কোর জালে প্রবেশ করাতে পারেনি স্প্যানিশরা। অথচ, দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচের আগে ১০০০ টাইব্রেকারের শট প্র্যাক্টিস করেছিলো তারা।

এমন এক লজ্জাজনক পরাজয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্পেনের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হলো লুই এনরিকেকে। বৃহস্পতিবার স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। নতুন কোচও নিয়োগ দিয়ে ফেলেছে তারা। নতুন কোচ নিয়োগ দেয়া হল লুই ডি লা ফুয়েন্তেকে। এনরিকে ছাঁটাইয়ের ৪৫ মিনিটের মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে নতুন কোচের নাম জানিয়ে দেয় তারা।

গত মঙ্গলবার মরক্কোর কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় স্পেন। টাইব্রেকারে ব্যবধান ছিল ৩-০। একজন স্প্যানিশ ফুটবলারও পেনাল্টি শুটআউটে গোল করতে পারেননি। হারের পরই এনরিকে জানিয়েছিলেন, আপাতত বাড়ি ফিরে এক সপ্তাহ সময় নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। কিন্তু সেই সময়টা তাকে দেওয়া হল না।

বৃহস্পতিবার রয়্যাল স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বিদায়ের কথা জানিয়ে দেয়া হলো কোচকে। একই সঙ্গে গত চার বছরে এনরিকের কাজের জন্য তাকে ধন্যবাদও জানানো হল। নতুন কোচ ফুয়েন্তে অনূর্ধ্ব-২১ দলের দায়িত্বে ছিলেন। যুব দলকে তিনি হাতের তালুর মতোই চিনতেন।

তাছাড়া, এখন স্পেন দলে অনেক তরুণ ফুটবলার রয়েছেন, যাদের অনেকেই ফুয়েন্তের হাতে গড়া ফুটবলার। জাতীয় দলে কারা, কেমন ভূমিকা নিতে পারেন সেটা ভালোই জানেন তিনি। ফুয়েন্তের অধীনে অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো জিতেছে স্পেন। টোকিও অলিম্পিকেও তারা সিল্ভার পেয়েছে। কোনও বিতর্ক নেই ফুয়েন্তেকে নিয়ে।

আগামী ১২ ডিসেম্বর কোচ হিসাবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে আনা হবে। ইউরো ২০২৪-এর যোগ্যতা বাছাই পর্বের ম্যাচে কোচ হিসাবে দেখা যাবে ফুয়েন্তেকে। নরওয়ে এবং স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে স্পেন। গভি, পেড্রিদের ভবিষ্যতে তিনি সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।

স্পেনের বিরুদ্ধে আজ মরণ বাঁচন ম্যাচ জার্মানির ! মরিয়া মুলার, হাসছেন এনরিকে

#দোহা: চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় অঘটন জাপানের কাছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির পরাজয়। এই পরাজয়ের ফলে নক আউটে যেতে হলে রবিবার স্পেনকে হারাতেই হবে জার্মানিকে। অন্যদিকে, স্পেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৭-০ গোলে পর্যদুস্ত করেছে কস্টারিকাকে। ফলে আত্মবিশ্বাসী ও উজ্জীবিত স্পেনকে হারানো যে মোটেই সহজ হবে তা ভালো করেই জানেন জার্মান কোচ হানসি ফ্লিক।

স্পেনের বিরুদ্ধে হারলেই গত বিশ্বকাপের মত কাতার বিশ্বকাপেও প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেবে জার্মানি। ২০১৮ সালের আগে ১৯৩৮ সালে শেষবার জার্মানি প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল। রবিবার হারলে বিশ্বকাপে প্রথমবারের জন্য পরপর দুটি ম্যাচ হারার রেকর্ড করবে বেকেনবাওয়ারের দেশ।

আরও পড়ুন – আর্জেন্টিনার মেক্সিকো জয়ের রঙিন মুহূর্তের বিভিন্ন ছবি দেখুন! আবেগ সামলাতে পারবেন না

কোচ হ্যান্সি ফ্লিক মনে করছেন ফুটবলারদের নিজেদের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখাই দলের সাফল্যের চাবিকাঠি। স্পেনের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ফ্লিক সংবাদমাধ্যমে জানান, দল হিসেবে ও ব্যক্তিগতভাবেও খেলোয়াড়দের সবসময় উন্নতি করতে হয়, এই কারণেই দলের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, যা তারা এই মুহূর্তে দিতে পারছে না।

যদিও আমি বিশ্বাস করি, আমরা উন্নত মানের ফুটবল খেলি। আমরা দলকে বিশ্বাস করি, আমরা ইতিবাচক আছি, রবিবার স্পেনের বিরুদ্ধে  আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই মাঠে নামব। এই দুই ইউরোপের দেশ প্রচুরবার একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে। তাই একে অন্যের খেলার শৈলী ও কৌশল ভাল করেই জানে।

অন্যদিকে, কস্টারিকার বিরুদ্ধে প্রায় ৮২% বল পজিশন রেখে বিশ্বকাপে নতুন নজির সৃষ্টি করেছে স্পেন। ফিরে এসেছে পুরনো তিকিতাকা। কস্টারিকার বিরুদ্ধে ৭-০ গোলে জয় বিশ্বকাপে তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। শেষ সাতবার জার্মানদের সঙ্গে সাক্ষাতে একটি ম্যাচ হেরেছে স্পেন। লুইস এনরিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কস্টারিকার বিরুদ্ধে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ে আত্মতুষ্ট নয় দল।

স্পেনের এবারের দল অনেক তরুণ। কিন্তু লুইস এনরিকের তত্ত্বাবধানে তারা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। কোচ ছেলেদের উপরে একেবারেই চাপ আসতে দিচ্ছেন না। পেড্রি, গাভি, ফেরান তোরেস দুরন্ত খেলছেন স্পেনের হয়ে। অন্যদিকে জার্মানি কতটা লড়াই করে সেটা অনেকটা নির্ভর করছে জামাল মুসিয়ালা এবং কিমিচের খেলার ওপর।

ফিরল তিকিতাকা, স্পেনের ঝলকানিতে বিশ্বকাপে কোস্টারিকার জালে গোল উৎসব

স্পেন – ৭

কোস্টারিকা – ০

#দোহা: ১২ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। ইনিয়েস্তা, জাভি, ক্যাশিয়াস, পিকে, ফার্নান্দ তোরেস, ডেভিড ভিয়া – পৃথিবী প্রথম দেখেছিল তিকিতাকা ফুটবল। তারপরের দুটো বিশ্বকাপ অবশ্য মনে রাখার মত কিছু করতে পারেনি স্পেন। কিন্তু এবার কাতারের মাটিতে এই স্প্যানিশ দলটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যেতে পারে তার প্রমাণ পাওয়া গেল প্রথম ম্যাচে।

প্রথমার্ধে তিন গোল। দ্বিতীয় শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে চতুর্থ গোল। ওলমো, আসেনসিও, ফেরান তোরেসের জোড়া গোল। ৫৫ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের ভাগ্য নির্ণয় হয়ে গেল। প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত শুধু স্পেন আর স্পেন। পাসের নানারকম জ্যামিতি, বিপক্ষকে নিয়ে সেই পুরনো অবজ্ঞার ছলে ছেলে খেলা। পেড্রি, গাভি, ড্যানি ওলমো, বুসকেটস, জর্ডি আলবাদের খেলায় স্প্যানিশ গিটারের হাজার ওয়াটের ঝলকানি।

প্রথমার্ধেই স্পেন খেলল ৫৫০ পাস। কোস্টারিকার পক্ষে সংখ্যাটা ৭৩। এরপর আর বিশেষ পরিসংখ্যান দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না স্প্যানিশ আমার্ডার দাপট বোঝাতে। যখন ইচ্ছে, যেমন ইচ্ছে আক্রমণ তৈরি করল লাল হলুদ জার্সিধারীরা। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে নিলেন এনরিকে। বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কারণে সেটাই স্বাভাবিক।

আসলে ম্যাচটা দেখে মনে হচ্ছিল নিজেদের মধ্যে অনুশীলন করছে স্প্যানিশরা। যত সময় এগোতে থাকল কোস্টারিকার ফুটবলাররা মাথা গরম করে ফাউল করতে থাকলেন। সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে এনরিকে তখন বেশ তৃপ্ত। বার্সেলোনার কোচ হিসেবে সাফল্য পাওয়ার পর তাকে ভরসা করে দায়িত্ব দিয়েছিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।

ইউরো কাপে স্পেন চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও বুঝিয়ে দিয়েছিল সঠিক পথে এগোচ্ছে দল। আর বিশ্বকাপে এসে এনরিকের দল কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটার প্রমাণ রাখল। ম্যাচের ৭০ মিনিটে উইলিয়ামসকে নামাল স্পেন। উঠে নেমে দুর্দান্ত ফুটবল খেললেন তরুণ গাভি। কেন তিনি পরবর্তী সুপারস্টার হতে চলেছেন প্রমাণ করলেন।

কথায় বলে সকাল দেখে নাকি দিনের শুরুটা বোঝা যায়। ফুটবলে অবশ্য সবসময় সেটা মেলে তা নয়। কিন্তু যদি এই কথার কিছুটা সারমর্ম ধরে নেওয়া যায়, তাহলে এবারের স্পেন কিন্তু হিসেব বদলে দিতে চলেছে। বাকিদের রাতের ঘুম আজকের পর অনেকটাই কঠিন হবে।

৭৫ মিনিটে পঞ্চম গোল করে কোস্টারিকার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিলেন গাভি। পাঁচ গোল করেও মন ভরেনি স্প্যানিশদের। এরপর সোলার এবং মোরতা আরও দুটি গোল করলেন। সাত গোলের বিশাল ব্যবধানে মাঠ ছাড়ল লা রোজা।

পছন্দের ওয়াইন এবং পর্ক নিষিদ্ধ কাতারে! প্রবল সমস্যায় স্পেন ফুটবল দল

#দোহা: নতুন সমস্যায় পড়েছে স্পেন ফুটবল দল। কাতারে নিজেদের পছন্দের খাবার তারা পাবে না এমনটা শোনার পর ফুটবলারদের মন খারাপ। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। যেখানকার দেশগুলো রক্ষণশীল এবং সব বিষয়েই নিয়মের কড়াকড়ি। বিশ্বকাপে তো বিয়ার পানের অনুমতিও ছিল না। পরে আন্তর্জাতিক চাপে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট স্থানে বিয়ার পানের অনুমতি দেওয়া হয়।

তাই বলে কোনও দল ওয়াইন কিংবা পর্ক নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে যাবে―এমনটা ভাবাই যায় না। তাই সমস্যাতেই পড়েছে স্পেন দল। স্প্যানিশদের প্রিয় পানীয় হল ‘কাভা’। এটা এক বিশেষ ধরনের ওয়াইন। কোনও আনন্দ উৎসব―যেমন ম্যাচ জয় উদযাপনে এই ওয়াইনের ব্যবহার লক্ষণীয়। কিন্তু কাতারে যেকোনও ধরনের অ্যালকোহল আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন – ইরানের হিজাব বিতর্কের নায়ক, গুলি খেতেও রাজি ছিলেন ! শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দলে আজমউন

তাই স্প্যানিশরা ওয়াইন ছাড়াই কাতারে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, স্প্যানিশদের প্রিয় পর্ক নেওয়া যাবে না বিশ্বকাপে! মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে স্প্যানিশ ফুটবল দলের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার অংশ পর্ক রান্না করা নিষিদ্ধ। এমনকি স্পেনের ফুটবলাররা এই মাংসের বারবিকিউ অথবা সসেজ খেতে পারবেন না।

মোট তিন হাজার কেজি মালপত্র নিয়ে কাতার যাচ্ছে স্পেন দল। এই বিশাল মালপত্রের বহরে আছে ফুটবলারদের কিট এবং কোচ লুইস এনরিকের ব্যবহার্য বিভিন্ন অনুশীলন প্রযুক্তি। যেমন লোহার তৈরি মাচা। যেটিতে উঠে লুইস এনরিকে অনুশীলন পরিচালনা করেন। কাজ শেষে মাচাটি ভাঁজ করে ফেলা হয়।

এছাড়া আছে এনরিকের বিশাল এলইডি স্ক্রিন। দুটি বিমানে ৯০টি আলাদা প্যাকেজে স্পেন দলের এই মালপত্র কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে নিজেদের পছন্দের পানীয় এবং মাংস না পাওয়া গেলেও স্পেন সেটা নিয়ে পড়ে থাকতে নারাজ।

বিফ দিয়ে কাজ চালানো হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্যালাড, গ্রিলড ফিশ এবং মুরগির মাংস থাকছে খাদ্য তালিকায়। এনরিকের একমাত্র লক্ষ্য ১২ বছর পর স্পেনকে দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করা।

সত্য়িই কী সমকামী ইকের ক্য়াসিয়াস, মুখ খুললেন কিংবদন্তী গোলরক্ষক

‘আমি সমকামী। আশা করছি আপনারা আমাকে সম্মান করবেন।’ রবিবার বিকেলে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক ইকের ক্য়াসিয়াসের ট্য়ুইটার হ্য়ান্ডেল থেকে এই পোস্ট গোটা ফুটবল বিশ্বে ঝড়। কিন্তু কেন হঠা এমন পোস্ট প্রাক্তন কিংবদন্তী গোলরক্ষকের তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। তাহলে সেই কারণেই স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স, না এটা কোনও বিজ্ঞাপনী চমক। তা নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন।

ইকের ক্য়াসিয়াসের অ্য়াকাউন্ট থেকে এই ট্য়ুইট করার পর তাকে সমর্থন করেন একদা তার সতীর্থ কার্লোস পুয়োল। এছাড়া আরও অসংখ্য় ব্য়ক্তি সমর্থন করেন প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে। কিন্তু কিছুক্রণের মধ্য়েই সেই ট্য়ুইট ডিলিট হয়ে যাওয়ায় জল্পনা আরও বাড়ে। কেন এমনটা করলেন তারকা ফুটবলরা তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। অবশেষে তার সমকামী হওয়ার ট্য়ুইট নিয়ে মুখ খুললেন ইকের ক্য়াসিয়াস।

প্রাক্তন গোলরক্ষক জানান তার অ্য়াকাউন্ট হ্য়াক করে এই কাণ্ড ঘটনা হয়েছে। এছাড়া তার অজান্তে হ্য়াকার এই ট্য়ুইট করলেও এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ইকের ক্য়াসিয়াস। ট্য়ুইটারে তিনি লিখেছেন,’আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল। এখন অবশ্য সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। আমার অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আর অবশ্যই, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

প্রসঙ্গত, স্পেনের জার্সি গায়ে ২০১০ বিশ্বকাপ ,২০০৮ এবং ২০১২ ইউরো কাপ জিতেছেন ক্য়াসিয়াস। অধিনায়কও ছিলেন তিনি জাতীয় দলের। ২০০০-২০১৬ সালের মধ্যে স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে ১৬৭টি ম্যাচে খেলেছেন তিনি। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে ৭২৫ টি ম্য়াচ খেলেছেন তিনি। যা রেকর্ড। ক্লাব ফুটবলে তার ঝুলিতে রয়েছে তিনটি চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফি ও ৫টি লা লিগা।