Tripura Municipal Election: কার ভোট কে দিচ্ছে! ত্রিপুরায় অবাধ ছাপ্পার ভিডিও প্রকাশ্য, কড়া সুপ্রিম কোর্টও

#আগরতলা: তৃণমূলের নিশানায় ত্রিপুরা। বিজেপি-র অবশ্য কটাক্ষ, বাংলার বাইরে অস্তিত্বই নেই তৃণমূলের। এমনই এক পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় পুরভোট (Tripura Municipal Election) হচ্ছে। আর তাতেই শাসক বিজেপি কাঠগড়ায় উঠে চলেছে সকাল থেকে। বিরোধী প্রার্থীদের মারধর, ভোট লুঠ সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল, সিপিএম সহ সব বিরোধীরা। এরই মধ্যে আগরতলার একটি বুথের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিও-র মাধ্যমে তৃণমূলের অভিযোগ, আগরতলার একটি ওয়ার্ডের বুথে রিগিং এবং ছাপ্পাভোট চালাচ্ছে বিজেপি।

ত্রিপুরা তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয়েছে ওই ভিডিয়োটি। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, ভিডিয়োটি আগরতলার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক বয়স্ক মহিলা ভোট দেওয়ার জন্য ইভিএম মেশিনের কাছে গেলেন। কিন্তু মুখে মাস্ক, কালো জামা পরা এক যুবক এগিয়ে গিয়ে উল্টো দিক থেকে হাত বাড়িয়ে ইভিএম মেশিনের বোতাম টিপে দিলেন।

ওই বৃদ্ধা কিছু না বলেই এরপর বেরিয়ে চলে যান। এর পর আর ব্যক্তি ভোট দেওয়ার সময়ও ওই যুবকটি এসেছিলেন ইভিএমের কাছে। তখন ওই ব্যক্তি বলেন, ”আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে আমি ভোট দেব কী করে?” শুধু তৃণমূল নয়, ‘সিপিএম ত্রিপুরা’ টুইটার হ্যান্ডল থেকেও এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এক ট্যুইটেই ‘সব’ বুঝিয়ে দিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী! মমতা-সাক্ষাতের পরই বিরাট পদক্ষেপ

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে ত্রিপুরা মামলার শুনানিতে তৃণমূলের তরফে একাধিক হিংসার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিপিএমের তরফেও মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে শুনানি চলছে। অতিরিক্ত দু-কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সম্মত হওয়ায় তা মোতায়েন হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিনের শুনানিতে উপস্থিত রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘এটা প্রমাণ সাপেক্ষ’, মমতার ‘মাস্টারস্ট্রোকে’ এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না দিলীপ ঘোষের!

আদালতের নির্দেশ, ৭৭০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করুক ত্রিপুরা সরকার। আরও দু-কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হোক সেখানে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র, ইভিএম এবং ভোট গণনা কেন্দ্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।