Tag Archives: Tripura BJP

Manik Saha: বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এগিয়ে আসার আহ্বান মানিক সাহার, ছাত্রসমাজকে বড় বার্তা 

আগরতলা : ত্রিপুরাকে একটি আদর্শ রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে সকল অংশের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিশেষ করে বহি:রাজ্যে কর্মরত যুবদের ফিরে এসে রাজ্যের বিকাশে সামিল হতে হবে। তবেই রাজ্য দ্রুত বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। বড়দোয়ালী মণ্ডলের উদ্যোগে আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং যারা উত্তীর্ণ হতে পারেননি, আমি জোর দিয়ে এটুকু বলতে চাই যে ব্যর্থতাই সাফল্যের স্তম্ভ। কারণ কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি কাউন্সেলিংও প্রয়োজন। সাধারণত আমাদের দেশে অধিক নম্বর অর্জনের জন্য কিছুটা চাপের মধ্যে থাকে ছাত্রছাত্রীরা। যা দুঃখজনকভাবে কিছু আত্মহত্যার প্রবনতার দিকে পরিচালিত হয়। সমাজও এই চাপে ভূমিকা রেখে থাকে। এজন্য শিক্ষার্থীদের নিজেদের মানসিক চাপ মুক্ত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চালু করা ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচির লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের চাপ থেকে মুক্ত রাখা। প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের মেডিটেশনের সাহায্য নিতে হবে। সেই সঙ্গে গায়ত্রী মন্ত্র শোনা এবং অন্যান্য কার্যক্রমে মনোনিবেশ করতে হবে।”

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জোরের সঙ্গে আরও বলেন, “একমাত্র শিক্ষাই ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের অন্যতম ভিত্তি এবং এটি নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে নির্মূল করতে সহায়ক হয়। আর তরুণ প্রজন্মই ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ। অন্যান্য অনেক রাজ্যে, ত্রিপুরার যুবরা বিভিন্ন স্বনামধন্য পেশায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। যেমন এইমস হাসপাতালে রাজ্যের অনেক যুবক রয়েছেন। তাই আমি এই সকল যুবদের ত্রিপুরাকে আরও বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যে ফিরে আসার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি অনেকে আবার বিদেশেও কাজ করছেন। আমি তাঁদেরকেও ত্রিপুরায় ফিরে আসার আহ্বান জানাই। যাতে সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় ত্রিপুরাকে একটি আদর্শ রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত’ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ছাত্র সমাজ খুবই উপকৃত হবে। আর এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। এদিন অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান রাখেন মানিক সাহা। বাল্যবিবাহ রোধে এগিয়ে আসতে ছাত্র ও সমাজের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। এই সামাজিক ব্যাধি নিয়েও উদ্বেগ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে রাজ্যের উত্তর ও উনকোটি জেলায় বাল্যবিবাহের প্রবনতা নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী এই সামাজিক ব্যাধি সম্পর্কে ভাবনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আওয়াজ তোলেন।”

Tripura Lok Sabha Elections 2024: ‘এবার আইয়া পড়তাসি’, ১১ আসনেই কড়া নজর! লক্ষ্য স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা: যুবদের ছাড়া দেশ ও রাজ্য শক্তিশালী হবে না এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না। দেশ ও রাজ্যের অন্যতম শক্তি হচ্ছে যুব সম্প্রদায়। তাদের ছাড়া দেশ ও রাজ্য এগিয়ে যাবে না। তারা শক্তিশালী হলে দেশ ও রাজ্য শক্তিশালী হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সবসময় যুব শক্তিকে অগ্রাধিকার দেন। আসন্ন নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী কংগ্রেস সিপিএম ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়। আগরতলায় ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ও রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে এদিন যুব মোর্চার উদ্যোগে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন চত্বর থেকে  মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে প্যারাডাইস চৌমুহনিতে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের খোলা ‘দরজা’ দিয়ে ঢুকে পড়লেন বিজেপি নেতা! এই কেন্দ্র ‘বড়’ সাফল্য শাসক দলের

পরে প্যারাডাইস চৌমুহনিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলেন আমাদের দেশের লোকসংখ্যার ৬৫ শতাংশ হচ্ছে যুব সম্প্রদায়। পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় গেলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে যুব শক্তি। আজকেও ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবরা এসে এই বিশাল সমাবেশে জড়ো হয়েছে। এজন্য আমি খুবই আনন্দিত। ত্রিপুরায় আগে আমরা আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি প্রত্যক্ষ করেছি। আর নির্বাচন আসলে তো কথাই নেই। বিরোধীদের দমিয়ে রাখার জন্য খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করা হত। নির্বাচনের পর অনেকের রাজ্য ছেড়েও পালিয়ে যেতে হত। কিন্তু এখন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। গত বছর ২৮টি প্রদেশের মধ্যে নীচের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে ছিল। আর এখন তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টির নীতির কারণে।

আরও পড়ুন: ইডি হেফাজতেই বড় কাণ্ড ঘটালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল! তুমুল শোরগোল, শুনলে চমকে উঠবেন!

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, সমাজের প্রতিটি মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা শুরু করেছেন। সেই দিশায় রাজ্য সরকারও প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন সমস্ত বেনিফিসিয়ারিদের কাছে জনমুখী প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দিতে হবে। ত্রিপুরা রাজ্যেও বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার প্রচার গাড়ি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেগুলি রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে। মানুষের কাছে মৌলিক সুবিধাগুলি পৌঁছে দিতে কাজ করছে এই সরকার।”

মানিক সাহা বলেন, ”২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরার ইতিহাসে কখনো হয় নি। কোনরকম অঘটন বা গণ্ডগোল ছাড়া এত শান্তিপূর্ন নির্বাচন কখনো হয় নি রাজ্যে। আর সেটাই আমরা করে দেখিয়েছি। এদিন কংগ্রেস ও সিপিএমের অশুভ জোট নিয়ে আবারও তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই তারা প্রচার শুরু করে দেয় যে ‘এবার আইয়া পড়তাসি’ বলে। ২০২৩ নির্বাচনেও সেটা হয়েছে। আমাদের মধ্যেও অনেকে এতে প্রভাবিত হয়েছিলেন। কিন্তু মানুষই ভারতীয় জনতা পার্টিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে। পরবর্তী সময়ে ধনপুর ও বক্সনগর উপনির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। বক্সনগরে ৩০ হাজারের অধিক ভোটে জয়ী হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী। এমনকি বিরোধীদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আমাদের নীতি হচ্ছে সবাইকে নিয়ে চলা।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভারতীয় জনতা পার্টি সঠিক দিশায় চলছে। আগে আমাদের আইপিএফটির সঙ্গে জোট ছিল। আর এখন আমাদের সাথে এসেছে তিপরা মথা। কারণ সবাই বুঝে গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া দেশকে কেউ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। ২০১৪’র আগে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে বড়সর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ ক্রমশ উন্নতির দিশায় এগিয়ে চলছে। তাই আসন্ন নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে।

Manik Saha: ‘মহিলারা এগিয়ে গেলেই দেশ এগোবে…’ উজ্জ্বলা থেকে আবাস নিয়ে প্রচারে গলা চড়ালেন মানিক সাহা

আগরতলা : দেশের অগ্রগতিতে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মহিলারা এগিয়ে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে, উন্নত হবে সমাজ। এতে বিকশিত ভারত গড়ে উঠবে। আগরতলা শিশু উদ্যানে ত্রিপুরা শহরি আজীবিকা মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ২য় রাজ্যভিত্তিক শহরি সমৃদ্ধি উৎসব ২০২৪- এর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড মানিক সাহা রবিবার এমনটাই বলেন।’

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল যখন মানা হত মহিলারা শুধু ঘরের কাজ করবে। সেই চিত্র এখন অতীত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের সরকার মহিলাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট। বর্তমান কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প এবং সুবিধা প্রণয়ন করছে।

আরও পড়ুন: শীতের দু’মাস নয়…! ১২ মাস ফুটবে ফুল! গাছের গোড়ায় ১ গ্লাস ঢেলে দিন এই ‘আশ্চর্য’ তরল! ফুলের সুনামি লেগে যাবে

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ড মানিক সাহা বলেন, “রাজ্যে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বসহায়ক দলগুলির মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে বর্তমানে ৮৩ হাজার ৪২৪ জন ‘লাখপতি দিদি’ হয়েছেন। সরকারি স্টল বিতরণের ক্ষেত্রে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য মহিলা ক্যাটাগরিতে স্ট্যাম্প শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করেছে।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত…! ফুঁসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা…! দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় সোম থেকেই আবহাওয়ার তোলপাড়! ‘শুষ্ক দিন’ ফের কবে? জানিয়ে দিল আলিপুর

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৪ লক্ষ ১০ হাজার সুবিধাভোগীকে সামাজিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় এখন পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৬৩ জনকে বিনামূল্যে এলপিজি গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যে ৪ লক্ষের উপর পাকা আবাস তৈরি করা হয়েছে।

এই সরকার চায় সবার মাথার উপর ছাদ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এর অন্যতম প্রতিফলন স্বসহায়ক দলগুলির উত্তরণ। শহরি সমৃদ্ধি উৎসবে তার প্রতিফলন ঘটেছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড মানিক সাহা এই মেলার আরও সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্বসহায়ক দল ও সুবিধাভোগীদের হাতে ব্যাঙ্ক ঋণের চেক তুলে দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

Tripura BJP: বাম আমলের কেলেঙ্কারি ইস্যুতে প্রচারে নামছে ত্রিপুরা বিজেপি, কটাক্ষ শানাচ্ছেন মানিক সাহা

আগরতলা: লোকসভা ভোটের দিন এগিয়ে আসতেই, বিগত সরকারের কেলেঙ্কারির সমালোচনায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। ত্রিপুরা জুড়ে এই ইস্যুতে জোরদার প্রচারে নামছে বিজেপি শিবির৷  মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মানিক সাহা  রাজ্যের পাশাপাশি দেশে বড় আকারের কেলেঙ্কারির জন্য পূর্ববর্তী সরকারগুলির কঠোর সমালোচনা করেছেন৷

রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ৪ নং বুথ -এর কার্যকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কী বাত-এর ১০৯তম পর্ব শোনার পর ড. সাহা বলেন ‘আপনারা মন কী বাত’ এর পর্ব শুনেছেন। আমিও এই রাজ্যে সাধারণ জনগনের সঙ্গে রামনগরে মন কী বাত শুনেছি। প্রদেশ বিজেপির অনেক নেতৃত্ব এখানে আছেন। আমি লক্ষ্য করেছি অনেকেই  উৎসাহের সঙ্গে মোদিজির ‘মন কী বাত’ শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিজি দেশে নারী ক্ষমতায়ন ও ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া বিপুল সংখ্যক মহিলাদের প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও তিনি অনেক মহিলা ক্রীড়াবিদদের অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত করা এবং পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের কথা বলেছেন। এটি একটি স্পষ্ট বার্তা যে সমাজের জন্য কাজ করবে সে অবশ্যই এই দেশ থেকে প্রশংসা পাবে। “

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং  এখন দেশে সবকিছুতেই স্বচ্ছতা রয়েছে। ড.সাহা আরও যোগ করেন  “আগে, আমরা কেন্দ্রে এবং রাজ্যেও একের পর এক  কেলেঙ্কারির সরকার দেখেছি। কেলেঙ্কারি তাদের ডিএনএতে ছিল। ২০১৪ এর পরে, যখন নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হন, তখন রাজনীতির অর্থ পাল্টে যায়। সবকিছু স্বচ্ছ হয়ে যায়। জনগনের সুবিধার জন্য তিনি অনেক প্রকল্প চালু করেছেন।”

প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের প্রচারে নেমে বাম আমলের কেলেঙ্কারি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি৷ এমনকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জোরদার প্রচার অবধি করেছে৷ এবার লোকসভার আগেও এই ইস্যুতে প্রচার শুরু করছে বিজেপি।

Tripura Municipal Election: কার ভোট কে দিচ্ছে! ত্রিপুরায় অবাধ ছাপ্পার ভিডিও প্রকাশ্য, কড়া সুপ্রিম কোর্টও

#আগরতলা: তৃণমূলের নিশানায় ত্রিপুরা। বিজেপি-র অবশ্য কটাক্ষ, বাংলার বাইরে অস্তিত্বই নেই তৃণমূলের। এমনই এক পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় পুরভোট (Tripura Municipal Election) হচ্ছে। আর তাতেই শাসক বিজেপি কাঠগড়ায় উঠে চলেছে সকাল থেকে। বিরোধী প্রার্থীদের মারধর, ভোট লুঠ সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল, সিপিএম সহ সব বিরোধীরা। এরই মধ্যে আগরতলার একটি বুথের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিও-র মাধ্যমে তৃণমূলের অভিযোগ, আগরতলার একটি ওয়ার্ডের বুথে রিগিং এবং ছাপ্পাভোট চালাচ্ছে বিজেপি।

ত্রিপুরা তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয়েছে ওই ভিডিয়োটি। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, ভিডিয়োটি আগরতলার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক বয়স্ক মহিলা ভোট দেওয়ার জন্য ইভিএম মেশিনের কাছে গেলেন। কিন্তু মুখে মাস্ক, কালো জামা পরা এক যুবক এগিয়ে গিয়ে উল্টো দিক থেকে হাত বাড়িয়ে ইভিএম মেশিনের বোতাম টিপে দিলেন।

ওই বৃদ্ধা কিছু না বলেই এরপর বেরিয়ে চলে যান। এর পর আর ব্যক্তি ভোট দেওয়ার সময়ও ওই যুবকটি এসেছিলেন ইভিএমের কাছে। তখন ওই ব্যক্তি বলেন, ”আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে আমি ভোট দেব কী করে?” শুধু তৃণমূল নয়, ‘সিপিএম ত্রিপুরা’ টুইটার হ্যান্ডল থেকেও এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এক ট্যুইটেই ‘সব’ বুঝিয়ে দিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী! মমতা-সাক্ষাতের পরই বিরাট পদক্ষেপ

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে ত্রিপুরা মামলার শুনানিতে তৃণমূলের তরফে একাধিক হিংসার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিপিএমের তরফেও মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে শুনানি চলছে। অতিরিক্ত দু-কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সম্মত হওয়ায় তা মোতায়েন হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিনের শুনানিতে উপস্থিত রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘এটা প্রমাণ সাপেক্ষ’, মমতার ‘মাস্টারস্ট্রোকে’ এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না দিলীপ ঘোষের!

আদালতের নির্দেশ, ৭৭০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করুক ত্রিপুরা সরকার। আরও দু-কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হোক সেখানে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র, ইভিএম এবং ভোট গণনা কেন্দ্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।