ভারত – ১৯৫/৬ (৪৭.৪ ওভার)
৪ উইকেটে জয়ী ভারত
#অ্যান্টিগা: ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে ভারতের যে খুব অসুবিধা হবে না সেটা জানাই ছিল। অঙ্গক্রিশ রঘুবংশী দ্বিতীয় বলেই ফিরে গেলেন খাতা না খুলে। ভারতকে ধাক্কা দিলেন বয়ডেন। এরপর অবশ্য হারনুর এবং শাইক রশিদ খেলাটা ধরে ফেললেন। হারনুর (২১) করে ফিরে গেলেন। তারপর রশিদ এবং অধিনায়ক ইয়াশ ধুল মিলে মসৃণ গতিতে এগোচ্ছিলেন। অর্ধশত রান পূর্ণ করার পর রশিদ হঠাৎ তুলে মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন। এক ওভার পরেই ফিরে গেলেন অধিনায়ক ইয়াশ (১৭) পুল করতে গিয়ে। দুটো উইকেটই নিলেন সেলস।
৯৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে হঠাৎ করেই যেন একটু চাপে পড়ে গেল ভারত। কিন্তু এরপর দুই বাহাতি রাজ বাওয়া এবং নিশনন্ত সিন্ধু মিলে কিছুটা থিতু হলেন। স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। রাজ ৩৫ করে আউট হলেন।দু’জনের ৬৭ রানের পার্টনারশিপ ভারতের পায়ের তলার মাটি শক্ত করল। টাম্বে ১ করে ফিরলেও দীনেশ বানা দুটি ছক্কা মেরে ভারতকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
Undefeated India are under-19 World Champions once again ? #U19CWC
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) February 5, 2022
২০০০ সালে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ভারত। এরপর ২০০৮, ২০১২ ও ২০১৮ সালে সেই ধারা বজায় রাখে ‘মেন ইন ব্লু’। শেষ ন’টি বিশ্বকাপের মধ্যে সাতবার ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত।
এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র দলের সাপ্লাই লাইন কতটা মজবুত। চলতি বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন অধিনায়ক ইয়াশ ধুল, শাইক রশিদ, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর, রবি কুমার, ভিকি অসওয়াল। করোনার জেরে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেই একাধিক ক্রিকেটারকে ছাড়াই খেলতে হয়েছিল ভারতকে। তবে তাতে দলের পারফরম্যান্সে খুব একটা পার্থক্য ঘটেনি।
গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ জিতে নক-আউটের টিকিট নিশ্চিত করে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। কোয়ার্টার-ফাইনালে বাংলাদেশ ও শেষ চারের লড়াইয়ে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দাপটে জিতে ফাইনালে পৌঁছয় ভারত। শেষ পর্যন্ত আজ আবার চ্যাম্পিয়ন ভারত।
পৃথ্বী শ র হাত ধরে নিউজিল্যান্ডের পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বজয়। ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন পেল। তরুণ তুর্কিদের হাত ধরে উড়ল তেরঙ্গা। আর একবার জয় হো ! অপরাজেয় থেকে চ্যাম্পিয়ন। দাপটের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন। যোগ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েই দেশে ফিরবেন ইয়াশ, রশিদ, সিন্ধু, রাজবর্ধন, রবি কুমার।