KKR vs PBKS, 1st innings : উমেশ, সাউদিদের পেস দাপটে পঞ্জাব কিংসকে কম রানে আটকাল নাইট রাইডার্স

পঞ্জাব কিংস –  ১৩৭ রান ১৮.২ ওভারে

#মুম্বই: টস জিতে যখন বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার, তখনই মনে হয়েছিল পঞ্জাব কিংসের ওপর আজ শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করতে পারবে শাহরুখ খানের দল। উমেশ যাদব প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন অধিনায়ক ময়ঙ্ক আগারওয়ালকে। সুইং হওয়া বলে এলবিডব্লিউ হলেন পঞ্জাব অধিনায়ক। এরপর অবশ্য কেকেআরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ভানুকা রাজাপক্ষ।

শিভম মাভিকে একটি ওভারে তিনটি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি মারলেন। ওই ওভারেই অবশ্য মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সাউদির হাতে। নয় বলে ৩১ করে আউট হলেন তিনি। এরপর শিখর ধাওয়ান (১৬) ফিরে গেলেন সাউদির বলে উইকেট রক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। পাওয়ার প্লের শেষে পঞ্জাবের রান ছিল ৬২-৩। লিয়াম লিভিংস্টোন (১৯) কিছুটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে উমেশ যাদবের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সাউদির হাতে ক্যাচ দিলেন।

অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা রাজ বাওয়া ১১ করে বোল্ড হলেন সুনীল নারিনের বলে। ১০ ওভারের শেষে পাঞ্জাবের রান ছিল ৮৫/৫। ব্যর্থ শাহরুখ খান। খাতা না খুলেই সাউদির বলে রানার হাতে ধরা পড়লেন। এদিন টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট হয়ে গেল কিউই পেস তারকার। বলের গতি কিভাবে হেরফের ঘটাতে হয় তার আদর্শ উদাহরণ সাউদি।

মাত্র একটি উইকেট পেলেও দুরন্ত বল করলেন সুনীল নারিন। চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দিলেন। নিজের শেষ ওভারে হরপ্রীত ব্রারকে বোল্ড করে তিনটি উইকেট নেন উমেশ যাদব। ওই ওভারেই আউট করলেন রাহুল চাহ্যারকে। হল চার উইকেট। প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন উমেশ। সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি ফুরিয়ে যাননি এই বার্তা দিচ্ছেন নির্বাচকদের।

শেষদিকে ফাস্ট বোলার রাবাডা বেশ কিছু আক্রমনাত্মক শট খেললেন। ওডিন স্মিথ ছক্কা হাঁকালেন। রাবাডা (২৫) ফিরে গেলেন রাসেলের বলে। দুরন্ত ক্যাচ দিলেন সাউদি। রান আউট’ হলেন আর্শদীপ। পাঞ্জাব কিংস অলআউট হয়ে গেল ১৩৭ রানে ১৮.২ ওভারে।