Tag Archives: IPL 2022

মাগো ওঁরা সব মাতাল! চাহাল -নেহারা এ কী করছেন, ফ্যানরা করে দিলেন ভাইরাল ভিডিও

#আহমেদাবাদ: আইপিএল ২০২২-এ গুজরাত টাইটান্স গত মাসে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে নিজেদের অভিষেক মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফাইনালে বাইশ গজের লড়াই হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস বনাম গুজরাত টাইটান্সের৷  কিন্তু ম্যাচের পর রয়্যালস লেগ-স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং গুজরাত টাইটান্সের কোচ আশিস নেহরাকে পার্টির পরে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল৷ এই অবধিও কোনও অসুবিধা ছিল না৷ কিন্তু দুজনেই নাকি এই সময় মাতাল ছিলেন৷ ফ্যানরা নিজেদের ফোনে তারকাদের ছবি বন্দী করছিল তখন  ফ্যানদের মনে হয়  দু’জনেই ‘মাতাল’ ছিল কি!

রয়্যালস ফাইনালে হারলেও যুজবেন্দ্র চাহাল টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে পার্পল ক্যাপ জিতেছিলেন। তবে সে সময়ের একটি ভাইরাল ভিডিও হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে৷  যেখানে যুজবেন্দ্র চাহাল এবং আশিস নেহরাকে একটি হাস্যকর কথোপকথনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। ভিডিওতে, দেখা যাচ্ছে গুজরাতের কোচ নেহরা চাহালকে তাঁর সঙ্গে বাসে উঠতে অনুরোধ করছেন কিন্তু রাজস্থান রয়্যালস লেগি স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে যাওয়ার জন্য জোর দিচ্ছেন৷

তাঁদের কথোপকথন খানিকটা এরকম ছিল…

“আবে তু ইধার বাস মে আ (আরে তুই আমার সঙ্গে এদিকে বাসে আয়)”, নেহরা এই কথা চাহালকে বলেছিলেন। এর উত্তরে চাহাল জবাব দেন, “বাস মে না জানা মুঝে (আমি বাসে যেতে চাই না।”)

“বিবি কো কাঁহা  ছোর দু – (কীভাবে বউকে ছেড়ে দিই)”,  কারণ হিসেবে তারকা লেগ-স্পিনার  কারণও জানিয়েছিলেন।

এরপর  প্রাক্তন ভারতীয় পেসার উত্তর দিয়েছিলেন, “বিবি ভি আয়েগি হামারে সাথ বাস মে (বউও আমাদের সঙ্গে বাসে আসবেন)।”
এখানে যুজবেন্দ্র চাহাল এবং আশিস নেহরার ভাইরাল ভিডিও দেখুন…

এই ভিডিওকে একেবারেই সাদা চোখে দেখছেন না ফ্যানরা৷ ভক্তদের মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাবিত হয়েছ৷ কেউ জিজ্ঞাসা করছেন এই জুটি মাতাল কিনা। কারোর মন্তব্য ছিল, “দোনো (দুজনেই) ফুল টাইট”, “ওরা মাতাল”, “যুজি হাই”, “যুজি মাতাল”, “চাহাল অন্যরকম লাগছে, নাশে মে হ্যায় কেয়া ভাই ! “

আইপিএল ২০২২ এ চাহাল ৭.৭৫ ইকোনমিতে ৫/৪০ এর সেরা বোলিং পরিসংখ্যান সহ ১৭ ম্যাচে ২৭ উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন, যেটি তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে করেছিলেন। ৩১ বছর বয়সী যুজবেন্দ্র চাহাল এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে  আশিস নেহরার সঙ্গে কাজ করেছেন।

লেগ-স্পিনার এখন ভারতীয় টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের অংশ যা বৃহস্পতিবার ৯ জুন দিল্লিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেছেন৷

Gujarat Titans celebration : হুডখোলা বাসে শহর পরিক্রমা হার্দিকদের ! আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গুজরাত আনন্দে আত্মহারা

#আমেদাবাদ: দুপুরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিকেলের দিকে শহর পরিক্রমায় বের হবে গুজরাত টাইটানস দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নিজেদের প্রিয় দলকে ভালোবাসায় মুড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন গুজরাতবাসী। দেশের ক্রিকেটের সেরা মঞ্চে রাজার মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে যে কাজটা ভাবনার অতীত ছিল। কিন্তু সাহস এবং পরিশ্রমে সেটাই করে দেখিয়েছে গুজরাত।

প্রথম বার আইপিএল খেলেই চ্যাম্পিয়ন। হার্দিক পান্ডিয়া সহ গুজরাত টাইটান্সের ক্রিকেটারদের নিয়ে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে আমদাবাদের। গোটা গুজরাতেই হার্দিকরা বীরের সম্মান পাচ্ছেন। সংবর্ধনা, রোড-শো সব মিলিয়ে একটা অন্যরকম দিন কাটালেন গুজরাতের ক্রিকেটাররা। হার্দিকদের সাফল্যে খুশি গুজরাত সরকারও।

সোমবার গোটা দলকে সংবর্ধনা দিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। অধিনায়ক হার্দিকের হাতে একটি স্মারক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সব ক্রিকেটারের জন্য ছিল উত্তরীয়। গুজরাতের ক্রিকেটারদের সই করা একটি ব্যাট উপহার হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রর হাতে তুলে দেন গুজরাত অধিনায়ক।

গুজরাত সরকারের সংবর্ধনার পর আইপিএল ট্রফি নিয়ে এক ঘণ্টার বেশি সময় আমদাবাদ শহর পরিক্রমা করলেন হার্দিকরা। হুড খোলা বাসে আইপিএল ট্রফি এবং হার্দিকদের দেখতে রাস্তার ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। ঠিক ছিল এক ঘণ্টা হুড খোলা বাসে শহর পরিক্রমা করবেন হার্দিকরা। কিন্তু অসংখ্য মানুষের ভিড়ে কোনও কোনও জায়গায় বাস এগোতেই পারছিল না।

ক্রিকেটারদের ঘিরে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। সাধারণের উন্মাদনায় বিহ্বল গুজরাতের ক্রিকেটাররাও। বাসের উপর থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে জার্সিও ছুড়ে দেন তাঁরা। ঋদ্ধিমান সাহা, শুভমন গিলরা শহর পরিক্রমার ভিডিয়ো নেট মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে।

আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটিও ভাগ করে নিয়েছে ভিডিয়ো। গুজরাতের সাধারণ মানুষ যেভাবে স্বাগত জানিয়েছেন, তাতে অভিভূত ক্রিকেটাররা। রোড শো চলাকালীন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হার্দিক পান্ডিয়া আগেই জানিয়েছিলেন তাদের এই চ্যাম্পিয়ন হওয়া গুজরাত রাজ্য থেকে আরো ছেলেকে মটিভেট করবে ক্রিকেট খেলার জন্য।

Hardik Pandya, World Cup : আইপিএল জিতে রোমাঞ্চিত হই না আর! ভারতের জার্সিতে বিশ্বকাপ চাই হার্দিকের

#আমেদাবাদ: আইপিএলে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব পেয়ে প্রথম আসরেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে এসেই বাজিমাত করলো গুজরাট টাইটান্স। সবমিলিয়ে পান্ডিয়ার এটি পঞ্চম আইপিএল শিরোপা। পাঁচবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন পান্ডিয়া। এবারের আসরের ফাইনালে তিনিই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

আরও পড়ুন – Virat Kohli, Anushka : অনুষ্কার পছন্দের পেস্ট্রি কিনতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়েছিলেন বিরাট! জানুন অজানা গল্প

প্রথমে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানে ৩ উইকেট। পরে গুরুত্বপূর্ণ সময় খেলেছেন ৩৪ রানের কার্যকরী ইনিংস। এত কিছুর পরও পান্ডিয়ার লক্ষ্য অর্জন হয়ে যায়নি। আইপিএলের শিরোপা উল্লাসের মাঝেই জানিয়েছেন, তার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জয়। তাই আইপিএল শিরোপা যতবারই জেতেন না কেন, যেকোনো মূল্যে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাতে চান এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

আইপিএলের ফাইনাল শেষে পান্ডিয়া বলেছেন, আমার লক্ষ্য হলো ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা, যেভাবেই হোক। এজন্য আমার যা করা প্রয়োজন সব করতে রাজি আছি। সবসময়ই আমি নিজের দলকে আগে রাখতে বিশ্বাসী। আমার জন্য লক্ষ্য তাই সাধারণ- দল যেনো আমার পুরোটা পায়। তিনি আরও যোগ করেন, ভারতের হয়ে খেলাই স্বপ্নপূরণের মতো, কয়টি ম্যাচ খেললাম সেটি বড় বিষয় নয়। দেশের প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় আনন্দের।

যে ভালোবাসা ও সমর্থন পাই আমি, সবই ভারতীয় দলের কারণে। আমি যেকোনো মূল্যে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চাই।ভারতের হয়ে তিনটি বৈশ্বিক আসরে শিরোপার খুব কাছে গিয়েছিলেন পান্ডিয়া। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সেমিফাইনালে, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে ও ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের।

Hardik Pandya, IPL final : বল হাতে তুলে নিলেন বাটলার, সঞ্জুর উইকেট! ফাইনালে হার্দিক পুরো আগুন

#আমেদাবাদ: এই মঞ্চটা যেন তৈরি ছিল তার জন্য। আমেদাবাদের খেলা আইপিএল ফাইনাল। গুজরাত টাইটানস অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে এর থেকে বড় প্ল্যাটফর্ম অন্য কিছু হতে পারত না। টস ভাগ্য এদিন তার সঙ্গে ছিল না। কিন্তু তাতে কি? আজ জবাব দেওয়ার জায়গা ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার। গোটা টুর্নামেন্টে তিনি পারফর্ম করে এসেছেন।

আরও পড়ুন – IPL closing ceremony : সুপারহিট শো! আইপিএল সমাপ্তি অনুষ্ঠান মাতিয়ে দিলেন রণবীর, রহমান!

ফাইনালে রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন এবং টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে বল হাতে ফিরিয়ে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সঞ্জুকে পরাস্ত করলেন পেস দিয়ে। বাটলারকে বোকা বানালেন লেট সুইংয়ে। শুধু দুটো উইকেট নেওয়া নয়। বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব করলেন হার্দিক।

বোলিং থেকে ফিল্ডিং পরিবর্তন করলেন নিখুঁত পরিস্থিতি যাচাই করে। ম্যাচে কখনই রাজস্থানকে দাপট দেখাতে দিলেন না। যারা একটা সময় তার ফিটনেস, অস্ত্রোপচার, অল রাউন্ডদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাদের আবার জবাব দিলেন হার্দিক। গুজরাত টাইটানস রান তাড়া করে জেতার ব্যাপারে পারদর্শী। ফাইনালে অঘটন না ঘটলে গুজরাতের চ্যাম্পিয়ন হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।

এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার পুনর্জন্ম ঘটাল। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাসঙ্গিকতায় তিনি ফুরিয়ে যাননি বোঝা গেল। বরং প্রবলভাবে ফিরে আসেন সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। যখন মনে হচ্ছিল দুটো উইকেট নিয়ে শেষ হবে হার্দিকের স্পেল, ঠিক তখন আবার চমক।

থ্রি কোয়ার্টার লেন্থ বলে তুলে নিলেন হেটমায়ারকে (১১)। কট অ্যান্ড বোল্ড করলেন। বল হাতে রশিদ খান এদিন নিজের নামের প্রতি সেভাবে সুবিচার করতে না পারলেও তাকে সারাক্ষণ মোটিভেট করে গেলেন হার্দিক। একটা সময় বখাটে, বিতর্কিত ক্রিকেটার আজ দায়িত্ববান অধিনায়ক।

তার মধ্যে একটা দুর্দান্ত অধিনায়ক সত্তা লুকিয়ে আছে কে জানত? তিনি বোলিং করতে পারবেন কিনা সন্দেহ ছিল। এই টুর্নামেন্টের পর যাবতীয় জবাব দিয়ে দিয়েছেন গুজরাত অধিনায়ক।

IPL closing ceremony : সুপারহিট শো! আইপিএল সমাপ্তি অনুষ্ঠান মাতিয়ে দিলেন রণবীর, রহমান!

#আমেদাবাদ: অনুষ্ঠান যে জাঁকজমকপূর্ণ হবে সেটা জানাই ছিল। কিন্তু যতটা ভাবা গিয়েছিল তার থেকেও বেশি জাঁকজমক হল ১৫ তম আইপিএলের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। সবরমতী নদীর ধারে বিশ্বের সবথেকে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত একটা অনুভুতির সাক্ষী থাকলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ১ লাখ ১৩ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন স্টেডিয়ামে। যেন স্বপ্নের সম্মোহন। প্রধান দুই পারফর্মার রণবীর সিং এবং এ আর রহমান মঞ্চ মাতিয়ে দিলেন।

রণবীর একের পর এক তার সিনেমার গানে পারফর্ম করলেন শামোক ডাবরের গ্রুপের সঙ্গে। কখনো রুপোলী ব্লেজার, কখনো নীল, হলুদ বা লাল। ভারতবর্ষের সিনেমার আধুনিক যুগের সুপারস্টার মন কেড়ে নিলেন। শুরু হল কপিল দেবের সিনেমার গান দিয়ে। ইন্ডিয়া জিতেগা। তারপর ব্যান্ড বাজা বারাত, গুন্ডে, তুনে মারি এন্ট্রি গান মাতিয়ে দিল দর্শকদের।

গুজরাতি পোশাকে রানবির যেন আরও এনার্জি নিয়ে পারফর্ম করলেন। ছিল রাজস্থানের ঘুমোর গানের সঙ্গে পারফরম্যান্স। চেন্নাইয়ের ভাতি কামিং, বাজিরাও মাস্তানি সিনেমার গান – কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলা যায়? এরপর শুরু করলেন মিউজিক মায়েস্ত্র এ আর রহমান। মা তুঝে সালাম, জয় হো, সাড্ডা হক – বিখ্যাত সব গানের সঙ্গে পারফর্ম করলেন তিনি।

ছিলেন আধুনিক যুগের তরুণ গায়িকা নীতি মোহন। গ্যালারিতে ভিআইপি বক্সে তখন বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন সচিব জয় শাহ, অমিত শাহের স্ত্রী। কয়েকদিন পর মুক্তি পেতে চলেছে অক্ষয় কুমারের পৃথ্বীরাজ চৌহান। উপস্থিত ছিলেন অক্ষয় এবং নায়িকা মানুষী চিল্লার।

দেখানো হল সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কেমন করে বিবর্তন এসেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। বিজয় মার্চেন্ট, মনসুর আলী খান পতৌদি, অজিত ওয়াদেকার থেকে শুরু করে সুনীল গাভাসকার, রবি শাস্ত্রী, কপিল দেব হয়ে সচিন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ধোনি।

এখনকার সময়ের রোহিত শর্মা বিরাট কোহলি দিয়ে শেষ। ১৩০ কোটির দেশে ক্রিকেট যে একটা ধর্মের নাম সেটা আবার প্রমাণিত। রণবীর সিং ডাগ আউটে দাঁড়ানো ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। মাঠে আবেগের বিস্ফোরণ। সব মিলিয়ে এই বর্ণনা লেখার মাধ্যমে জানানো সম্ভব নয়।

Sachin Tendulkar, IPL Final : আইপিএল ফাইনালে সচিন বাজি ধরলেন এই ক্রিকেটারের ওপর! নাম শুনলে চমকে যাবেন

#আমেদাবাদ: বাড়িতে বসে মন দিয়ে আইপিএলের বেশিরভাগ ম্যাচ দেখার চেষ্টা করেন সচিন তেন্ডুলকর। নিজে ক্রিকেট ছেড়ে দিলেও, ক্রিকেট তাকে ছাড়েনি। ক্রিকেটের ঈশ্বর ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন আইপিএল ফাইনাল নিয়ে। সচিন তেন্ডুলকর মনে করেন আইপিএল ফাইনালে আজ পার্থক্য করে দেবেন রাজস্থান রয়েলস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন।

আরও পড়ুন – Rohit Sharma, Real Madrid : ইউরোপ সেরা হওয়ার পর রোহিত শর্মাকে মাদ্রিদে আহ্বান রিয়েলের! কারণটা জানেন নাকি?

সচিন আগেও বহুবার জানিয়েছেন সঞ্জু এমন একজন ব্যাটসম্যান যার হাতে দুর্ধর্ষ শট আছে। বিগ হিটার। কিন্তু মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে একটা দলের অধিনায়ক হিসেবে আরো বেশি দায়িত্ববান হওয়া উচিত সঞ্জুর। সচিন জানিয়েছেন তার মন বলছে আইপিএল ফাইনালে সঞ্জু অসাধারণ একটা ইনিংস খেলবেন।

এমনিতে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে রাখার প্রয়োজন মনে করেননি জাতীয় নির্বাচকরা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সঞ্জুর জন্য দরজা বন্ধ এমনটা মনে করার কারণ নেই। তাই বড় মঞ্চে তিনি জ্বলে ওঠার চেষ্টা করবেন।

আইপিএল কোয়ালিফায়ার টু-তে গত শুক্রবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের ও এলিমিনেটর জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর । আরসিবি-র ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান ১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেট ম্যাচ জিতে ফাইনালে চলে যায়। জস বাটলারের ৬০ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের রাজকীয় ইনিংস খেলেন। এদিন তিনে ব্যাট করতে নেমে রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান।

হাসারঙ্গা ডি সিলভার বলে সঞ্জুকে স্টাম্প করে দেন দীনেশ কার্তিক। স্যামসনের আউট হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সচিন তেন্ডুলকর। কিংবদন্তি ক্রিকেটার তাঁর ইউটিউব চ্য়ানেলে বলেন, সঞ্জু কয়েকটি দারুণ শট খেলে আউট হয়ে গেল। কিন্তু যেভাবে ও হাসারঙ্গার বলে আউট হল, যদি ভুল না করি এই নিয়ে ছ’বার এরকম ভুল করল।

অহেতুক শট খেলে আউট হল সঞ্জু। ও এরকম শট এড়াতেই পারত। খেলা অনেক আগে শেষ করতে পারত। যদিও সঞ্জুর আউটে কোনও প্রভাব পড়েনি রাজস্থানের। কারণ বাটলার শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ বার করে আনেন। তবে আজ ফাইনালে সচিন খুশি হবেন যদি বাটলার আবার সেঞ্চুরি করতে পারেন। তবে দল হিসেবে গুজরাতকে এগিয়ে রাখছেন মাস্টার ব্লাস্টার।

Jos Buttler vs Rashid Khan : আইপিএল ফাইনালে আজ `খুনে’ বাটলারকে থামাতে গুজরাতের সেরা বাজি রশিদ খান

#আমেদাবাদ: কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে কয়েকদিন আগে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলায় রাজস্থান রয়্যালস হেরে গিয়েছিল গুজরাতের কাছে। সেভাবে কেউ বড় রান না পেলেও দেখিয়ে দিয়েছিলেন জস বাটলার। ক্রিকেটের নন্দনকানন দেখেছিল তার অনবদ্য ব্যাটিং। ৮৯ রানের ইনিংস লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল রাজস্থানকে। কিন্তু বোলিং ব্যর্থতার জন্য সেদিন জয় আসেনি রাজস্থানের।

আজ কয়েকটা দিন পর আবার সেই ম্যাচ। দুই প্রতিবেশী রাজ্য মুখোমুখি আইপিএল ফাইনালে। ক্রিকেটার এবং পণ্ডিতদের অনুসারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে কিছুটা হলেও এগিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত। কিন্তু রাজস্থান দলে রয়েছেন জস বাটলার। এবারের আইপিএলে যিনি সর্বোচ্চ স্কোরার। ৮০০ র বেশি রান করে বসে আছেন।

বিরাট কোহলির আরসিবিকে একাই শেষ করে দিয়েছিলেন শেষ ম্যাচে। আধুনিক সাদা বলের ক্রিকেট পৃথিবীর অন্যতম ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান এই বাটলার। কাজ থাকে আটকাতে মরিয়া থাকবে গুজরাত সেটা জানা কথা। আমেদাবাদে ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকদের সামনে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া হার্দিক পান্ডিয়ার দল। জস বাটলারকে তাড়াতাড়ি আউট করতে না পারলে সেই সম্ভাবনা ধাক্কা খেতে পারে।

তাই গুজরাত শিবিরে এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। ইংরেজ ব্যাটসম্যান বাটলার রুদ্র মূর্তি ধারণ করলে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত দিশেহারা হয়ে পড়বে। তাকে থামানোর সেরা বাজি হতে পারেন রশিদ খান। আফগান লেগ স্পিনার জানেন বাটলার কোথায় দুর্বল। ফাস্ট বোলিং তিনি যতটা উপভোগ করেন, স্পিন ততটা নয়।

তাই আজ বাটলারকে আউট করতে প্রথমেই রশিদ খানের হাতি বল তুলে দিলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। ফ্লাইট এবং লুপে তাকে বোকা বানানোর ফাঁদ পাতবেন রশিদ। কিন্তু যদি ভাগ্যের সহায়তা পান বাটলার তাহলে গুজরাতের যাবতীয় প্ল্যানিং ভেস্তে যেতে পারে।

একবার ছন্দ পেয়ে গেলে তাকে আটকানো মুশকিল। তাই আজ ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য বাটলার বনাম রশিদ লড়াইটা উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে।

Hardik Pandya, IPL : ‘হার্দিক পান্ডিয়ার নাম থাকলে খবর ভাল বিক্রি হয় বাজারে’, গুজরাত ক্যাপ্টেনের চাপা অভিমান

#আমেদাবাদ: সমালোচনা, অস্ত্রোপচার, যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা – অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছিল বিগত কয়েকটা মাসে। জবাব দেওয়ার জন্য আইপিএলের মঞ্চ ছাড়া আর কিছু ছিল না সামনে। আইপিএলের হাত ধরেই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করলেন হার্দিকক। আইপিএল অভিষেককারী দল গুজরাত টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়ে সবার আগে আইপিএল প্লে-অফেই নিয়ে গেলেন না, টিমকে তুললেন ফাইনালেও।

আরও পড়ুন – Champions League Final : ফুটবলের বড় ভক্ত নাকি? তাহলে আজ রাতে ঘড়িতে অবশ্যই অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন

পনেরোতম আইপিএলে কি হার্দিক বল করবেন গুজরাতের জার্সিতে? এটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। হার্দিক বল করলেন এবং করছেনও। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি। গত মঙ্গলবার আইপিএল কোয়ালিফায়ার ওয়ানে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাত টাইটান্সও রাজস্থান রয়্যালস।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত মহারণে জ্বলে ওঠেন পাণ্ডিয়া। ঠান্ডা মাথায় ফিনিশারের ভূমিকা পালন করলেন তিনি। ২৭ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন বরোদার ক্রিকেটার। মিলারের সঙ্গে করলেন ১০৬ রানের যুগলবন্দি। ম্যাচের পর সমালোচকদের একহাত নিলেন হার্দিক।

তিনি বললেন, লোগো কা তো কাম হ্যায় কেহনা। কেয়া করু স্যার। হার্দিক পাণ্ডিয়াকে সাথ থোরা নিউজ বিকতা হ্যায়। মুঝে কোই প্রবলেম নেহি হ্য়ায়। হাসি কে সাথ নিকাল দেতা হু। বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, লোকের কাজই কথা বলা। কী করব স্যার? হার্দিক পাণ্ডিয়া থাকলে খবর বিক্রি হয়। আমার কোনও সমস্যা নেই। হেসে উড়িয়ে দিই।

পাণ্ডিয়া দলকে খেতাব জেতাতে যে বদ্ধপরিকর, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। চলতি বছরের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে যাবে ভারত। চলতি আইপিএলে টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হার্দিক পাণ্ডিয়ার প্রত্যাবর্তন।

এই নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। বিগত কয়েক মাসে যেন এক নতুন হার্দিককে দেখল বাইশ গজ। ফাইনালে নিজেদের ঘরের মাঠে খেলবে গুজরাত। সামনে বাটলারের রাজস্থান। ইতিহাস তৈরি করার সামনে হার্দিক।

Jos Buttler, IPL : পাঁচটা শতরান লক্ষ্য বাটলারের! ফাইনালে ফের ঝড় তুলতে চান ইংরেজ তারকা

#আমেদাবাদ: তিনি নিজের ছন্দে থাকলে কি করতে পারেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এবারের আইপিএলে। কিন্তু চারটে সেঞ্চুরি করে সন্তুষ্ট নন জস বাটলার। পঞ্চম সেঞ্চুরি করতে চান ইংরেজ তারকা। ফাইনালে যদি সেঞ্চুরি করতে পারেন এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন, তবেই পরিশ্রমের মূল্য পাবেন মনে করেন তিনি। যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেবে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাতের।

আইপিএল শুরুর আগে নিলামে তাঁকে ধরে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা বড় ছিল, সেটা প্রতি ম্যাচেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন জস বাটলার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাঁর দুরন্ত শতরানের জেরেই ফাইনালে উঠে গেল রাজস্থান। এবারের আইপিএলে চারটি শতরান করে ফেললেন বাটলার। ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলীকে। রানের বিচারেও যেখানে রয়েছেন, সেখানে অন্য কারওর তাঁকে ছোঁয়া কার্যত অসম্ভব।

ফলে কমলা টুপিও প্রায় নিশ্চিত তাঁর। ফাইনালে উঠে বাটলারের মুখেও প্রয়াত শেন ওয়ার্নের কথা, যাঁর অধীনে প্রথম বার ফাইনালে উঠেছিল রাজস্থান। বাটলার বললেন, রাজস্থানে শেন ওয়ার্নের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। প্রথম মরসুমেই আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। ফাইনালে ওকে প্রচণ্ড মিস করব। কিন্তু এটাও জানি, ওয়ার্ন নিশ্চয়ই উপর থেকে আমাদের দেখছে।

নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে বাটলার জানালেন, মরসুমটা যে এ রকম যেতে পারে, সেটা ভাবতেই পারেননি। ম্যাচের পর বললেন, এই মরসুমে খুবই কম প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। তবে হ্যাঁ, শক্তি ছিল অনেক। আজ ফাইনালে উঠতে পেরে মনে হচ্ছে, ভালই খেলেছি। এই মরসুমটা দুটো অর্ধে ভাগ করতে চাই।

একটা ভাল গিয়েছে। এখন খারাপ। আমার কাছের মানুষ যারা, সেই কুমার সঙ্গকারা এবং ট্রেভর পেনির সঙ্গে খোলামনে অনেক কথা বলতে পেরেছি। কেন কথা বলতে হল এই দু’জনের সঙ্গে? বাটলারের ব্যাখ্যা, মরসুমে মাঝপথে এসে আচমকাই চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।

মনঃসংযোগ বিক্ষিপ্ত হচ্ছিল। সপ্তাহখানেক আগে এই দু’জনের সঙ্গে কথা বলি। সত্যি বলতে, কলকাতায় যাওয়ার আগে অনেক খোলামনে গিয়েছিলাম। ওই দিনের ম্যাচে যে আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পাই, সেটাই আমাদের সাহায্য করেছে।

Ravi Ashwin, IPL : আজ বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে অতীত অপমানের বদলা নিতে মরিয়া অশ্বিন

#আমেদাবাদ: যদিও অনেকে বলতে পারেন মন থেকে বানানো কথা। কিন্তু মনের কথা মুখে না বললেও আসলে সত্যি। এমনটাই বিশ্বাস করেন রবি অশ্বিন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির আরসিবির মুখোমুখি রাজস্থান রয়্যালস। বিরাট কোহলি অধিনায়ক নন। খুব যে ভাল খেলছেন তাও নয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অনেক কিছু প্রমাণ করার আছে রবি অশ্বিনের।

ভুলে যাননি পুরনো অপমান। ভারতের টেস্ট অধিনায়ক থাকার সময় ইংল্যান্ডের মাটিতে অশ্বিনকে একটি টেস্ট ম্যাচেও সুযোগ দিতে রাজি ছিলেন না বিরাট। তৎকালীন কোচ রবি শাস্ত্রী পর্যন্ত খুব একটা পছন্দ করতেন না তাকে। কিন্তু নতুন কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আবার ফিরে এসেছেন অশ্বিন।

কিন্তু বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে পুরনো রাগ জমিয়ে রেখেছেন। আজ মঞ্চ এবং পরিস্থিতি আলাদা হলেও অশ্বিন যে কোহলির দলের বিরুদ্ধে আলাদা আগুন নিয়ে খেলতে নামবেন তাতে সন্দেহ নেই। বুঝিয়ে দিতে চাইবেন অপমান তিনি ভুলে যাননি। বুঝিয়ে দিতে চাইবেন বদলা তিনি নিতে জানেন। তাই আজ রবীচন্দ্রন অশ্বিন যে রাজস্থানের তুরুপের তাস হতে চলেছে তাতে সন্দেহ নেই।

বোলিং এর পাশাপাশি ব্যাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন। কয়েকদিন আগেই চেন্নাই এর বিরুদ্ধে ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনি অচল নন আজ আবার চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইবেন অশ্বিন। মোটিভেশনের অভাব নেই, কারণ বিপক্ষে বিরাট কোহলি।

যারা তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আবার সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার। বল হাতে হোক, বা ব্যাট হাতে – আজ অশ্বিন যে একটা ফ্যাক্টর হতে চলেছেন তাতে সন্দেহ নেই। তবে তিনি একা নন। এই লড়াইয়ে তার সঙ্গী হবেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তাকেও যে দলে রাখার প্রয়োজন মনে করেনি আরসিবি।