Viral Man Drinks Poop Smoothie: জেনেশুনেই মানুষের ‘বিষ্ঠাগোলা জল’ খেয়ে ভাইরাল এই ব্যক্তি! কিন্তু কেন?

Viral Video: সংক্রামিত মানুষের মলের মধ্যে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মেশানো জল খেতে হবে! ১১ দিনের এক বিশেষ ইনপেশেন্ট ট্রায়ালে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সব জেনে শুনেই প্রাণঘাতী ওই দ্রবণ পান করলেন ২৬ বছর বয়সী এক যুবক। শিগেলা ব্যাকটেরিয়া মেশানো ওই জল খাওয়ার জন্য জেক এবার্টস নামের ওই যুবককে ৭,০০০ ডলার পুরস্কারও দেওয়া হয়। মারাত্মক রকমের আমাশা ঘটানো ব্যাকটেরিয়া মেশানো রয়েছে জেনেও জেক এক গ্লাস নোংরা, নোনতা তরল ঢকঢক করে খেয়ে নেন।

আরও পড়ুন- অভিনব প্রতিবাদ! গাধার সঙ্গে বেঁধে OLA ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে শহর ঘুরলেন ব্যক্তি!

“আমি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাশয়ে সংক্রামিত হতে চলেছি এবং দ্বিতীয় ধাপের ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অংশ হিসাবে ১১ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে চলে যাব,” ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার একদিন আগে, ৪ এপ্রিল একটি ট্যুইটে জানিয়েছিলেন জেক। পরে জেক ওই নোংরা ‘স্মুদি’ খাওয়ার নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেন।

তারপরে ব্যাকটেরিয়া কীভাবে তাঁর শরীরকে প্রভাবিত করেছে সে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন ট্যুইট করেছেন তিনি।

জেক এবার্টস জানান, ওই নোংরা জল খাওয়ার পরে নানান লক্ষণ দেখা দেওয়ায় “জীবনের সবচেয়ে খারাপ আট ঘণ্টা” কাটিয়েছেন তিনি। এই বিশেষ ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ১৬ জন স্বাস্থ্যবান তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই ছিলেন জেক।

পরে, ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলার সময় জেক এবার্টস বলেন, “আমি এখানে নিজেকে মাদার টেরেসা হিসাবে প্রকাশ করতে চাই না। বিনামূল্যেও করতাম না। কাউকে পেট খারাপ করতে বলাটা একটা বড় ব্যাপার।”

জেক এবার্টস জানিয়েছেন, টাকা দেওয়া হলে তিনি আবার এটা করবেন। এই গবেষণা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে তারা শিগেলা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট শিগেলোসিস একটি রোগ যা পাচনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জানিয়েছে এটি খুব সংক্রামক এবং সংক্রামিত ব্যক্তিদের পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং জ্বর হয়।

আরও পড়ুন- বাঁদর না বাঘ? প্রথম কী দেখছেন তাই বলবে আপনার মাথার ডানদিক বেশি কাজ করে না বাম?

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া বিশ্বব্যাপী বার্ষিক ৬০০,০০০ মৃত্যুর কারণ এবং এর বিরুদ্ধে কোনও ভ্যাকসিনও উপলব্ধ নয়।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আরও জানিয়েছে, দূষিত জল খেলে, নোংরাভাবে রান্না করা খাবার খেলে বা কারো সংক্রামিত মলত্যাগের সংস্পর্শে এসে শিগেলা শরীরে প্রবেশ করে।