#কলকাতা: তার আমলেও ভারতীয় ফুটবল দল যোগ্যতা অর্জন করেছিল এশিয়ান কাপে। কিন্তু বিশেষ কিছু করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভারতের চ্যালেঞ্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রথম দিকেই। কিন্তু তারপর থেকে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। অনেক পরিবর্তন এসেছে ভারতীয় ফুটবলে।
২০২৩ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ভারত যোগ্যতা অর্জন করায় গর্বিত বাইচুং ভুটিয়া। কলকাতায় এফপিএআইয়ের এক অনুষ্ঠানে ‘পাহাড়ি বিছে’ বলেন, এশিয়ান কাপেই ভারতের আসল পরীক্ষা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্রতর হবে। এই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলেই ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। যোগ্য উত্তরসূরি সুনীল ছেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইচুং ভুটিয়া।
তাঁর কথায়, ভারতীয় ফুটবলে সুনীলের অবদান রয়েছে। ওর ধারাবাহিকতাকে কুর্নিশ করতেই হয়। পারফরম্যান্সই পেশাদারদের শেষ কথা। সুনীলের পর ভারতের ফরোয়ার্ড লাইনের হাল কে ধরবে? বাইচুংয়ের সাফ কথা, একটু সময় দিতে হবে।
One team, one emotion ???⚽#BackTheBlue ? #BlueTigers ? #IndianFootball ⚽ pic.twitter.com/3NKpVIfkuF
— Indian Football Team (@IndianFootball) June 16, 2022
ক্লাব জার্সিতে দুরন্ত মরশুম কেটেছে এটিকে মোহন বাগানের লিস্টন কোলাসোর। আইএসএলে ধারাবহিক পারফর্ম করার পাশাপাশি এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে তাঁর নামের পাশে রয়েছে হ্যাটট্রিক। দেশের জার্সিতেও সেই ছন্দ ধরে রাখেন গোয়ান ফুটবলার। কোচ স্টিমাচের আস্থার মর্যাদা রাখতে পেরে খুশি তিনি। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব প্রসঙ্গে লিস্টন বলেন, টিমের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল। মাঠে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
সুনীল ভাই দুর্দান্ত খেলল। ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আগামী বছর মূলপর্বে সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য। এদিকে, বর্ষসেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার পেলেন আকাশ মিশ্র। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে দেশের জার্সিতে নজর কাড়েন তিনি। যুবভারতীর ভর্তি গ্যালারি খেলার স্বাদ পেয়ে অভিভূত আকাশও।
বাইচুং মনে করেন সুনীল জীবন যাপন অত্যন্ত ডিসিপ্লিন ভাবে করেন। ফিটনেস নিয়ে সর্বদা সচেতন। না হলে এত বছর নিজেকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। সুনীল ছেত্রী নিজে জানিয়েছেন এবার মুখোমুখি হতে হবে জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়ার মতো এশিয়ার সেরা দলগুলোর।
ভারতীয় ফুটবল দল জানে চ্যালেঞ্জ কতটা কঠিন। কিন্তু হারার আগে হার মানতে নারাজ সুনীল, ইগর এবং ভারতের বাকি ফুটবলাররা। সবাই জানে এশিয়ার সেরা দেশ হিসেবে এরা নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলে। ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে এদের পার্থক্য অনেকটা। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে অনেক ফারাক। তবুও সুনীল ছেত্রী লড়াই করার চেষ্টা ছাড়তে নারাজ।