Tag Archives: Indian Football Team

Sunil Chhetri Retirement: ভারতীয় ফুটবলে একটি যুগের অবসান, অবসর ঘোষণা সুনীল ছেত্রীর, ৬ জুন শেষ ম্যাচ খেলবেন যুবভারতীতে

কলকাতা: ভারতের তারকা ফুটবলার তথা জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বৃহস্পতিবার সকালে অবসরের কথা ঘোষণা করলেন। ৩৯ বছর বয়সে অবসর ঘোষণা সুনীলের ৷ আগামী ৬ জুন তিনি নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন কলকাতার যুবভারতীতেই।

৬ জুন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারতীয় ফুটবল দল। ম্যাচটি কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য জানিয়ে এদিন ভিডিও পোস্ট করেন সুনীল ছেত্রী ৷

আরও পড়ুন- ফের ভোটের বঙ্গে নরেন্দ্র মোদি, ১৯-২০ মে দু’দিনে রাজ্যে ৬টি সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন সুনীল ছেত্রী। তিনি বলেন, “একটা দিনও জীবনে কখনও ভুলতে পারব। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথম বার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য অনুভূতি ছিল। তবে তার আগের দিন সকালে জাতীয় দলে আমার প্রথম কোচ সুখী স্যর (সুখবিন্দর সিং) এসে আমাকে জানিয়েছিলেন, প্রথম একাদশে আমি রয়েছি। বলে বোঝাতে পারব না সেই অনুভূতিটা কেমন ছিল।”

Sunil Chhetri: ১৫০ তম ম্যাচে গোল করে অনন্য রেকর্ড গড়লেন সুনীল ছেত্রী, যা নেই মেসি-রোনাল্ডোর

বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে মাস্ট উইন ম্যাচে ২-১ গোলে হার ভারতের।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে মাস্ট উইন ম্যাচে ২-১ গোলে হার ভারতের।
প্রাপ্তি বলতে নিজের ১৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল পেলেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
প্রাপ্তি বলতে নিজের ১৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল পেলেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
এই ম্যাচে গোল করে অনন্য রেকর্ড গড়লেন সুনীল ছেত্রীর। যা নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসির।
এই ম্যাচে গোল করে অনন্য রেকর্ড গড়লেন সুনীল ছেত্রীর। যা নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসির।
নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ২৫, ৫০, ৭৫, ১০০, ১২৫-এর পর ১৫০তম ম্যাচেও গোল করলেন সুনীল ছেত্রী।
নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ২৫, ৫০, ৭৫, ১০০, ১২৫-এর পর ১৫০তম ম্যাচেও গোল করলেন সুনীল ছেত্রী।
এই গোলের সৌজন্যে নিজের ১০০ গোলের লক্ষ্যে আরও এক পা এগোলেন সুনীল। তাঁর গোল সংখ্য়া হল ৯৪টি।
এই গোলের সৌজন্যে নিজের ১০০ গোলের লক্ষ্যে আরও এক পা এগোলেন সুনীল। তাঁর গোল সংখ্য়া হল ৯৪টি।

Indian Football Team: ৭০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও হার ভারতের, ২-১ গোলে ম্যাচ জিতল আফগানিস্তান

গুয়াহাটি: ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে এশিয়া থেকে লড়াইতে থাকতে হলে ভারতীয় দলকে জিততে হত বড় ব্যবধানে। অ্যাওয়ে ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করায় অনেকেই আশা করেছিল ঘরের মাঠে আফগানদের হারাবে ইগর স্টিমাচের ছেলেরা। কিন্তু গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসল আফগানরা। ২-১ গোলে হারতে হল ভারতীয় দলকে। প্রাপ্তি বলতে নিজের ১৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল পেলেন সুনীল ছেত্রী।

ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা চলে। শুরুতেই গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। কিন্তু সুনীল ছেত্রীর শট বাঁচিয়ে দেন আফগান গোলরক্ষক। তারপর দুই দলই বেশ কয়েকবার আক্রমণে ওঠে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আফগানিস্তানের আমিরি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে। পেনাল্টি পায় ভারত। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুনীল। ম্যাচের প্রথমার্ধে লিড ধরে রাখে ভারত।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ গড়ে তোলে। তবে কাজের কাজ হয়নি। ৭০ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রেখেছিল ভারত। সেই সময় অনেকেই ভেবেছিল হয়তো ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বে ইগর স্টিমাচের দল। কিন্তু তারপরই ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। ৭১ মিনিটের মাথায় রহমত আকবরি জোরালো শট করেন। তা রাহুল ভেকের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। সমতায় ফেরে আফগানরা।

আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআরের দ্বিতীয় ম্যাচে বাদ মহাতারকা? বদলে থাকছে মহাচমক! জেনে নিন বিস্তারিত

ম্যাচ ১-১ হওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় আফগানিস্তান। গুরপ্রীত বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন। কিন্তু ৮৮ মিনিটের মাথায় বল ধরতে গিয়ে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন গুরপ্রীত। পেনাল্টি পেয়ে যায় আফগানিস্তান। সেখান থেকে দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন শরিফ মুখাম্মাদ। শেষের ইনজুরি টাইমে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভারত।

Indian Football Team: এখনও কোন অঙ্কে এশিয়ান কাপের পরের রাউন্ডে যেতে পারে ভারত, রইল হিসেব

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হার। উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে হার ৩-০ গোলে। এএফসি এশিয়ান কাপে পরপর ২ ম্যাচ হেরে কোণঠাসা ভারতীয় ফুটবল দল। শেষ ষোলয় যাওয়ার পথ খুবই কঠিন সুনীলদের।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হার। উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে হার ৩-০ গোলে। এএফসি এশিয়ান কাপে পরপর ২ ম্যাচ হেরে কোণঠাসা ভারতীয় ফুটবল দল। শেষ ষোলয় যাওয়ার পথ খুবই কঠিন সুনীলদের।
কঠিন হলেও এখনও পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। নিজেদের শেষ ম্যাচ জিততে পারলেও ও অন্যান্য হিসেবে ঠিকঠাক মিললে এখনও শেষ ১৬-র দরজা খুলে যেতে পারে ইগর স্টিমাচের দলের কাছে।
কঠিন হলেও এখনও পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। নিজেদের শেষ ম্যাচ জিততে পারলেও ও অন্যান্য হিসেবে ঠিকঠাক মিললে এখনও শেষ ১৬-র দরজা খুলে যেতে পারে ইগর স্টিমাচের দলের কাছে।
ভারতের গ্রুপে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। ২ ম্যাচে৪ পয়েন্ট দ্বিতীয় স্থানে উজবেকিস্তান। ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে সিরিয়া। ১ ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ভারত। আগামি মঙ্গলবার ভারতের প্রতিপক্ষ সিরিয়া।
ভারতের গ্রুপে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। ২ ম্যাচে৪ পয়েন্ট দ্বিতীয় স্থানে উজবেকিস্তান। ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে সিরিয়া। ১ ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ভারত। আগামি মঙ্গলবার ভারতের প্রতিপক্ষ সিরিয়া।
পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে হলে  সিরিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে ভারতকে। তাহলে গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ থাকছে সুনীলদের। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য গ্রুপের তৃতীয় স্থানাধিকারী দলদের উপর।
পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে হলে সিরিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে ভারতকে। তাহলে গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ থাকছে সুনীলদের। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য গ্রুপের তৃতীয় স্থানাধিকারী দলদের উপর।
এশিয়ান কাপের নিয়ম অনুযায়ী ৬টি গ্রুপের প্রথম ২ দল সরাসরি যাবে পরের রাউন্ডে। আর ৬টি গ্রুপের তৃতীয় স্থানে শেষ করা দলগুলির মধ্যে পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য বিচার করে ৪টি দল যাবে পরের রাউন্ডে।
এশিয়ান কাপের নিয়ম অনুযায়ী ৬টি গ্রুপের প্রথম ২ দল সরাসরি যাবে পরের রাউন্ডে। আর ৬টি গ্রুপের তৃতীয় স্থানে শেষ করা দলগুলির মধ্যে পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য বিচার করে ৪টি দল যাবে পরের রাউন্ডে।
ফলে ভারতীয় দলকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে নিজেগের ম্যাচ। কারণ প্রথম ২ ম্য়াচে ৫ গোল হজম করতে হয়েছে ইগর স্টিমাচের দলকে।  ফলে সেই ব্যবধান যতচা কমিয়ে আনা যায়। তারপর তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকে।
ফলে ভারতীয় দলকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে নিজেগের ম্যাচ। কারণ প্রথম ২ ম্য়াচে ৫ গোল হজম করতে হয়েছে ইগর স্টিমাচের দলকে। ফলে সেই ব্যবধান যতচা কমিয়ে আনা যায়। তারপর তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকে।

India vs Uzbekistan: রক্ষণের ভুলে ডুবল ভারত, লড়াই করেও উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হার

দোহা: এশিয়ান কাপে জয়ে ফিরতে পারল না ভারতীয় ফুটবল দল। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াকু ফুটবলের পর উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধেও লড়াই করল ভারত। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ইগর স্টিমাচের অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল, উজবেকদের বিরুদ্ধে অনেক বেশি আক্রমণ করল সুনীলরা। কিন্তু প্রথমার্ধে রক্ষণের কিছু ভুলে ৩-০ গোলে ম্যাচ হারতে হল ভারতকে।

ভারতের রক্ষণকে থিতু হতে দেওয়ার আগেই ম্যচের ৪ মিনিটে প্রথম গোল করে দেয় উজবেকিস্তান। ভারতীয় পেনাল্টি এলাকার প্রান্ত থেকে একটি ইনসুইং ক্রস বাড়ান করেন নাসরুল্লায়েভ। ফয়জুল্লায়েভ ভালো জায়গায় ছিলেন। এবং তিনি সেই বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়াত কোনও ভুল করেননি। এক্ষেত্রে ভারতের রক্ষণের ভুলের কারণেই গোল হজম করতে হয়।

দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি উজবেকিস্তানকে। ১৮ মিনিটে ফের রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয় ভারতকে। ফয়জুল্লায়েভ বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে সেই শট আকাশ মিশ্রর গায়ে লেগে বারে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু রক্ষণের কেউ না থাকায় তা ক্লিয়ার করা যায়নি। ভারতীয় ডিফেন্স পুরো বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল। সেই বল ফলো করে এসে সার্জিভ সহজেই গোলে।

৩০ মিনিটের পর থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে ভারতীয় দল। মাঝমাঠের দখল নিয়ে একাধিক আক্রমণ গড়ে তোলে। গোল করার মত সুযোগও এসেছিল কিন্তু তা কাজে লাগেনি। ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল খায় ভারত। নাসরুল্লায়েভের একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। সেটি ক্লেয়ার করার জন্য সেভাবে তৎপর হয়নি। আর ফিরতি বল ধরেই দলের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন নাসরুল্লায়েভ।

আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: একক-দশক থেকে লক্ষ-নিযুত-কোটি পর্যন্ত আমরা জানি, কিন্তু কোটির পর কী কী রয়েছে জানেন?

দ্বিতীয়ার্ধে, ভারতীয় দল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। সুনীল-মহেশরা গোলের কাছাকাছিও পৌছে যায় একাধিকবার। কিন্তু জালে বল জড়াতে পারেনি। ৩ গোলের লিড থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে আক্রমণে যায়নি উজেবেকিস্তান। যার ফলে দ্বিতীয়ার্ধে ভাল ফুটবল খেললেও শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে ম্যাচ হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় ভারতকে। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পর অনেক কঠিন হয়ে গেল ভারতের।

India vs Uzbekistan: ‘জয়ের জন্যই ঝাঁপাবে ছেলেরা’, এশিয়া কাপে উজবেকিস্তান চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ভারত

দোহা: এশিয়ান কাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিটয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেও হারতে হয়েছে ভারতকে। বিশ্বকাপে মেসির দলের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই দেওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে ফুটবল খেলে ভারত, তা প্রশংসা কুড়িয়েছে অনেকের। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচেও কঠিন লড়াই ভারতের সামনে। এবার ইগর স্টিমাচের দলের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান। ভারতের পরের রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচ কার্যত ডু অর ডাই।

তবে এই উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ট্র্যাক রেকর্ড একেবারেই ভাল নয়। এখনও পর্যন্ত ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। যার মধ্যে ৪ বার হেরেছে ভারত ও ২ বার ড্র। শেষ ড্র-ও এসেছিল আড়াই দশক আগে। এশিয়ান কাপের প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করেছে সুনীলরা। ফলে ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য় সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবে উজবেকরা। ছেলেদের সামনে যে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে তা মেনে নিয়েছেন ইগর স্টিমাচও।

ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ যথেষ্ট সমীহ করেছেন ভারতীয় কোচ। তবে প্রথম ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁর দলও যে লড়াই দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত তা জানিয়েছেন ইগর স্টিমাচ। একই সঙ্গে প্রথম ম্যাচের দল থেকে দ্বিতীয় ম্যাচের দলে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনতে পারেন ইগর স্টিমাচ। রক্ষণ সামলে, মাঝমাঠের দখল নিয়ে আক্রমণে যাওয়াই প্রধান লক্ষ্য হতে চলেছে টিম ইন্ডিয়ার।

আরও পড়ুনঃ Biryani: দোকানে বিরিয়ানির হাঁড়িতে আটা কেন ব্যবহার করা হয়? ঠকার আগে জেনে নিন

ম্যাচের আগে ইগর স্টিমাচ বলেছেন,”উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ আমাদের কাছে আরও কঠিন ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে জয় না পাওয়ায় ওরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপাবে। দল হিসেবে উজবেকরা খুব ভাল দল। তবে আমাদের ছেলেরাও চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। জয়ের জন্যই নামব আমরা।”

সুনীলের ৮৫ তম গোল, কিরঘিজ রিপাবলিককে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ভারত

ইম্ফল: ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মায়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মাত্র গলে জয় পেয়েছিল ভারত। সেদিন গোল করেছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। আজ মঙ্গলবার ভারত নেমেছিল কিরঘিজ রিপাবলিকের বিরুদ্ধে। এমনিতে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভারতের আজকের ড্র করলেই হয়ে যেত। কিন্তু ভারতের কোচ ইগর স্তিম্যাচ কথা দিয়েছিলেন ড্র নয়, জয়ের লক্ষ্যে নামবে তার দল। মনিপুরের মাঠে কানায় কানায় ভর্তি ছিল দর্শক।

খুমান লুম্পাক স্টেডিয়ামে দর্শকরা প্রতিমুহূর্তে ভারতীয় দলকে মোটিভেশন দিয়ে গেল। প্রথম থেকেই দাপট ছিল ভারতের। ৩৪ মিনিটের মাথায় গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন সন্দেশ ঝিংহান। ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ একটা মাপা ফ্রিকিক তোলেন। বাঁদিক থেকে উঠে এসে ডিফেন্ডার সন্দেশ বা পায়ের ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন। নিখুঁত সেট পিস মুভ যাকে বলে।

ভারতের ডান দিক থেকে চাংতে, বাঁদিক থেকে আকাশ বারবার গতি বাড়িয়ে সমস্যায় ফেলছিলেন কিরঘিজ ডিফেন্ডারদের। সুরেশ এবং জিকসন মাঝখানে প্রচুর পরিশ্রম করলেন। ডিফেন্সে প্রীতম, আনোয়ার ছিলেন দুর্ভেদ্য। সেকেন্ড হাফ শুরু হওয়ার পর চাপ বাড়ায় কিরঘিজ রিপাবলিক। বেশ কিছু আক্রমণ তুলে আনে তারা। বেশ কয়েকবার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে ফ্রিকিক আদায় করে নেয়।

এরপর ভারতের কোচ ব্র্যান্ডনকে তুলে নিয়ে নিয়ে আসেন মহেশ সিং কে। নিয়ে আসা হয় রোহিত কুমারকে। শেষ ১৫ মিনিটে নামে সাহল সামাদ। আবার খেলার কন্ট্রোল নিয়ে নেয় ভারত। পরপর আক্রমণ করতে থাকে তারা। নিঃসন্দেহে বলা যায় জানুয়ারিতে হতে চলা এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিতে এই দুটি ম্যাচ কিছুটা হলেও সাহায্য করবে ভারতকে।

একটা কম্বিনেশন তৈরি করার ব্যাপারে ভারতীয় দল যত একসঙ্গে খেলবে, তত বোঝাপড়া বাড়বে নিজেদের মধ্যে। এটাই প্রয়োজন ফুটবলে। শেষ দিকে রোশন এবং মেহতাব সিং কে দেখে নিলেন ভারতের কোচ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দুরন্ত গতিতে ফুটবল খেলে গেল ভারত। ফিটনেস নিয়ে কথা হবে না।

পাশাপাশি বলতেই হবে এই ভারতীয় দল সহজে হার মান আর মানসিকতার নয়। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পেল ভারত। মহেশের গতির সঙ্গে পেরে না উঠে তাকে ফাউল করে বসেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভারতের জার্সিতে এই নিয়ে তার ৮৫ তম গোল হয়ে গেল।

আজ ভারতীয় ফুটবলের সামনে স্বপ্নের হাতছানি! ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন সুনীল, সন্দেশরা

ইম্ফল: আজ রাতটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে। ফুটবলের ত্রিদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ আছে সুনীল ছেত্রীদের। কিন্তু হেরে গেলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে কিরঘিজস্তান। মায়ানমারের বিরুদ্ধে অনিরুদ্ধ থাপার একমাত্র গোলে জিতেছিল ভারত। তবে ফুটবলারদের সুযোগ নষ্ট চিন্তায় রেখেছে কোচ ইগর স্টিমাচকে।

মঙ্গলবার কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাই এই সমস্যা কাটাতে মরিয়া তিনি। এই ম্যাচ ড্র করলেই ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হবে ভারতীয় দল। তবে কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে জিতেই মাঠ ছাড়তে চান কোচ স্টিমাচ। তিনি বলেন, মায়ানমারের চেয়ে ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে কিরঘিজস্তান। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানই তা বলে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন – CSK: এবারের আইপিএলে কতটা শক্তিশালী চেন্নাই এক্সপ্রেস? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে

ফলে মঙ্গলবার ছেলেদের লড়াই সহজ নয়। গত ম্যাচে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও আমরা তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ। এই ম্যাচে তার পুনরাবৃত্তি ঘটলে চলবে না। নিখুঁত ফুটবল মেলে ধরতে হবে। উল্লেখ্য, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০৬তম স্থানে রয়েছে ভারত। আর কিরঘিজস্তানের অবস্থান ৯৪-এ। আইএসএলে ফাইনালে খেলা ফুটবলারদের বাইরে রেখেই মায়ানমারের বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন স্টিমাচ।

একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন সুনীল ছেত্রী। ৯০ মিনিটই মাঠে ছিলেন ভারত অধিনায়ক। ম্যাচে একাধিক সুযোগ পেয়েও স্কোরশিটে নাম তুলতে ব্যর্থ তিনি। সুনীল অবশ্য তা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। জানালেন, প্রতি ম্যাচেই গোল করার লক্ষ্যে মাঠে নামি। কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধেও তার কোনও পরিবর্তন ঘটবে না।

অফ-সাইড কিংবা পেনাল্টি না পাওয়া ম্যাচের অঙ্গ। তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। ভুল শুধরে আগামী ম্যাচে আরও ভাল পারফরম্যান্স মেলে ধরাই আমার লক্ষ্য। সঙ্গে জুড়লেন, আমার মতো গোলের খিদে খুব কম ফুটবলারের রয়েছে। অতিশয়োক্তি নয়, এটা ব্যক্তিগত ধারণা। কেরিয়ারের শেষ দিন পর্যন্ত তা বজায় রাখতে চাই।

এদিকে চোট পেয়েছেন মনবীর সিং। তার জায়গায় ভারত নিয়ে এসেছে সাহাল আব্দুল সামাদকে। শেষ দুবারের সাক্ষাৎকারে কিরঘিজস্তানের বিপক্ষে একবার পরাজয় এবং একবার জয় আছে ভারতীয় দলের।

জঘন্য ফুটবল ইগরের ভারতের, সুনীলদের বড় ব্যবধানে হারাল ভিয়েতনাম

ভিয়েতনাম – ৩

ভারত – ০

#হো চি মিন সিটি: মঙ্গলবার হাং থিন ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ছিল ভারতের মরণ-বাঁচন ম্যাচ। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মঙ্গলবার সুনীল ছেত্রীদের জিততেই হত। কারণ প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনাম চার গোলে হারিয়েছিল সিঙ্গাপুরকে। ভারত আবার দুর্বল সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল। তাই স্টিমাচ-ব্রিগেডের সামনে কঠিন লড়াই।

তা ভাঙার জন্য সুনীলদের প্রেসিং ফুটবল খেলতে হবে। ভারতের কোচ ইগর জানিয়েছিলেন, প্রথম ম্যাচের পর ভিয়েতনাম চারদিন বিশ্রাম পেয়েছে। তাই আমাদের তুলনায় প্রতিপক্ষ অনেক বেশি তরতাজা থাকবে। খেলা শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই বলে দখল বেশি ছিল আয়োজক দেশের।

১১ মিনিটে এগিয়ে গেল ভিয়েতনাম। একটি কর্নার থেকে বল ক্লিয়ার করতে ভুল করে ভারতীয় ডিফেন্ডার। সেই সুযোগে বা পায়ের ভলিতে গোল করে যান ফ্যান ভান ডুক। ভারত প্রথমার্ধ সেভাবে আক্রমণ করতে না পারলেও দুটি সুযোগ এসেছিল। একবার আশিক, অন্যবার সুনীলের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

প্রথমার্ধে চোট পেয়ে উঠে যান সাহাল আব্দুল সামাদ। তার পরিবর্তে নামানো হয় রাহুল কে পি – কে। এদিন প্রথম দলে তিনটি পরিবর্তন করা হয়েছিল। উদানত সিং প্রচুর মিস পাস করেন। এমনিতে ফিফার তালিকায় ভারত যেখানে ১০৪, ভিয়েতনাম ৯৭। শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোল হজম করে ভারত। বলের ফ্লাইট মিস করেন আনোয়ার। ভ্যান তোয়ান গোল করতে ভুল করেননি।

৬৫ মিনিটে তিনটে পরিবর্তন করেন ভারতীয় কোচ। রশন, ব্র্যান্ডন এবং লিস্টনকে নিয়ে আসা হয়। তুলে নেওয়া হয় সুনীল ছেত্রীকে। ৭০ মিনিটে তৃতীয় গোল হজম করে ভারত। গুয়েন ভ্যান কুয়েত তিন নম্বর গোল করেন। এরপর একটি দুরন্ত সেভ করেন গুরপৃত। না হলে ভারতের লজ্জা বাড়তে পারত।

এশিয়ান কাপের আগে এই টুর্নামেন্টের ফল ভারতকে স্বস্তি দেবে না। ২০১০ সালে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। সেদিন সুনীল ছেত্রীর হ্যাটট্রিক ভারত জিতেছিল ৩-১ গোলে। ১২ বছর পর ফলাফলটা ঠিক উল্টো। ইগর কিন্তু দেওয়ার লিখন পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন।

পিছিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে আটকে গেল ভারত, সুযোগ মিস করে ড্র সুনীলদের

#হোচি মিন সিটি: ফিফার তালিকায় ভারতীয় ফুটবল দলের নম্বর ১০৪। সিঙ্গাপুরের ১৫৯। তাই শক্তির বিচারে ভারত এই ম্যাচে ফেভারিট ছিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সব সময় তালিকা সত্যি কথা বলে না এটাও ঠিক।আগামী বছর জুন মাসে এশিয়া কাপ। এএফসি এখনও প্রতিযোগিতার ভেন্যু ঠিক করতে পারেনি।

তবে তারই প্রস্তুতি হিসেবে ভিয়েতনামে ত্রিদেশীয় হাং থিং কাপে খেলছে ভারত। শনিবার উদ্বোধনী ম্যাচে সুনীল ছেত্রীরা মুখোমুখি হয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের । গত ১০ বছর ভারত কোনও ম্যাচ খেলেনি সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ফুটবলে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে।

নতুন জাপানি কোচের অধীনে খেলার ধরণ বদলে গিয়েছে। শুক্রবার ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ জানিয়েছিলেন আমরা জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে ইদানীং সিঙ্গাপুর প্রতিপক্ষের বক্সে বেশ প্রেসিং ফুটবল খেলছে। এই ব্যাপারে আমাদের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়দের সতর্ক থাকতে হবে।

তবে ওদের চমকে দেওয়ার মতো রশদ আমাদের দলে আছে। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল ভারতের। বলের দখল বেশি ছিল আকাশ মিশ্র, অনিরুদ্ধ, লিস্টন, সামাদদের। কিন্তু গতির বিপরীতে ৩৭ মিনিটে এগিয়ে যায় সিঙ্গাপুর। ফ্রি কিক থেকে গোল করেন ফান্ডি। বল ওয়ালে লেগে দিক পরিবর্তন করার কারণে পরাস্ত হন গুড়প্রীত।

তবে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকেনি ভারত। ৪৩ মিনিটে সুনীলের পাস থেকে সমতা ফিরিয়ে আনেন আশিক। দ্বিতীয় অর্ধ ভারতের চাপ বজায় ছিল। কিন্তু গোল আসছিল না। আশিকের একটি শট দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে বাঁচিয়ে দেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। জিকসনের হেড অল্পের জন্য গলে ঢোকেনি।

লিস্টন ডিফেন্স ভেঙে ভিতরে ঢুকেও নিশানায় অব্যর্থ্য থাকতে পারেননি। ৬৬ মিনিটে ইয়াসির এবং রাহুল কে পি কে নিয়ে এলেন ইগর। ঈশানকে নামানো হয় ৭৫ মিনিটে সুনীলকে তুলে নিয়ে।