East Bengal : দাপট নিয়ে খেলেও রাজস্থানের বিরুদ্ধে ড্র ইস্টবেঙ্গলের, হতাশ নন কোচ স্টিফেন

#কলকাতা: প্রথম ম্যাচে ভারতীয় নৌসেনার বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র করার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ইমামি ইস্টবেঙ্গল যে জয়ের জন্য মাঠে নামবে, সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। ম্যাচের প্রথম থেকেই দুরন্ত গতিতে খেলা শুরু হল। এদিন প্রথম দলে লিমা এবং কিরিয়াকু – দুই বিদেশি ফুটবলারকে দিয়ে শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ কোচ।

ডান দিক থেকে অনিকের যাদব ঝড়ের গতিতে আক্রমণ তৈরি করছিলেন। আর ফ্রি ফুটবলার হিসেবে আপফ্রন্ট সুহের প্রচুর ওয়ার্ক লোড নিচ্ছিলেন। তুহিন দাস এবং অমরজিৎ মাঝমাঠে লড়াই করছিলেন জবরদস্ত। ১৫ মিনিটের মাথায় প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন সুহের। কিন্তু ডিফেন্ডার মেল রয় পড়ে গিয়েও বল বের করে দেন।

২৫ মিনিটের মাথায় অমরজিতের শট ক্রসপিসে লেগে প্রতিহত হয়। ৩০ মিনিট একাধিপত্য ছিল ইস্টবেঙ্গলের। এরপর কিছুটা আক্রমণ করার চেষ্টা করে রাজস্থান। কিন্তু গোলের নাগাল পায়নি। দ্বিতীয়আর্ধে ব্রাজিলিয়ান এলিয়ান্দ্র, স্প্যানিশ ইভান গঞ্জালেসকে নামিয়ে দেন স্টিফেন। কিন্তু তাতেও গোলের দেখা পায়নি ইস্টবেঙ্গল।

উল্টে পেনাল্টি পেয়ে গেল রাজস্থান। ভাগ্য ভাল লাল হলুদের, গোল করতে ব্যর্থ হলেন বারবোসা। গোলরক্ষক কমলজিতের হাতে মারেন তিনি। এরপরে এলিয়ান্দ্র কিছু বল বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু ফিনিশ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল। অথচ আজ কিন্তু জেতার মতোই খেলেছিল লাল হলুদ।

কিন্তু ফিনিশিং এর অভাবে কাজের কাজ হল না। ম্যাচ শেষে স্টিফেন মেনে নিলেন এই ম্যাচ জেতা উচিত ছিল তার দলের। ডার্বির আগে অনেকটা আত্মবিশ্বাস পাওয়া যেত তাহলে। তবে সমর্থকদের কিছুটা ধৈর্য ধরতে বলছেন তিনি। সবে দুটো ম্যাচ হয়েছে। রবিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শুধু লড়াই নয়, ইস্টবেঙ্গল নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেললে, জেতার ক্ষমতাও রাখে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ।

হাতে দুটো দিন সময়। এরমধ্যে যাবতীয় ভুল ভ্রান্তি ঠিক করে নিতে হবে। কনস্ট্যানটাইন আত্মবিশ্বাসী তার ছেলেরা পারবে। এই গ্রুপ থেকে মুম্বাই সিটি ১ নম্বরে এবং রাজস্থান দুই নম্বরে রইল। তিন নম্বরে ইস্টবেঙ্গল এবং সবার শেষে এটিকে মোহনবাগান।

অর্থাৎ ২৮ আগস্ট যে দল ডার্বি জিতবে ডুরান্ড কাপে নকআউটে যাওয়ার লড়াইয়ে তারাই টিকে থাকবে। ড্র বা হারের জায়গা নেই। যে দল ড্র করবে বা হারবে তাদের অভিযান শেষ বলাই যায়। তাই ডার্বি জমে গেল।