Tag Archives: Emami group

ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল, প্রথম লক্ষ্য কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া

#কলকাতা: কলকাতা লিগের জন্য একেবারে শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। কোনও ভাবেই এই টুর্নামেন্টকে হাল্কা ভাবে নিতে রাজি নন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। এটিকে মোহনবাগান কলকাতা লিগে খেলা নিয়ে টালবাহানা করলেও, লাল-হলুদ কিন্তু ঢেলে দল সাজাতে ব্যস্ত।কলকাতা লিগের সুপার সিক্স পর্বে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল।

আর তার জন্য লাল-হলুদ ব্রিগেড ভিনরাজ্য থেকে ছ’জন প্রতিভাবান ফুটবলারকে আনছে। ভিন রাজ্যের আইলিগে খেলা দলের প্লেয়াররাও রয়েছেন।কেরালা ইউনাইটেড থেকে সন্তোষ ট্রফি জয়ী কেরালা দলের নায়ক জেসিন টিকে কে নেওয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।কেরালা ইউনাইটেড থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তাঁকে ইতিমধ্যেই।

আরও পড়ুন – এক ওভারে ১৬ রান, গ্যালারিতে হাউ হাউ করে কাঁদলেন বৃদ্ধ! ছবি ভাইরাল

তাই লাল হলুদে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এছাড়া এমএ কলেজের ডিফেন্ডার আদিল আমাল, বাস্কোর ফরোয়ার্ড বিষ্ণু টিএম, গোকুলাম কেরালার গোলকিপার মুহাম্মদ নিশাদ, কেরালা ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার আথুল উন্নিকৃষ্ণণ এবং ট্রাভাঙ্কোর রয়্যালসের ফরোয়ার্ড লিজো কুরুসাপ্পানকে নিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

মেডিক্যালের পর যদি তারা ফিট প্রমাণিত হন, তা হলেই কলকাতা লিগের জন্য ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলে যুক্ত হবেন এই ছয় ফুটবলার। এদিনের অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন ব্রাজিলিয়ান এলিয়ান্দ্র।এলিয়ান্দ্রকে নিয়ে কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব।

সেখানে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেকে দাবি করেছেন। অনুশীলনে চোট সরিয়ে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ রফিক। রাজারহাটে অনুশীলনে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল দল। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন দলকে বিভিন্ন রকম লং বল এবং সেট পিস অনুশীলন করালেন।

তারপর দুই দলে ভাগ করিয়ে আক্রমণের প্রশিক্ষণ দিলেন। অন্যদিকে মোহনবাগান এখনও খেলার ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। তারা জানিয়েছেন, আইএসএল-এর আয়োজক এফএসডিএল-এর সঙ্গে কথা বলেই কলকাতা লিগে খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সবুজ-মেরুন কর্তারা।

প্রস্তুতি ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে জয় ইস্টবেঙ্গলের, নজর কাড়লেন ডহার্থি

ইমামি ইস্টবেঙ্গল -৩
( সুহের, মহেশ, এলিয়ান্দ্র )

জর্জ টেলিগ্রাফ – ০

#কলকাতা: ডুরান্ড কাপ অতীত। কলকাতা লিগ খেলবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সুপার সিক্স পর্ব থেকে খেলবে তারা। প্রস্তুতি তুঙ্গে এই মুহূর্তে। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কোনও দল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পাবে। চ্যাম্পিয়ন হবেন কিনা আইএসএলে পরের ব্যাপার। কিন্তু লড়াকু ফুটবল উপহার দেবে লাল হলুদ।

আজ রবিবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। এআইএফএফ সেন্টার অফ এক্সিলেন্স মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জর্জ টেলিগ্রাফ। যদিও প্রতিপক্ষ দল একেবারেই শক্তিহীন, তবুও ফুটবলারদের দেখে নিতে এমন ম্যাচের দরকার আছে মনে করেন কোচ। গোল করেছেন মহেশ সিং, সুহের এবং এলিয়ান্দ্র।

তবে বিপক্ষ দলে তেমন স্ট্রাইকার না থাকায় পরীক্ষা হয়নি লাল হলুদ ডিফেন্সের। সেক্ষেত্রে ব্রাজিলিয়ান এলিয়ান্দ্র গোল করলেও তাকে ফিটনেস নিয়ে এখনও প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে সেটা বোঝা গেল। দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হল ক্লেটন সিলভা এবং স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেসকে।

ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে চোখে পড়লেন নবি হোসেন খান। তবে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিলেন জর্ডান ডহার্থি। লাল হলুদের অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার প্রচুর পাস বাড়ালেন ফরোয়ার্ডদের জন্য। জায়গা অদল বদল করে খেললেন। কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে মহমেডান স্পোর্টিং দলের বিপক্ষে।

সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে যারা যথেষ্ট ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছে। ডুরান্ড কাপে সেমিফাইনালে মুম্বই সিটি এফসির কাছে হেরে গেলেও সাদা কালো শিবিরের খেলা নজর টেনেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গলের। স্টিফেন মনে করছেন দলের কম্বিনেশন তৈরি হতে কলকাতা লিগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আইএসএলর আগে দলকে মোটামুটি একটা ভাল জায়গায় নিয়ে আসতে পারবেন তিনি।

পরের ডার্বিতে আসল ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে পাবেন, মোহনবাগানকে হুঁশিয়ারি স্টিফেনের

#কলকাতা: ডার্বির হার অতীত। ডুরান্ড কাপে লাল-হলুদের কোনও আশা নেই। শনিবার মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে কাঙ্ক্ষিত জয়ের অপেক্ষায় কমলজিৎরা। প্রাচীন টুর্নামেন্টে সম্মানজনক সমাপ্তি করতে প্রত্যয়ী ইস্টবেঙ্গল। প্রায় তিনদিন পর নিজেদের মাঠে অনুশীলন করলেন লিমারা। মাঠের একটা অর্ধে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করান স্টিফেন। বাঙালি ডিফেন্ডার সার্থক গোলুই অনেকটাই ফিট হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে এদিন পরখ করে নেন বিদেশি কোচ।

আরও পড়ুন – প্রেম থেকে উদ্যাম যৌনতা! শাকিরার সঙ্গে নাদালের সম্পর্কে তোলপাড় দুনিয়া

কনস্টানটাইনকে চিন্তায় রেখেছে গোলমুখে ব্যর্থতা। মাঠে জড় হওয়া সমর্থকদের অভিযোগের তির ফরোয়ার্ড এলেয়ান্দ্রো ও সুমিত পাসির দিকে। উল্লেখ্য, আক্রমণ জোরদার করতে এদিন ইস্টবেঙ্গল সই করিয়েছে ২৯ বছর বয়সি মণিপুরি স্ট্রাইকার থংখোসিয়েম (সেমবই) হাওকিপকে। গতবার আইএসএলে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে তাঁর নামের পাশে রয়েছে দু’গোল। একদা বেঙ্গালুরু এফসি’র হয়ে জিতেছেন আইএসএল। তাঁর মোট গোল সংখ্যা ৮।

ডার্বিতে হারলেও সমর্থকদের মুখে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেজের প্রশংসা শোনা গেল। কর্তারা ডার্বির ফলে খুশি। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, এই দলে অধিনায়ক শৌভিক চক্রবর্তী ছাড়া কারও ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা নেই। কমদিনের প্রস্তুতিতে দলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক।

কোচও উদারমনা। তাঁর ইতিবাচক দিক, ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সবার থেকে সাজেশন চাইছেন। ক্লাবের বাইরে একটা সাজেশন বক্স বসানো হয়েছে। ষষ্ঠ বিদেশি হিসেবে স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার জর্ডন লুইস ও’দোহার্তি শীঘ্রই কলকাতায় আসছেন।

স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন মনে করেন এরপর মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পরের ডার্বি যখন হবে, তখন ইস্টবেঙ্গলকে খেলা সহজ হবে না। ততদিনে স্বদেশী এবং বিদেশি মিলিয়ে দলটাকে তৈরি করে নেবেন তিনি।

East Bengal : দাপট নিয়ে খেলেও রাজস্থানের বিরুদ্ধে ড্র ইস্টবেঙ্গলের, হতাশ নন কোচ স্টিফেন

#কলকাতা: প্রথম ম্যাচে ভারতীয় নৌসেনার বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র করার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ইমামি ইস্টবেঙ্গল যে জয়ের জন্য মাঠে নামবে, সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। ম্যাচের প্রথম থেকেই দুরন্ত গতিতে খেলা শুরু হল। এদিন প্রথম দলে লিমা এবং কিরিয়াকু – দুই বিদেশি ফুটবলারকে দিয়ে শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ কোচ।

ডান দিক থেকে অনিকের যাদব ঝড়ের গতিতে আক্রমণ তৈরি করছিলেন। আর ফ্রি ফুটবলার হিসেবে আপফ্রন্ট সুহের প্রচুর ওয়ার্ক লোড নিচ্ছিলেন। তুহিন দাস এবং অমরজিৎ মাঝমাঠে লড়াই করছিলেন জবরদস্ত। ১৫ মিনিটের মাথায় প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন সুহের। কিন্তু ডিফেন্ডার মেল রয় পড়ে গিয়েও বল বের করে দেন।

২৫ মিনিটের মাথায় অমরজিতের শট ক্রসপিসে লেগে প্রতিহত হয়। ৩০ মিনিট একাধিপত্য ছিল ইস্টবেঙ্গলের। এরপর কিছুটা আক্রমণ করার চেষ্টা করে রাজস্থান। কিন্তু গোলের নাগাল পায়নি। দ্বিতীয়আর্ধে ব্রাজিলিয়ান এলিয়ান্দ্র, স্প্যানিশ ইভান গঞ্জালেসকে নামিয়ে দেন স্টিফেন। কিন্তু তাতেও গোলের দেখা পায়নি ইস্টবেঙ্গল।

উল্টে পেনাল্টি পেয়ে গেল রাজস্থান। ভাগ্য ভাল লাল হলুদের, গোল করতে ব্যর্থ হলেন বারবোসা। গোলরক্ষক কমলজিতের হাতে মারেন তিনি। এরপরে এলিয়ান্দ্র কিছু বল বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু ফিনিশ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল। অথচ আজ কিন্তু জেতার মতোই খেলেছিল লাল হলুদ।

কিন্তু ফিনিশিং এর অভাবে কাজের কাজ হল না। ম্যাচ শেষে স্টিফেন মেনে নিলেন এই ম্যাচ জেতা উচিত ছিল তার দলের। ডার্বির আগে অনেকটা আত্মবিশ্বাস পাওয়া যেত তাহলে। তবে সমর্থকদের কিছুটা ধৈর্য ধরতে বলছেন তিনি। সবে দুটো ম্যাচ হয়েছে। রবিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শুধু লড়াই নয়, ইস্টবেঙ্গল নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেললে, জেতার ক্ষমতাও রাখে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ।

হাতে দুটো দিন সময়। এরমধ্যে যাবতীয় ভুল ভ্রান্তি ঠিক করে নিতে হবে। কনস্ট্যানটাইন আত্মবিশ্বাসী তার ছেলেরা পারবে। এই গ্রুপ থেকে মুম্বাই সিটি ১ নম্বরে এবং রাজস্থান দুই নম্বরে রইল। তিন নম্বরে ইস্টবেঙ্গল এবং সবার শেষে এটিকে মোহনবাগান।

অর্থাৎ ২৮ আগস্ট যে দল ডার্বি জিতবে ডুরান্ড কাপে নকআউটে যাওয়ার লড়াইয়ে তারাই টিকে থাকবে। ড্র বা হারের জায়গা নেই। যে দল ড্র করবে বা হারবে তাদের অভিযান শেষ বলাই যায়। তাই ডার্বি জমে গেল।

East Bengal : ইস্টবেঙ্গলের ষষ্ঠ বিদেশি অস্ট্রেলিয়ার জর্ডান ও’দোহার্তি, প্রশংসা স্টিফেনের

#কলকাতা: ষষ্ঠ বিদেশি ফুটবলার হিসেবে ইস্টবেঙ্গলে আসছেন স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার জর্ডন লুইস ও’দোহার্তি। সোমবার ম্যাচের পর লাল-হলুদের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন বলেন, ও আমাদের এশিয়ান কোটার ফুটবলার। বয়স ২৪। উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। মূলত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

আরও পড়ুন – Chinese military : চিনের সেনা ঠিক কতটা শক্তিশালী? ভারতের ভয়ের কারণই বা কতটা? জানুন

এর আগে মেলবোর্ন নাইটস, অ্যাডিলেড ইউনাইটেড, ওয়েস্টার্ন সিডনি ও নিউক্যাসেল জেটসে খেলেছে। এদিকে, গোলরক্ষক সমস্যা অনেকটাই মিটিয়ে ফেলল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সোমবার এফসি গোয়া থেকে তারা লিয়েনে সই করাল নবীন কুমারকে। ২০১৯ থেকে এফসি গোয়াতে খেলেছেন ৩৩ বছর বয়সি এই গোলরক্ষক। গত বছর ডুরান্ড কাপে বিজয়ী দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন তিনি।

এছাড়াও গোয়ার দলের হয়ে সুপার কাপ ও আইএসএল লিগ উইনার্স শিল্ড জয়ের স্বাদ পেয়েছেন নবীন। এর আগে ২০১২-১৩ মরশুমে মোহন বাগানে খেলে গিয়েছেন হোসিয়ারপুর থেকে উঠে আসা এই গোলরক্ষক। উল্লেখ্য, এবার লাল-হলুদে বাকি দুই গোলরক্ষক হলেন কমলজিৎ সিং ও পবন কুমার। একইদিনে রিজার্ভ টিম থেকে ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলে সই করলেন নবি হুসেন খান, মহীতোষ রায়, তুহিন দাস ও শুভম ভৌমিক।

জর্ডান ও’দোহার্তি মূলত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। কিন্তু প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক ফুটবলার হিসেবেও দলকে সাহায্য করতে পারেন। পাশাপাশি ডিফেন্সিভ কোয়ালিটি আছে। বছর দেড়েক আগে এসিএল চোটের সমস্যায় পড়েছিলেন। তারপর থেকে অবশ্য নিজেকে সুস্থ প্রমাণ করে ফিরে এসেছেন।

ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় লাভ ফুটবলারটির মাত্র ২৪ বছর বয়স। এক বছরের চুক্তি হলেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে, চুক্তি বাড়তেও পারে। স্টিফেন নিজে আশাবাদী জর্ডান খুব তাড়াতাড়ি ভারতীয় ফুটবলে নিজেকে মানিয়ে নেবেন। ভিসার আবেদন করে দিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে শুক্রবারের মধ্যে তার চলে আসার কথা।

East Bengal : সুযোগ নষ্টের খেসারত! নেভির বিরুদ্ধে ড্র দিয়ে ডুরান্ড শুরু ইস্টবেঙ্গলের

#কলকাতা: অবশেষে সোমবার মাঠে নামল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মরশুমের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে। ভারতীয় নৌ সেনার দলের বিরুদ্ধে লাল হলুদ ব্রিগেড ফেভারিট ছিল তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও এদিন প্রথম দলে কোনও বিদেশি ফুটবলার রাখেননি স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। উল্টে খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে আঘাত পেয়ে উঠে গেলেন মহেশ সিং।

বদলি হিসেবে নামলেন তুহিন দাস। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ হলেও ভারতীয় নৌসেনার দলের আজ ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ। ফলে তাদের বিরুদ্ধে সহজে গোল পাওয়া যাবে না এটা আগের দিনই বলেছিলেন স্টিফেন। দলটার ফিটনেস এবং লড়াই করার মানসিকতা দারুন। বৃতো, পিন্টু মাহাতদের মত বড় দলের খেলা ফুটবলার দুজন ছিলেন নেভি দলে।

এছাড়াও আদর্শ, নবজোথ, হরে কৃষ্ণ, বিবেক থাপারা বেশ লড়াই করছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের সূহের এবং অনিকেত যাদব প্রচুর ওয়ার্কলোড নিলেন। তবুও সেভাবে প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ তৈরি হয়নি। লিমা, সৌভিক, মহিতশকে দ্বিতীয়ার্ধে নিয়ে এলেন স্টিফেন। ৫৩ মিনিটে সুমিত পাসির শট পোস্টে প্রতিহত হয়ে ফিরে এল।

কিন্তু নিজেদের প্রিয় দলের খেলা দেখতে আসা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা গান গেয়ে দলকে মোটিভেট করতে থাকলেন। অপেক্ষা কখন গোল হবে। কিন্তু লাল হলুদের খেলায় সেভাবে বাঁধন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল না। নেভি গায়ের জোরে ডিফেন্স শক্তিশালী রেখে লড়াই চালাচ্ছিল।

এর মধ্যেই ৭৫ মিনিটে গোল করার সহজ সুযোগ মিস করলেন সেই সুমিত। সামনে একা গোলরক্ষককে পেয়েও গায়ে মেরে বসলেন। তবে লাল হলুদ জার্সিতে প্রথম দিন মহম্মদ রকিপের খেলা চোখে লাগল। সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন সুহের। লিমা নিজের পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পাননি।

তাকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই কারণ সবেমাত্র ভারতে এসেছেন তিনি। আশা করা যায় এরপর অন্তত দুজন বিদেশি ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামলে এই দলের খেলা অনেক খুলে যাবে। তবে এটা বলতেও দ্বিধা নেই আজ দু তিনটে সুযোগের অন্তত একটি কাজে লাগাতে পারলেও পুরো তিনটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত ইমামি ইস্টবেঙ্গল।

East Bengal : সোমবার ডুরান্ডে যাত্রা শুরু ইস্টবেঙ্গলের, দারুণ আত্মবিশ্বাসী কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন

#কলকাতা: প্রচন্ড সাবধানী হয়ে রয়েছেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছেন ডুরান্ড কাপে কোনও প্রতিপক্ষকেই হালকা করে নেওয়ার জায়গা নেই। বাকি দুই প্রধানের তুলনায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল গড়েছে অনেক দেরিতে। তবে আশার কথা, দলের ঘোষিত বিদেশি ফুটবলাররা প্রত্যেকেই শহরে চলে এসেছেন। সাইপ্রাসের কারালাম্বোস কিরিয়াকু সবার আগে আসেন।

আরও পড়ুন – Durand cup : দুরন্ত জোসেফ, জামশেদপুরকে হারিয়ে ডুরান্ডে দ্বিতীয় জয় তুলল মহমেডান

তার পর আসেন অ্যালেক্স লিমা এবং ইভান গঞ্জালেজ। রবিবার সকালে এলেন এলিয়ান্দ্রো এবং ক্লেটন সিলভা। এশীয় কোটার বিদেশি এখনও বাকি। ডুরান্ড কাপের প্রথম দুই ম্যাচে জিতেছে মহমেডান। অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরেছে এটিকে মোহনবাগান। সোমবার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কি হবে? এই প্রশ্নই আপাতত ঘুরছে কলকাতার ময়দানে।

ভারতীয় নৌবাহিনির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে লাল-হলুদ। তারা কেমন খেলবে, কী প্রথম একাদশ হবে কিছুই আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। তবে কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের মুখে লড়াইয়ের বার্তা প্রথম ম্যাচের আগেই। প্রথম ম্যাচে হতে থাকা বিদেশিদের আদৌ খেলাবেন কি না, তা নিশ্চিত করে বলেননি কনস্ট্যান্টাইন।

তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তর, আমার হাতে দেড় খানা বিদেশি রয়েছে। সূত্রের খবর, কিরিয়াকুকে প্রথম থেকে না হলেও, পরের দিকে নামাতে পারেন। আক্রমণ ভাগে থাকতে পারেন ভিপি সুহের। মিডফিল্ডে থাকতে পারেন অনিকেত যাদব, শৌভিক চক্রবর্তীর মতো ফুটবলাররা।

ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে আশার কথা হল, উল্টোদিকে যারা থাকবে সেই নৌবাহিনি দলও বিদেশিহীন। প্রথম ম্যাচ আমার কাছেও উত্তেজক হতে চলেছে। এখান থেকেই ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী দল গড়া শুরু হবে। কনস্ট্যান্টাইনের সংযোজন, ১৩-১৪ দিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। প্রথম দিন হাতে ১১ জন ছিল। পরে আরও এসেছে। যারা রয়েছে তারা অনুশীলনে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে।

তবে যত দিন না একটা তৈরি হয়ে যাওয়া দল নিয়মিত ভাবে অনুশীলন করছে, তত দিন একটা সমস্যা থাকবেই। যারা রয়েছে তাদের নিয়ে খুশি। আমরা মাঠে সেরা পারফরম্যান্সই দেব। ইন্ডিয়ান নেভি অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও দম এবং ফিটনেসের অভাব নেই। সেটা লক্ষ্য করেছেন স্টিফেন।

East Bengal : ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে সেরা ডিফেন্ডার হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন রিয়েল মাদ্রিদের গঞ্জালেস

#কলকাতা: বছর শুরু হওয়ার আগে থেকেই যে কজন বিদেশি ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলে রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা, তাদের সবার আগে নাম ছিল ইভান গঞ্জালেসের। রিয়েল মাদ্রিদ একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ডিফেন্ডার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এফসি গোয়ার জার্সিতে দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন।

আরও পড়ুন – Lakshya Sen : ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাডমিন্টন তারকা হবে লক্ষ্য সেন, বলছেন প্রকাশ পাড়ুকোন

বিশাল চেহারা না হলেও একজন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের যা যা গুণ থাকা প্রয়োজন, তার সবকটা রয়েছে ইভানের। পজিশনিং, হেডিং, ট্যাকল, তলা থেকে খেলা তৈরি করা – ঠান্ডা মাথার এই ডিফেন্ডার কলকাতায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চিন্তা অনেকটাই কমবে।

ইভান জানেন গোয়ার মাঠে খেলা আর কলকাতার মাঠে খেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য দর্শকদের উপস্থিতি। ইস্টবেঙ্গলের চাপ এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাকে নিয়ে যে ভুল করেননি ইনভেস্টার সংস্থা ইমামি এবং ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট সেটা প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। কাগজপত্র সই হয়ে গিয়েছে। মাঠে নেমে এবার অনুশীলন শুরু বাকি।

কিন্তু কিছুতেই যেন তর সইছে না এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। সোশ্যাল মিডিয়াতে লাল হলুদ জার্সি গায়ে নিজের ছবি দিয়েছেন ইভান। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, তাড়াতাড়ি আসছি। শনিবার সকালেই শহরে পা রেখেছেন সাইপ্রাসের কিরিলাম্বস কিরিয়াকু। সঙ্গে পরিবারও এসেছে। আর বিকেল তিনটের সময় অনুশীলনে নেমে পড়লেন সুদর্শন ফুটবলারটি।

মেদহীন পেটাই চেহারার ডিফেন্ডার বেশ চনমনে ছিলেন। একবারের জন্য দেখে মনে হয়নি তিনি জেট ল্যাগে কাবু। বরং বেশ আনন্দের সঙ্গে অনুশীলন করলেন। দেখে বোঝা গেল এই মুহূর্তে ফিটনেস এর অভাব রয়েছে। তবে কিরিয়াকুর জাত নিয়ে সন্দেহ নেই। ইভান গঞ্জালেস এবং কিরিয়াকুর ওপরেই থাকবে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স সামাল দেওয়ার দায়িত্ব। দুজনেই তৈরি লাল হলুদ জার্সিতে নিজেদের মেলে ধরতে।