পাকিস্তান জয়ী ৩৩ রানে
ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে
#সিডনি: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৫ রান করেছিল পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার পরেই বৃষ্টির জেরে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।ডাকওয়ার্থ লুইসের নিয়মে ১৫ রান পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিয়ম অনুযায়ী ঠিক হয় খেলা হবে ১৪ ওভারের। লক্ষ্য মাত্রা দাঁড়ায় ১৪২। মানে ৩০ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৭৩ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শাহিন আফ্রিদির প্রথম ওভারেই ফিরে যান কুইন্টন ডি কক। বাভুমা অবশ্য ৩৬ করেন। তাকে ফিরিয়ে দেন শাদাব খান। ওই ওভারেই মার্করামকে বোল্ড করলেন শাদাব। রুসোকে ফিরিয়ে দেন শাহিন। আজ বাঁচা মরার লড়াইয়ে পাকিস্তান নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে সেটা বলতেই হবে।
শুধু বৃষ্টির কারণে এগিয়ে থাকা নয়, গোটা ম্যাচে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় পাকিস্তানের কর্তৃত্ব ছিল বেশি। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হওয়ার সময় উইকেটে ছিলেন ক্লাসেন এবং স্টাবস। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা ছিল শক্ত। ক্লাসেন (১৫) ফিরে গেলেন শাহিনের বলে ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়ে।
এরপর ম্যাচটা আর জেতা সম্ভব ছিল না আফ্রিকান সিংহদের। ওয়াসিম, নাসিমদের টাইট বোলিং এর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। অঙ্কের বিচারে এখনও কিছুটা আশা বেঁচে রইল পাকিস্তানের। বাংলাদেশকে হারাতেই হবে তাদের। তারপর নির্ভর করতে হবে অন্য দলের ওপর।
Pakistan keep semi-final hopes alive, clinching a win in the Group 2 clash against South Africa ?#T20WorldCup | #PAKvSA | ?: https://t.co/3VVq7VAJLt pic.twitter.com/hfsNzCivam
— ICC (@ICC) November 3, 2022
তবে পাকিস্তান বিশ্বকাপে থাকুক বা ছিটকে যাক, আজ টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা ম্যাচ খেলল তারা। পাওয়ার প্লে তে পাকিস্তানের রান ছিল ৪২/৩। শান মাসুদ ২ করে আউট হলেন নোখিয়ার বলে। এরপর অবশ্য ইফতিকার এবং নওয়াজ মিলে কিছুটা লড়াই করলেন। ৫০ রানের জুটি তৈরি হল।
নওয়াজ তব্রেজ শামসির বলে আউট হলেন ২৮ করে। এলেন শাদাব খান। কয়েকটা দেখার মত বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মারলেন তিনি। বেশ কয়েকটা ডবল নিলেন দৌড়ে। শেষ পর্যন্ত এই দুজনে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে কিছুটা লড়াই করার মত রান তুললেন।
তবে প্রথম দিকে ধাক্কা খাওয়ার পর যেভাবে শেষ দিকে পাকিস্তান পাল্টা কাউন্টার অ্যাটাক করল দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের তার প্রশংসা করতেই হয়। ব্যাটে এবং বলে পাকিস্তানের হয়ে এদিন অনবদ্য শাদাব খান।