Tag Archives: T20 World Cup 2022

চার নয়, এক বছরের অপেক্ষার শেষ। শুরু হল টি-২০ বিশ্বকাপ। ধারে-ভারে, জনপ্রিয়তায় ক্রিকেটের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপকে বরাবর টেক্কা দিয়েছে টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ। সব থেকে মজার ব্যাপার, টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য দর্শকদের চার বছর ধরে অপেক্ষাও করতে হয় না। প্রতি বছর নিয়ম করে দর্শকদের ভরপেট মনোরঞ্জন দিতে হাজির টি-২০ বিশ্বকাপ। এমনিতেই উৎসবের মরশুম চলছে। তার মধ্যে ক্রিকেটের উৎসবও শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের আর কী চাই! গতবারের চ্য়াম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তবে এবার তাদের শুরুতেই হোঁচট খাইয়ে ছাড়ল টিম ইন্ডিয়া। ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে অজিদের ৬ রানে হারিয়েছে ভারতীয় দল। তবে কাপ ঘরে তুলতে হলে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে রোহিত শর্মার দলকে।

কবে থেকে শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ?

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এবার ১৬টি দল নিয়ে বসেছে বিশ্বকাপের আসর। টি-২০ বিশ্বকাপের অষ্টম আসর এটি। টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে ১৬ অক্টোবর থেকে। তবে সুপার টুয়েলভ শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার মোট ৪৫টি ম্যাচ হবে। তার মধ্যে ৪২টি ম্যাচ প্রথম রাউন্ড ও সুপার টুয়েলভ-এ। বাকি তিনটির মধ্যে দু’টি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। প্রথম রাউন্ডে মোট ১২টি ম্যাচ। সুপার টুয়েলভে ম্যাচের সংখ্য়া ৩০। ফাইনাল ১৩ নভেম্বর। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল।

টি-২০ বিশ্বকাপের টুকিটাকি-

১৬ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা-নামিবিয়ার ম্যাচ দিয়ে প্রথম রাউন্ড শুরু হয়েছিল। ১৬টি দল খেলবে মোট ৪৫টি ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার মোট সাতটি শহরে হবে ৪৫টি ম্যাচ। গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। সেবার ফাইনালে অ্যারন ফিঞ্চ-এর নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে খেতাব ঘরে তুলেছিল। ফাইনালে ৫০ বলে ৭৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। এবারের বিশ্বকাপে ৮টি দল আগেভাগে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিয়েছে। বাকি ৮টি দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম রাউন্ড খেলছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল সুপার টুয়েলভে বাকি আট দলের সঙ্গে নাম লেখাবে। সুপার টুয়েলভে দুটি গ্রুপ। প্রতি গ্রুপে ৬টি করে দল। দুটি গ্রুপের সেরা দুটি দল খেলবে সেমিফাইনালে।

প্রথম রাউন্ডে কারা খেলছে?

শ্রীলঙ্কা, নামিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। এই আটটি দল খেলছে প্রথম রাউন্ডে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ সুপার টুয়েলভে জায়গা পাকা করে ফেলেছে।

পয়েন্টের হিসেব কীভাবে হবে?

প্রথম রাউন্ড ও সুপার টুয়েলভে জয়ী দল পাবে ২ পয়েন্ট করে। ম্যাচ পরিত্যক্ত বা ড্র হলে ১ পয়েন্ট করে পাবে দুটি দলই। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য এক দিন করে রিজার্ভ করা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে বৃষ্টির জন্য খেলা না হলে রিজার্ভ ডে-তে হবে।

প্রাইজ মানি কত?

টি-২০ বিশ্বকাপের মোট প্রাইজ মানি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার। প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া দলও ৪০ হাজার ডলার করে পাবে।

শামি-আখতারের ‘ট্যুইট যু্দ্ধে’ আসরে নামলেন আফ্রিদি, ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে দাগলেন তোপ

#করাচি: টি-২০ বিশ্বকাপ ভারত বনাম পাকিস্তানের স্বপ্নের ফাইনাল না হলেও দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে কিন্তু বাকযুদ্ধ কিন্তু কমছে না। বিশেষ করে শোয়েব আখতার ও মহম্মদ শামির ‘ট্যুইট যুদ্ধ’ কিন্তু বেশ উত্তাপ বাড়িয়েছে নেট দুনিয়ায়। সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের হারের পর ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইট করেছিলেন শোয়েব আখতার। আর ফাইনালে পাকিস্তান হারের পর শোয়েবকে পাল্টা দিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। এই ইস্যুতে এবার আসরে নামলেন শাহিদ আফ্রিদিও।

টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে লজ্জার হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। তারপর ট্যুইটারে শোয়েব আখতার হৃদয় ভাঙার ইমোজি শেয়ার করেছিলেন। তাছাড়া এর আগেও একাধিকবার ভারতীয় দলের সমালোচনা করেছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। এরপর ফাইনালে বেন স্টেকস উইনিং শট নেওয়ার পরই আখতারে ট্যুইটে প্রতিক্রিয়া দিয়ে শামি লেখেন, ‘দুঃখিত ভাই। এটাকে কর্মা বলে’। সঙ্গে তিনটি ভাঙা হৃদয়ের ইমোজি। শামি বুঝিয়ে দেন কর্মফল ভোগ করতে হচ্ছে আখতারকে।

শামির এই প্রতিক্রিয়া ঝড়ের গতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে একটি টিভি চ্যানেলের শো-তে শামি প্রসঙ্গে শাহিদ আখতার বলেন, ‘আমরা যারা ক্রিকেটার, তারা রোল মডেল। আমাদের চেষ্টা করা উচিত বিতর্ক থেকে দূরে সরে থাকা। আমরা একে অপরের প্রতিবেশী। এমন কিছু হওয়া ঠিক নয়, যেটা মানুষের মনে ঘৃণার জন্ম দেয়। যদি আমরা এমনটা করি, তবে সাধারাণ মানুষের থেকে কী আশা করা হবে।’

 

আরও পড়ুনঃ তিনবার সেরার সেরা, টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের ‘বিরাট’ প্রাপ্তি, ফের প্রমাণিত ‘কিং কোহলি’

 

এছাড়াও শাহিদ আফ্রিদি ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কেউ যদি অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড় হয়ে থাকে, তখনও এই সব করা ঠিক নয়। আর তুমি তো বর্তমানে টিমে খেলছো। তাই এই সব বিষয় এড়িয়ে চলাই ভালো।’ ফলে শামি ও আখতারের ট্যুইট যুদ্ধ নিয়ে এমনিতেই সরগরম ছিল পরিস্থিতি। এবার আফ্রিদির মন্তব্য সেই আগুনে আরও কিছুটা ঘি পড়ল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

 

ফাইনাল হারের পর হতাশ বাবর আজম, মুখ খুললেন নিজের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে

#মেলবোর্ন: ১৯৯২ বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয় করেছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। ৩০ বছর পর সেই অস্ট্রেলিয়াতেই ইংল্যান্ডকেই হারিয়ে ক্রিকেটে সবথেকে ছোট ফর্ম্যাটে বিশ্বজয় করার সুযোগ ছিল বাবর আজমের কাছে। কিন্তু ইমরান হতে পারেননি বাবর। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করেও হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ম্যাচ শেষে নিজের দল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় মন্তব্য করলেন পাক অধিনায়ক।

ভারত ও জিম্বাবোয়ের কাছে হেরে একসময় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেখানে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে পৌছায় ফাইনালে। ভাগ্যও সাথ দেয় কিছুটা। কিন্তু ফাইনাল হারের পর হতাশ বাবর আজম। ব্যাট হাতেও এই বিশ্বকাপে বাবর আজমকে একেবারেই চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। কিন্তু ফাইনাল সহ পুরো প্রতিযোগিতায় তার দল যে ক্রিকেটটা খেলেছে, যে লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে তার প্রশংসা করেছেন বাবর আজম।

ফাইনালে ১৩৭ রানের সামান্য রসদ নিয়ে পাক বোলাররা দুরন্ত লড়াই করে। একসময় ইংল্যান্ডকে চাপেও ফেলে দিয়েছে শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ, নাসিম শাহ, শাদাব খানরা। ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের প্রশংসা করে বাবর আজম লেখেন,’দলের উপর অসম্ভব গর্বিত। তোমরা সবাই যোদ্ধার মতো লড়াই করেছ। তোমরা যে ভাবে খেলেছ, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।’

প্রসঙ্গত, টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২ ফাইনালে মেলবোর্নে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন জস বাটলার। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন শান মাসুদ ও ৩২ রান করেন বাবর আজম। ৩ উইকেট নেন স্যাম কুরান। রান তাড়া করতে নেমে ১ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ইংল্যান্ড। ৫২ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেন বেন স্টোকস।

 

পাকিস্তান হারতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা শামির ! ধুয়ে দিলেন শোয়েবকে

#মুম্বই: কয়েক হাজার মাইল দূরে মেলবোর্নের মাঠে তখন সবে হেরেছে পাকিস্তান। শোয়েব আখতার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভগ্ন হৃদয়ের ছবি পোস্ট করলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভারতের পেসার মহম্মদ শামি সেই ছবির নিচে লিখলেন নতুন ক্যাপশন। তিনি লেখেন, দুঃখিত ভাই, একেই বলে কর্ম।

প্রাক্তন পাকিস্তান তারকাকে টিটকিরি মেরেছেন শামি এটাই পরিষ্কার। অবশ্য এর পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। এর আগে ভারতের সমালোচনা করেছিলেন শোয়েব। তিনি বলেছিলেন ভারত টিস মার খান নয়। ওরাও ব্যর্থ হবে এবং ফিরে আসবে। অবশেষে পাকিস্তানকে মুখোমুখি লড়াইয়ে হারালেও ইংল্যান্ডের কাছে সেমি ফাইনালে উড়ে গিয়েছিল ভারত। মজা করেছিলেন শোয়েব।

আরও পড়ুন – ১৯৯২ ফিরল না পাকিস্তানের, বাবরদের হারিয়ে ১২ বছর পর দ্বিতীয়বার টি-২০ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

ভারতের যোগ্যতা নেই বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাই আজ সুযোগ পেয়ে পাল্টা দিতে ভোলেননি মহম্মদ শামি। এরপর বিস্তর রিঅ্যাকশন এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ শামিকে গালাগালি করেছেন, কেউ আবার তাকে স্যালুট জানিয়েছেন। এর আগেও পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হারার পর শামির সঙ্গে লেগে গিয়েছিল পাকিস্তানি সমর্থকদের।

সেবার তাকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শোয়েব অবশ্য এর পাল্টা কোনও জবাব দেননি। আসলে ভারত পাকিস্তান লড়াই আজও সবার অলক্ষে ছিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যর্থতায় শামি খুশি হবেন সেটাই হয়তো স্বাভাবিক।

বল করছে বাবর-রিজওয়ান, ব্যাটিংয়ে শাহিন আফ্রিদি, ফাইনালের আগে অনুশীলনে চমক পাকিস্তানের

#মেলবোর্ন: ২০০৯ সালে শেষবার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। ১৩ বছর পর আরও একবার ক্রিকেটে সবথেকে ছোট ফর্ম্যাটে বিশ্বজয়ের হাতছানি বাবর আজমদের সামনে। সামনে প্রবল প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড হলেও ফাইনালে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ পাক দল। তাই মেগা ফাইনালের আগে বিশেষ অনুশীলন সারল গোটা দল। বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদিদের অনুশীলন একটু অবাকই করেছে সকলকে।

ফাইনালের আগে অনুশীলনে কোনও খামতি রাখছে না বাবর আজমের দল। যাবতীয় ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদি। আর তাকে বোলিং করছেন বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানরা। দীর্ঘক্ষণ নেটে ব্যাটিং করেন শাহিন আফ্রিদি সহ অন্যান্য বোলাররা।

আসলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে দলের কাছ থেকে টোটাল ক্রিকেট চাইছে পাকিস্তানের কোচ সাকলাইন মুস্তাক ও মহম্মদ ইউসুফ। তাই দলে স্পেশালিস্ট বিভাগের ক্রিকেটার অর্থাৎ ব্যাটারদের কাছ থেকে শুধু ব্যাট, বোলারদের কাছ থেকে শুধু বোলিং, এমন ভাবনা থেকে দলকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। ফাইনালের মত বড় ম্যাচে ক্রিকেটারদের সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখতে চাইছেন পাক কোচিং স্টাফ।

 

আরও পড়ুনঃ নতুন নিয়ম টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে, তারপরও চিন্তায় পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড

 

প্রসঙ্গত, ফাইনালের আগে দুই দল কঠিন অনুশীলন করলেও চিন্তায় রয়েছে সকলেই। সেই কারণ প্রতিপক্ষের থেকে বেশি মেলবোর্নের আবহাওয়া। কারণ হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী মেলবোর্নে রবিবার একশো শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী রিজার্ভ ডে-তেও ৯৫ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে খেলা হওয়া নিয়ে আশঙ্কায় পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড দুই দল।

ফাইনালে পাকিস্তানের পক্ষে গলা ফাটাবে অস্ট্রেলিয়ানরা! ইংল্যান্ডের হার চাইছে ক্যাঙ্গারুরা

#মেলবোর্ন: ক্রিকেট বিশ্বে ভারত বনাম পাকিস্তান লড়াইটা যেমন চিরকালীন, তেমনই অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড লড়াই আরও পুরনো। কয়েকশো বছরের যুদ্ধ বলা যায়। আর একদিন। রবিবারই নতুন টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন পেয়ে যাবে ক্রিকেটবিশ্ব। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান। ঠিক এই মাঠেই ইংল্যন্ডকে হারিয়ে ১৯৯২ সালে ইমরান খানের পাকিস্তান দল বিশ্বকাপ জিতেছিল।

আরও পড়ুন – মৃত্যুর আগে শেষবার ব্রাজিলকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেখতে চান পেলে! নেইমারকে দিলেন ভালোবাসা

এবার বাবর আজমরা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবেন কিনা তা সময়েই বলে দেবে, তবে মেলবোর্নের গ্যালারিতে সেদিন পাকিস্তানের সমর্থকই বেশি থাকবে বলে মনে করেন ওয়াসিম আক্রম। সুলতান অব সুইং খ্যাত পাকিস্তানের প্রাক্তন গতি তারকা বাবর আজমদের নির্ভয় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। চাপমুক্ত হয়ে খেলতে বলেছেন।

৯২ বিশ্বকাপ জয়ের এই নায়ক ফাইনালিস্ট দুই দলকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন, এটা অনেক বড় একটা দিন। এই দিনটার জন্যই তো আমরা খেলি। প্রথমত, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আপনার স্বপ্ন। এরপর বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা, এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। তাই আগে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাতে হয়। তারা এটা করে দেখিয়েছে।

অক্রমের দাবি, মেলবোর্নে পাকিস্তানের সমর্থকই বেশি থাকবে। কারণ ইংল্যান্ড হল অস্ট্রেলিয়ার চিরশত্রু। তারা জীবনেও বাটলারদের সমর্থন দেবে না। তাই স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থনটাও পেয়ে যাবে পাকিস্তান। আক্রম বলেন, বিষয়টাকে খুব স্বাভাবিক রাখতে হবে। মাঠে গিয়ে স্রেফ উপভোগ করা।

আমি আরেকটি গোপন বিষয় বলতে পারি, পুরো অস্ট্রেলিয়া কিন্তু পাকিস্তান দলকে সমর্থন দেবে। এর কারণ হচ্ছে ইংল্যান্ড। ৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালেও এমনটা ঘটেছিল। যদি ৮৯ হাজার দর্শক থাকে, তার মধ্যে ৫০ হাজারই অস্ট্রেলিয়ান।

তারা আগেই পরিকল্পনা করে টিকিট কেটে ফেলে। আমাদের মতো শেষ মুহূর্তে ওরা টিকিট খোঁজে না। তবে শুধু সমর্থন পেলেই পাকিস্তান জিতবে না। ইংল্যান্ডের মত দলকে হারাতে গেলে নিজেদের সেরা ক্রিকেট তুলে ধরতে হবে বাবরদের জানিয়েছেন আক্রম।

বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ! বিশ্বকাপ ফাইনালে মাঠে খেলা না হলে কী হবে শেষ অবধি?

#মেলবোর্ন: একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে ইংল্যান্ড। একদিকে ক্রিস অক্স, জর্ডান – অন্যদিকে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দুর্ধর্ষ ম্যাচের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ এর চ্যাম্পিয়ন পেতে আর একটি ম্যাচই বাকি। আগামী রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি ইংল্যান্ড আর পাকিস্তান।

পুরো ক্রিকেটবিশ্ব যখন জমজমাট ফাইনালের অপেক্ষা করছে, তখন মুচকি হাসছেন প্রকৃতিদেবী। কারণ সেদিন মেলবোর্নে বৃষ্টিপাতের সমূহ সম্ভাবনা আছে। কী হবে, যদি ফাইনাল ভেস্তে যায়? এবারের বিশ্বকাপে বারবার বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। বেশ কিছু ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছে, আবার কিছু ম্যাচের ফলাফল হয়েছে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে।

আরও পড়ুন – বেঙ্গালুরুর মাঠে ইস্টবেঙ্গলের মস্তানি, সিলভার গোলে সুনীলদের হারিয়ে দ্বিতীয় জয় লাল হলুদের

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবার মেলবোর্নে ১৫ থেকে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টির ৯৫ শতাংশ সম্ভাবনা আছে। বজ্রপাতের সঙ্গে মুষলধারে বর্ষণ হতে পারে। বিশ্বকাপের নক-আউট ম্যাচগুলোর জন্য অবশ্য একটি করে রিজার্ভ ডে রেখেছে আইসিসি। তাই রবিবার ফাইনাল না হলে সেটা পরদিন সোমবার মাঠে গড়াতে পারে।

কিন্তু সেদিনও মেলবোর্নে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ! নিয়মানুযায়ী নক-আউট পর্বের ফলাফল হতে কমপক্ষে ১০ ওভার খেলা হতে হবে। তাই রবিবারই ওভার কমিয়ে খেলা শেষ করার চেষ্টা করা হবে। যদি রবিবার খেলা শেষ করা না যায়, তাহলে যে পর্যন্ত খেলা হবে, পরদিন রিজার্ভ ডেতে ওই জায়গা থেকেই পুনরায় খেলা শুরু হবে।

আর যদি রবিবার যদি খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে পরদিন পুরো ২০ ওভার খেলা হবে। এমনিতে ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট বেশি বরাদ্দ থাকে। আর রিজার্ভ ডেতে বরাদ্দ রাখা হবে বাড়তি দুই ঘণ্টা। দুই দিন মিলিয়েও যদি খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে দুই দলের মাঝে ট্রফি ভাগ করে দেওয়া হবে।

২০০২-০৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্রিকেট প্রেমীরা চাইছেন খেলা পুরো হোক। মাঠেই বিচার হোক সেরা দলের।

একজন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক, অপরজনের কাছে বিশ্বজয়ের হাতছানি, কী কথা হল দুজনের

#অ্যাডিলেড: ২০০৯ সালের পর আরও একবার টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড দল। ২০১৯ সালে প্রথমবার ৫০ ওভারে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রিটিশর। অধিনায়র ছিলেন ইয়ন মর্গ্যান। ৩ বছরের ব্যবধানে আরও একবার বিশ্বজয়ের হাতছানি জস বাটলারের দলের সামনে। টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ভারতকে হারানোর পর ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মর্গ্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কথা হল জস বাটলারের।

সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইেকেটে হারের পর একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকার দেন জস বাটলার। সেখানে সঞ্চালক ও বাটলার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইয়ন মর্গ্যান। সেখানেই নিজের দলের এদিনের ম্যাচের পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন বাটলার। মেগা ফাইনালে নামার আগে বাটলারকে মর্গ্যান কোনও টিপস দেবেন কিনা সেটা জানতে চান সঞ্চালক। জবাবে বাটলারের প্রশংসা করে মর্গ্যান বলেন, ইংল্যান্ড ফাইনালে,’এর থেকে বেশি ভালো কিছু হতে পারেনা।’ এছাড়া মর্গ্যান বলেন,’আমি এই লোকটিকে কোন উপদেশ দিতে পারি না – সে আজ তার সর্বকালের সেরা খেলায় অধিনায়কত্ব করেছে।’ বাটলারের অধিনায়কত্বে মর্গ্যান যে ভরসা রাখছে, আলাদা করে টিপসের কোনও প্রয়োজন নেই সেটাই বুঝিয়ে দেন ইয়ন মর্গ্যান।

প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৫০ রান করেন বিরাট কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ব্রিটিশ লায়ন্সরা। ৮৬ রান করে অ্যালেক্স হেলস ও ৮০ রান করে জস বাটলার অপরাজিত থাকেন।

 

প্রথম বিশ্বকাপেই স্বপ্ন শেষ! রোহিত শর্মা একা বসে কাঁদলেন হাউ হাউ করে

#অ্যাডিলেড: এটাই ছিল ক্যাপ্টেন হিসেবে তাঁর প্রথম টি২০ বিশ্বকাপ। রোহিত শর্মা হয়তো ভেবেছিলেন, প্রথম বিশ্বকাপেই তিনি বাজি মেরে দেবেন! সেটা হয়নি। টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের স্বপ্নভঙ্গ করেছে ইংল্যান্ড।

ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কার্যত ছেলেখেলা করল ইংল্যান্ড। মাঠে মারা গেল রোহিত শর্মার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপ সেমিতে ১০ উইকেটে হারতে হল ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। আর সেই হার স্বাভাবিকভাবেই হজম করতে পারেননি রোহিত শর্মা।

আরও পড়ুন- India vs England: আইসিসি প্রতিযোগিতায় নক আউট পর্বে হেরেই চলেছে ভারত, দেখুন গত কয়েক বছরের রেকর্ড

ম্যাচ হারের পর ডাগ আউটে বসে হাউ হাউ করে কাঁদলেন রোহিত শর্মা। সেই ভিডিও ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। রবিবার ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ ফাইনাল হবে। এমনই আশা করে রেখেছিলেন অনেকে। তবে সেটা হল না। ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ফাইনাল।

রোহিত শর্মা গোটা টি২০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ছাড়া অন্য কোনও ম্যাচে বড় রান করতে পারেননি। কে এল রাহুলের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটি একেবারেই জমেনি। আর তার খেসারত দিতে হল ভারতীয় দলকে। সেমিফাইনাল থেকে ভারতীয় দলের ছিটকে যাওয়ার পিছনে ওপেনিং জুটির রান না পাওয়াটাকে অনেকেই কারণ হিসেবে ধরছেন।

আরও পড়ুন- Flying Kiss…NZ-PAK: পাকিস্তানকে জয়ের পুরস্কার! গ্যালারিতে চুমুর বন্যা যুবতীর, জমজমাট ICC T20 CWC গ্যালারি কাঁপা

আইপিএলে দুর্দান্ত সফল রোহিত শর্মা। পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন তিনি। তবে ভারতীয় টি২০ দলের বিশ্বকাপ হওয়ার পর রোহিত শর্মার ভাগ্যের শিঁকে ছিড়ল না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই হার গভীর আঘাত করেছএ রোহিত শর্মার মনে। হয়তো এই হারের ক্ষত সারাতে তাঁর অনেকদিন সময় লাগে।

দেশ ফাইনালে ওঠার আনন্দ, টিভি চ্যালেনেই উদ্দাম নাচ ওয়াকার-শোয়েবদের

#করাচি: টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌছেছে পাকিস্তান। ২০০৯ সালের পর ফের একবার ফাইনালে পৌছানোয় পাকিস্তান জুড়ে এখন উৎসবের পরিবেশ। নাচে-গানে মাতলেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। বাবর আজম-মহম্মদ রিজওয়ান-শাহিন আফ্রিদিরা ফাইনালে পৌছাতেই লাইভ টিভি স্টুডিয়োতে তুমুল নাচ শোয়েব মালিক, ওয়াকার ইউনিসদের।

এর আগে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিক পাকা হওয়ার সময়ও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। তবে সেদিনের নাচকে হার মানা ফাইনালে ওঠার উদ্দামতা। পাকিস্তানের একটি স্পোর্টস চ্যানেলে বিশ্লেষণের জন্য ছিলেন ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রম, মিসবা উল হক, শোয়েব মালিকরা। কিউইদের হারিয়ে ফাইনালে উঠতেই পঞ্জাবি গানে তুমুল নাচ শুরু করেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররা।

প্রাক্তন পাকিস্তান ক্রিকেটারদের নাচ ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওয়াসিম আক্রম ও মিসবা উল হক হাততালি দিলেও উদ্দাম নাচ নাচছেন ওয়াকার ইউনিস ও শোয়েব মালিক। ওই টিভি চ্যানেলের সঞ্চালককেও মন খুলে নাচতে দেখা যায়।

 

আরও পড়ুনঃ কোহলির চোট সমস্যা থেকে চাহলকে নিয়ে জল্পনা, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেমন হতে পারে ভারতীয় দল

 

প্রসঙ্গত, সিডনিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে কিউইরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ডায়ার্ল মিচেল ও ৪৬ রান করেন কেন উইলিয়ামসন। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেট জয় পায় পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ান ৫৭, বাবর আজম ৫৩ ও মহম্মদ হ্যারিস ৩০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।

 

‘দিল দিল পাকিস্তান’, পাক ক্রিকেটারদের গানের ভিডিও ভাইরাল, জিতে আত্মহারা বাবররা

#সিডনি: জুনেইদ জামশেদের গান। অনেকে বলেন, পাকিস্তানের দ্বিতীয় জাতীয় সঙ্গীত এটি। দিল দিল পাকিস্তান, জান জান পাকিস্তান।

পাক সরজমিন…। পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে যতটা ভালবাসেন পাকিস্তানিরা, দিল দিল পাকিস্তান গাওয়ার সময়ও তাঁদের চোখে থাকে আবেগের অশ্রু। আর তাঁদের ভালবাসার পাকিস্তান এবার খেলবে বিশ্বকাপ ফাইনালে। এই সময়েই তো দিল দিল পাকিস্তান গানটা চিৎকার করে গাওয়ার সময়!

আরও পড়ুন- ভারত নাকি ইংল্যান্ড, কাকে বিশ্বকাপ ফাইনালে চাই? জানিয়ে দিল পাকিস্তান

বুধবার নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১৩ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে দুরন্ত জয় পেয়েছে পাকিস্তান। পাক সমর্থকরা সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের আইকনিক স্ট্যান্ড থেকে “দিল দিল পাকিস্তান, জান জান পাকিস্তান” গানটি দিয়ে খেলোয়াড়দেরও মুগ্ধ করে দেন।

প্রথমে ব্যাটিং করে এদিন নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে ১৫২ রান করে। এর পর বাবর ও রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরি পাকিস্তানকে লক্ষ্যে পৌঁছতে সহায়তা করে। এই জয় পাকিস্তানকে যেন নতুন করে ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিতি দিল। একটা সময় টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের।

নিউজিল্যান্ডের মতো কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে  ফুটছেন পাক ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের মেন্টর ম্যাথিউ হেডেন জানিয়েছেন, তাঁরা ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে চান। অর্থাৎ আগামীকাল ভারত জিতলে ১৫ বছর পর আবার টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান।

আরও পড়ুন- আবেগের বিস্ফোরণ থেকে সেলফি টাইম, ফাইনালে পৌছে উৎসবের মেজাজে পাকিস্তান

নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফরা এদিন চিৎকার করে গাইলেন দিল দিল পাকিস্তান, জান জান পাকিস্তান। বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার আনন্দে আত্মহারা তাঁরা। আর তাঁদের সঙ্গে যেন এই জনপ্রিয় গান গাইল পাকিস্তানের আওয়াম!