হারিয়েছেন ক্যান্সারকে, বিশ্বকাপে গেরুয়া রঙ ছড়িয়ে বিদায় নিতে চান ডাচ ফুটবলের দ্রোণাচার্য

#দোহা: ইউরোপ ফুটবলের অন্যতম শক্তিধর দেশ হওয়া সত্ত্বেও ১১ বার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করলেও কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে নেদারল্যান্ডস। ১৯৭৪, ১৯৭৮ ও সর্বশেষ ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠে ডাচরা। কিন্তু একবারও তাদের ভাগ্যের শিকে ছেড়েনি। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছয় তারা।

১২ বছর পর দলকে আরেকবার ফাইনালে তুলতে চান কোচ লুইস ভ্যান গাল। কাতার বিশ্বকাপের পরই ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য নেদারল্যান্ডসের কোচিংয়ের দায়িত্ব ছাড়বেন তিনি। তাই শেষ বিশ্বকাপ তিনি স্মরণীয় করে রাখতে চান। ভ্যান গাল জানিয়েছেন যখন প্রথমবার তার ক্যান্সার ধরা পড়ে, ডাক্তাররা ভেবেছিলেন দু বছরের বেশি হাতে সময় নেই।

আরও পড়ুন – জন্ম উদ্বাস্তু শিবিরে, চোখে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন! জানুন তিন আফ্রিকান ফুটবলারের অজানা কাহিনী

কিন্তু তিনি বরাবরের লড়াকু চরিত্র। মারণ রোগের সাথে লড়াই করে এখন দিব্যি সুস্থ। রক্ষণই তাদের শক্তির জায়গা। ভার্জিল ভ্যান ডিক এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা সেন্টার ব্যাক। যদিও সম্প্রতি তিনি আশানুরূপ প্রদর্শন করতে পারেননি। কিন্তু তার উপরেই কোচ ভ্যান গালের সবচেয়ে বড় ভরসা।

বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাথিস দে লিট, ইন্টার মিলানের স্টেফান ডে ভ্রিজ, ন্যথান এক, জুরিয়েন টিম্বার, ডালে ব্লাইন্ড, টাইরেল মালাসিয়া, ডেনজেল ডামফ্রিজ তাদের রক্ষণকে খুব মজবুত করবে। ভ্যান ডিকের মত আক্রমনে ভ্যান গালের সবচেয়ে বড় ভরসা মেমফিস ডিপে। জাতীয় দলের হয়ে ডিপে নিয়মিত গোল করেছেন।

আর ৯ টি গোল করলেই দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা রবিন ভ্যান পার্সিকে ( ৫০ টি গোল ) ছাপিয়ে যাবেন তিনি। চলতি মরসুমে ২৪ টি ম্যাচে ৩০ টি গোল করানো ২৩ বছর বয়সী কোডি গাকপো দুই প্রান্তে ঘাম ছোটাবেন বিপক্ষের রক্ষণকে এমনটাই আশা কোচ ভ্যান গালের। তবে অনভিজ্ঞ গোলকিপার ত্রয়ী জাস্টিন বিলো, রেমকো পাসভির, এন্দ্রিয়েস নপার্ট বিশ্বকাপে তারকা ফরোয়ার্ডদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

চেক রিপাবলিকের কাছে হেরে ২০২০ সালের ইউরো কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ভালো প্রদর্শন করেছে ডাচ ফুটবল দল। বিশ্বকাপের আগে শেষ ১৫ টি ম্যাচের মধ্যে ১১ টিতেই জিতেছে তারা। ড্র করেছে চারটিতে। কাতার বিশ্বকাপে তারা যদি গ্রূপ শীর্ষে শেষ করে শেষ চারে পৌঁছনোর তাদের বাঁধা হতে পারে মেসির আর্জেন্টিনা।

নেশনস লিগেও গ্রূপ শীর্ষে থেকেছে নেদারল্যান্ডস  তাই এবার আশায় বুক বাঁধছেন ডাচ সমর্থকরা। ডাচদের গ্রুপে রয়েছে সেনেগাল, কাতার এবং ইকুয়েডর। শক্তির বিচারে কমলা ব্রিগেড যে অনেক এগিয়ে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।