#দোহা: নতুন সমস্যায় পড়েছে স্পেন ফুটবল দল। কাতারে নিজেদের পছন্দের খাবার তারা পাবে না এমনটা শোনার পর ফুটবলারদের মন খারাপ। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। যেখানকার দেশগুলো রক্ষণশীল এবং সব বিষয়েই নিয়মের কড়াকড়ি। বিশ্বকাপে তো বিয়ার পানের অনুমতিও ছিল না। পরে আন্তর্জাতিক চাপে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট স্থানে বিয়ার পানের অনুমতি দেওয়া হয়।
তাই বলে কোনও দল ওয়াইন কিংবা পর্ক নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে যাবে―এমনটা ভাবাই যায় না। তাই সমস্যাতেই পড়েছে স্পেন দল। স্প্যানিশদের প্রিয় পানীয় হল ‘কাভা’। এটা এক বিশেষ ধরনের ওয়াইন। কোনও আনন্দ উৎসব―যেমন ম্যাচ জয় উদযাপনে এই ওয়াইনের ব্যবহার লক্ষণীয়। কিন্তু কাতারে যেকোনও ধরনের অ্যালকোহল আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন – ইরানের হিজাব বিতর্কের নায়ক, গুলি খেতেও রাজি ছিলেন ! শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দলে আজমউন
তাই স্প্যানিশরা ওয়াইন ছাড়াই কাতারে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, স্প্যানিশদের প্রিয় পর্ক নেওয়া যাবে না বিশ্বকাপে! মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে স্প্যানিশ ফুটবল দলের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার অংশ পর্ক রান্না করা নিষিদ্ধ। এমনকি স্পেনের ফুটবলাররা এই মাংসের বারবিকিউ অথবা সসেজ খেতে পারবেন না।
⏰ ¡¡Es la hora de la reunión táctica!!
??? El cuerpo técnico de la @SeFutbol analiza los últimos aspectos del encuentro ante Jordania en el hotel de concentración.#VamosEspaña | #Catar2022 pic.twitter.com/cTn9gZKPJh
— Selección Española de Fútbol (@SEFutbol) November 17, 2022
মোট তিন হাজার কেজি মালপত্র নিয়ে কাতার যাচ্ছে স্পেন দল। এই বিশাল মালপত্রের বহরে আছে ফুটবলারদের কিট এবং কোচ লুইস এনরিকের ব্যবহার্য বিভিন্ন অনুশীলন প্রযুক্তি। যেমন লোহার তৈরি মাচা। যেটিতে উঠে লুইস এনরিকে অনুশীলন পরিচালনা করেন। কাজ শেষে মাচাটি ভাঁজ করে ফেলা হয়।
এছাড়া আছে এনরিকের বিশাল এলইডি স্ক্রিন। দুটি বিমানে ৯০টি আলাদা প্যাকেজে স্পেন দলের এই মালপত্র কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে নিজেদের পছন্দের পানীয় এবং মাংস না পাওয়া গেলেও স্পেন সেটা নিয়ে পড়ে থাকতে নারাজ।
বিফ দিয়ে কাজ চালানো হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্যালাড, গ্রিলড ফিশ এবং মুরগির মাংস থাকছে খাদ্য তালিকায়। এনরিকের একমাত্র লক্ষ্য ১২ বছর পর স্পেনকে দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করা।