স্পেন – ৭
কোস্টারিকা – ০
#দোহা: ১২ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। ইনিয়েস্তা, জাভি, ক্যাশিয়াস, পিকে, ফার্নান্দ তোরেস, ডেভিড ভিয়া – পৃথিবী প্রথম দেখেছিল তিকিতাকা ফুটবল। তারপরের দুটো বিশ্বকাপ অবশ্য মনে রাখার মত কিছু করতে পারেনি স্পেন। কিন্তু এবার কাতারের মাটিতে এই স্প্যানিশ দলটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যেতে পারে তার প্রমাণ পাওয়া গেল প্রথম ম্যাচে।
প্রথমার্ধে তিন গোল। দ্বিতীয় শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে চতুর্থ গোল। ওলমো, আসেনসিও, ফেরান তোরেসের জোড়া গোল। ৫৫ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের ভাগ্য নির্ণয় হয়ে গেল। প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত শুধু স্পেন আর স্পেন। পাসের নানারকম জ্যামিতি, বিপক্ষকে নিয়ে সেই পুরনো অবজ্ঞার ছলে ছেলে খেলা। পেড্রি, গাভি, ড্যানি ওলমো, বুসকেটস, জর্ডি আলবাদের খেলায় স্প্যানিশ গিটারের হাজার ওয়াটের ঝলকানি।
প্রথমার্ধেই স্পেন খেলল ৫৫০ পাস। কোস্টারিকার পক্ষে সংখ্যাটা ৭৩। এরপর আর বিশেষ পরিসংখ্যান দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না স্প্যানিশ আমার্ডার দাপট বোঝাতে। যখন ইচ্ছে, যেমন ইচ্ছে আক্রমণ তৈরি করল লাল হলুদ জার্সিধারীরা। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে নিলেন এনরিকে। বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কারণে সেটাই স্বাভাবিক।
?? The future is bright for Spain#FIFAWorldCup | #Qatar2022 pic.twitter.com/2zsXir0ld5
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) November 23, 2022
আসলে ম্যাচটা দেখে মনে হচ্ছিল নিজেদের মধ্যে অনুশীলন করছে স্প্যানিশরা। যত সময় এগোতে থাকল কোস্টারিকার ফুটবলাররা মাথা গরম করে ফাউল করতে থাকলেন। সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে এনরিকে তখন বেশ তৃপ্ত। বার্সেলোনার কোচ হিসেবে সাফল্য পাওয়ার পর তাকে ভরসা করে দায়িত্ব দিয়েছিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।
ইউরো কাপে স্পেন চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও বুঝিয়ে দিয়েছিল সঠিক পথে এগোচ্ছে দল। আর বিশ্বকাপে এসে এনরিকের দল কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটার প্রমাণ রাখল। ম্যাচের ৭০ মিনিটে উইলিয়ামসকে নামাল স্পেন। উঠে নেমে দুর্দান্ত ফুটবল খেললেন তরুণ গাভি। কেন তিনি পরবর্তী সুপারস্টার হতে চলেছেন প্রমাণ করলেন।
কথায় বলে সকাল দেখে নাকি দিনের শুরুটা বোঝা যায়। ফুটবলে অবশ্য সবসময় সেটা মেলে তা নয়। কিন্তু যদি এই কথার কিছুটা সারমর্ম ধরে নেওয়া যায়, তাহলে এবারের স্পেন কিন্তু হিসেব বদলে দিতে চলেছে। বাকিদের রাতের ঘুম আজকের পর অনেকটাই কঠিন হবে।
৭৫ মিনিটে পঞ্চম গোল করে কোস্টারিকার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিলেন গাভি। পাঁচ গোল করেও মন ভরেনি স্প্যানিশদের। এরপর সোলার এবং মোরতা আরও দুটি গোল করলেন। সাত গোলের বিশাল ব্যবধানে মাঠ ছাড়ল লা রোজা।