কলকাতা কানেকশন! বিশ্বকাপে রোনাল্ডোদের ম্যাচে মাঠে ঢুকে পড়া প্রতিবাদী ব্যক্তি কে জানেন?

#দোহা: ক্রিকেট হোক বা ফুটবল মাঠ, অতীতে মাঠের মাঝে ঢুকে পড়েছেন বা বার্তা নিয়ে দৌড়েছেন নজরে পড়বেন বলে এমন ব্যক্তির উদাহরণ অসংখ্য। সেরকমই একটা দিন ছিল কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে ম্যাচের দ্বিতীয়র্ধে। কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীন প্রতিবাদ। মাঠে ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। সোমবার রাতে পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে ম্যাচ চলাকালীন ঘটল এমন ঘটনা।

ইরানের মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। মাঠে ঢুকে পড়া ব্যক্তির হাতে ছিল রামধনু পতাকা। যা সব ধরনের ভালবাসার প্রতীক। কাতারে যা আইনগত ভাবে স্বীকৃত নয়। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তি যে জামা পরেছিলেন, তাতে লেখা, ইরানের মেয়েদের সম্মানে। মাঠে ঢুকে পড়া ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা বার করে দেন।

জামার সামনে লেখা ছিল, ইউক্রেনকে বাঁচাও। তিনটি বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন ওই ব্যক্তি। কাতারে সব ধরনের ভালবাসাকে স্বীকৃতি না দেওয়াকে প্রতিবাদ জানালেন রামধনু পতাকা হাতে নিয়ে, সেই সঙ্গে ইরানের মেয়েদের হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালেন। এই ব্যক্তি একজন ইতালিয়ান নাগরিক এবং নিজে পেশাদার ফুটবলার। নাম মারিও ফেরি।

এর আগেও তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ম্যাচে ঢুকেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালেও মাঠে ঢুকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আগে। তার ডাকনাম ফ্যালকন। মজার বিষয় হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপে মাঠে প্রতিবাদ জানানো এই ব্যক্তির রয়েছে কলকাতা কানেকশন।

ইউনাইটেড স্পোর্টস ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মারিও। মার্চ ২০২২ আগে পর্যন্ত আই লিগে ইউনাইটেড ক্লাবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তারপর কোভিডের কারণে ফিরে গিয়েছিলেন ইতালিতে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ হওয়ার সময় নিজের চেষ্টায় বহু ইউক্রেনের নাগরিকদের পোল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।

অর্থাৎ একদিক থেকে দেখলে মারিও সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে রক্ষণশীল দেশ কাতারের মাটিতে এমন প্রতিবাদ জানানোর শাস্তি তাকে পেতে হবে কিনা উত্তর দেবে সময়।