#দোহা: ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর থেকে হাইটেক প্রযুক্তির বল এর আগে ব্যবহার হয়নি। তাই আল রিহলা বল যে অন্যরকম সেটা জানা ছিল আগেই। এই প্রথমবার রিয়েল টাইম ডেটা পাওয়া যাবে বল থেকে সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছিল বল নির্মাণ সংস্থা। ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের ওয়ার্ম-আপ করতে দেখা যায়। কিন্তু ম্যাচের জন্য নির্ধারিত ফুটবলে চার্জ দেওয়া চলছে, এমন দৃশ্য কেউ আগে দেখেনি।
চলতি বিশ্বকাপে সেই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। আর তা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, খেলা শুরুর আগে সাইড লাইনে রাখা চারটি বলের একাংশ খুলে চার্জ দেওয়া হচ্ছে। ঠিক যেমনটা মোবাইল বা ল্যাপটপের হয়ে থাকে। বল প্রস্তুতকারি সংস্থা বিষয়টি খোলসা করেছে।
আসলে ‘আল রিহলা’ বলের মূল বিশেষত্ব হল টেকনোলজি। বলের ভেতরে রয়েছে ব্যাটারিযুক্ত সেন্সর। সেটির ওজন ১৪ গ্রাম। প্রযুক্তি চালু রাখতেই তার নিয়মিত চার্জ করা প্রয়োজন। ফুল চার্জড একটা বলে টানা ছয় ঘণ্টা খেলা যেতে পারে। আর ব্যবহৃত না হলে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সচল থাকে ব্যাটারি। বলের ভিতরের সেন্সরটি ক্যামেরা প্রক্রিয়াও সঞ্চালন করে। যার সুবাদে অফ-সাউড বা পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিখুঁতভাবে যাচাই করা যায়।
DID YOU KNOW ?
The World Cup balls (Adidas Al Rihla) are charged before every game.
This is because the balls used high-tech sensor which needs to be charged as to get match data and statistics ?#FIFAWorldCupQatar2022 #Olt_in_Qatar pic.twitter.com/6dTNFGWQfS
— Olt Sports (@oltsport_) November 30, 2022
ক্যামেরাটি প্রতি সেকেণ্ডে ৫০০টি ছবি তুলতে সক্ষম। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে পর্তুগালের রোনাল্ডো-ফার্নান্ডেজের যে গোল নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল, তার মীমাংসাও হয়েছে এই বলের প্রযুক্তির সাহায্যে। চুলচেরা বিশ্লেষণের পর রোনাল্ডোর নাম কেটে ব্রুনো ফার্নান্ডেজকে গোলের মালিক ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, এই সেন্সরটি তৈরি করেছে জার্মানির একটি সফটওয়্যার কোম্পানি। নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বলে শট, হেড বা ট্যাপ করলেই প্রতি সেকেন্ডে ৫০০টি ছবি তুলে ফেলে সেন্সর চালিত ক্যামেরা। তারপর সমস্ত ডেটা পাঠিয়ে দেয় লোক্যাল পজিশনিং সিস্টেমে (এলপিএস)।