ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

বাইকের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত আরোহী, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল যাত্রীরা

শান্তিপুর: নদিয়ার শান্তিপুর বাথনা রেল লাইনে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বাঁচল যাত্রীরা। মোটরসাইকেল নিয়ে রেল লাইন পেরতে গিয়ে এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তাঁর বাইকের যন্ত্রাংশ দেড় কিলোমিটার দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে।

নদিয়ার শিয়ালদহ-শান্তিপুর ট্রেন পথে শান্তিপুরের পরের বাথনা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ওভার ব্রিজের তলায় লেভেল ক্রসিং গেট না থাকা সত্ত্বেও ওই এলাকা দিয়ে স্থানীয় মানুষজন পারাপার করে থাকেন।

আজ সেরকমই মোটরসাইকেল নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি দুপুর আনুমানিক ২:৩৫ নাগাদ পার হওয়ার সময় হঠাৎ শিয়ালদাহগামী ডাউন ট্রেন সজরে ধাক্কা মারে তাঁকে।

আরও পড়ুন- সাধের স্মার্টফোন হারিয়ে গিয়েছে? ভয় নেই, খুঁজে বের করতে পারবেন ‘এভাবে’

দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃত ব্যক্তি দেহাংশ দুই থেকে তিনশো মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অংশ রেল লাইনের দুপাশে ভাঙতে ভাঙতে মূল লোহার কাঠামো প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে।

এমনকী ট্রেনেরও লোহা এবং চিনামাটির বেশ কয়েকটি অংশ সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ এবং জিআরপি কর্মীরা।

দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন ঘটনাস্থলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, অন্যদিকে, এই ধরনের বেআইনি পারাপার নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যেহেতু দুর্ঘটনাস্থল থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী-সহ লেভেল ক্রসিং।

নদিয়ার শান্তিপুর বাথনা কৃত্তিবাস স্টেশনের কাছে ঘটে এই ঘটনা। জানা যায়, রেল লাইনের পাশের এলাকার বাসিন্দা পেশায় কাঠ মিস্ত্রি সোমনাথ দে সরকার নামে ওই ব্যক্তি ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তার পর রেল লাইন পারাপার হওয়ার সময় ডাউন লাইনে আসা শান্তিপুর গামী ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর।

এলাকাবাসীরা জানান, এই ঘটনা এর আগেও অনেকবার ঘটেছে, প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া। তবে স্বামীর মৃত্যুতে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন মৃত ব্যক্তির স্ত্রী সোমা দে সরকার। তিনি জানান তাঁর এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে স্বামীর মৃত্যু ঘটায় এখন দিশেহারা তাঁরা। যদিও ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার-সহ এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

Mainak Debnath