সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে কপিল শর্মার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-তে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউডের সুপারস্টার আমির খান। বি-টাউনে তিনি ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ নামেও প্রসিদ্ধ।

Aamir Khan-Mr. Perfectionist: চায়ের কাপেই সব কিছুর সূত্রপাত; এভাবেই বি-টাউনের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ হয়ে উঠেছিলেন আমির খান

সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে কপিল শর্মার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-তে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউডের সুপারস্টার আমির খান। বি-টাউনে তিনি ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ নামেও প্রসিদ্ধ। কিন্তু কীভাবে এই তকমা পেলেন, সেটাই এবার রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে তুলে ধরলেন অভিনেতা।
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে কপিল শর্মার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-তে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউডের সুপারস্টার আমির খান। বি-টাউনে তিনি ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ নামেও প্রসিদ্ধ। কিন্তু কীভাবে এই তকমা পেলেন, সেটাই এবার রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে তুলে ধরলেন অভিনেতা।
স্মৃতি হাতড়ে আমির খান জানান, তাঁর এই নামের পিছনে অবশ্য বলিউডের বর্ষীয়ান এক অভিনেত্রীর অবদান রয়েছে। আর তিনি হলেন শাবানা আজমি! Photo: Instagram
স্মৃতি হাতড়ে আমির খান জানান, তাঁর এই নামের পিছনে অবশ্য বলিউডের বর্ষীয়ান এক অভিনেত্রীর অবদান রয়েছে। আর তিনি হলেন শাবানা আজমি! Photo: Instagram
তাহলে কীভাবে পারফেকশনিস্টের তকমা পেলেন আমির? কপিল শর্মার এই শো-তে সাম্প্রতিক পর্বে স্মৃতির সরণি বেয়ে আমির বলেন, “এই পারফেকশনিস্ট-এর এই তকমাটা যে আমাকে দেওয়া হয়েছে, এর জন্য শুধুমাত্র একজনই দায়ী।” এরপর সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, “কে সেই ব্যক্তি?” আমিরের সটান জবাব, “শাবানা আজমি।”
তাহলে কীভাবে পারফেকশনিস্টের তকমা পেলেন আমির? কপিল শর্মার এই শো-তে সাম্প্রতিক পর্বে স্মৃতির সরণি বেয়ে আমির বলেন, “এই পারফেকশনিস্ট-এর এই তকমাটা যে আমাকে দেওয়া হয়েছে, এর জন্য শুধুমাত্র একজনই দায়ী।” এরপর সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, “কে সেই ব্যক্তি?” আমিরের সটান জবাব, “শাবানা আজমি।”
সেই গল্প মনে করে অভিনেতা বলেন, “যখন আমি রুপোলি জগতে নতুন এসেছিলাম, তখন ‘দিল’ ছবির শ্যুটিং করছিলাম। ইন্দ্রকুমার ছিলেন পরিচালক আর চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন বাবা আজমি। সেই সময়কার সেরা ক্যামেরাম্যান ছিলেন তিনিই। তো আমরা মাঝেমধ্যেই তাঁর বাড়িতে যেতাম। সেরকমই একদিন তাঁর বাড়িতে ছবির বিষয়েই আমরা আলোচনায় মত্ত ছিলাম। সেই সময় শাবানাজি আমাদের জন্য চা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি প্রশ্ন করেন, আমির, তুমি কতটা চিনি নেবে?”
সেই গল্প মনে করে অভিনেতা বলেন, “যখন আমি রুপোলি জগতে নতুন এসেছিলাম, তখন ‘দিল’ ছবির শ্যুটিং করছিলাম। ইন্দ্রকুমার ছিলেন পরিচালক আর চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন বাবা আজমি। সেই সময়কার সেরা ক্যামেরাম্যান ছিলেন তিনিই। তো আমরা মাঝেমধ্যেই তাঁর বাড়িতে যেতাম। সেরকমই একদিন তাঁর বাড়িতে ছবির বিষয়েই আমরা আলোচনায় মত্ত ছিলাম। সেই সময় শাবানাজি আমাদের জন্য চা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি প্রশ্ন করেন, আমির, তুমি কতটা চিনি নেবে?”
তবে সেই সময় আলোচনায় আমির এতটাই মত্ত ছিলেন যে, শাবানার প্রশ্নটা তিনি খেয়ালই করেননি। ফলে অভিনেত্রী ফের একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। সেই প্রসঙ্গে আমির বলে চলেন, “আমি আলোচনায় এতটাই মত্ত ছিলাম যে, খেয়ালই করিনি। আমি পিছন ফিরে তাঁকে দেখি। তাঁর প্রশ্নটা বুঝতেই আমার পাঁচ সেকেন্ড মতো সময় লেগে যায়। এরপর আমি জানতে চাই, গ্লাসটা কত বড়? উনি আমায় কাপটা দেখান। তাতেও আমি আলোচনায় মত্ত ছিলাম। এরপর আমি জানতে চাই, চিনির চামচটা কত বড়? উনি সেটাও আমায় দেখান। তখন আমি বলি, এক চামচ।”
তবে সেই সময় আলোচনায় আমির এতটাই মত্ত ছিলেন যে, শাবানার প্রশ্নটা তিনি খেয়ালই করেননি। ফলে অভিনেত্রী ফের একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। সেই প্রসঙ্গে আমির বলে চলেন, “আমি আলোচনায় এতটাই মত্ত ছিলাম যে, খেয়ালই করিনি। আমি পিছন ফিরে তাঁকে দেখি। তাঁর প্রশ্নটা বুঝতেই আমার পাঁচ সেকেন্ড মতো সময় লেগে যায়। এরপর আমি জানতে চাই, গ্লাসটা কত বড়? উনি আমায় কাপটা দেখান। তাতেও আমি আলোচনায় মত্ত ছিলাম। এরপর আমি জানতে চাই, চিনির চামচটা কত বড়? উনি সেটাও আমায় দেখান। তখন আমি বলি, এক চামচ।”
আর এটাই যেন ইতিহাস হয়ে যায়! এই ঘটনাটি ঘটার পর থেকে শাবানা আজমি জনে জনে এই গল্প বলে বেড়াতেন। যার ফলে অভিনেতার ‘পারফেকশনিস্ট’ তকমা সকলেই জেনে যান। ফলে তারপর থেকে আমিরের বন্ধু এবং বি-টাউনে তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে ‘মিস্টার’ পারফেকশনিস্ট বলেই ডাকেন। Photo: Instagram
আর এটাই যেন ইতিহাস হয়ে যায়! এই ঘটনাটি ঘটার পর থেকে শাবানা আজমি জনে জনে এই গল্প বলে বেড়াতেন। যার ফলে অভিনেতার ‘পারফেকশনিস্ট’ তকমা সকলেই জেনে যান। ফলে তারপর থেকে আমিরের বন্ধু এবং বি-টাউনে তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে ‘মিস্টার’ পারফেকশনিস্ট বলেই ডাকেন। Photo: Instagram