Abhishek on Partha: অভিষেকের মুখে NEET-এর প্রশ্নফাঁস! একুশের মঞ্চে হঠাৎ কেন তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ?

কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব সময়, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের শাস্তি হবে’৷ একসময় এই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে৷ একদিকে যেমন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে বাংলায় ‘কলঙ্কজনক অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, তেমনই, পার্থ কেন ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। চব্বিশের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তৃতা করতে গিয়ে শুক্রবার ফের তাঁর মুখে উঠে এল সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম৷

এদিন অভিষেক বলেন, ‘‘একুশে জুলাই ২০২২ সালে তার পরের দিন ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রেড করে তাঁকে গ্রেফতার করে৷ যদি কেউ দোষ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। আমরা কোনও দোষকে, কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই৷ কিন্তু, তথাকথিত এসএসসি বা টেট কেলেঙ্কারির নাম করে যদি পার্থ চ্যাটার্জির বাড়িতে রেড করে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে, তাহলে স্বাধীন ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ কেলেঙ্কারি নিট কেলেঙ্কারি, সেই নিট কেলেঙ্কারিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে ইডি কেন ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাড়িতে রেড করে তাঁকে অ্যারেস্ট করবে না? কেন এই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ? কেন এইঅ দ্বিচারিতা?’’

আরও পড়ুন: ‘বাংলা বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে দিয়েছে,’ বিজেপি-কে চূড়ান্ত কটাক্ষ, মানুষের গর্জনকে সম্মান জানালেন অভিষেক

এদিন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল নিয়ে দলীয় কর্মীদের শুভেচ্ছা এবং সম্মান জানান অভিষেক৷ বলেন, ‘‘কর্মীরাই আমাদের পার্টির সম্পদ। দিদির মনে এক একজন কর্মীর কত সন্মান আছে এটাই মনে করায় আজকের দিন।’’

বলেন, ‘‘গায়ে গতরে যে পরিশ্রম করেন একটা নির্বাচনে সেটা সব ভোটে দেখতে পাবে। আমি ১ মাস ধরে কোনো দলীয় কাজে নেই দেখছেন কারণ আমি পর্যালোচনা করছি। ৩ মাস দেখুন।’’

আরও পড়ুন: ‘আমরা কারা? রাজাকার!,’ মুক্তিযুদ্ধের এই শব্দ কী ভাবে আগুন ছড়াল বাংলাদেশে? এর অর্থই বা কী?

অভিষেক পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯০৯ ভোটে আপনারা আমাদের নির্বাচিত করেছেন। আগামিদিনের লড়াই আরও বড়ো। ২৬-এর প্রস্তুতি নিতে হবে। যারা পুরসভায় আছে, পঞ্চায়েতে আছে, তাদের বলি কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। নিজের কথা ভাবলে হবে না। যদি ভেবে থাকি আগামীর লড়াই জিতব। আমরা জিতব। কিন্তু আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আমাদের ২০১৬ থেকে বেশি ভোটে জিতব। নতুন তৃণমূলে যারা এসেছেন তাদের সংগ্রাম, ইতিহাস জানতে হবে। প্রবীণদের সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। নবীন আর প্রবীণ একই বৃন্তে দুটি কুসুম। আপনাদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে। সংযত হতে হবে।’’