Tag Archives: Partha Chatterjee

Abhishek on Partha: অভিষেকের মুখে NEET-এর প্রশ্নফাঁস! একুশের মঞ্চে হঠাৎ কেন তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ?

কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব সময়, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের শাস্তি হবে’৷ একসময় এই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে৷ একদিকে যেমন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে বাংলায় ‘কলঙ্কজনক অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, তেমনই, পার্থ কেন ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। চব্বিশের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তৃতা করতে গিয়ে শুক্রবার ফের তাঁর মুখে উঠে এল সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম৷

এদিন অভিষেক বলেন, ‘‘একুশে জুলাই ২০২২ সালে তার পরের দিন ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রেড করে তাঁকে গ্রেফতার করে৷ যদি কেউ দোষ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। আমরা কোনও দোষকে, কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই৷ কিন্তু, তথাকথিত এসএসসি বা টেট কেলেঙ্কারির নাম করে যদি পার্থ চ্যাটার্জির বাড়িতে রেড করে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে, তাহলে স্বাধীন ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ কেলেঙ্কারি নিট কেলেঙ্কারি, সেই নিট কেলেঙ্কারিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে ইডি কেন ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাড়িতে রেড করে তাঁকে অ্যারেস্ট করবে না? কেন এই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ? কেন এইঅ দ্বিচারিতা?’’

আরও পড়ুন: ‘বাংলা বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে দিয়েছে,’ বিজেপি-কে চূড়ান্ত কটাক্ষ, মানুষের গর্জনকে সম্মান জানালেন অভিষেক

এদিন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল নিয়ে দলীয় কর্মীদের শুভেচ্ছা এবং সম্মান জানান অভিষেক৷ বলেন, ‘‘কর্মীরাই আমাদের পার্টির সম্পদ। দিদির মনে এক একজন কর্মীর কত সন্মান আছে এটাই মনে করায় আজকের দিন।’’

বলেন, ‘‘গায়ে গতরে যে পরিশ্রম করেন একটা নির্বাচনে সেটা সব ভোটে দেখতে পাবে। আমি ১ মাস ধরে কোনো দলীয় কাজে নেই দেখছেন কারণ আমি পর্যালোচনা করছি। ৩ মাস দেখুন।’’

আরও পড়ুন: ‘আমরা কারা? রাজাকার!,’ মুক্তিযুদ্ধের এই শব্দ কী ভাবে আগুন ছড়াল বাংলাদেশে? এর অর্থই বা কী?

অভিষেক পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯০৯ ভোটে আপনারা আমাদের নির্বাচিত করেছেন। আগামিদিনের লড়াই আরও বড়ো। ২৬-এর প্রস্তুতি নিতে হবে। যারা পুরসভায় আছে, পঞ্চায়েতে আছে, তাদের বলি কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। নিজের কথা ভাবলে হবে না। যদি ভেবে থাকি আগামীর লড়াই জিতব। আমরা জিতব। কিন্তু আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আমাদের ২০১৬ থেকে বেশি ভোটে জিতব। নতুন তৃণমূলে যারা এসেছেন তাদের সংগ্রাম, ইতিহাস জানতে হবে। প্রবীণদের সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। নবীন আর প্রবীণ একই বৃন্তে দুটি কুসুম। আপনাদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে। সংযত হতে হবে।’’

Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পুরোপুরি ‘মুছেই’ ফেলা হল? বেহালায় বড় সিদ্ধান্ত! ফেরার পথও কি তবে শেষ?

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে তৃণমূল। বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ না করলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেছে দল। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাও সেভাবে কখনই পার্থর পাশেও দাঁড়াননি। এবার নিজের বিধানসভা এলাকা বেহালাতেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শেষ ‘চিহ্ন’টুকুও মুছে ফেলা হল। ফুটপাথ দখলমুক্ত করার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই এবার বেহালা ম্যান্টনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৈরি কার্যালয়ও ভেঙে ফেলা হল।

প্রসঙ্গত, ওই কার্যালয় অবৈধ ভাবে ফুটপাত দখল করে তৈরি করা হয়েছে বলে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ। এ নিয়ে একাধিক বার বিরোধীরাও অভিযোগ তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনকে কড়া ভাবে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, বৃহস্পতিবার হকার উচ্ছেদ বা দখলমুক্ত করার পরিকল্পনায় কিছুটা বিরতি টেনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী এক মাস নতুন করে উচ্ছেদ না করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও এরই মধ্যে ভাঙা পড়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ম্যান্টনের পার্টি অফিস।

আরও পড়ুন: হঠাৎ বিকট আওয়াজ, তারপরই ভেঙে পড়ল ‘দানব’! কলকাতায় ভয়ঙ্কর ঘটনা, কাতরাতে-কাতরাতে মৃত্যু এক ব্যক্তির

তৃণমূল সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়ার আগে ওই পার্টি অফিসে দীর্ঘদিন বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে ওই পার্টি অফিসেই দেখা করতেন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অবশ্য ‘জৌলুস’ হারাতে শুরু করে বেহালার ওই দলীয় কার্যালয়। তবে, অস্তিত্ব নিয়ে দাঁড়িয়েছিল পার্টি অফিসটি। এখন থেকে তাও ‘অতীত’ হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনই সওয়াল করেননি। তৃণমূল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট বিড়াম্বনাতেও পড়েছে। আলিপুর জেলে বন্দি থাকা পার্থকে কেউ দেখতেও যাননি দলীর তরফে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বুলডোজার দিয়ে পার্থর স্মৃতি বিজড়িত পার্টি অফিসটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।

Partha Chatterjee Property: আর কত সম্পত্তি রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের! পাটুলিতে পাঁচিল ঘেরা ১৮ কাঠা জমি কার নামে জানেন?

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে। এবার পার্থর আরও সম্পত্তির খোঁজ পেল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডি। মিলেছে ১৮ কাঠা জমির হদিশ। আর সেই জমিতে এবার পৌঁছল নিউজ ১৮ বাংলা। পাটুলির আঠারো কাঠার বিপুল পরিমাণ জমি দেখে জানা গিয়েছে, এই জমি মোট ১৮ কাঠা। ৭, ৭ , ৪ কাঠা ৩ টি জমি নিয়ে বিশাল আকার এই জমির। জমির দাগ নম্বর ৪১, খইতান ১৬২।

আগে এই জমিতে পুকুর ছিল। কিন্তু খালের মাটি দিয়ে বুজিয়ে এই জমি হয় বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-এর নামে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, ২০০৪ সাল নাগাদ কেনা হয়েছিল এই জমি। এখন বিশাল এই জমিতে বড় ঘাস পাতা ও জঙ্গলে জমি ঢেকে গিয়েছে। জমি পাঁচিলে ঘেরা রয়েছে। এখানে একটি প্রজেক্ট তৈরি করার জন্য পোস্টার পড়েছিল বহু বছর আগে। কিন্তু সেই কাজ শুরুই হয়নি, কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দি।

আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, জুন মাসে কখন যেতে হবে স্কুলে? লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার জন্য স্বস্তির খবর

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বোলপুর, বিষ্ণুপুর, হাওড়া বাগনান ও পাটুলি এই ৪ জায়গাতেও বিপুল জমির হদিশ পেয়েছে ইডি। ১৮ কাঠা ৩টি জমি পাটুলিতে, ২ বিঘা হাওড়া বাগনানে রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বিষ্ণুপুর ও বোলপুরেও জমি রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সব মিলে প্রায় আরও ১৪ কোটি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: দেশের সেরা ১০ মেডিক্যাল কলেজ: প্রথম স্থানে দিল্লির এইমস, তালিকায় ৩ বেসরকারি কলেজও! রইল খুঁটিনাটি

বর্তমানে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন। বারংবার জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আরও বেনামি সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি! বোলপুর, বিষ্ণুপুর, হাওড়ার বাগনান ও পাটুলি এই চার জায়গায় বিপুল জমির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, চারটি কোম্পানির হদিশও মিলেছে, যেখানে ২ কোটি টাকা রয়েছে বলে দাবি ইডির। সব মিলিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলো ইডি।

অর্পিতা হাজরা

Partha Chatterjee: পার্থর চট্টোপাধ্যায়ের আরও ১৪ কোটির বেনামি সম্পত্তি! খোঁজ পেল ইডি, দেখুন ভিডিও

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে আরও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি৷ প্রাক্তন মন্ত্রীর আরও ১৪ কোটির বেনামি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এর মধ্যে পাটুলিতেই ১৮ কাঠার তিনটি জমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রয়েছে৷ এর পাশাপাশি হাওড়ার বাগনান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিষ্ণুপুর এবং বোলপুরেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেনামি জমির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷ কালো টাকা সাদা করার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কয়েকটি বেনামি সম্পত্তিরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷

Partha Chatterjee News: ফের এত টাকা! এত জমি! নতুন বিপদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়! কত টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত? শুনে চোখ কপালে উঠবে

কলকাতা: আরও বিপাকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন। বারংবার জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আরও বেনামি সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি! বোলপুর, বিষ্ণুপুর, হাওড়ার বাগনান ও পাটুলি এই চার জায়গায় বিপুল জমির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

শুধু তাই নয়, চারটি কোম্পানির হদিশও মিলেছে, যেখানে ২ কোটি টাকা রয়েছে বলে দাবি ইডির। সব মিলিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলো ইডি।

আরও পড়ুন: রাজ্যের চার বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের! দারুণ চমক শাসক দলের, কারা হলেন প্রার্থী?

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জাশিটে পার্থবাবুর যে সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে, সেগুলি ছাড়া নতুন জমি, সম্পত্তি ও টাকার হদিশ পেল ইডি। শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরেক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের খড়দায় আড়াই কোটির টাকার জমির হদিশও পেয়েছে ইডি। ফলে সব মিলিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চাপ আরও বাড়ল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে SSKM হাসপাতালকে চিঠি পাঠাল প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, চিঠিতে উল্লেখ, মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা করা হোক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরীর খারাপ, তাঁর পা ফুলেছে এবং পরীক্ষা করে জানানো হোক প্রাক্তন মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন রয়েছে কি না।

Partha Anubrata Jyotipriya: পার্থ-অনুব্রত-জ্যোতিপ্রিয় গড়েও ঘাসফুল ঝড়! ‘ম্যাজিক ফ্যাক্টর’ আসলে কী? বলে দিল তৃণমূল

কলকাতা: একাধিক দূর্নীতির অভিযোগ। জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর এই নেতাদের নিয়েই গত কয়েক মাস ধরে তুমুল অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে লোকসভা ভোটের মতো বড় শক্তি পরীক্ষার সময়েই প্রথম সারির এই নেতাদের অভাবে বেগ পেতে হয়েছে স্থানীয় দলীয় সংগঠনগুলোকেও। ‘দাদাদের’ ছাড়াই বীরভূম থেকে বেহালা ও বারাসতের একাংশে ময়দানে নামে তৃণমূল। তবে ফলাফল সামনে আসতেই দেখা গেল বড় চমক। ব্যক্তি ‘গাইড’ নন, দলীয় সংগঠনের তৈরি গাইডবুকেই দিব্যি পেরিয়ে যাওয়া গেল ভোট বৈতরণী।

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন কেষ্ট-বালু-পার্থ, এই তিন নেতার জেলে যাওয়ার পরেও ভোট বাক্সে কোনও প্রভাব পড়েনি তৃণমূলের। সবকটি এলাকাতেই তৃণমূল কংগ্রেস তাদের প্রাপ্ত ভোট এবং জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছে শাসক দল। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় একছত্র দাপট ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। সেই জেলায় বনগাঁ বাদে সব আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার অনুব্রত-হীন বীরভূমেও দুই লোকসভা আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালা পশ্চিম থেকেও ভাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে কার্যত দুর্নীতি-অভিযোগ ও দাদাদের অনুপস্থিতি কিন্তু সে ভাবে ছুঁতে পারেনি ইভিএমের বোতামকে। এর পিছনে আসল কারণ কী? তৃণমূলের অন্দর অবশ্য সংগঠনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘আজ থেকেই আমি এই কাজ শুরু করছি…’, ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ!

প্রসঙ্গত, বীরভূমে তৃণমূল মানেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে অনুব্রত গ্রেফতার হন গরু পাচার কেলেঙ্কারি মামলায়। বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি কেষ্ট মণ্ডল। কিন্তু দেখা গেল ‘রাঙা মাটির দেশে’ কেষ্ট মণ্ডলের প্রভাব এতটাই বেশি যে সশরীরে না থেকেও জেলা নির্বাচনী ময়দানে অলক্ষে খেলোয়াড় ছিলেন তিনিই! দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা স্লোগানেও জ্বলজ্বল করছিল অনুব্রতর নাম।

আরও পড়ুন: অখিলেশের বাড়িতে অভিষেক, নাড্ডার বাড়িতে শাহ…! নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত? NDA-INDIA তৎপরতা তুঙ্গে

অন্যদিকে, হাবড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে। এলাকার সংগঠনের অনেকটাই তাঁর হাতে তৈরি। ফলে নির্বাচনের সময়ে তাঁর অনুপস্থিতির একটা প্রভাব থাকবে বলে ধারণা ছিল দলের অন্দরেও। তবে সেক্ষেত্রেও সে ভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি দুর্নীতি ইস্যু।

দীর্ঘদিন জেলেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রবীণ রাজনীতিক। ভোটের প্রচারে বা সংগঠনের কাজে তাঁর অভিজ্ঞতায় নির্ভর করতেন স্বয়ং দলনেত্রীও। এহেন পার্থর অনুপস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকে এই এলাকা দেখার জন্য আলাদা কমিটি গড়ে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমারের নেতৃত্বে সেই কমিটিই সবটা নজরে রেখেছে। আর পাশের কেন্দ্র বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় নিজে সংগঠন ও প্রচারের বিষয়টি দেখেছেন। বিশেষ দায়িত্বে আছেন প্রার্থী মালা রায় নিজেও। সর্বোপরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভোট থেকে জয়, সবটাই হয়েছে মসৃণভাবেই।

Jiban Krishna Saha gets bail: পার্থ-মানিকরা এখনও জেলে! নিয়োগ মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

নয়াদিল্লি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা জামিন পেয়ে গেলেন৷ এ দিন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের  জামিনের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ শুধু তাই নয়, সিবিআই-এর আর্জি খারিজ করে দিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বড়ঞাতে ঢোকার অনুমতিও দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

গত বছর ১৭ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই৷ গ্রেফতারির প্রায় ১৩ মাস বাদে জামিন পেলেন তিনি৷ অভিযোগ উঠেছিল, সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান চলাকালীন নিজের দুটি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ৷ সেই মোবাইল খুঁজতে তিন দিন ধরে পুকুরের জল ছেঁচে ফেলেছিল সিবিআই৷

আরও পড়ুন: ‘১৯৫-২০০ এর মধ্যে থাকবে BJP’, আর ইন্ডিয়া জোট…? ‘রেজাল্ট’ নিয়ে বিরাট ভবিষ্যৎবাণী মমতার

কয়েক দিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই ফের স্বস্তির হাওয়া শাসক দলে৷

নিয়োগ দুর্নীতি মামলা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের মতো শাসক দলের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক এখনও জেলবন্দি রয়েছেন৷ তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বার বারই প্রভাবশালী তত্ত্ব সামনে এনেছে সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের নির্দেশ অবশ্য এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ৷ তবে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তদন্তে সবরকম সহযোগিতার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

Kunal Ghosh vs Partha Chatterjee: ‘আগে চিট ফান্ডের টাকার হিসেব দিক’, তোপ পার্থর! কুণালের জবাব, ‘থ্যাঙ্ক ইউ পার্থদা’

কলকাতা: তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার পরই নিজের ক্ষোভের কথা জানাতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন কুণাল ঘোষ৷ নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি যুক্ত, রাখঢাক না করেই এমন অভিযোগ করেছেন কুণাল৷ এ বার পাল্টা কুণালের বিরুদ্ধে সরব হলেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এ দিন আদালতে পেশ করার সময় পার্থর পাল্টা তোপ, আগে চিটফান্ডের টাকার হিসেব দিক কুণাল৷

গত বুধবার থেকেই কুণালের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাতে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ উত্তর কলকাতায় একটি রক্তদান শিবিরে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে হাজির হন কুণাল৷ তাপস রায়ের প্রশংসাও করেন তিনি৷ পরে সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তিনি৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রথমে কুণালকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷ গতকাল তৃতীয় দফার ভোটে তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর তালিকা থেকেও কুণালকে বাদ দেওয়া হয়৷

আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে ধোঁয়ায় ভরল হেলিকপ্টার, চরম বিপদ! ‘মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলাম’, বলছেন দেব

এই ঘটনার পরই কুণাল দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন৷ শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি যে হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করেন কুণাল৷ অভিযোগ করেন, পার্থ সরাসরি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত এবং চাকরির বিনিময়ে টাকাও নিয়েছেন৷

এর পাল্টা এ দিন আদালতে পেশ করার সময় পাল্টা কুণালকে জবাব দেন পার্থ৷ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চিটফান্ডের টাকার হিসেব চাই৷ এগুলো বলার আগে কুণাল চিট ফান্ডের টাকার হিসেব দিন৷ অনেক আগেই ওকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত৷ কুণাল দলের যা ক্ষতি করছে, বিরোধীরাও এত ক্ষতি করেনি৷ তিনি দলকে কুণালের সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন কি না প্রশ্ন করা হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি তো জেলে এসে জানতে পারলাম কুণাল কত ঘৃন্য কাজ করেছে৷

পার্থকে অবশ্য জবাব দিতে দেরি করেননি কুণালও৷ পাল্টা জবাবে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ কেলেঙ্কারির মতো কুৎসিত অপরাধে যুক্ত মাস্টারমাইন্ড, যে কোটি কোটি টাকা তুলেছে, সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন আমার সমালোচনা করেন তাকে আমি তখন দলের প্রতি আমার নিষ্ঠা, সততা, চরিত্র নিয়ে শংসাপত্র হিসেবে গ্রহণ করি৷ থ্যাঙ্ক ইউ পার্থদা, আমাকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য৷’

লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই কুণাল ক্রমশই দলের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছেন৷ পার্থ-কুণালের সম্পর্ক অবশ্য বরাবরই তিক্ত৷ কুণালের মুখে লাগাম পরাতে তৃণমূল এবার কী কৌশল নেয় অথবা আরও কঠিন কোনও পদক্ষেপ করে কি না, তা নিয়েও কৌতূহল বাড়ছে৷

Partha Chatterjee: ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এমনই ক্ষমতা…’, হাইকোর্টে বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতির! জামিন কি অসম্ভব?

কলকাতা: ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষমতা এজলাসে বসে টের পাচ্ছি’, এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি জামিন মামলায় বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী’র ডিভিশন বেঞ্চের। অবস্থান জানাতে ফের সময় চাইলেন মুখ্যসচিব। এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চারবার সময় দিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার ৭ সপ্তাহ সময় চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এরপরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে ডিভিশন বেঞ্চ।

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, ”রাজ্য আদালতকে বাধ্য করছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এক্সট্রিমলি আনফেয়ার। পরিষ্কার আদালত অবমাননা। ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি করা হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে। মুখ্যসচিব আদালতকে আহ্বান করছে আদালত অবমাননার রুল জারি করতে।
আইনি কৌশল নিয়েছে রাজ্য, অবমাননার রুল জারি করবে আদালত তারপর হাতজোড় করে এসে বলবে, মুখ্যসচিব নানা কাজে ব্যস্ত, তাঁকে সময়টুকুও দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারে রাজ্য।”

এখানেই শেষ নয়, ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ”মুখ্যসচিব দায়বদ্ধ তাঁর ওপর ন্যস্ত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন। এটা কি আদৌ আমলাতান্ত্রিক অলসতা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। আড়ালে কিছু থাকলে জামিন মামলায় তার প্রভাব পড়বে। এই আদালত তো তাকে অনুমতি দেওয়ার জন্য বাধ্য করেনি, তাকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে, নিজের দ্বায়িত্ব পালন করতে বলেছে। এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় জরুরিভিত্তিতে শুরু করা প্রয়োজন রয়েছে। গণতন্ত্রে একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের এই ধরনের পদক্ষেপ কাম্য নয়। শেষ পর্যন্ত যদি মুখ্যসচিব অনুমতি না দেন তাহলেও আমরা বিস্মিত হব না।”

আরও পড়ুন: তৃণমূল থেকে কি মুছেই ফেলা হল কুণাল ঘোষকে? বুধের পর বৃহস্পতিতেও বিরাট পদক্ষেপ! কেঁদেই ফেললেন কুণাল

এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, ”এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র বলে আমাদের মনে হচ্ছে। অভিযুক্তরা এতই প্রভাবশালী যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কলম কাজ করছে না। আদালতকে পর্যন্ত হিমশিম খেতে হচ্ছে দ্বায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে। এখানে আদৌ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়া সম্ভব কিনা সেটা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যদিও সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তদন্তকারী সংস্থাকেই নিতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী না থাকলেও তাঁর ক্ষমতা আমরা এজলাসে বসে টের পাচ্ছি।”

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সিবিআই যে অনুমোদন রাজ্যের কাছে চেয়েছিল, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ফের সময় চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI জামিনের মামলার চূড়ান্ত শুনানি করবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

Kunal Ghosh: ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই এটা হয়েছে, এর জন্য দলকে কেন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে?’ এসএসসি মামলার রায় ঘোষণার পরে বিস্ফোরক কুণাল

কলকাতা: এসএসসি মামলার রায় ঘোষণার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কুণাল ঘোষের ৷ তিনি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কীর্তি এইসব। তাঁর সময়েই হয়েছে। আমি বলেছিলাম। আমাকে হুমকি দিয়েছিল। ব্রাত্যকে সরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়ে নিল। আবার তাকে সরানোয় ক্ষিপ্তদের মতো আচরণ করা হয়েছিল। আদালত অবশ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের লাইনে চলেছে। তবে চাকরিপ্রার্থীরা গরমে রাস্তায় বসে কেন শাস্তি পাবে? পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন জেলের সেলে থাকবেন? জেলের মাঠে এই রোদ্দুরে দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত। জেলের মাঠে তাঁকে বসিয়ে রাখা উচিত। আমি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই এটা হয়েছে। এর জন্য দলকে কেন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে?’’

আরও পড়ুন– ‘যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নিক, কিন্তু ভোটের আগেই এই রায় কেন…?’ প্রশ্ন কুণালের

কুণাল ঘোষ এদিন আরও বলেন, ‘‘আদালত রায় দিয়েছে। তার নানা দিক আছে। অনভিপ্রেত রায়। আইনজীবী-সহ এসএসসি সবটা খতিয়ে দেখছে। কিছু লোক ভুল করেছিল। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করে নেচে বেড়াচ্ছিল। যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি হোক। যারা যোগ্য, তাদের চাকরি হোক। কিন্তু গোটাটাকে এক বন্ধনীতে রাখার চেষ্টা করেছে কেউ কেউ। কেউ কেউ পাপ করেছে বলে আজ সকলের ভোগান্তি হল। যোগ্যদের চাকরি হোক। আমরা আশা করেছিলাম, যোগ্যদের চাকরি হবে। দেখা গেল, সকলের ক্ষেত্রে জটিল পরিস্থিতি হল। ত্রিপুরাতে বাম আমলে এমন একটি ঘটনা ঘটে। ১০ হাজারের বেশি শিক্ষকের প্যানেল বাতিল হয়। ভোটের সময় বলে অনেকে এটা নিয়ে কুৎসা করবে। যারা যোগ্য তাদের কী হবে? আইনি খুঁটিনাটি দেখতে হবে। বিরোধীরা নানা সময় বাধা দিচ্ছে। সরকার সব সাবধানতা রেখে কাজ করবে। যারা অন্যায় করেছে তাদের এক বিচার। আর যারা যোগ্য তাদের অনিশ্চয়তায় ফেলে দেওয়া এটা দুর্ভাগ্যজনক। যে বা যারা অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তারাই ছড়ি ঘুরিয়েছে সেই সময়। কিছু বলতে গেলেই অপ্রিয় হয়ে যেতে হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ গুটিকয়েকের জন্য এই অবস্থা এল। চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। এখন সরকার সেই ব্যবস্থা নিয়েছে। বাম জমানাতেও দলদাসদের চাকরি হয়েছে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করে গিয়েছেন, তা কোনও ভাবে হতে পারে না।’’