শিরার ক্ষত থেকে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছিল দৃষ্টি, হতদরিদ্র কিশোরের অস্ত্রোপচারের দায়িত্ব নিলেন দেব

#চন্দ্রকোনা: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রোকোনার সাবির খানের অন্ধকার জীবনে দীপক হাতে দেব। আরও একবার মানবিকতার পরিচয় দিলেন সাংসদ অভিনেতা।

সাবিরের বাবা ঘুরে ঘুরে টিন, প্লাস্টিক, কুড়িয়ে বিক্রি করেন। খুবই অভাবের সংসার। এরই মধ্যে আড়াই বছর আগে ঘটে যায় এক অসম্ভব বিপদ। চোখে ক্রিকেটের বল লাগে সাবিরের। তার পর থেকেই এক চোখে শুরু হয় অসম্ভব যন্ত্রণা, অনেক খানি ফুলেও যায়। জল কাটতে থাকে। সাবিরের বাবা তাকে স্থানীয় ডাক্তার দেখান। সেই ডাক্তার বিশেষ কোনও সুরাহা করতে পারেননি। মেদিনীপুরে বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় সাবিরকে। জানা যায়, বল লাগার জন্য নয়, তার এক চোখে জন্মগত সমস্যা রয়েছে। চোখের একটি শিরায় ক্ষত রয়েছে সাবিরের।

সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে সাবিরকে কলকাতায় নিয়ে আসে বড় ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসেন তার বাবা। কলকাতার ডাক্তারও একই কথা বলেন। সঙ্গে জানিয়ে দেন, সাবিরের চোখের অপারেশন করতে হবে। না হলে সে ওই চোখের দৃষ্টি হারাবে। অপারেশন করার ন্যূনতম খরচ ২৫-৩০ হাজার টাকা। কিন্তু এত টাকা সাবিরের বাবার নেই। অসহায় অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। এইভাবেই দিন কাটতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষীণ হয়ে আসে সাবিরের ওই চোখের দৃষ্টি।

সাবিরের প্রতিবেশী সাহেব মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে তার এই অবস্থার কথা জানতেন। তিনিই সাংসদ দেবকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে একটি ট্যুইট করেন। সেই ট্যুইট অভিনেতার চোখে পড়া মাত্র, তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। দফতর থেকে সাবিরের বাড়িতে লোক পাঠান দেব। তার অপারেশনের সমস্ত খরচ দেব বহন করবেন, তা জানিয়ে দেন। সাংসদ অভিনেতার সাহায্য পেয়ে খুশি সাবিরের পরিবার।

ARUNIMA DEY