অধীররঞ্জন চৌধুরী৷

Adhir Ranjan Chowdhury: ‘আমি তো বিপিএল সাংসদ, এবার কী করব?’ প্রদেশ সভাপতির পদও ছাড়তে চান অভিমানী অধীর

বহরমপুর: ভোটে হেরে সাংসদ পদ খুইয়েছেন৷ এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদও ছাড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন বহরমপুরের পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ তাঁর বদলে যোগ্য কাউকে প্রদেশ সভাপতির পদে বসানোর জন্যও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছেন অধীর৷

এবার জয়ী হলে বহরমপুর থেকে টানা ছ বার জয়ী হতেন অধীর৷ তাঁর হারই সম্ভবত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে সবথেকে অপ্রত্যাশিত ঘটনা৷ অধীরের কথাতেও তাই ঝরে পড়েছে হতাশা৷ এমন কি, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি অধীর৷

কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘কী করব আমি জানি না৷ কোনও দিন রাজনীতি করা ছাড়া কিছু শিখিনি৷ দিল্লিতে আমি নিজেকে বিপিএল সাংসদ বলতাম৷ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ব্যবসা, বাণিজ্যও শেষ হয়ে গিয়েছে৷
অনেকেই বলছেন, উগ্র মমতা বিরোধিতা করতে গিয়েই নিজের সমস্যা বাড়িয়েছেন অধীর৷ ভোটে তো হারতে হলই, উল্টে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের পথে গিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডেরই বিরাগভাজন হয়েছেন অধীর৷ এমন কি, বিপক্ষে ইউসুফ পাঠানের মতো তারকা মুখ থাকলেও অধীরের সমর্থনে প্রচারে আসেননি রাহুল গান্ধি সহ কংগ্রেসের কোনও শীর্ষ নেতা৷’

আরও পড়ুন:

মুখে না বললেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপরে অভিমানী অধীর বলেন, ‘তাঁদের হয়তো মনে হয়েছে আমার পাশে দাঁড়ানোর দরকার নেই৷ রাহুল গান্ধি তো এখানে ন্যায় যাত্রায় এসেছিলেন৷ ভালই প্রচার হয়েছে৷ এটা দিল্লির বিষয়৷ আমি কিছু বলতে পারব না৷’

সাংসদ পদ হারালেও এখনও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে রয়েছেন অধীর৷ যদিও সেই পদ ছাড়তে চান তিনি৷ অধীর বলেন, ‘দল এখন ব্যস্ত৷ আমি তো আগেই বলেছিলাম আমার বদলে অন্য কাউকে প্রদেশ সভাপতি করা হোক৷ কারণ সময় দিতে পারতাম না৷ সনিয়া গান্ধি বলেছিলেন বলে এই পদে ছিলাম৷ এখন দল যোগ্য কাউকে এই পদে বসাক৷’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের বিরোধিতা নিয়েও মুখ খুলেছেন অধীর৷ তাঁর সাফাই, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত সংঘাত নেই৷ দিল্লি থেকে বললে জোট হত৷ আমি বলেছিলাম এখানকার সরকার আমাদের দল করতে দিচ্ছে না৷’

বরং তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘পশ্চিমবঙ্গে তো সব দখল হয়ে গেল আর সন্ত্রাস করে কী হবে? আমার উপরে যা খুশি করুন কিন্তু কংগ্রেস করার অপরাধে কারও উপরে আক্রমণ করবেন না৷’