মানুষের জীবনে যেমন খাওয়াদাওয়া, শোওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এরই সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ যা রোজকার করা উচিত তা হল নিজেকে পরিষ্কার রাখা অর্থাৎ দাঁত মাজা, চান করা৷ এগুলি নিয়মিত করলে শরীরের জন্য তা উপকারী। Photo- Representativeচিকিৎসকরাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরের দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য যে সব কাজ করতেই বলেন তার মধ্যে স্নান একটি গুরুত্বপূ্র্ণ অংশ। কিন্তু আগ্রায় স্বামীর স্নান না করাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তুমুল স্তরে পৌঁছয়৷ এমনকি চরম সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী, তিনি মন খারাপ করে বাপের বাড়ি চলে যান। বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ মামলাটি পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারে স্থানান্তর করেছে। Photo- Representativeপারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারে এক অদ্ভুত সমস্যা নিয়ে আসে নব দম্পতি৷ এ একেবারে অনন্য কেস। এটা শুনে কাউন্সিলররা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন৷ ৪০ দিন আগে আগ্রার এক তরুণীর বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। Photo- Representativeবিয়ের পর দুজনেই খুব খুশি ছিলেন। বিয়ের পর রাতে নববধূ তাঁর স্বামীকে চান করতে বললে তিনি যেভাবে হোক বিষয়টি এড়িয়ে যেতে থাকেন। স্ত্রী পীড়াপীড়ি করলে স্বামী তাঁর শরীরে ৪ থেকে ৫ ফোঁটা গঙ্গাজল ছিটিয়ে নেন৷ Photo- Representativeকিন্তু এরকম পরপর চলতে থাকায় স্ত্রী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ির কাছে অভিযোগ করেন। এরপর শাশুড়ি যখন তাঁর স্ত্রীকে সত্যটা বলেন, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান। এরপর আর দেরি না করে নববধূ মামার বাড়িতে চলে যান। Photo- Representativeস্ত্রী তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিদিন তাকে মারধর ও যৌতুকের জন্য হয়রানির অভিযোগ করেছেন। পুলিশ মামলাটি পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারে স্থানান্তর করেছে। Photo- Representativeকাউন্সিলররা স্বামী-স্ত্রীকে ডাকলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর এবং স্নান না করার অভিযোগ আনেন। তিনি পরামর্শদাতাদের বলেছিলেন যে তাঁর বিয়ের ৪০ দিন হয়ে গেছে, তারপর থেকে তাঁর স্বামী মাত্র ৬ বার স্নান করেছেন এবং বাকিদিনে নোংরাই থেকে গেছেন। মেয়েটিকে তাঁকে স্নান করতে বললে সে তাঁকে মারধর করতে শুরু করে৷ Photo- Representativeকাউন্সিলররা স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান যে তিনি তাঁর শরীরে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দেন এবং যখনই তিনি সময় পান স্নান করেন। এরপরেই স্ত্রী এক অনন্য শর্ত বসিয়েছেন৷ কাউন্সিলর ডক্টর সতীশ খিরওয়ার জানান, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসে ব্যাখ্যা করলে স্ত্রী এক অনন্য শর্ত দিয়েছেন। স্ত্রী বলেছেন, প্রতিদিন স্নান না করলে স্বামীর সঙ্গে থাকতে পারবেন না। Photo- Representativeস্বামীকে পুলিশ এবং কাউন্সিলরদের কাছে লিখিত দিতে হবে যে তিনি প্রতিদিন স্নান করবেন এবং তবেই তিনি তাঁর সঙ্গে যাবেন। এখন উভয়ের পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী তারিখে আবারও দু’জনকে একসঙ্গে রাজি করানোর কাজ করা হবে। Photo- Representative
