ব্লক অফিসে অভিযোগ জানাতে ছাত্রী

Malda News: কাটমানি না দেওয়ায় বাতিল কন্যাশ্রীর আবেদন! অভি‌যোগ ঘিরে সরগরম মালদহ

মালদহ: কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতেও দিতে হবে কাটমানি! দাবি মতো তদন্তকারী অফিসারকে কাটমানি দিতে পারেননি ছাত্রী, তার জেরেই নাকি বাতিল হয়ে গিয়েছে কন্যাশ্রীর আবেদন, দাবি ছাত্রীর পরিবারের। এই নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ছাত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

আরও পড়ুন: নাগেরবাজারের অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সম্পূর্ণ নেভাতে আরও সময় লাগবে

স্কুলছাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, “পঞ্চায়েত অফিসের এক কর্মী আমার কাছে টাকা চেয়েছিল। দিতে না পারায় আমার কন্যাশ্রী ফর্মে বিবাহিত করা হয়েছে। কিন্তু আমার এখনও বিয়ে হয়নি। স্কুলে পড়ছি আমি এখনও। হয়তো টাকা দিতে না পারায় এমনটা করা হয়েছে। আমি অভিযোগ দায়ের করেছি ব্লক অফিসে”।

আরও পড়ুন: দায়িত্ব নেওয়ার আগেই গম্ভীরকে ধাক্কা দিল বোর্ড, পেলেন না পছন্দের ফিল্ডিং এবং বোলিং কোচ

মালদহের রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের ঘটনা। এই ব্লকের চাঁদমনি-২ পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম৷ তাঁর মেয়ে সুলতানা পারভিন স্থানীয় বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণীতে পড়ে৷ দেড় বছর আগে সুলতানার বয়স ১৮ বছর হয়ে যায়৷ নিয়মমতো তিনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কে-২ ফর্ম পূরণ করেন৷ মাদ্রাসার তরফে সেই ফর্ম ভেরিফিকেশন করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে৷ তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই ব্লক থেকে কন্যাশ্রীর নাম পাঠানো হবে জেলায়৷ অভিযোগ, সুলতানার ফর্ম অনুমোদন করে ব্লকে পাঠাতে টাকা দাবি করেছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্মী ৷ দাবি মতো টাকা না মেলায় আবেদন পত্রের রিপোর্টে সুলতানাকে বিবাহিত বলে উল্লেখ করেন, এর জেরে সুলতানার ফর্ম বাতিল হয়ে যায়, দাবি ছাত্রীর৷ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আনওয়ারুল হক বলেন, “বিষয়টি আমি জানি। ওই ছাত্রী আমার কাছে এসেছিল। স্কুলের পক্ষ থেকে কোন গাফিলতি নেই। পঞ্চায়েত অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মেয়েটি অবিবাহিত, আমাদের স্কুলেই পড়ে। কিন্তু এখনও মেয়েটির নাম কন্যাশ্রী প্রকল্পের তোলা হচ্ছে না কেন আমি জানি না”।

প্রায় দেড় বছর ধরে পঞ্চায়েত অফিসে বার বার ঘুরেও ওই স্কুল ছাত্রীর আবেদনপত্রে তা সংশোধন করা হয়নি। সরকারি নথিতে তাকে বিবাহিত উল্লেখ থাকায় তাঁর কন্যাশ্রীর ফর্ম বাতিল করা হয়েছে৷ বঞ্চিত করা হচ্ছে সরকারি প্রকল্প থেকে, এমনই অভিযোগ ছাত্রীর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত এই নিয়ে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগের প্রতিলিপি রতুয়া থানা, জেলাশাসক, মহকুমা শাসকের কাছেও পাঠানো হয়েছে৷ অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে পড়েছেন বিডিও৷ তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তদন্তে ওই সরকারি কর্মীর গাফিলতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷