অমাবস্যা তিথিটি পূর্বপুরুষদের জন্য উৎসর্গীকৃত। এক বছরে ১২টি অমাবস্যা রয়েছে শাস্ত্রে শ্রাবণ অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। এই তিথিতে, হরিদ্বার, নাসিক, গয়া, উজ্জয়নের মতো পৌরাণিক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানগুলির নদীতে স্নান এবং দান করা উচিত।বর্ষাকালে চারদিক সবুজে শ্যামল হয়ে থাকে। তাই শ্রাবণী অমাবস্যাকে বলা হয় ‘হরিয়ালী অমাবস্যা’ বা ‘সবুজ শ্যামল অমাবস্যা’।শ্রাবণ মাসের অমাবস্যা হরিয়ালী অমাবস্যা নামেও পরিচিত। এই অমাবস্যা তিথিতে মহাদেব ও পার্বতীর পূজার্চনা করা হয়। পাশাপাশি সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ব্রতপালন, দান-পুণ্য করা হয়। শাস্ত্র মতে হরিয়ালী অমাবস্যায় বৃক্ষরোপণ করা শুভ।৪ অগস্ট ২০২৪ তারিখে শ্রাবণ অমাবস্যা পালিত হবে। এটি হরিয়ালি অমাবস্যা নামেও পরিচিত। এই অমাবস্যায় পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে ধূপ, ধ্যান, তর্পণ, পিন্ডদান ও দান ছাড়াও বৃক্ষরোপণ করা উচিত, এতে জীবনে সুখ আসে।শ্রাবণ অমাবস্যা তিথি ৩ অগস্ট ২০২৪-এ শুরু হবে দুপুর ০৩ টে ৫০ মিনিটে এবং শেষ হবে ৪ অগস্ট ২০২৪-এ বিকাল ০৪ টে ৪২ মিনিটে।জ্যোতিষবীদ সুদীপ শাস্ত্রী জানাচ্ছেন, শ্রাবণ অমাবস্যায় বাড়িতে বেলপত্র, তুলসী, আমলকি গাছ লাগান, এর পাশাপাশি মন্দির বা যে কোনও পার্কে শমী, অশ্বত্থ, নিম, বট, আমের মতো ছায়াযুক্ত গাছ লাগান এবং তাদের যত্ন নিন। এতে গ্রহের দোষ দূর হয়। পূর্বপুরুষ শান্তি পায়।শ্রাবণ অমাবস্যার দিনে ২ টি জাফরান এবং লবঙ্গ দিয়ে ঘি এর প্রদীপ জ্বালানো দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে সাহায্য করে এবং আর্থিক অসুবিধা দূর করে। এই দিন তুলসীতে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান এবং ভগবান বিষ্ণুর মন্ত্র জপ করুন।এই অমাবস্যায় স্নান-দানের পাশাপাশি শিব এবং বিষ্ণুর পুজো করলে বিশেষ সুফল পাওয়া যায়। শ্রাবণ অমাবস্যায় শিব ও পার্বতীর নিয়ম মেনে পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। এই তিথিতে শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, দই, বেলপাতা, ধুতরো, শমী পাতা, আকন্দ ফুল, ভস্ম, নিবেদন করা উচিত।মরশুমী ফল নিবেদন করুন। এর পর ঘিয়ের প্রদীপ ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে শিব চালিসা পাঠ করুন। অবশেষের নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রসাদ বিতরণ করুন। এই তিথিত রুদ্রাভিষেক ও বজরংবলীর পুজো করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
