অভিযুক্ত নার্স হিদার প্রেসডি৷ Photo- www.attorneygeneral.gov.in

American nurse gets 700 years jail: ‘মানুষরূপী শয়তান?’ ১৭ জন রোগীকে হত্যা, খুনে নার্সকে ৭০০ বছর জেলের নির্দেশ আদালতের

পেনসিলভানিয়া: তাঁর পেশা ছিল অসুস্থ মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করা৷ উল্টে তিনিই ইচ্ছাকৃত ভাবে ইনস্যুলিনের ওভারডোজ দিয়ে অন্তত ১৭ জন রোগীকে খুন করলেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নার্সকে ইনস্যুলিনের ওভারডোজ দিয়ে রোগীদের খুন করার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩৮০ থেকে ৭৬০ বছরের জেল ঘোষণা করেছে আমেরিকার একটি আদালত৷

জানা গিয়েছে, পাঁচটি আলাদা আলাদা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে গত ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে মধ্যে এই হত্যালীলা চালান ওই শিক্ষিকা৷ আদালতে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকারও করে নেন তিনি৷

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন, চুলের মুঠি ধরে মুখে ঘুষি-লাথি! কাজাখস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রীর হাড়হিম করা ভিডিও প্রকাশ্যে

পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সি ওই নার্সের নাম হিদার প্রেসডি৷ অভিযোগ, গত তিন বছরে অন্তত ২২ জন রোগীর শরীরে ইনস্যুলিনের ওভারডোজ প্রয়োগ করেন তিনি৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গভীর রাতে হাসপাতাল ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে এই কাজ করতেন তিনি৷ এমন কী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন, এমন রোগীদেরও ইনস্যুলিনের ওভারডোজ দেন ওই নার্স৷ অধিকাংশ রোগীরই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়৷ মৃতদের বয়স ৪৩ থেকে ১০৪-এ মধ্যে৷

ইনস্যুলিনের ওভারডোজে শরীর হৃদস্পন্দনর মাত্রা বেড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে৷ গত বছর মে মাসে প্রথম ওই নার্সের কুকীর্তি ধরা পড়ে৷ এর পর তদন্তে নেমে পুলিশ ওই নার্সের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পায়৷

নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, ওই নার্স রোগীদের কাছে ঈশ্বর সেজে তাঁদের মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন৷ যদিও ওই রোগীরা প্রত্যেকেই বাঁচতে চেয়েছিলেন বলে দাবি তাঁদের পরিবারের৷ অভিযুক্ত নার্সের সহকর্মীরা অবশ্য আগেই তাঁর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন৷ তাঁদের দাবি ছিল, ওই নার্স রোগীদের সহ্যই করতে পারতেন না৷ রোগীদের সম্পর্কে কুকথাও বলতে শোনা যেত তাঁকে৷

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিজের মাকে পাঠানো টেক্সট মেসেজেও হাসপাতালের রোগী, নিজের সহকর্মী, এমন কী রেস্তোরাঁয় সাক্ষাৎ হওয়া মানুষজন সম্পর্কেও নিজের বিরক্তির কথা জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত নার্স৷ এমন কী, তাঁদের ক্ষতি করার ইচ্ছাও জানিয়েছিলেন তিনি৷

জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে একের পর এক নার্সিং হোমে চাকরি বদলেছিলেন ওই নার্স৷ আর সুযোগেই রোগীদের শরীরে ইনস্যুলিনের ওভারডোজ প্রয়োগ করতেন তিনি৷ যে রোগীরা ওই নার্সের বিকৃত মানসিকতার শিকার, তাঁদের মধ্যে একজনের আত্মীয়ের দাবি, ওই নার্স অসুস্থও নন, মানসিক সমস্যাও নেই৷ তিনি আসলে মানুষরূপী শয়তান৷