অমিতাভ বচ্চন মানেই চিরযুবক! ৮২ ছুঁই ছুঁই অভিনেতার এনার্জি যে কোনও উঠতি হিরোকে লজ্জা দেবে৷ ৮ দশকের অ্যাংরি ইয়ং ম্যান এখনও সমান ফিট৷ তাঁর বয়স যেন উল্টো পথে হাঁটে৷ ফলে তিনি এখনও সমান জনপ্রিয় এবং তাঁর কাজের গতিও অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে৷ অমিতাভের শরীরের অনেক সমস্যার কথা শোনা যায়, তবে দেখে বোঝার উপায় নেই৷ বিগ বি-কে দেখার পর সবার মনে প্রথম প্রশ্ন আসে তিনি এত ফিট কিভাবে?৮০তে আপনি থাকতে পারেন অমিতাভের মতো সুস্থ ও কাজ করতে পারবেন পুরো দমে, শুধু আপনার কাছে থাকতে হবে এই প্রাকৃতিক মহৌষধি!নিজেকে ফিট রাখতে খাবারের পাশাপাশি যোগব্যায়াম, সব ব্যাপারে কঠোর নিয়ম মেনে চলেন অমিতাভ। এ কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে তিনি একটি পাতা খেয়ে দিন শুরু করেন অমিতাভ! ২০২২ সালে, তিনি তাঁর ব্লগে এটি জানান সকলকে। তিনি বলেছিলেন যে জিমে যাওয়ার আগে তিনি ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করেন এবং জিমে যাওয়ার পাশাপাশি যোগব্যায়ামও করেন। অমিতাভ বচ্চন তাঁর ব্লগে সকালের রুটিন উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি একটি জিম সেশন দিয়ে দিন শুরু করেন।তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে ফল ও সবজি। দুপুরের তিনি ডাল, সবজি ও রুটি খান। যে তিনটি জিনিস তিনি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন, সেটাও তিনি জানান৷তিনি আমিষ খাবার, মিষ্টি আর ভাত খান না। অভিনেতা বলেছিলেন যে তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তিনি এই সব খেতেন। কিন্তু এই বয়সে নিজেকে ফিট রাখতে সব ছেড়ে দিয়েছেন।নিজেকে ফিট রাখার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন অমিতাভ। তিনি সঠিকভাবে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।তবে যে পাতায় অমিতাভের শরীরের শক্তি জোগায় তা হল অব্যর্থ তুলসী৷ জানা গিয়েছে যে সকাল সকাল ৩টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খান অমিতাভ বচ্চন৷প্রায় সব গৃহস্থ বাড়িতেই তুলসী গাছ থাকে। তুলসী পাতা স্বাস্থ্যের জন্য নানা ভাবে উপকারী। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মিষ্টি তুলসীর পাতা বা পাতার রস খেলে অনেক মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দিনে দুটি তুলসী পাতা খেলে, তার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে।রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে তুলসী পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। তাই সকালে এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা তার কারণে সৃষ্ট বিষণ্নতা থেকেও মুক্তি দিতে খুব কার্যকর এই গাছের পাতা। তুলসী সর্দি এবং কাশির মতো সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা মেটাতে কার্যকরী। তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীর সুস্থ থাকে।হজমের সমস্যার জন্যও তুলসী দুর্দান্ত প্রতিকার। তুলসী পাতার রস পান করলে ত্বক সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়। এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।তুলসীতে ক্যানসার বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে ক্যানসার রোধ করা সম্ভব হয়।তুলসী পাতা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। তাই রোজ তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।গবেষণায় প্রমাণিত, মিষ্টি তুলসীর পাতার রস খেলে অনেক মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি মেলে। মিষ্টি তুলসী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়।ফলে অমিতাভের মতো এই রুটিন মেনে চললে আপনিও থাকবেন ১০০ শতাংশ ফিট, চেহারার বয়সের ছাপ পড়বে না এবং কাজ করতেও কোনও ক্লান্তি আসবে না৷
