হাওড়া:এই গরমে পোষ্যকে কিভাবে সুস্থ রাখবেন! কী কারণে হঠাৎ প্রিয় পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বহু চেষ্টা করেও কারণ জানতে পারছেন না। হয়ত অজান্তে ছোটখাট ভুল এর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডাক্তারি মতে গরমে মানুষের থেকে কয়েক গুণ বেশি কষ্টে থাকে পোষ্য। এই গরমে কোন ধরনের খাবার উপযুক্ত, আবার কোন ধরনের খাবার শরীর অসুস্থ রাখতে পারে পোষ্য’র। এ বিষয়ে বেসিক ধারণা থাকা দরকার মানুষের। এই সময় ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোক, ডিসটেম্পার, হেপাটাইটিস, পারগো, ইনফ্লুয়েঞ্জর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে পোষ্যর।
গরমে দিশেহারা মানুষ পাশাপাশি নাজেহাল হতে হচ্ছে পশু পাখিদের। শরীর সুস্থ রাখতে ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সেই দিক থেকে পশু পাখিদের শরীর ঠিক রাখতে কি কোন সতর্কতা মেনে চলতে হবে জানুন। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন ডা: তাপস কুমার সাঁতরা। এই গরমে পোষ্যকে সুস্থ রাখতে ছায়া এবং ঠান্ডা জায়গার বিশেষ প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে পর্যাপ্ত জলের দিকে, খাবার জল গরম না হয়, পরিবর্তন করে দিতে হবে কিছুক্ষণ অন্তর।
একইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে একবারে বেশি পরিমাণ খাবার না হয়। বারবার অল্প অল্প খাবার দেওয়া। দারুণ গরমে মানুষ শরীর সুস্থ রাখতে সাদা মাটা খাবার গ্রহণ করে। পশুপাখিদের ক্ষেত্রেও একইভাবে গুরুত্ব রাখতে হবে খাবারে। যদিও পোষ্য কুকুরদের ভ্যাকসিন অনেকটা নিরাপদ রাখে। সেই তুলনায় রাস্তার কুকুর বিড়ালের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে শরীর খারাপের।এই গরমে পোষ্যর স্নান করানো প্রয়োজন, তবে খুব রোদ্দুরের উত্তাপের সময় স্নান করানো একেবারেই উচিত নয়। অল্প সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
বসিরহাট: ক্যানসার প্রতিরোধী করোসল গাছের দেখা মিলল বসিরহাটে। ক্যানসার একটি মারণব্যাধি রোগ। মরণব্যাধি রোগের প্রতিষেধক গাছ করোসল গাছের দেখা মিলল বসিরহাটের হাসনাবাদের পাটলি খানপুরের ইমন নার্সারিতে। বাজারে ভাল চাহিদা থাকায় এই গাছ চাষ করে মোটা মুনাফা করতে বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা যেতে পারে এই গাছের।
করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের একটি গাছ। ক্যানসার প্রতিষেধক হিসেবে এই গাছের ফল বিশেষজ্ঞদের বহুবিদ মতামত পাওয়া যায়। অনেক দেশেই এ ফলটি ক্যানসার প্রতিরোধক ফল হিসেবে পরিচিত। এই গাছের ফল যা অনেক ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপির কাজ করে থাকে।
করোসল গাছের বিশেষ যৌগ ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়, যার ফলে ক্যানসার কোষ আর বাড়তে পারে না। হাসনাবাদের পাটলিখানপুরের যুবক লিটন মিস্ত্রি নার্সারিতে গাছের সংগ্রহ রেখেছেন। শুধু গাছ সংগ্রহ নয়, সেই গাছ থেকে চারাগাছ তৈরি করছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদের প্রত্যন্ত এলাকায় বহু মূল্যবান এই গাছ বাণিজ্যিকভাবে চাষের উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছেন।
বসিরহাট:তীব্র গরমে রসনাতৃপ্ত করতে বাড়িতে রোপন করুন প্যাশন ফ্রুট। হাঁসফাঁস গরমে একটু রসালো পানীয় পেলে স্বস্তি। এবার বাড়িতে এই পানীয় তৈরির উপাদেয় হিসাবে রোপন করুন প্যাশন ফ্রুট গাছ। ফলের নাম প্যাশন! যাকে আবার অনেকে আনারকলি ফল বলেও চেনেন। সেই বিদেশি ফলের গাছের দেখা মিলছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের হাসনাবাদের পাটলি খানপুরের ইমন নার্সারিতে। বাজারে ভাল চাহিদা থাকায় এই ফল চাষ করে মোটা মুনাফা করতে বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা যেতে পারে এই ফলের।
প্যাশন ফল একটি স্বল্প পরিচিত প্রবর্তনযোগ্য ফল। বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে ও এদেশের কেরলে এই ফল অত্যন্ত পরিচিত। বিরুৎ জাতীয় এই গাছ তার, ঘরের চালে, কিংবা মাচায় চাষ করা যায়। এই ফ্যাশন ফ্রুটের বা ফলের একটি গাছ ফল দেয় টানা ছয় মাস। সুস্বাদু, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটির উপকারিতা প্রচুর।
প্যাশন ফলের গাছ দীর্ঘপ্রসারী। প্যাশন ফলের ভেতরের গাত্রে হলুদাভ রসযুক্ত লালার মতো জিনিস থাকে। এগুলিই জুস করে বা অন্য কোনও ভাবে খাওয়া যেতে পারে। এই ফলের ভিতরের অংশ জলের সঙ্গে মিশিয়ে সুস্বাদু রস তৈরি করা যায়। এটিকে অন্যান্য জুসের সঙ্গেও মিশিয়ে খাওয়া যায়। আইসক্রিম, জুস, স্কোয়াশ, জ্যাম ও জেলি প্রস্তত করে তীব্র গরমে স্বস্তির চুমুক নিতে পারেন।