Anant Ambani Exclusive Interview | ঠাকুরদা-বাবাই অনুপ্রেরণা, মা রিলায়েন্স কর্মীদের জন্য তৈরি করেছেন আস্ত এক শহর, অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকারে অনন্ত আম্বানি

জামনগর, গুজরাত: আম্বানি পরিবারে এখন সাজো সাজো রব! কারণ বাড়ির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ের সানাই বেজে গিয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মুম্বইয়ে নিজেদের বাসভবন অ্যান্টিলিয়াতে পরম্পরাগত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল অনন্ত এবং রাধিকার। এবার চলতি বছরেই ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট বীরেন মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিরেক্টর অনন্ত আম্বানি। তবে সেই হেভিওয়েট বিয়ের আগেই গুজরাতের জামনগরে বসছে রাধিকা-অনন্তের প্রি-ওয়েডিং উৎসবের আসর। যা চলবে আগামী ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত। আর সেই কারণেই সেজে উঠেছে জামনগর। কারণ সেখানে উপস্থিত হবেন দেশ-বিদেশের নামীদামি ব্যবসায়ী। শুধু তা-ই নয়, প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কিংবদন্তিরাও যোগ দেবেন অনুষ্ঠানে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রীতিমতো বসতে চলেছে চাঁদের হাট!

আরও পড়ুন? দুই বিবাহিতের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন, প্রত্যাখ্যাত হন, নিজেও বিয়ে করেননি আজীবন; এই রাজনীতিবিদকে চেনেন?

তার আগে নেটওয়ার্ক ১৮-এর কাছে এক অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন আম্বানি পরিবারের এই তরুণ তুর্কি, অনন্তের কথায় ধরা পড়ল জীবনের নানা দিক।

সবার প্রথমে যখন বাণিজ্যের জগতে তাঁর অনুপ্রেরণার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, অনন্ত দ্বিধাহীন ভাবে জানিয়ে রাখেন যে তাঁর পরিবারই তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস। ?আমি আমার পরিবার থেকেই অনুপ্রণা পাই, তবে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার উৎস হলেন আমার ঠাকুরদা আর বাবা?, বলছেন অনন্ত।

সঙ্গে যোগ করতে ভোলেননি, ?আমার বাবা মুকেশ আম্বানি ধীরুভাই আম্বানির স্বপ্ন সফল করে দেখিয়েছেন। বিশ্বের বৃহত্তম রিফাইনারি এই জামনগরেই প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। আমার মা, নীতা আম্বানি, এই জামনগরেই রিলায়েন্স কর্মীদের জন্য গড়ে তুলেছেন আস্ত এক শহর। এই রিলায়েন্স গ্রিন সিটি আমার মায়ের হৃদয়ের বড় কাছের আসলে, আমার ঠাকুর্দার জীবনের মন্ত্রই ছিল লোকসেবা। ব্যবসা যা-ই হোক, বাবাও সব সময়ে লোকের উপকারের জন্যই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেন। আমরাও যখন নতুন কোনও ব্যবসার কথা ভাবি, বাবার দেখানো পথেই চলি। বাবার স্বপ্ন, দৃষ্টিভঙ্গী আমরা সুদূর প্রসারিত করতে বদ্ধপরিকর। প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু শেখার লক্ষ্যে কাজ করি।?

আরও পড়ুন- দীক্ষার পর থেকে জৈন সন্ন্যাসীরা স্নান করেন না, তারপরেও এত তরতাজা থাকেন কী করে? জানুন সেই রহস্য

একই সঙ্গে রিলায়েন্স চিড়িয়াখানা নিয়েও মুখ খুলেছেন অনন্ত। ?আসলে, আমার পুরো পরিবারই জীবজন্তু খুব ভালবাসে। ইশা আর আকাশও এই চিড়িয়াখানার জন্য যথেষ্ট অবদান রেখেছে। বলছিলাম না আমার পরিবারই আমার অনুপ্রেরণা, সেই পশুপ্রেমের লক্ষ্যেই এখানে হাতিদের জন্য একটা রেসকিউ সেন্টার খোলা হয়েছে। এখানে ২০০টিরও বেশি হাতিকে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিনব প্রজাতির জীবজন্তুদের জন্যও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে আমাদের। এই চিড়িয়াখানার দেখভালের জন্য আমাদের ৩০০০ কর্মীর এক দল রয়েছে। গুজরাত সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখানে আমরা সোলার এনার্জি প্রয়োগ করেছি। যদিও এখনও কাজ অনেকটাই বাকি, কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছে। এই প্রকল্পের জন্য আমরা সম্পূর্ণ ভাবে নন-প্রফিট অ্যাপ্রোচ নিয়ে কাজ করছি। রিফাইনারির নেট কার্বন একেবারে শূন্যে নিয়ে আসার কাজও চলছে। সব মিলিয়ে ওয়াইল্ডলাইফ ল্যাবের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা চলছে?, বলেছেন তিনি।