West Bardhaman News: চাহিদা আছে তুঙ্গে, কিন্তু নেই পরিষেবা! বিমানের অভাবে বন্ধ ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’

অন্ডাল, পশ্চিম বর্ধমান: চাহিদা আছে তুঙ্গে। তবে নেই পরিষেবা। প্রত্যেকদিন যাত্রীদের কৌতুহল বাড়ছে। প্রয়োজনের সময় পরিষেবা না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন অনেক যাত্রী। বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব শুরু হোক পরিষেবা। তবে এখনই আশার আলো নেই দুর্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার। এখনই শুরু হচ্ছে না অন্ডালের কাজী নজরুল এয়ারপোর্ট থেকে চেন্নাই বিমানবন্দরের সরাসরি বিমান পরিষেবা।

উল্লেখ, অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে অন্তঃদেশীয় বেশ কয়েকটি রুটে বিমান পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চেন্নাই যাওয়ার বিমান পরিষেবা ছিল। উড়ান সংস্থা স্পাইস জেটের পক্ষ থেকে চালানো হত অন্ডাল চেন্নাই বিমান।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই রুটে পরিষেবা দিতে গিয়ে বিশেষ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি উড়ান সংস্থাকে। কারণ এই রুটের বিমানগুলি বেশিরভাগ সময়েই ভর্তি থাকত। যাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ যেতেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু, বর্তমানে অন্ডাল চেন্নাই রুটে সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। অন্ডাল থেকে এখন বিমানে চেন্নাই যেতে হলে হায়দ্রাবাদ হয়ে ঘুরে যেতে হবে।

এই রুটে যাতে সময় লাগবে বেশি। একই সঙ্গে ভাড়া হিসাবে গুনতে থেকে বেশি টাকা। যে কারণে বেশিরভাগ যাত্রী তা করছেন না। কারণ বেশি টাকা, বেশি সময় ব্যয় করতে নারাজ যাত্রীরা। বদলে তারা রেল পরিষেবার ওপর ভরসা রাখছেন। কিন্তু সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু থাকলে তা যাত্রীদের জন্য অনেক সুবিধাজনক ছিল।

উল্লেখ্য, চেন্নাই যাওয়ার জন্য জেলা থেকে সে ভাবে সরাসরি কোনও ট্রেন পাওয়া যায় না। ট্রেন ধরতে ছুটতে হয় হাওড়া। হাওড়া থেকে ট্রেনে যেতে সময় লাগে। বেশি পাশাপাশি টিকিট পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। তা ছাড়াও, রোগী বা রোগীর পরিবারের কাছে তা বেশ ঝক্কির হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই অন্ডাল চেন্নাই রুটে সরাসরি বিমান পরিষেবা আবার চালু করার দাবি উঠছে।

এই বিষয়ে অন্ডাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, চেন্নাই রুটের বিমানে যাত্রীদের ভাল সাড়া ছিল। বেশিরভাগ সময় বিমানগুলি ভর্তি থাকত। যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই যেতেন চিকিৎসার জন্য। কার্যত অন্ডাল চেন্নাই রুটের বিমান পরিষেবা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রূপে ব্যবহার হত। তবে উড়ান সংস্থার কিছু সমস্যার জন্য এই পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। মূলত বিমান কম থাকার জন্য পরিষেবা দিতে পারছে না উড়ান সংস্থাটি।

এই বিষয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। কারণ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ চেন্নাই রুটে বিমান চালাতে সদাচেষ্ট। এই রুটে যাত্রীদের চাহিদা অনেক বেশি। স্পাইসজেট ছাড়াও অন্যান্য উড়ান সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এমনকি বিমান নিয়ে অসুবিধা থাকলে, রাত্রিকালীন পরিষেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তবে হতাশা সুরেই তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে আশাব্যঞ্জক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি উড়ান সংস্থাগুলির তরফ থেকে। ফলে চেন্নাই রুটে সরাসরি বিমান পেতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলেই তিনি মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন, চিকিৎসার জন্য যাত্রীদের সুবিধার্থে এই রুটে বিমান চালানো হোক।

নয়ন ঘোষ