শক্তিগড়ে অনুব্রত মণ্ডল৷

Anubrata Mondal: ফাস্ট ফুড খাবেন না!’ শক্তিগড়ের ল্যাংচা মুখে না তুলে পরামর্শ বদলে যাওয়া অনুব্রতর

শক্তিগড়: অনেক বদলে গেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ল্যাংচা হাবে বেশ কিছুক্ষণ কাটালেও ল্যাংচার স্বাদ নিলেন না তিনি। তার বদলে আয়েশ করে খেলেন শশা মুড়ি। তারপর চুমুক দিলেন চিনি ছাড়া চায়ে। সবাইকে পরামর্শ দিলেন, ফাস্ট ফুড খাবেন না। তাতে শরীর খারাপ হবে।

কলকাতা থেকে বোলপুর যাতায়াতের পথে শক্তিগড়ে দাঁড়ানো বরাবরের বাঁধাধরা অভ্যাস তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। আগে এখানে এলে শক্তিগড়ের বিখ্যাত ল্যাংচার স্বাদ নিতে ভুলতেন না। তবে এবার তিনি ভীষন স্বাস্থ্য সচেতন।

আরও পড়ুন: মামলা মোকদ্দমাতেই নিঃস্ব অনুব্রত? অবস্থা আর আগের মতো নেই, স্বীকার করলেন কেষ্ট

অনুব্রত মণ্ডল আসবেন। রবিবার এই খবর মুখে মুখে চাউড় হয়ে গিয়েছিল শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে।  দু বছর পর তাঁকে ফের দেখার জন্য উন্মুখ ছিলেন অনেকেই। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতামুখী লেনে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি দাঁড়াতেই ভিড় করলেন অনেকেই। তাঁর শশা মুড়ি খাওয়া দেখে  ল্যাংচা হাবের এক কর্মী বললেন, ‘খাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকাই ভাল। শুনছিলাম তাঁর কুড়ি কেজি ওজন কমেছে। ছোটখাটো বেশ কিছু রোগ সেড়ে গিয়েছে। এখন দেখে বেশ চনমনে লাগছে।’

অনুব্রতর সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা। বাবাকে আগলে রাখছিলেন তিনি। কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় গাড়ির জানলা থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বাংলার একটা বড় অংশ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গতদের দেখভাল করছেন। তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করছেন।’ অনুব্রত জানান, এবার শুধু চিকিৎসার জন্যই কলকাতা যাচ্ছেন। ফিরে এসে বাড়ির পুজোয় থাকবেন।

তিনি বলেন, ‘বুঝতেই তো পারছেন দু বছর ছিলাম না। এবার পরিবারের পুজোয় থাকার একটু তাড়া আছে। এবার হবে না। সময়মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি আগেও জেলা সভাপতি ছিলাম, এখনও আছি। সেই কোর কমিটিই তো আছে। নতুন করে তো কোনও কোর কমিটি হয়নি। আমি বীরভূম, বর্ধমান দেখতাম। এখন তেমনই দেখছি।’