আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেন অপর্ণা সেন৷

Aparna Sen at R G Kar: আর জি করে এসে প্রতিবাদে সামিল অপর্ণা! এতদিন নীরব কেন, পড়তে হল বিক্ষোভের মুখেও

কলকাতা: নন্দীগ্রাম পর্বে পথে নেমেছিলেন তিনি৷ রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর অবশ্য তাঁকে সেভাবে কোনও ইস্যুতেই পথে নামতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তোলে বিরোধী দল এবং সমাজকর্মীদের একাংশ৷ আর জি কর কাণ্ডে অবশ্য প্রকাশ্যে সরব হলেন অভিনেত্রী এবং পরিচালক অপর্ণা সেন৷

এ দিন সশরীরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে এলেন তিনি৷ মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তদন্তের দাবি করেছেন অপর্ণা সেন৷

আরও পড়ুন: ছেলের নাম জড়িয়ে ‘কুৎসা’ ছড়াল দলেরই নেতারা? কেঁদে ফেললেন তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন

যদিও এ দিন অপর্ণার আর জি করে যাওয়াকে কেন্দ্র করেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়৷ এ দিন বিকেলে যখন অপর্ণা সেন আর জি কর হাসপাতালে ঢুকছেন, তখন তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কিছু সিপিএম কর্মী৷ অপর্ণাকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষও ছুড়ে দেন তাঁরা৷

অপর্ণা সেন কেন এতদিন বিভিন্ন অন্যায় এবং দুর্নীতির ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হননি, সেই অভিযোগ তোলা হয়৷ আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে নির্যাতন এবং খুনের ঘটনাতেও সরব হতে তাঁর কেন এতটা সময় লেগে গেল, সেই প্রশ্নও তোলেন বিক্ষোভকারী সিপিএম কর্মীরা৷
যদিও বিক্ষোভের মধ্যে দিয়েই আর জি কর হাসপাতালের ভিতরে গিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় চলচ্চিত্র জয়ী পরিচালক৷

পরে অপর্ণা সেন বলেন, ‘ছাত্রদের দাবির সঙ্গে আমি একশো শতাংশ সহমত, সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যাপ্ত নেই কেন? দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি৷ পুলিশকেও জবাবদিহি করতে হবে৷ কেন চিকিৎসকের পরিবারকে ফোন করে জানানো হল সে আত্মহত্যা করেছে? কেন পুলিশ তড়িঘড়ি এই হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত করালো? এই সব প্রশ্ন আমাদের সবার মনে উঠেছে, এর জবাব আমরা চাই৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হোক৷’ পাশাপাশি, সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও হাসপাতালে প্রবেশ বন্ধ করার দাবি জানান অপর্ণা সেন৷

এ দিন বিকেলে শ্যামবাজার মোড় থেকে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা মিছিল করে আর জি করে আসেন৷ ওই মিছিলে যোগ দেন পল্লব কীর্তনীয়া সহ বেশ কয়েকজন বিদ্বজ্জন৷ যদিও শারীরিক সমস্যার জন্য মিছিলে হাঁটেননি৷ অপর্ণা৷ তিনি সরাসরি হাসপাতালে আসেন৷

সঙ্গীত শিল্পী পল্লব কীর্তনীয়া বলেন, ‘আমি নিজে একজন চিকিৎসক৷ ১২ বছর মেডিক্যাল কলেজে কাজ করেছি৷ ভাবিনি জীব্বদশায় এই দিন দেখতে হবে যে হাসপাতালের ভিতরে একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হবে৷’