আড়াই হাজার বছরের মমির কফিন খোলা হল মিশরে, কী দেখা গেল?‌ দেখুন ভিডিও

মিশরের একটি প্রত্নতাত্ত্বিকদের ভিডিও নতুন করে আলোড়ন তৈরি করেছেন। লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে একটি আড়াই হাজার বছরের পুরনো মমির কফিন খুলেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সাধারণ দর্শকের। গ্লোবাল নিউজের খবর অনুসারে, ২০২০ সালে গোড়ার দিকে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চলাকালীন অনেকগুলি মমি উদ্ধার করা হয়। তারমধ্যেই একটি এটি।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, থরে থরে সাজানো রয়েছে অসংখ্য মমি। সাধারণত প্রাচীন মিশরে ছিল মৃত্যুর পর মমি করে রাখার প্রথা। প্রাচীন মিশরের একাধিক অত্যাশ্চর্য প্রথার মধ্যে এটি একটি। বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করে মৃত মানুষের দেহকে অবিকল রেখে দেওয়ার প্রচলন ছিল এখানে। অর্থাৎ মৃত মানুষের দেহ সংরক্ষণের এক আশ্চর্য নিয়ম অনেককাল আগেই শিখে গিয়েছিলেন মিশরের মানুষেরা। তাঁদের হাত ধরেই প্রাচীন মিশরে তৈরি হয়েছিল পিরামিড। ফ্যারাওদের উদ্যোগে সেই সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য এই পিরামিড তৈরি হয়েছিল নীলনদের ধারে, প্রাচীন মিশরে। সেই মিশরের প্রাচীন, মানে প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো এক মমির রহস্য এবারে উন্মোচিত হল।

এই অনুষ্ঠানের সময় উপস্থিত ছিলেন মিশরে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‌মিশরের পর্যটন ও দুষ্প্রাপ্য ঐতিহাসির বস্তু মন্ত্রকের নিমন্ত্রণে এখানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে সন্মানিত বোধ করছি। মন্ত্রকের মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, বেশ কয়েকটি নতুন মমি উদ্ধার করা হয়েছে। আমার সামনে একটি মমির কফিন খোলা হয়েছে, যেটির বয়স আনুমানিক ২৬০০ বছর!‌ সত্যিই অসাধারণ!‌’‌

এছাড়া সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ১৩ কফিন, পরে আরও ১৪টি কফিন উদ্ধার করা হয়েছে। যার ফলে সর্বমোট উদ্ধার করা মমির সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৫৯–এ। তবে এখনও এই উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। একাধিক নতুন কফিনের স্তরের সন্ধান ইতিমধ্যে পাওয়া গিয়েছে। সরকারি তরফে সেগুলি উদ্ধারের পর সবটা ঘোষণা করা হবে।