মায়ামি: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১২০ মিনিটের লড়াই। মেসি-দি মারিয়ার চোখের জল, কলম্বিয়ার অতিরিক্ত শারীরিক ফুটবল, তুল্যমূল্য লড়াই, শেষে লাউতারো মার্টিনেজের ম্যাচ উইনিং গোল। কোপা আমেরিকা ২০২৪-এর ফাইনাল রইল নাটকীয়তায় ভরা। শেষে মার্টিনেজের গোলে টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকা জিতল আর্জেন্টিনা। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও ডাগআউটে বসে মেসি দেখলেন দল তাঁকে ছাড়াও লড়াই দেওয়ার জন্য তৈরি। অন্যদিকে, নীল-সাদায় নিজের শেষ ম্যাচটা চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। পরপর ৪টি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন অধিনায়ক মেসি। একইসঙ্গে উরুগুয়েকে টপকে সবথেকে বেশি ১৬ বার কোপা জয়ের নজির গড়ল আর্জেন্টিনা।
এদিন টিকিট ছাড়া প্রচুর দর্শক মাঠের বাইরে উপস্থিত হওয়ায় বিশৃঙ্খলার তৈরি হয়। সেই কারণে দেরিতে শুরু হয় ফাইনাল। ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা থেকে খেলার রাশ বেশি ছিল কলম্বিয়ার হাতে। বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি কলম্বিয়া। কয়েকবার আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনাও। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে চোট পান মেসি। চিকিৎসা করে খেলা চালিয়ে গেলেও বোঝা যাচ্ছিল সমস্যায় রয়েছেন তিনি। ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল আসেনি কোনও দলেরই।
LAUTARO MARTÍNEZ: LA REDENCIÓN. pic.twitter.com/hLoJ9dDjxC
— CONMEBOL Copa América™️ (@CopaAmerica) July 15, 2024
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি শারীরিক ফুটবল খেলে কলম্বিয়া। ঘনঘন টাফ ট্যাকেল ও ফাউল করতে থাকে। একই সঙ্গে চলে আক্রমণ প্রতিআক্রমণ। জমে ওঠে খেলা। তবে এত বেশি শারীরিক ফুটবল খেলে কলম্বিয়া মেজাজ হারাতে দেখা যায় আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ফের পুরনো জায়গায় চোট পান মেসি। তারপর আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি। মাঠ ছেড়ে হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা যায় মেসিকে। শেষ ১০ মিনিটে বেশ কিছু আক্রমণ আর্জেন্টিনা গড়ে তুললেও গোলের মুখ খোলেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল আসেনি কোনও দলের। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
LA DECIMOSEXTA. pic.twitter.com/5ChlcjxpJw
— CONMEBOL Copa América™️ (@CopaAmerica) July 15, 2024
আরও পড়ুনঃ Gautam Gambhir Net Worth: মোট কত সম্পত্তির মালিক টিম ইন্ডিয়ার নতুন কোচ গৌতম গম্ভীর? জানলে অবাক হবেন
অতিরিক্ত সময়ের প্রথার্ধে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। তবে গোলের মুখ খুলতে পারেনি ফাইনালিস্টরা। তবে শেষ ১৫ মিনিটে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বারবার মাঠে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলেও ঠান্ডা মাথায় কাজের কাজটা করে যান লাউতারো মার্টিনেজ। ১১২ মিনিটেলো সেলসো মাঝমাঠ থেকে পাস দিয়েছিলেন লাউতারোকে। তিনি বক্সে ঢুকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান। সেই গোলেই ট্রফি ধরে রাখল নীল-সাদা ব্রিগেড।