আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলেও উৎসব হবে না কোচ স্কালোনির গ্রামে! কারণটা জানলে কেঁদে ফেলবেন

#রোজারিও: আট বছর পর আবার বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলে ব্যর্থ হতে হয়েছিল। এবার কি এশিয়ার মাটি থেকে কাপ নিয়ে ফিরবে লিওনেল মেসি এবং তার দল? উত্তর দেবে সময়। কিন্তু একটা অদ্ভুত খবর অবাক করে দিচ্ছে সবাইকে। মেসিরা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছতেই উল্লাসে মেতে ওঠে গোটা দেশ। রাস্তায় নামে মানুষের ঢল। রবিবারের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্তিনা চ্যাম্পিয়ন হলে দৃশ্যটা কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।

আরও পড়ুন – আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের স্ত্রী এবং বান্ধবীদের হোটেলে হঠাৎ অন্ধকার! আতঙ্কে রাস্তায় রাত কাটালেন অনেকে

তবে এমন আবহেও মন ভালে নেই আলবিসেলেস্তে ব্রিগেডের হেড কোচ লায়নেল স্কালোনির গ্রাম পুজাতোর। ৩৬ বছর পর মারাদোনার দেশে কাপ ফিরলেও সেলিব্রেশন থেকে হয়তো দূরেই থাকবে তারা। কিন্তু কেন? নেপথ্যে রয়েছে এক করুণ কাহিনি। রোজারিও শহর থেকে মাত্র ৪৪ কিলোমিটার দূরের এই গ্রাম এখনও ডুবে রয়েছে শোকের সাগরে।

বিশ্বকাপ চলাকালীনই গাড়ি দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন অগাস্টিন ফ্রাতিনি। খুব নামজাদা কেউ নন। কিন্তু ২৭ বছরের এই যুবক ছিলেন গ্রামের সকলের নয়নের মণি। আচার আচরণ ও মিষ্টি স্বভাবই ছিল তাঁর ইউএসপি। ঝাঁপিয়ে পড়তেন মানুষের বিপদে আপদে। অগাস্টিনের আকস্মিক প্রয়াণের ঝটকা এখনও সামলে উঠতে পারেননি গ্রামের মানুষ।

বিশ্বকাপে মেসিদের দুরন্ত অগ্রগতিতেও প্রলেপ পড়েনি ক্ষতে। পুজাতো পৌরসভার সভাপতি ড্যানিয়েল কোয়াককুয়ারিনি বলছিলেন, গোটা দেশ চাইছে মেসিরা কাপ জিতুক। আমরাও চাই। তবে সত্যি বলতে, গ্রামের মানুষের বর্তমান যা মানসিক অবস্থা, তাতে আর্জেন্তিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও হয়তো তা সেলিব্রেশন করবে না কেউ।

অগাস্টিনের মৃত্যু যেন পাথর চাপিয়ে দিয়েছে আমাদের বুকে। পরে মনের অবস্থা স্বাভাবিক হলে বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবে মাতব আমরা। এমনকী, গ্রামের ছেলে স্কালোনিকেও যথাযথ সম্মান জানানো হবে। মেসিদের দলের কোচ নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন ওই যুবককে। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পরেই তিনি শুনেছিলেন দুঃসংবাদটা। সেদিন থেকে তার মন খারাপ।

বিশ্বকাপ থেকে ফিরে নিজের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মেসিদের হেড স্যার। আর্জেন্টিনা বিশ্বাস করছে মৃত ফ্রাতিনির আত্মা ফাইনালে থাকবেন লিও মেসিদের সঙ্গে। আর্জেন্টিনাকে তৃতীয়বারের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে দেখতে চেয়েছিলেন এই যুবকও।