কেন সোনার গ্লাভস নিয়ে গোপনাঙ্গের সামনে মেলে ধরেছিলেন ? মুখ খুললেন আর্জেন্টিনার শেষ প্রহরী মার্টিনেজ

#দোহা: এই বিশ্বকাপ যতটা লিওনেল মেসির, ততটাই এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। মেসি যদি পাঁচটা ম্যাচের সেটার পুরস্কার পেয়ে থাকেন, গোল করে দলকে জিতিয়ে থাকেন, তাহলে আর্জেন্টিনার গোলপোস্টের নিচে ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির মার্টিনেজও সিংহ বিক্রমে খেলে গিয়েছেন সব কটা ম্যাচ। কিন্তু ফাইনাল শেষে তার একটি অভব্য আচরণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

হাতে সোনার গ্লাভস নিয়ে তা নিজের গোপনাঙ্গের সামনে মেলে ধরেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেই ভঙ্গির কারণ হিসাবে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্তিনেস বলেন, ফরাসি ফুটবলাররা আমাকে কটূক্তি করছিল। আসলে পেনাল্টি শুট আউট শুরু হওয়ার আগে ফ্রান্সের দুজন ফুটবলার এমিকে লক্ষ্য করে ছাপার অযোগ্য ভাষায় নাকি গালাগাল দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন – পরম আনন্দে বিশ্বকাপ নিয়ে ঘুমোচ্ছেন মেসি! ছবি ভাইরাল হতেই আবেগে ভাসলেন সমর্থকরা

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মুখে কিছু বলেননি। শুধু বলেছিলেন শট মারার সময় দেখে নেব। তিনি যে পেনাল্টি শুট আউটে কতটা দক্ষ, সেই প্রমাণ আগেই রেখেছিলেন। এমি বলছেন, সেই কারণেই ওদের জবাব দিয়েছিলাম। আমি ভাবমূর্তি নিয়ে ভাবি না। মার্তিনেসের আচরণ তাঁকে কোনও শাস্তির মুখে ফেলবে কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিশ্বকাপ জিতে ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে মার্তিনেসের। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখেছি বিশ্বকাপ জেতার। এই আনন্দ প্রকাশ করার কোনও ভাষা নেই। খুব ছোটবেলায় ইংল্যান্ড চলে গিয়েছিলাম। এই জয় পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই। আর শুধু ফ্রান্স কেন, তাকে যে দল কটুক্তি করবে, তার থেকেও খারাপ জবাব তার কাছে উপস্থিত থাকে জানিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার দুর্গের শেষ প্রহরী।

এমি অবশ্য জানিয়েছেন তার জীবনের খুব একটা বড় প্রত্যাশা নেই। খুব বেশি টাকার পেছনে ছোটার নেশা নেই। তিনি অল্পে সন্তুষ্ট। তাই প্রিমিয়ার লিগের মধ্যমানের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাতে থাকলেও তার অসুবিধে নেই। তিনি নিজের জীবন ধারন নিয়ে সুখী। তবে এই বিশ্বকাপজয় এমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মনে রাখতে চান।