মা লক্ষ্মীকে বলা হয় ধন, ঐশ্বর্য ও সমৃদ্ধির দেবী। একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত ব্যক্তি কখনওই সম্পদের অভাব অনুভব করেন না। দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে একটি বিশেষ দিন আসতে চলেছে।ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি থেকে আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি অর্থাৎ ১৬ দিনের এই সময়টি দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার জন্য অত্যন্ত বিশেষ এই ১৬ দিনেই দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয় উপবাস এবং পূজার জন্য একটি বিশেষ আচার আছে।একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে এই ১৬ দিনে পূজা ও উপবাস করে দেবী লক্ষ্মী খুশি হন এবং ভক্তদের উপর তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। কাশীর জ্যোতিষী পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় জানান, এবার মহালক্ষ্মী ব্রত শুরু হচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে, যা শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর জীবিতপুত্রিকা ব্রত দিয়ে।পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় বলেছেন, যে এই ১৬ দিনের মহালক্ষ্মী উপবাসে ১৬ ধরণের জিনিস দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করতে হবে। এই উপবাসের প্রথম দিনে, পুরুষদের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করার পরে তাদের ডান হাতে ১৬ টি গিঁটযুক্ত সুতো বাঁধতে হবে। মহিলাদের বাম হাতে এই সুতো বাঁধতে হবে।পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় বলেছেন, যে এই ১৬ দিনে দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে তাকে ১৬ ধরণের জিনিস নিবেদন করতে হবে। তাকে ১৬ টি ফুলের মালা, ১৬টি সাদা বরফি, ১৬টি চালের শীষ, ১৬ টি দূর্বা ঘাসের ১৬ টি গাঁট এবং ১৬ টি মেকআপ সামগ্রী দেওয়া উচিত। এ ছাড়া পূজার সময় ১৬ টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে তার আশীর্বাদ পাওয়া যায়।বৈভব লক্ষ্মীকে জবা ফুল অর্পণ করুন শুক্রবার প্রধানত বৈভব লক্ষ্মী মাতাকে উৎসর্গ করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আপনি যদি এই দিনে বৈভব লক্ষ্মী পূজায় লাল জবা ফুল অর্পণ করেন এবং আপনার ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা করেন তবে আপনার জীবনে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, এই সমাধানটি আপনার ভাল চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা এবং আপনার আটকে থাকা টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।তারর লাল বস্ত্র বা চুনরি এবং তারপর ফুল ও মিষ্টি নিবেদন করে পূজা করা উচিত। এর পাশাপাশি ‘ওম মহালক্ষ্মী নমঃ’ মন্ত্র জপ করলে তার আশীর্বাদ পাওয়া যায়।তারপর লাল বস্ত্র বা চুনরি এবং তারপর ফুল ও মিষ্টি নিবেদন করে পূজা করা উচিত। এর পাশাপাশি ‘ওম মহালক্ষ্মী নমঃ’ মন্ত্র জপ করলে তার আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
