জ্যোতিষকাহন Akshay Tritiya 2024: অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা-রূপা সবাই কিনতে পারে না, কিনুন এই ৫ জিনিস! সৌভাগ্য-অর্থ এসে দরজায় কড়া নাড়বে Gallery April 30, 2024 Bangla Digital Desk আগামী ১০ মে অক্ষয় তৃতীয়া৷ বৈশাখ মাসের শুক্লাপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালিত হয় এই শুভ পার্বণ৷ অক্ষয় তৃতীয়ায় কোনও শুভ কাজ করলে তার অক্ষয় পূণ্যফল লাভ করা যায় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) অনেকেই এই শুভদিনে সোনা-রূপো কেনেন। মনে করা হয় এতে লক্ষ্মীলাভ হয়। অর্থ ও সৌভাগ্যের উদয় হয়। কিন্তু সোনা-রূপা কেনার সামর্থ সবার থাকে না। তাহলে কী কিনলে লক্ষ্মীলাভ হতে পারে জানেন? অক্ষয় তৃতীয়ায় কিছুটা বার্লি কিনলেও তার শুভ ফল আপনার জীবনে পড়বে। মনে করা হয়, এদিন বার্লি কেনা সোনা বা রুপো কেনার মতোই শুভ। কড়িতে মা লক্ষ্মী বাস করেন বলে মনে করা হয়। সেই কারণে অক্ষয় তৃতীয়ায় কড়ি কেনাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় মাটির পাত্র কেনা সোনা কেনার মতো শুভ ফল দায়ী বলে মনে করা হয়। মাটির প্রদীপও এদিন কিনতে পারেন। শাস্ত্র অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়ায় সৈন্ধব লবণ কেনা অত্যন্ত শুভ। সৈন্ধব লবণ শুক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। শুক্র হল সুখ সম্পদ ও বিলাসিতার কারক গ্রহ। তাই এদিন সম্পদ বৃদ্ধি করতে সৈন্ধব লবণ কিনুন, কিন্তু এদিন ভুলেও সৈন্ধব লবণ খাবেন না। অক্ষয় তৃতীয়ায় সুতো কেনা অত্যন্ত মঙ্গলময়। এদিন কোনও দামি জিনিস কিনতে না পারলেও এক গোছা সুতো কিনে রাখুন। সৌভাগ্য ও অর্থ এসে দরজায় কড়া নাড়বে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Lakshmipuja Rituals: বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজোয় দিন এই ৫ পাতা! তার পর আপনার মানিব্যাগে রাখলেই কেল্লাফতে! উপচে পড়বে ধনসম্পদ! পালাবে দারিদ্রযোগ Gallery April 18, 2024 Bangla Digital Desk প্রতি বৃহস্পতিবার বাঙালি গৃহস্থ বধূর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সপ্তাহের এই দিনটি হল লক্ষ্মীবার। সংসারে শ্রী ও মঙ্গলকামনায় বৃহস্পতিবার ধনসম্পদের দেবী মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। দেবদেবীর পুজোর উপকরণে থাকে প্রাকৃতিক ছোঁয়া। ফুল, ফল তো বটেই। ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন পাতা ও গাছগাছালির বিভিন্ন অংশও। কিছু গাছের পাতা ছাড়া মা লক্ষ্মীর পুজো অসম্পূর্ণ। আসুন, জেনে নিই সেগুলি কী কী। বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী। যে কোনও লক্ষ্মীপুজোয় ধানদূর্বার ব্যবহার অত্যাবশ্যক। ধান ও দূর্বা হল কৃষিজ সম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। সম্পদ ও শ্রীর প্রতীক দেবীলক্ষ্মীর আরাধনায় এই দুই উপাদান প্রয়োজনীয়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ দূর্বাঘাস দীর্ঘায়ু ও দীর্ঘজীবনের প্রতীক। তাই লক্ষ্মীপুজোয় এই ঘাস প্রয়োজনীয়। পানপাতাকে অত্যন্ত শুভ ও পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই পাতার ওষধিগুণও প্রচুর। এই পাতা ছাড়া সম্পন্নই হবে না দেবী লক্ষ্মীর পুজো। কলাপাতাও খুবই শুভ। জীবনে সুখসমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের প্রতীক কলাগাছ ও কলাপাতা। তাই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় রাখুন এই পাতা। তাতেই সাজিয়ে দিন ফলপ্রসাদ ও ভোগনৈবেদ্য। আমপাতা বা আম্রপল্লবও সনাতনী বিশ্বাসে অত্যন্ত শুভ। মালক্ষ্মীর ঘটে সাজিয়ে দিন বিজোড় সংখ্যক আমপাতা। সারা বছর আমগাছ ভরা থাকে পাতায়। তাই বলা হয় লক্ষ্মীপুজোয় আম্রপল্লব ব্যবহার করলে সংসারের ধনসম্পদের ভাণ্ডারও পরিপূর্ম থাকে সব সময়। পবিত্র বিল্বপত্র বা বেলপাতাও দেবীলক্ষ্মীর পুজোয় গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফুলের সঙ্গে নিবেদন করুন বেলপাতাও। টাটকা অশ্বত্থপাতা নিন। তার উপর সিঁদুর বা কুমকুম দিয়ে আঁকুন যে কোনও মাঙ্গলিক চিহ্ন। তার উপর দিন কিছু অক্ষত আতপচাল এবং হলুদের তিলক। মা লক্ষ্মীকে অর্পণ করুন এই পাতা। তার পর রাখুন আপনার মানিব্যাগে। কোনওদিন ধনসম্পদের অভাব হবে না। জীবনে আসবে না দারিদ্রযোগ। এই পাতা শুকিয়ে গেলে ফেলে দিন কোনও প্রবাহিত জলে। তার পর আবার নতুন অশ্বত্থপাতা নিবেদন করুন মা লক্ষ্মীকে।
লাইফস্টাইল Thursday Lakshmipuja Rules: বৃহস্পতিবার পাঁচালি পড়ে এই নিয়মে লক্ষ্মীপুজো করলে মা লক্ষ্মী কোনওদিন আপনার সংসার ছেড়ে যাবেন না Gallery April 17, 2024 Bangla Digital Desk প্রতি বৃহস্পতিবার গৃহস্থবাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করেন বাঙালি বধূরা৷ মনে করা হয়, এর ফলে সংসারে শ্রী ও ধনসম্পদের যোগান অটুট থাকে সব সময়৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী। বৃহস্পতিবারকে লক্ষ্মীবারও বলা হয়৷ এই ব্রত পালনের জন্য লাগবে একটি ঘট, আমের পল্লব, ধান, দূর্বা, মাটি, তুলসিপাতা, শ্বেতচন্দন, আতপচাল, কলা, পান, সুপুরি, হরিতকি, বাতাসা, ফুল, সিঁদুর, ধূপ, প্রদীপ৷ স্নান সেরে শুদ্ধ বসনে মা লক্ষ্মীর আসনের সামনে বসুন৷ স্বস্তিকচিহ্ন এঁকে ঘটস্থাপন করুন৷ ঘটে আম্রপল্লব দিন৷ পল্লবে যেন বিজোড় সংখ্যক পাতা থাকে৷ ঘটে যে কোনও একটি ফল, পানপাতা ও হরিতকি দিন৷ সেগুলিতে সিঁদুরের ফোঁটা দিন৷ পুজোর শুরুতে প্রথমে ভগবান নারায়ণের পুজো করুন৷ লক্ষ্মীনারায়ণ না থাকলেও প্রথমে নারায়ণের পুজোই করবেন৷ তার পর মা লক্ষ্মীর পুজো করুন৷ নারায়ণকে তুলসিপাতা নিবেদন করলেও মা লক্ষ্মীকে তুলসিপাতা দেবেন না৷ তাঁকে পুষ্প ও বিল্বপত্র দিন৷ নৈবেদ্য ও ভোগপ্রসাদ নিবেদন করুন৷ ধূপ ও প্রদীপ দিয়ে আরতি করুন৷ মন্ত্রপাঠে পুজো সমাপনে অবশ্যই হাতে ধানদূর্বা নিয়ে মা লক্ষ্মীর ব্রতকথা ও পাঁচালি পাঠ করুন৷ অনেকে সন্ধ্যাবেলাও পাঁচালি পাঠ করেন৷ তাহলে কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত উপবাস রাখতে হবে৷ তার পর প্রসাদ গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করতে পারবেন৷ পটের ছবি হোক বা বিগ্রহ৷ মা লক্ষ্মী যেন সেখানে আসীন অবস্থায় থাকেন৷ লক্ষ্মীপুজোর ঘট প্রতি সপ্তাহে অবশ্যই পরিবর্তন করবেন৷ সব সময় ডানহাতের অনামিকা দিয়ে মাঙ্গলিক চিহ্ন আঁকুন ঘটে৷ ঘটের নীচে মাটি, ধান, দূর্বা দিতে পারেন৷ চঞ্চলা লক্ষ্মীকে গৃহে চিরস্থায়ী ভাবে রাখতে তাঁর কাছে নিবেদন করতে পারেন কড়ি৷ উলু ও শঙ্খধ্বনি দেওয়া যায়৷ তবে কখনওই কাঁসর ঘণ্টা বাজাবেন না৷ তাতে চঞ্চলা লক্ষ্মী অপ্রসন্ন হন৷ মা লক্ষ্মীকে সাদা ফুল নিবেদন করবেন না৷ সব সময় লাল বা গোলাপি ফুল নিবেদন করুন৷ তাঁর আসনে কালো কাপড় পাতবেন না৷ লাল বা হলুদ কাপড় পাতুন৷ মা লক্ষ্মীর পুজোয় লোহার বাসন কোনওমতেই ব্যবহার করবেন না৷ তাঁর পুজোয় স্টিলের ঘটও স্থাপন করবেন না৷ সব সময় পিতলের ঘট ব্যবহার করুন৷
লাইফস্টাইল Vastu Tips: ঠাকুরঘরে রাখুন এই ফুল ও এই ফল, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে অর্থসম্পদে ভরে থাকবে আপনার জীবন Gallery March 22, 2024 Bangla Digital Desk ঠাকুরঘরে বসে শুধু পুজো করলেই হবে না। পালন করতে হবে কিছু বাস্তু টিপস-ও। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ মধু কোটিয়ার মতে, এই নিয়মগুলি পালন করলে বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর আসন চিরস্থায়ী হবে। নারকোল বা নারকেলকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই বলা হয় ঠাকুরঘরে একটা নারকেল রেখে দিতে। মনে করা হয়, একটি নারকেলে হলুদ, সিঁদুর মাখিয়ে ঠাকুরঘরে রাখলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে ধনসম্পদ ও শ্রীবৃদ্ধি হয়ে ভরে থাকে জীবন। প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজো করেন? চেষ্টা করুন সেই পুজোতে প্রতি বৃহস্পতিবার একটা করে লালপদ্ম দেবীকে নিবেদন করতে। বলা হয়, মা লক্ষ্মীর আসনে একটি লালপদ্ম সর্বদা থাকলে আর্থিক নিশ্চয়তা ও জীবনে সুস্থিতি বজায় থাকে। ঠাকুরঘরে সামান্য হলেও কর্পূর রেখে দিন। আর্থিক সমৃদ্ধি সব সময় আপনাকে ঘিরে থাকবে।
পাঁচমিশালি Life: জীবনে অশান্তি, অর্থাভাব? এই ৪ উপায়েই বদলে যাবে সব! শান্তির জীবনে আসবে অঢেল টাকাপয়সাও Gallery January 17, 2024 Bangla Digital Desk ঠিক যেমন দিন আর রাত পাশাপাশি অবস্থান করে, জীবনে তেমনই চক্রাকারে আসে সুখ এবং দুঃখ। রাত যেন শেষ হয়ে আঁধার কাটে, তেমনই দুঃখের অবসানে সুখের সূচনা এই পৃথিবীর নিয়ম। তবে দেখা যায় যে আমাদের অনেকেই কেবল দুঃখে, কষ্টে ভুগি, এর হাত থেকে মুক্তির কোনও উপায়ই চোখে পড়ে না। যত সময় যায়, কমার বদলে জীবনে অশান্তি যেন বেড়েই চলে, দেখা দেয় অর্থাভাবও। নর্মদাপুরমের প্রখ্যাত জ্যোতিষী পঙ্কজ পাঠক এ প্রসঙ্গে বলছেন যে দৈনন্দিন কাজে সামান্য কিছু বদল এনেই আমরা ভাগ্যও বদলে ফেলতে পারি। এর জন্য খুব দুরূহ কিছু করতে হবে না, কেবল এই সহজ ৪ নিয়ম পালন করলেই জীবনে পরিপূর্ণতা এবং সমৃদ্ধি আসবে। দেখে নেওয়া যাক এক এক করে সেগুলো কী। রুটি দান: হিন্দু ধর্মে গাভীকে দেবীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, আমরা বলেই থাকি গোমাতা। তাই বাড়িতে প্রথম যে রুটি তৈরি হবে, তা ঘি আর গুড় লাগিয়ে খেতে দিতে হবে গোমাতাকে। তাঁর শরীরেই সব দেব-দেবীর বাস, গোমাতা প্রসন্ন হলে তাঁরাও প্রসন্ন হবেন। এছাড়া, শেষ তৈরি হওয়া রুটি কুকুরকে খাওয়াতে হবে। হনুমানজির আরাধনা: শ্রীরামের জীবনের সব সমস্যা দূর করেছিলেন হনুমানজি। তাই প্রতি শনিবার কেউ যদি হনুমান মন্দিরে গিয়ে একটি ঘিয়ের প্রদীপ নিবেদন করেন, তাঁর সব সমস্যা হরণ করবেন বজরঙ্গবলী। সেই সঙ্গে, তাঁকে লাল রঙের বস্ত্র অর্পণ করলেও বিশেষ প্রসন্ন হবেন তিনি। তাঁর কৃপায় জীবনের সব দুঃখ দূর হবে। তুলসি পূজন: এ আমাদের সনাতন প্রথা। ঘরে একটি তুলসি গাছ রাখতে হবে, তাতে নিয়ম করে জল দিতে হবে। সন্ধ্যায় তুলসি গাছের গোড়ায় অর্পণ করতে হবে একটি ঘিয়ের প্রদীপ। এতে সবিশেষ তুষ্টা হবেন মাতা লক্ষ্মী, পরিবারকে তিনি ভরিয়ে তুলবেন ধনে আর ধানে। হনুমান চালিসা পাঠ: হনুমানজিকে বলাই হয় সঙ্কটমোচন, ভক্তের সব সমস্যার নিবারণ করেন তিনি। তাই প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করা উচিত। রোজ সম্ভব না হলেও প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার তা অবশ্যই করা উচিত।