Astrology Tips: জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার দিনে করুন ‘এই’ কাজ! টাকার কষ্ট আর থাকবে না, সুখের সাগরে ভাসবেন

পূর্ণিমা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি মাসেই পূর্ণিমা তিথি পড়ে। তবে প্রতিটা পূর্ণিমার আলাদা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এর মধ্যে জৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। কারণ এই দিন চন্দ্রদেব পূর্ণরূপে বিরাজ করেন। এটাই এই দিনের মাহাত্ম্য। এই দিনে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস।

মনে করা হয়, জৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে গঙ্গা স্নান, দান, সত্যনারায়ণ উপবাস এবং চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদন অত্যন্ত শুভ। জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা অনুযায়ী, এই দিনে কিছু জিনিস নিবেদন করলে পরিবারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং দারিদ্র্য দূর হয়। তাহ লে জেনে নেওয়া যাক জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমার দিনে কী কী জিনিস নিবেদন করা উচিত।

অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম বলেছেন, এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে জ্যেষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথি পড়ছে ২২ জুন। তাই এই দিনে গৃহস্থদের দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা উচিত। একই সঙ্গে এই দিনে কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদন করলে ঘর থেকে দারিদ্র্য দূর হবে। তাঁর কথায়, “পূর্ণিমা তিথিতে মাখনা ক্ষীর নিবেদন করা উচিত”।

মাখনা ক্ষীর নিবেদন: জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম বলেন, দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে চাইলে পূর্ণিমা তিথির দিন মাখনা ক্ষীর নিবেদন করা উচিত। মাখনা ক্ষীর দেবী লক্ষ্মীর খুব প্রিয় বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে, এই নৈবেদ্য নিবেদন করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

পঞ্চ মেওয়া নৈবেদ্য: পূর্ণিমা তিথিতে দেবী লক্ষ্মীকে পঞ্চ মেওয়ার ভোগ নিবেদন করলে দেবী লক্ষ্মী খুশি হন। এছাড়াও শুভ ফল পাওয়া যায়। এই দিনে পঞ্চ মেওয়ার ভোগ নিবেদন করলে সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলেও জানিয়েছেন অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম। এছাড়াও আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার দিন চন্দ্রোদয়ের পর একটি পাত্রে দুধ ভরে তাতে চিনি ও কাঁচা চাল মিশিয়ে চন্দ্রদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।