দুরন্ত জয়ে ৩ নম্বরে মোহনবাগান, জোড়া গোলে ওড়িশা বধের নায়ক দিমিত্রি

এটিকে মোহনবাগান – ২
( দিমিত্রি)

ওড়িশা এফসি – ০

#কলকাতা: এটিকে মোহনবাগান নকআউট এ যাবে কিনা তার অনেকটাই নির্ভর করেছিল শনিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচটার ওপর। ঘরের মাঠে মুম্বই এর কাছে হার, তারপর চেন্নাই গিয়ে ড্র – সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না সমর্থকরা। তাই এদিনের ম্যাচটা যে এটিকে মোহনবাগানের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটা বলাই বাহুল্য।

কোচ হুয়ান ফেরান্ডোর ওপর চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছিল। আজ প্রথম লিস্টন, পুইতিয়াকে দলে রাখেননি মোহনবাগান কোচ। তাদের বদলি হিসেবে গোয়া থেকে আসা গ্লেন মার্টিন্স এবং আশিক ছিলেন। গ্লেন দলে আসার ফলে মাঠের মাঝখানে বলের দখল রাখার ক্ষেত্রে এগিয়েছিল মোহনবাগান।

৩ মিনিটে লিড নেয় সবুজ মেরুন। মনবীরের ক্রস থেকে দিমিত্রির প্লেসমেন্ট জড়িয়ে যায় জালে। এর কিছুক্ষণ পর দিমিত্রির একটি বুদ্ধিদীপ্ত শট বাঁচিয়ে দেন ওড়িশার গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়টা দাপট বেশি ছিল মোহনবাগানের। বিরতির পরেও জারি থাকলেও সবুজ মেরুনের প্রেসিং ফুটবল।

ওড়িশাকে বল পেলে বেশি সময় না দেওয়াই আজ লক্ষ্য ছিল প্রীতম, শুভাশিস, আশিষদের। ম্যাক হিউ অসাধারণ খেললেন। ৬১ মিনিটে দুটি পরিবর্তন নিয়েছিলেন ওড়িশার ম্যানেজার। পেড্রো এবং নিখিলকে নিয়ে আসেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে নিয়ে আসা হয় অনিকেত যাদবকে।

৭৮ মিনিটে মনবীরের জায়গায় লিস্টন আসেন। এক মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পেয়ে গেল সবুজ মেরুন। হুগর পাস ধরে আশিসের ক্রস থেকে ট্যাপ করে গোল করেন দিমিত্রি। বুমুর জায়গায় আসেন গালেগো। লিস্টনের শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান বাড়তেই পারত। আজ সব মিলিয়ে গোটা ম্যাচে প্রায় নিখুঁত ফুটবল তুলে ধরল সবুজ মেরুন।

এই জয় তাদের অনেকটা আত্মবিশ্বাস দেবে। প্রথম ছয় এর মধ্যে থাকার ক্ষেত্রে আজকের পারফরম্যান্স মনে রাখার মত হতে পারে। তবে ম্যাচ শেষে মোহনবাগানের কোচ জানিয়ে দিলেন তিনি মনে করেন তার দল আরো ভালো খেলার ক্ষমতা রাখে। পরের ম্যাচে এই পারফরম্যান্স বজায় রাখতে হবে। একটা তিন পয়েন্ট এর প্রয়োজন ছিল। সেটা আজ পাওয়া গিয়েছে। শেষ দিকে মারপিটে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের আশিক। ৩ পয়েন্ট পাওয়ার দিনে এইটুকু দাগ পড়ে গেল পারফরম্যান্সে।