স্প্যানিশ গিটারের ছন্দেই ডার্বিতে মশাল নেভানোর চ্যালেঞ্জ এটিকে মোহনবাগানের

#কলকাতা: মোটামুটি দু মাস আগে যখন যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান তখন যে পরিস্থিতি ছিল, তার থেকে পরিস্থিতি এখন অনেকটা আলাদা। ইস্টবেঙ্গল গুছিয়ে নিয়েছে অনেকটাই। সেটা বিলক্ষণ জানেন হুয়ান ফেরান্ডো। মোহনবাগান মাঠে তখন ডার্বির চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে মগ্ন হুগো বোমাস-জনি কাউকোরা।

দু’টো দলে ভাগ করে চলছে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস। নোটবুক হাতে ফুটবলারদের ভুলত্রুটি শুধরে দিচ্ছেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। বড় ম্যাচের আগে অনুশীলনে সৌরভের উপস্থিতি যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে প্রীতম-শুভাশিসদের, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। চলতি মরশুমে আইএসএলের শুরুটা ভালে হয়নি মোহন বাগানের।

আরও পড়ুন – মোহনবাগানের নৌকা ডোবানোর ছক তৈরি, ডার্বির লক্ষ্যে এবার প্রস্তুত ইস্টবেঙ্গল

তবে পরের ম্যাচেই ৫-২ গোলে কেরলকে হারায় তারা। দু’ম্যাচে চার গোল হজম করায় বড় ম্যাচের আগে ডিফেন্স নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় স্প্যানিশ কোচ। তাই রক্ষণ সংগঠনের উপর জোর দিচ্ছেন তিনি। অতীতে একাধিক ডার্বির সাক্ষী থেকেছেন প্রীতম কোটাল। দলের রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ তিনি। তাই বড় ম্যাচের আগে দ্রুত ভুল শুধরে নেওয়াই লক্ষ্য এই বঙ্গতনয়ের।

 তিনি জানান, কেরলের বিরুদ্ধে জয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ডার্বির লড়াই সবসময় আলাদা। এখানে কোনও দল ফেভারিট নয়। বাঙালি ফুটবলার হিসেবে এই ম্যাচ আমার কাছে খুবই স্পেশাল। ডুরান্ড কাপে সবুজ-মেরুন জার্সিতে ডার্বি অভিষেকে নজর কেড়েছিলেন আশিক কুরুনিয়ান।

যদিও সুযোগ পেয়েও স্কোরশিটে নাম তুলতে ব্যর্থ তিনি। তবে ২৯ তারিখ সেই আক্ষেপ মেটাতে চান এই তরুণ উইঙ্গার। তিনি জানান, ডার্বিতে গোল করা যেকোনও ফুটবলারের স্বপ্ন। তবে ইস্টবেঙ্গল দলেও বেশ ভালোমানের ফুটবলার রয়েছে। ফলে ওদের হাল্কাভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।

তবে মোহনবাগান জনতা স্বপ্ন দেখছে তিন বিদেশিকে ঘিরে। জনি, হুগো এবং অস্ট্রেলিয়ার দিমিত্রি। এই তিনজন ক্লিক করে গেলে ৩ পয়েন্ট আসতেই পারে সবুজ মেরুনের ঝুলিতে। সঙ্গে লিস্টনের দিকেও তাকিয়ে থাকবে সমর্থকরা।